বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ ছবি: পিটিআই

Suvendu Adhikari: ‘বুলডোজারের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ব!’ হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, একদিন সময় দিলেন মমতাকে

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পর গোটা রাজ্য জুড়ে ফুটপাথ এবং সরকারি জায়গা দখল করে রাখা হকারদের সরিয়ে দিতে শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন৷ কলকাতা সহ জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে জবরদখল মুক্ত করার অভিযান৷ এবার পুলিশ, প্রশাসনের এই সক্রিয়তার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁর দাবি, যথাযথ নীতি না তৈরি করে এবং হকারদের নির্দিষ্ট সময় না দিয়ে অভিযান চালালে তিনি নিজেই বুল়ডোজারের সামনে গিয়ে দাঁড়াবেন৷ দলের বিধায়কদেরও একই বার্তা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা৷

দু দিন ধরে এই অভিযান চলার পর অবশ্য আগামিকাল বিকেলে ফের একবার নবান্নে এই সংক্রান্ত বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ প্রশাসন ও পুরসভাগুলিকে সেই বৈঠকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে৷ শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, এই বৈঠক থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে হকার উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করতে নির্দেশ দিতে হবে৷ তার বদলে সরকারি জমি জবরদখল মুক্ত করতে নির্দিষ্ট নীতি তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন তিনি৷

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘প্রথমে এসওপি তৈরি করুন, সমস্ত দফতরকে নিয়ে৷ সরকারি জমি আগে চিহ্নিত হোক৷ সঠিক ভাবে মানুষকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরকারি জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য আইনি নোটিস দিন৷’

আরও পড়ুন: প্রথম বার লোকসভায়, সংসদে পা দিয়েই ‘শিক্ষক’ হিসেবে কাকে বাছলেন রচনা?

বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আমরা শহরের পরিচ্ছন্নতা, নাগরিক পরিষেবা, ফুটপাথ দখলদার মুক্ত করার সঙ্গে আমরা দ্বিমত পোষণ করি না৷ আমরা মনে করি এই রাজ্যে চাকরি নেই, ব্রিটানিয়া, ইসিএল পালিয়েছে৷ সিঙ্গুরে ডিনামাইট দিয়ে কারখানা গুঁড়িয়ে আপনি যে সঙ্কেত দিয়েছেন, তা মানুষ জানেন৷ সেই কারণেই সচেতন ভোটাররা এবার মুখ ঘুরিয়েছেন৷ তাই বিজেপি এবারেও ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে৷’

শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘জিনিসপত্র সরানোর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না৷ জামাকাপড়, প্লাস্টিকের জিনিস পুলিশ অন্যায়ভাবে তুলে নিয়ে যাচ্ছে৷ এটাকে হকার উচ্ছেদ বা জনগণের স্বার্থের কাজ বলা যায় না৷ এটাকে মানবতা বিরোধী দম্ভের বহিঃপ্রকাশ এবং পুরসভা এলাকায় হারের জ্বালা যন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশ বলে আমি মনে করি৷ আগামিকাল সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা না হলে পরশুদিন থেকে যেখানে উচ্ছেদ হবে সেখানে সবাইকে অনুরোধ করব বাধা দিন৷ আগাম জানতে পারলে আমি নিজেও বুলডোজার বা পুলিশের সামনে দাঁড়াতে প্রস্তুত আছি৷ আমার সতীর্থ বিজেপি বিজেপি বিধায়কদেরও আমি একই অনুরোধ করব৷ আমি আশা করব মুখ্যমন্ত্রী তাঁর রাজধর্ম পালন করবেন এবং পুলিশের অতি সক্রিয়তা বন্ধ করবেন৷ রাজ্য, কেন্দ্র, রেল, বন্দর যেখানে যার জমি বেদখল হয়েছে সেই জমি উদ্ধারের জন্য রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকরা রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করবে বলে আমি আশা রাখি৷’

এর পাশাপাশি বিদ্যুতের বর্ধিত মাশুল না কমালে সিইএসসি-র সদর দফতর এবং বিধাননগরে বিদ্যুৎ ভবন অভিযানেরও ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা৷