Tag Archives: Missing

Bangla Video: ১৪ বছর পর পালিত মা-বাবাকে ছেড়ে ঘরে ফিরল যুবক

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মায়ের বকা খেয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন ১৪ বছর আগে। বিহারের সেই বালক পথে ঘুরতে ঘুরতে এরপর চলে আসেন কলকাতায়। তারপর উঠে বসেছিলেন শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখারলক্ষ্মীকান্তপুর লোকালে। ট্রেনের মধ্যে দেখা হয় এক সবেদা বিক্রেতার সঙ্গে। ভয়ে সেই ফেরিওয়ালাকে জড়িয়ে কেঁদেফেলেছিল সেদিনের সেই বালকটি।

কোন‌ও এক মায়ার বন্ধনে তার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই ফেরিওয়ালা। তারপর তাকে নিয়ে দক্ষিণ বারাসতের হরিনারায়নপুরের বাড়িতে চলে আসেন। তারপর তাকে কোলে পিঠে করে ধীরে ধীরে বড় করে তোলেন। স্কুলে ভর্তি করে পড়াশোনা শেখান। নিজের পরিচয় বেড়ে ওঠে বিহারের মোফুজ মোল্লা। সে জানত এটাই তার বাবা-মা। কিন্তু সে একদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ছবি পোস্ট করতেই সব কিছু পাল্টে যায়।

আরও পড়ুন: ভোট প্রচারে এসে বাংলায় কথা বললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তার সেই ছবি দেখতে পান বিহারে বসবাসরত আসল মা-বাবা। যোগাযোগ করে তাঁরা জানতে পারেন, ছেলে দক্ষিণ বারাসতের কাছে একটি পরিবারে বড় হচ্ছে। তাঁরা এসে হাজির হন সেইদিনের সেই সবেদা বিক্রেতার বাড়িতে। সেখানে এসে দেখেন ছেলে অনেক বড় হয়ে গেছে। তাঁদের আর চিন্তেই পারছে না। তারপর মায়ের কোলে বসে থাকা পুরনো ছবি দেখে ধীরে ধীরে সবটা খোলসা হয়। যথারীতি পালিত মা-বাবাকে ছেড়ে আসল মা-বাবার কাছে ফিরে যায় মোফুজ। যদিও তিনি জানিয়েছেন, আসল মা-বাবার মতই পালিত মা-বাবাও তাঁর কাছে নিজের। তাই দু’জায়গাতেই যাতায়াত করবেন।

সুমন সাহা

‘Taarak Mehta’ Actor Missing: এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও খোঁজ নেই ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’-র সোধির, তিনি কি অবসাদে ছিলেন? যা বললেন গোগি ওরফে সময় শাহ

নয়াদিল্লি: প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। এখনও নিখোঁজ ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’ খ্যাত অভিনেতা গুরুচরণ সিং ওরফে দোশি। যদিও পুলিশ বিষয়টা তদন্ত করে দেখছে, তবে বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সম্প্রতি দাবি করেছেন যে, ওই অভিনেতা সম্ভবত অবসাদে ভুগছিলেন। তবে এমনটা মনে করছেন না গুরুচরণ সিংয়ের অন-স্ক্রিন পুত্র গোগি ওরফে সময় শাহ। নেটিজেনদের দাবি নাকচ করে দিয়ে তিনি জানান যে, বিষয়টা এমন নয়।

প্রায় মাস চারেক আগে গুরুচরণ সিংয়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল সময় শাহের। সেই কথা মনে করে তিনি বলেন যে, “প্রায় ৪ থেকে ৫ মাস আগে ফোনে কথা হয়েছিল। প্রায় ঘণ্টাখানেক কথা হয়েছিল। তিনি আমায় সব সময় অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ জোগাতেন। নিজেদের স্বপ্নের বিষয়েও কথা হয়েছিল আমাদের। আমি আসলে সেই সময় তাঁকে খুবই মিস করছিলাম। বিশেষ করে আরও বেশি মিস করছিলাম কারণ আমরা তো আর একসঙ্গে কাজ করছিলাম না। সেই স্মৃতিই হাতড়াচ্ছিলাম।”

