এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও খোঁজ নেই ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’-র সোধির

‘Taarak Mehta’ Actor Missing: এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও খোঁজ নেই ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’-র সোধির, তিনি কি অবসাদে ছিলেন? যা বললেন গোগি ওরফে সময় শাহ

নয়াদিল্লি: প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। এখনও নিখোঁজ ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’ খ্যাত অভিনেতা গুরুচরণ সিং ওরফে দোশি। যদিও পুলিশ বিষয়টা তদন্ত করে দেখছে, তবে বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সম্প্রতি দাবি করেছেন যে, ওই অভিনেতা সম্ভবত অবসাদে ভুগছিলেন। তবে এমনটা মনে করছেন না গুরুচরণ সিংয়ের অন-স্ক্রিন পুত্র গোগি ওরফে সময় শাহ। নেটিজেনদের দাবি নাকচ করে দিয়ে তিনি জানান যে, বিষয়টা এমন নয়।

প্রায় মাস চারেক আগে গুরুচরণ সিংয়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল সময় শাহের। সেই কথা মনে করে তিনি বলেন যে, “প্রায় ৪ থেকে ৫ মাস আগে ফোনে কথা হয়েছিল। প্রায় ঘণ্টাখানেক কথা হয়েছিল। তিনি আমায় সব সময় অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ জোগাতেন। নিজেদের স্বপ্নের বিষয়েও কথা হয়েছিল আমাদের। আমি আসলে সেই সময় তাঁকে খুবই মিস করছিলাম। বিশেষ করে আরও বেশি মিস করছিলাম কারণ আমরা তো আর একসঙ্গে কাজ করছিলাম না। সেই স্মৃতিই হাতড়াচ্ছিলাম।”

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

গুরুচরণের পর্দার পুত্র আরও বলেন যে, “যখন আমাদের কথা হয়েছিল, তখন তিনি তো বেশ আনন্দেই ছিলেন। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে, মানুষ বলছে তিনি অবসাদগ্রস্ত ছিলেন। উনি আসলে এমন মানুষই নন। কিন্তু মানুষের মনোভাব কীভাবে কখন কাজ করছে, সেটা আগে থেকে নিশ্চিত করে বলা মুশকিল! তবে আমরা যখনই কথা বলতাম, তখনই খুব সুন্দর করেই কথা বলতেন। সব কিছু ঠিক করে রাখতেই পছন্দ করেন এবং আমি ঠিক আছি কি না, সেই খোঁজখবর সব সময় নিতেন। আমার মনে হয় না যে, উনি অবসাদে ছিলেন। যদিও আমাদের এরকম কোনও বিষয়ে কথা হয়নি। আমি সত্যিই তাঁর ছেলের মতোই ছিলাম। সময় আরও বলেন যে, একটি পঞ্জাবি ছবিতে কাজ করছিলেন গুরুচরণ সিং। খুব শীঘ্রই অভিনেতার খোঁজ পাওয়া যাবে বলেও আশাবাদী সময়।”

গত সপ্তাহেই গুরুচরণের বাবা একটি মিসিং ডায়েরি করেছিলেন। যেখানে বলা হয়েছিল যে, “আমার পুত্র গুরুচরণ সিং, বয়স ৫০ বছর। গত ২২ এপ্রিল মুম্বই যাওয়ার জন্য সকাল ৮টা ৩০ মিনিট নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। বিমান ধরার জন্য বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন। অথচ তিনি মুম্বই পৌঁছননি। এমনকী বাড়িতেও ফেরেননি। আর তাঁর ফোনটাও নট রিচেবল। আর ওঁর মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং আমরা তাঁর খোঁজ করেছি। কিন্তু এখনও তিনি নিখোঁজ।”