লাইফস্টাইল Sweet Craving Problem: খাবার খেয়েই মনে হয় গপাগপ দুটো মিষ্টি খাই? আপনি মারণরোগে আক্রান্ত হতে পারেন! এখনই জানুন Gallery October 24, 2024 Bangla Digital Desk মিষ্টি খেতে অনেকেই ভালবাসেন। কিন্তু মিষ্টি খাবার প্রয়োজনীয়তা যদি মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে কিন্তু সাবধান হতে হবে। মিষ্টির প্রতি ভালবাসাকে বলা হয় সুগার ক্রেভিং। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।) একবার ভাবুন তো আপনার কি কোনও সময় খাবার খেলেই মনে হয় একটা মিষ্টি খাই? বা ভাত-রুটি খেলেই শেষে একটা মিষ্টির অনুপস্থিতি মনে হয়? এমতাবস্থায় বুঝতে হবে মিষ্টি খাবারের লোভ শরীরে ঘাটতির দিকেই ইঙ্গিত করছে। সুগার ক্রেভিং, যা কোনও সুযোগ না দেখেই মানুষের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে। অতিরিক্ত চিনি খেলে স্থূলতা, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ এবং বিষণ্নতার মতো সমস্যা হতে পারে। স্থূলতা কমানোর তাগিদে অনেকেই অনাহার শুরু করে কড়া ডায়েটিং করেন। যার কারণে তাদের শরীর সম্পূর্ণ পুষ্টি পায় না। যখন শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়, তখন আপনি চকোলেট বা মিষ্টির জন্য লালসা শুরু করেন। শরীর যখন চাপের মধ্যে থাকে, তখন কর্টিসল এবং অ্যাড্রেনালিন হরমোন বেশি হতে শুরু করে। এই দুটিই আমাদের শরীরে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে, যা রক্তচাপ এবং ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ায়। শুধু তাই নয়, এর ফলে আমরা মিষ্টি খাবারের জন্যও লোভ করতে শুরু করি। আপনি যখন কার্বোহাইড্রেট-সমৃদ্ধ খাবার খান, তখন পরিপাকতন্ত্র এটিকে চিনিতে ভেঙে দেয়। যা রক্তের মাধ্যমে কোষে নিয়ে গিয়ে শক্তিতে রূপান্তরিত করে। কিন্তু দীর্ঘদিন অনাহারে থাকার কারণে আমাদের কোষে জ্বালানির প্রয়োজন হয়। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের আরও বেশি কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করার প্রয়োজন হয়। তার আগে আমাদের চিনির প্রতি লোভ শুরু হয়। যদি শরীরে চিনির ক্রেভিং থাকে, তবে আপনার শরীর আপনাকে বলছে যে প্রোটিন দরকার। পুষ্টিবিদ বিশ্বজিৎ দাসের মতে, যারা সারা রাত জেগে থাকে বা যাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না, যখন তাদের শরীরে শক্তির অভাব দেখা দেয়, তখন তারা জাঙ্ক ফুড বা মিষ্টি জিনিস খেতে পছন্দ করেন। কম ঘুম আমাদের হরমোনকে প্রভাবিত করে। যার কারণে আমরা বারবার ক্ষুধার্ত বোধ করি এবং সুগার ক্রেভিং হয়। শরীরে জলের ঘাটতি থাকলেও মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা তৈরি করে শরীর। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)