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

গুরুচরণের পর্দার পুত্র আরও বলেন যে, “যখন আমাদের কথা হয়েছিল, তখন তিনি তো বেশ আনন্দেই ছিলেন। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে, মানুষ বলছে তিনি অবসাদগ্রস্ত ছিলেন। উনি আসলে এমন মানুষই নন। কিন্তু মানুষের মনোভাব কীভাবে কখন কাজ করছে, সেটা আগে থেকে নিশ্চিত করে বলা মুশকিল! তবে আমরা যখনই কথা বলতাম, তখনই খুব সুন্দর করেই কথা বলতেন। সব কিছু ঠিক করে রাখতেই পছন্দ করেন এবং আমি ঠিক আছি কি না, সেই খোঁজখবর সব সময় নিতেন। আমার মনে হয় না যে, উনি অবসাদে ছিলেন। যদিও আমাদের এরকম কোনও বিষয়ে কথা হয়নি। আমি সত্যিই তাঁর ছেলের মতোই ছিলাম। সময় আরও বলেন যে, একটি পঞ্জাবি ছবিতে কাজ করছিলেন গুরুচরণ সিং। খুব শীঘ্রই অভিনেতার খোঁজ পাওয়া যাবে বলেও আশাবাদী সময়।”

গত সপ্তাহেই গুরুচরণের বাবা একটি মিসিং ডায়েরি করেছিলেন। যেখানে বলা হয়েছিল যে, “আমার পুত্র গুরুচরণ সিং, বয়স ৫০ বছর। গত ২২ এপ্রিল মুম্বই যাওয়ার জন্য সকাল ৮টা ৩০ মিনিট নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। বিমান ধরার জন্য বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন। অথচ তিনি মুম্বই পৌঁছননি। এমনকী বাড়িতেও ফেরেননি। আর তাঁর ফোনটাও নট রিচেবল। আর ওঁর মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং আমরা তাঁর খোঁজ করেছি। কিন্তু এখনও তিনি নিখোঁজ।”

‘Taarak Mehta’ Actor Missing: ৫ দিন ধরে নিখোঁজ অভিনেতা! ফ্লাইট ধরার কথা ছিল সকালে, রাতে রাস্তায় একী করছেন! CCTV ফুটেজে বিস্ফোরক তথ্য

নয়াদিল্লি: গত ৫ দিন নিখোঁজ ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’ সিরিয়ালের অভিনেতা গুরুচরণ সিং। গত ২২ এপ্রিল থেকে তাঁর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। জনপ্রিয় টিভি শো-তে রোশন সিং সোধির ভূমিকায় অভিনয় করতেন তিনি। নিখোঁজ হওয়ার পরে দিল্লি পুলিশ একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। সম্প্রতি, আজ, শনিবার সিসিটিভিতে ২২ তারিখের ফুটেজে ধরা পড়েছে অভিনেতার ভিডিও।

সিসিটিভি ফুটেজে গুরুচরণকে গত ২২ এপ্রিল রাত ৯.১৪ মিনিটে দিল্লির পালম এলাকায় পরশুরাম চকে দেখা গিয়েছে৷ পিঠে একটি ব্যাগ নিয়ে হাঁটতে দেখা গিয়েছে। দিল্লি পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করছে এবং তদন্তের জন্য ৫০ বছরের অভিনেতার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টও খুঁতিয়ে দেখা হবে।

আরও পড়ুন: শৈশবেই অনাথ! কলেজে পুরস্কার দিতে গিয়ে ছাত্রীর প্রেমে পাগল হয়ে তিনবার বিয়ে বলি নায়কের, চিনতে পারলেন কি!

