বিধানসভার অধ্যক্ষকে ‘জবাব’ শুভেন্দু অধিকারীর

‘আমাদের কোনও অনুমতি লাগবে না, আন্দোলন আরও তীব্র হবে…’ বিধানসভার অধ্যক্ষকে ‘জবাব’ শুভেন্দু অধিকারীর

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: বিধানসভার অধ্যক্ষকে ‘জবাব’ দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রশ্ন তুললেন, তৃণমূলের নবনির্বাচিত দুই বিধায়ক বিধানসভায় ধর্না দেওয়ার অনুমতি স্পিকার দিলেও কোচবিহার ও চোপড়া ইস্যুতে বিজেপির মহিলা বিধায়কদের ক্ষেত্রে কেন অনুমতি মিলবে না? এক যাত্রায় পৃথক ফল হতে পারে না বলে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে স্পষ্ট জানিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমাদের কোনও অনুমতি লাগবে না। আন্দোলন আরও তীব্র হবে।’’

আরও পড়ুন- ‘শাবাস সাউথ আফ্রিকা, শাবাস’, ম্যাচ শেষে হতাশ মার্করামদের উৎসাহ দিলেন ভারতীয় সমর্থকরা, ভাইরাল ভিডিও

পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী এও বলেন, ‘‘বিজেপি অধ্যক্ষের কাছে ধর্নায় বসার অনুমতি চাইলেও তা দেননি অধ্যক্ষ। অথচ তৃণমূলের ধরনায় অনুমতি দিয়েছেন অধ্যক্ষ। বিধানসভাটা কি তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় নাকি অধ্যক্ষের নিজস্ব সম্পত্তি?’’ এই প্রশ্ন তুলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দুই বিধায়কের বিধানসভায় ধরনায় বসা নিয়ে চড়া সুরে বলেন, ‘‘তাঁদের যেহেতু রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ তাই বিধানসভায় কেন, দম থাকলে রাজভবনের গেটের সামনে ধর্না দিন।’’

তৃণমূলের দুই নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথ জট এখনও অব্যাহত। বিধানসভায় শপথের আবেদন জানিয়ে রাজ্যপালকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছেন দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন সরকার। কিন্তু রাজভবনের তরফে কোনও বার্তা না আসায় বিধানসভাতেই ধরনায় বসেন দুই জয়ী তৃণমূল বিধায়ক। তাঁদের একটাই বক্তব্য, রাজভবন নয়, বিধানসভাতেই শপথ বাক্য পাঠ করাতে হবে। অন্যদিকে, সোমবার কোচবিহার ও চোপড়া কাণ্ড নিয়ে বিধানসভা চত্বরে অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে বিক্ষোভ ও ধর্না প্রদর্শন করেন বিজেপির মহিলা বিধায়কেদের একাংশ।

আরও পড়ুন- উত্তরবঙ্গে ফের প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা! দক্ষিণবঙ্গে কবে থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে? জেনে নিন

স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল বলেছিলেন, ‘‘অনুমতি ছাড়া বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভে করছেন। আমি ওদের অনুমতি দিইনি, কেন বসেছে জানি না। ব্যবস্থা নেওয়া যায় কীভাবে দেখছি। মার্শালকে বলব বিষয়টি দেখতে।’’

স্পিকার আরও বলেন, ‘‘তৃণমূল আগে অনুমতি চেয়েছিল তাই ওদের দিয়েছি। বিজেপি বিধায়করা যদি আগে অনুমতি চাইতেন তাহলে ওদেরটাও বিবেচনা করে দেখতাম।’’ আর স্পিকারের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কার্যত স্পিকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বললেন, ‘‘আমাদের কোনও অনুমতি লাগবে না। রাজ্য মহিলা কমিশনের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের মদতে কোচবিহার চোপড়া-সহ একের পর এক অমানবিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির আন্দোলন বিধানসভার ভেতরে ও বাইরে আগামী দিনে আরও তীব্র হবে।’’