ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: ‘‘প্রধানমন্ত্রীর আক্ষেপের কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত অবিলম্বে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এ রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারতের কার্ড চালু করা।’’ এমনটাই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রবীণ নাগরিকদের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা ক্ষেত্রে আয়ুষ্মান প্রকল্পের কার্ডের বিকল্প নেই বলে দাবি করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আয়ুষ্মান ভারতের কার্ড পশ্চিমবঙ্গে চালু না হওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর আক্ষেপ এবং অভিমানের কথা বলেছেন। আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর আক্ষেপের কথা শুনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এই আয়ুষ্মান ভারতের কার্ড চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।’’
আরও পড়ুন– পাখির চোখ ২০২৬, বাংলার ১ কোটি ভোটারকে সদস্য করাই টার্গেট বিজেপির
পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আরও বলেন, ‘‘আমি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বলব প্রধানমন্ত্রীর এই আক্ষেপ, দুঃখ দূর করে ত্রুটি সংশোধন করুন এবং বাংলায় প্রবীণ নাগরিকদের আয়ুষ্মান ভারতের কার্ড চালু করুক।’’
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কোথাও চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায় না। এমনকী, পশ্চিমবঙ্গতেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে রোগী ভর্তি হবে শুনলেই বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমগুলির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে বেড নেই বলেও রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন শুভেন্দু। প্রসঙ্গত, প্রবীণদের জন্য নতুন স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পের উদ্বোধন করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরল সরকারকে মঙ্গলবার তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ অভিযোগ করলেন, রাজনৈতিক স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লির তৃণমূল এবং আপ সরকার অসুস্থ মানুষকে কেন্দ্রীয় সরকারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে, যা অমানবিক৷ পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লির প্রবীণ নাগরিকদের কাছে এ ব্যাপারে ক্ষমাও চেয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী ৷
গতকাল মঙ্গলবার, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা নামে স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পের উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি ৷ এই প্রকল্পে সত্তর বছরের ঊর্ধ্বে যাঁদের বয়স, সেই প্রবীণ নাগরিকরা বাৎসরিক ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাবেন ৷ যাঁরা ইতিমধ্যেই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন, সেই প্রবীণ নাগরিকরা অতিরিক্ত ৫ লক্ষ টাকার সুবিধা পাবেন৷ নতুন এই প্রকল্পে দেশের প্রায় ৬ কোটি প্রবীণ নাগরিক উপকৃত হবেন বলে কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি ৷