গুরুচরণের বাবা হারগীত সিং শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দিল্লির পালাম থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন এবং পরে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৩৬৫ ধারার অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়।

২২ এপ্রিল সকাল ৮.৩০ টায় দিল্লি থেকে মুম্বইয়ের ফ্লাইট ধরার কথা ছিল। পুলিশ তাদের প্রাথমিক তদন্তে বলেছে, তিনি ফ্লাইটে চড়েননি। গুরুচরণের ফোন নম্বর ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল, যার মাধ্যমে একাধিক লেনদেন করা হয়েছে।

Missing Couple: গ্রাম থেকে শহরে ডাক্তার দেখাতে এসে নিখোঁজ দম্পতি

কোচবিহার: নিশিগঞ্জের মাঘপালা এলাকার বাসিন্দা দীপক বর্মন ও অঞ্জনা বর্মন। তাঁদের বেশ সুখে-শান্তির সংসার। কিন্তু হঠাৎই গোটা পরিবার ভেসে যাওয়ার মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। দীপক মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী। তবে অঞ্জনা সম্পূর্ণ সুস্থ সবল। গত ১১ এপ্রিল ডাক্তার দেখানোর জন্য তাঁরা মাঘপালা থেকে কোচবিহার শহরে গিয়েছিলেন। তারপর থেকেই ওই দম্পতির আর কোন‌ও খোঁজ মিলছে না।

নিখোঁজ দম্পতির বিষয়ে খোঁজ করতে গিয়ে জানা গিয়েছে, তাঁরা কথামত ডাক্তার দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই আর সন্ধান নেই। ওদিকে ওই নিখোঁজ দম্পতির ছেলে দেবাশিস বর্মন বাইরে থাকেন। পড়াশোনা ও কাজ দুই’ই বাইরে। বাবা-মার নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে তিনি বিন্দুমাত্র আলোকপাত করতে পারেননি। বিষয়টি জেনে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন।

আর‌ও পড়ুন: নৌকার হাল ধরলেন সন্দেশখালির রেখা, বসিরহাটে বিজেপির হাল ধরতে পারবেন?

এদিকে পুলিশের কাছে মিসিং ডায়েরি করা হয়েছে। কিন্তু তারা ওই দম্পতির কোন‌ওরকম সন্ধান দিতে পারেনি। এদিকে মা-বাবা হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় দেবাশিসবাবু ছোট ভাইকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। বাবা-মা ছাড়া তাঁদের সংসার একপ্রকার ভেসে যাওয়ার অবস্থায় দাঁড়িয়েছে।

সার্থক পণ্ডিত

Missing Youth: সাঁকো পার হতে গিয়ে নদীতে পড়ে গেল যুবক-যুবতী! একজন উদ্ধার হলেও ভেসে গেল অন্যজন

দক্ষিণ দিনাজপুর: বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো পার হওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে তলিয়ে গেল যুবক। শুক্রবার রাতে বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের রঘুনাথপুর এলাকার ঘটনা। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন এক যুবতী। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

বালুরঘাটে এই বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে কালিকাপুর যাওয়া যায়। সাঁকোটি পার হওয়ার সময় আত্রেয়ী নদীতে পড়ে যায় ওই যুবক ও যুবতী। নদীতে পড়ে চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা। তা শুনে এলাকার লোকজন ছুটে এসে দড়ি ফেলে কোনওভাবে মেয়েটিকে পাড়ে তুলতে আনেন। কিন্তু যুবকটিকে রক্ষা করা যায়নি। ততক্ষণ সে জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ডিএসপি (সদর) বিক্রম প্রসাদ, বালুরঘাট থানার আইসি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।

আর‌ও পড়ুন: শিল্পের দুরন্ত বাণিজ্যিকরণ, হাতে আঁকা জামা নতুন ট্রেন্ড নববর্ষে

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ যুবকের নাম তন্ময় ঘোষ (২৫)। বাড়ি বালুরঘাট থানার রঘুনাথপুর ট্যাঙ্ক মোড় এলাকায়। কোনরকমে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যুবতীর বাড়ি শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘটনার পরই আত্রেয়ী নদীতে নৌকা নামানো হয়। তবে অন্ধকারে উদ্ধারকাজ চালানোয় সমস্যা হয়। ঘটনার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে লা প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, আমাদের বাঁচাও চিৎকার শুনতে পেয়ে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি ছেলেটা আর মেয়েটা হাবুডুবু খাচ্ছে। এরপর একটা ছেলে দড়ি এনে তুলল মেয়েটাকে। তবে ছেলেটাকে তুলতে পারেনি। মেয়েটা শুধুও চিৎকার করে ডাকছে, বলছে বাবাইকে বাঁচাও। ঘটনাস্থলে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা এসে ওই যুবকের সন্ধান শুরু করেছে।

