খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা দূর করে। তুলনামূলকভাবে যেসব খেজুর একটু শক্ত সেই খেজুর সারা রাত জলে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকাংশে দূর হয়।খেজুরে উপস্থিত ফাইবার স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগ থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ কোষ্ঠকাঠিন্য, আলসার, কোলন ক্যানসার গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক সম্পর্কিত সমস্যার ঝুঁকি কমাতে পারে।আপনি যদি অল্প বয়সে বুড়ো হতে না চান, তাহলে খেজুর খেতে পারেন। গবেষকরা বলছেন, খেজুর যুক্ত ক্রিম লাগালে ত্বকের আর্দ্রতা, স্থিতিস্থাপকতা ও উজ্জ্বলতা বজায় থাকে। এছাড়াও, খেজুর ত্বকে বার্ধক্যের প্রভাব কমাতে পারে। এর নিয়মিত সেবনে আপনার ত্বক সুস্থ থাকবে।পাশাপাশি খেজুরে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের ফাইবার পাওয়া যায়। যা হজম সংক্রান্ত সমস্যা কমাতে সহায়ক। যাঁদের পরিপাকতন্ত্র দুর্বল তাঁরা খেজুর খেলে উপকার পেতে পারেন।খেজুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা দীর্ঘস্থায়ী রোগ কমাতে কার্যকরী। ফ্রি রেডিকেল দ্বারা সৃষ্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। এই অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ডায়াবেটিস, ক্যানসার, আলজাইমার, কার্ডিওভাসকুলার রোগ ইত্যাদির কারণ।আপনি যদি নিয়মিত খেজুর খান তবে আপনার চিন্তার ক্ষমতা উন্নত হবে। আপনার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার আলজাইমার রোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে পুরুষদের অবশ্যই এটি খাওয়া উচিত।শরীর থেকে রক্তের ঘাটতি দূর করতেও এটি আপনাকে অনেক সাহায্য করে। এটি মেটাবলিক রেট বাড়াতেও উপকারী। এছাড়াও শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায় খেজুর।MedicalNewsToday-এ প্রকাশিত একটি খবরে বলা হয়েছে, ইঁদুরের উপর একটি গবেষণা করা হয়েছিল। দেখা গিয়েছে ইঁদুরদের যখন খেজুর খাওয়ানো হয়, তখন তাদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের লক্ষণগুলো কমে যায়।