সুস্মিতা গোস্বামী

Man Missing: চারিদিকে খোঁজ, হই হই রব! চলে এল পুলিশ! শ্মশানে যেতেই রহস্যফাঁস

বুদবুদ: রহস্য জনকভাবে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ছেলে। বাড়ির অদূরে উদ্ধার হয় তার জুতো এবং বাইক। রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন পরিবারের সকল সদস্যরা। কিন্তু পরে যেভাবে ওই যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে, তা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।

যুবকের কাণ্ড কারখানা আপনার মাথা ঘুরিয়ে দেবে। সকাল থেকে যে খবরে গোটা বুদবুদ এলাকা সরগরম হয়েছিল, তাতে চিন্তায় পড়েছিলেন অনেকেই। তবে শেষমেশ ওই নিখোঁজ যুবকের হদিস পাওয়া গিয়েছে।

আরও পড়ুন: দোলপূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণ, চাঁদের এমন রূপ ভারত থেকে দেখা যাবে?

জানা গিয়েছে, রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যান বুরবুদের কোটা গ্রামের ওই যুবক। এদিন রবিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। সকাল ৯’টা নাগাদ গ্রামের শেষ প্রান্তে শ্মশানের কাছ থেকে তার বাইক ও একজোড়া চটি উদ্ধার হয়। পরিবার সূত্রে খবর, ওই যুবকের নাম শেখ ইসরাক। বয়স ২৮ বছর। যুবকের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর স্থানীয়দের অনুমান ছিল, ওই যুবককে খুন করা হয়েছে। খুন করার পর কোনও ভাবে দেহ লোপাট করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সে PhD-র স্বপ্ন শেষ, সাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু ভারতীয় মেধাবী ছাত্রীর!

এই ঘটনার খবর চাউর হতেই, এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বুদবুদ থানার পুলিশ। পৌঁছে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। ওই যুবকের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর তার পরিবারের এক সদস্য দাবি করেছিলেন, সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ইশরাক। তারপর তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হলেও কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। কিন্তু গ্রামের কিছু মানুষ তার বাইক ও একজোড়া চটি গ্রামের শ্মশানের কাছে পরে থাকতে দেখতে পান। কিন্তু সেখানে ওই যুবকের দেখা পাওয়া যায়নি।

কিন্তু শেষমেশ ওই যুবকের হদিস পাওয়া গিয়েছে। আর তারপর থেকে পরিবারের সদস্যরা যে অভিযোগ তুলেছিলেন, তা রীতিমতো নস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে যুবককে যে অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে, তা দেখে রীতিমতো সকলেই অবাক। কারণ ওই যুবক নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ছিল। নেশাগ্রস্থ ওই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। তারপর তাকে মানকর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যুবকের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। এরপর পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

নয়ন ঘোষ

Bengali News: পানের বান্ডিল ভুটভুটিতে তুলতে গিয়ে পা হড়কে মুড়ি গঙ্গায় তলিয়ে গেল যুবক

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ব্যবসার জিনিস ভুটভুটিতে তুলতে গিয়ে নদীতে তলিয়ে গেল যুবক। মুড়ি গঙ্গার ঘটনা। হরেকৃষ্ণ মান্না নামে বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবক পেশায় একজন পান চাষি। তিনি কাকদ্বীপের পান বাজারে চাষ করা পান বিক্রি করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই পানের বান্ডিল ভুটভুটিতে তোলার সময়ই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

আর‌ও পড়ুন: দোলের আগে ছড়াল আতঙ্ক

কচুবেড়িয়ায় বাড়ি নিখোঁজ হরেকৃষ্ণ মান্নার। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সাগরের কচুবেড়িয়া ঘাটে মুড়িগঙ্গা নদীতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পানের বান্ডিল নিয়ে ভুটভুটিতে ওঠার সময় হরেকৃষ্ণ আচমকা পা পিছলে নদীতে পড়ে যান। মুহূর্তের মধ্যে তিনি তলিয়ে যান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ছুটে আসেন সাগর থানার ওসি শুভেন্দু দাস। তিনি মৎস্যজীবীদের সঙ্গে নিয়ে একটি ট্রলারে চেপে নিখোঁজের খোঁজে নদীতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

অন্যদিকে নিখোঁজ যুবকের খোঁজ পেতে উৎকণ্ঠার মধ্যে নদীর তীরে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় পরিবারের লোকজনদের। পাশাপাশি ফেরিঘাটে ভিড় জমান এলাকার বাসিন্দারাও। পাশাপাশি তল্লাশি অভিযানের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয় সিভিল ডিফেন্স ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে। তবে নিখোঁজ যুবককে এখনও উদ্ধার করা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। উৎকণ্ঠার প্রহর গুনছেন নিখোঁজ যুবকের পরিবারের লোকজনেরা।

নবাব মল্লিক

Bengali News: ১০ বছর পর বাবা-ছেলেকে মিলিয়ে দিল পুলিশ

নদিয়া: ১০ বছর আগে হারানো ছেলেকে তার বাবা ফিরে পেল পুলিশের সহযোগিতায়। দীর্ঘ ১০ বছর আগে বাড়ি থেকে হারিয়ে যায় তিলক সিং নামে ৩৮ বছর বয়সী বিহারের এক যুবক। দুর্ঘটনায় তার একটি পা কাটা যায়। মানসিক ভারসাম্যহীন এই যুবকের সঠিক চিকিৎসা না হওয়ায় পা পচে গিয়েছিল। দুই বছর আগে ওই যুবক নজরে পড়ে রানাঘাটের হবিবপুরের দীশারী নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতা বিনোদ যাদবের।

আরও পড়ুন: ১০০ রকম জংলি ফলের গাছ! অনেকেই চেনেন না, জানতে হলে একবার এখানে আসুন

গত এক বছর ধরে তিলক সিং-এর দেখাশোনা করা এবং ক্ষতস্থানে প্রতিদিন ড্রেসিং করেন বিনোদবাবু। এইভাবেই মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবক তার বাড়ির ঠিকানা না বলতে পারার কারনে ওই স্থানেই চলে তার থাকা-খাওয়া এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা। পরবর্তী সময় বীরনগরের বীর সংগঠনের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে তারা তিলকের ঠিকানা তাহেরপুর থানায় দিয়ে খুঁজে বের করার জন্য অনুরোধ করে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এরপর তাহেরপুর থানার ওসি সুজয় মণ্ডলের নির্দেশে বিহারের বিভিন্ন থানায় মানসিক ভারসাম্যহীন তিলক সিংয়ের ছবি পাঠানো হয়। আর তাতেই মিলল সাফল্য। অবশেষে বিহারে তিলকের পরিবারের খোঁজ মেলে। তার বাবা সহ পরিবারের আত্মীয়-স্বজনদের ডাকা হয় নদিয়ার তাহেরপুরে। আনন্দে আত্মহারা তার পরিবার বিহার থেকে ছুটে আসে ছেলেকে নেওয়ার জন্য। তাহেরপুর থানার মধ্যেই বীর ও দিশারী সংগঠনের সদস্যদের সামনে বাবা ও জামাইবাবুর হাতে তুলে দেওয়া হয় তিলককে। এত বছর পর ছেলেকে খুঁজে পেয়ে খুশি পরিবারের সবাই।

মৈনাক দেবনাথ

তিন দিন পার! নিখোঁজ ছাত্রের খোঁজ নেই, প্রশ্নের মুখে নরেন্দ্রপুর থানা

কলকাতা:  ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র নিখোঁজ হওয়াকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তাল হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গড়িয়া ফরতাবাদ।

৩দিন পার। নরেন্দ্রপুর থানা অভিযোগ পাওয়ার পরও তদন্তে অগ্রগতি করতে পারেনি। এই বিষয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই খোঁজখবর শুরু করেছে বলে দাবি পুলিশ সূত্রে।

১লা ফেব্রুয়ারি ফরতাবাদ এলাকার একটি বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রিত হয়ে গেছিলেন অপ্রতিম দাস (২২)। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা অনুযায়ী, রাত্রি সাড়ে এগারোটা নাগাদ অপ্রতীম যখন খাবার খাচ্ছিেন, সেই সময় তাঁর মোবাইল ফোনে একটি ফোন আসে।

আরও পড়ুন- ‘৪০টা আসনও পাবে না!’…তীব্র কটাক্ষ মমতার! এত ঘণ্টা পরে অবশেষে মুখ খুলল কংগ্রেস

সেই ফোন আসার পর খাবার অর্ধেক ফেলে রেখে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান। দীর্ঘক্ষণ না ফেরার পর অপ্রতিমের আত্মীয়রা তাঁর খোঁজ শুরু করেন।

সারা রাত খুঁজে অপ্রতিমকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, অপ্রতিমের মোবাইল ফোন সুইচড অফ হয়ে যায়।  অপ্রতিমের মা বর্ণালী দাস ছেলের নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে নরেন্দ্রপুর থানার দ্বারস্থ হন।

তিনি বলেন, ‘নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ তাঁর ফোন ধরছে না। থানায় গেলে বলছে, ওদিকে সরে যাও। এখন আমাদের সময় নেই। আমার ছেলে কোথায় গেল? পুলিশ সহযোগিতা করছে না।’

 এলাকার মানুষের অনুরোধে ৩ ফেব্রুয়ারি নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ বেলা বারোটা নাগাদ ওই বিয়ে বাড়ি এবং অপ্রতিমের মায়ের সঙ্গে দেখা করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে। এছাড়া তার বেশি কিছু তারা করেনি।

আরও পড়ুন- বাড়িতে ডেকে আধিকারিককে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করেন পার্থ! কেন, আদালতে বিস্ফোরক CBI

ইদানিং কালে নিখোঁজ হওয়ার পর যেভাবে দুঃসংবাদ পরিবাররা পাচ্ছে, সেই ভয় করছেন অপ্রতিমের মা। এই বিষয়ে নরেন্দ্রপুর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে,পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অপ্রতিমের মোবাইল নম্বরের কল ডিটেইলস আনানোর চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। যতক্ষণ পর্যন্ত কল ডিটেলস হাতে না আসছে, ততক্ষণ পর্যন্ত খুব একটা এগোতে পারছে পুলিশ।

Wife Missing: নিষিদ্ধপল্লীতে বিক্রি হয়েছে গেছে স্ত্রী, গ্রাহক সেজে সেখানেই হাজির স্বামী! তারপর…

স্ত্রীর খোঁজে বাংলাদেশ থেকে এদেশে এলেন বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা মহম্মদ শাহিন৷ অভিযোগ, কাজের নাম করে তাঁর স্ত্রীকে এখানে নিয়ে এসেছে প্রতিবেশী মহিলা৷ এবং শেষে নিষিদ্ধপল্লীতে স্ত্রীকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে৷ (দীপক শর্মা)
স্ত্রীর খোঁজে বাংলাদেশ থেকে এদেশে এলেন বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা মহম্মদ শাহিন৷ অভিযোগ, কাজের নাম করে তাঁর স্ত্রীকে এখানে নিয়ে এসেছে প্রতিবেশী মহিলা৷ এবং শেষে নিষিদ্ধপল্লীতে স্ত্রীকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে৷ (দীপক শর্মা) (Representative Image)
এই দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে৷ একজনের বয়স ৮ বছর ও একদিনের বয়স ৫ বছর৷ এমনই গুরুতর অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের দ্বারস্থ হলেন মহম্মদ শাহিন।
এই দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে৷ একজনের বয়স ৮ বছর ও একদিনের বয়স ৫ বছর৷ এমনই গুরুতর অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের দ্বারস্থ হলেন মহম্মদ শাহিন।(Representative Image)
বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা মহম্মদ শাহিন এবং স্ত্রী নাজমা আখতারের (পরিবর্তিত নাম) সুখের সংসার ছিল৷ তাঁদের দুই সন্তান৷ এরমধ্যেই হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যান শাহিনের স্ত্রী। তিনি স্ত্রীর খোঁজে প্রথমে বাংলাদেশের থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের তৎপরতা না দেখে নিজেই খোঁজ নিতে নেমে পড়েন।
বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা মহম্মদ শাহিন এবং স্ত্রী নাজমা আখতারের (পরিবর্তিত নাম) সুখের সংসার ছিল৷ তাঁদের দুই সন্তান৷ এরমধ্যেই হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যান শাহিনের স্ত্রী। তিনি স্ত্রীর খোঁজে প্রথমে বাংলাদেশের থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের তৎপরতা না দেখে নিজেই খোঁজ নিতে নেমে পড়েন।(Representative Image)
জানতে পারেন স্থানীয় শেফালী ওরফে রিয়া (পরিবর্তিত নাম) তাঁর স্ত্রীকে কানাডায় নিয়ে যাওয়ার নামে প্রলোভন দেখান। প্রথমে ভারতের পাসপোর্ট তৈরি করানো হয়। তারপর শেফালি তাঁর স্ত্রী নাজমাকে পশ্চিমবঙ্গের কোথাও নিয়ে গিয়েছে বলে জানতে পারেন শাহিন৷ সূত্র মারফত এই খবর জানতে পারেন মহম্মদ শাহিন। হাল না ছেড়ে খোঁজ নিতে নিতে আসানসোলের নিষিদ্ধপল্লী লচিপুরে পৌঁছে যান তিনি।
জানতে পারেন স্থানীয় শেফালী ওরফে রিয়া (পরিবর্তিত নাম) তাঁর স্ত্রীকে কানাডায় নিয়ে যাওয়ার নামে প্রলোভন দেখান। প্রথমে ভারতের পাসপোর্ট তৈরি করানো হয়। তারপর শেফালি তাঁর স্ত্রী নাজমাকে পশ্চিমবঙ্গের কোথাও নিয়ে গিয়েছে বলে জানতে পারেন শাহিন৷ সূত্র মারফত এই খবর জানতে পারেন মহম্মদ শাহিন। হাল না ছেড়ে খোঁজ নিতে নিতে আসানসোলের নিষিদ্ধপল্লী লচিপুরে পৌঁছে যান তিনি।(Representative Image)
গ্রাহক সেজে স্ত্রীর কাছে পর্যন্ত পৌঁছে যান শাহিন। জানতে পারেন তাঁর স্ত্রীকে দেহ ব্যবসায় নামিয়েছে প্রতিবেশি শেফালী। এরপর আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের কাছে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন মহম্মদ শাহিন। শেফালীকে গ্রেফতারের দাবিতে এবং স্ত্রীকে উদ্ধারের আবেদন করেন তিনি। বাংলাদেশের হাইকমিশনারের কাছেও তিনি একই অভিযোগ জানান।
গ্রাহক সেজে স্ত্রীর কাছে পর্যন্ত পৌঁছে যান শাহিন। জানতে পারেন তাঁর স্ত্রীকে দেহ ব্যবসায় নামিয়েছে প্রতিবেশি শেফালী। এরপর আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের কাছে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন মহম্মদ শাহিন। শেফালীকে গ্রেফতারের দাবিতে এবং স্ত্রীকে উদ্ধারের আবেদন করেন তিনি। বাংলাদেশের হাইকমিশনারের কাছেও তিনি একই অভিযোগ জানান।(Representative Image)
এরপর আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের কুলটি থানা দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশী ওই দালাল মহিলা শেফালীকে গ্রেফতার করে এবং নাজমা আখতারকে উদ্ধার করে। অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয় শেফালীকে ও নাজমাকে৷ তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দুজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এরপর আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের কুলটি থানা দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশী ওই দালাল মহিলা শেফালীকে গ্রেফতার করে এবং নাজমা আখতারকে উদ্ধার করে। অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয় শেফালীকে ও নাজমাকে৷ তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দুজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।(Representative Image)