#পোচেস্তু্রম : কোনও বৃষ্টি নয়, নিজেরাই অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ ঘরে তুলল বাংলাদেশ ৷ তিন উইকেটে ম্যাচ জিতল ২০০০ সালে টেস্ট স্টোটাস পাওয়া বাংলাদেশে৷
বাংলাদেশের স্থিতধী প্ল্যানিংয়ে প্রথম বিশ্বকাপের একদম কাছে বাংলার বাঘরা৷ বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ অবস্থায় 163/7 * রান ৪১ ওভারে ৷ কিন্তু শুধু বৃষ্টির সাহায্যেই নয় তারা ম্যাচ জিতে গেল ৪২.১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৷ বালংলাদেশের এটা প্রথম আইসিসি টুর্নামেন্টে ট্রফি জয় ৷ একাধিকবার বিভিন্ন মঞ্চে ট্রফি জয়ের কাছে পৌঁছলেও সেই স্বাদ চাখা হয়নি ৷ এবার অধরা মাধুরি চেখে ফেলল তারা ৷ কম রানের পুঁজিতে মিরাকেলের আশায় থাকা যশস্বী- প্রিয়মদের স্বপ্নপূরণ হল না ৷ চারবারের অনুর্ধ্ব ১৯ চ্যাম্পিয়নরা এবার রানার্সের খেতাব নিয়েই ফিরছে দেশে ৷ এদিন বাংলাদেশি অধিনায়ক আকবর আলি ৭৭ বলে ৪৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন ৷ আর তাঁর আর চোটগ্রস্ত ওপেনার ইমনের ব্যাটেই স্বপ্নপূরণ বাংলাদেশের৷
রবি বিষ্ণোই বনাম বাংলাদেশ ছাড়া বাকি বোলাররা সেভাবে দাঁত নখ দেখাতে পারলেন না, অন্যদিকে প্রথমবার অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠার চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসা ক্রিকেটাররা কোনও অবস্থাতেই হারব না এই মানসিকতা নিয়ে ব্যাটিং করছিলেন ৷ এটাই ছিল রবিবারের পোচেস্ত্রুমের ছবি ৷ পিচে জুজু না থাকলেও ভারতীয় দলের ওপর বিশ্বকাপে ফাইনালের চাপ ছিল তা বোঝা গেল ব্যাটিং দেখেই ৷
বাংলাদেশি বোলাররা আগুন ঝরিয়েছিলেন , ভারতীয় বোলাররা ইনিংসের শুরুতেই তেমন ধাক্কা দিতে না পারলেও তরুণ বিষ্ণোই একেবারে কামাল করে দিলেন ৷ জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৭৮ ৷ অল্প রানের এই পুঁজি রক্ষা করতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের শুরুতেই আঘাত দেওয়ার দরকার ছিল ভারতীয় দলের ৷ বোলার ও ফিল্ডারদের ওপর আশা নিয়েই মাঠে নেমছিলেন অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গ ৷
অধিনায়ককে প্রাথমিকভাবে স্বস্তি দিলেন রবি বিষ্ণোই ৷ লেগব্রেক গুগলি বল করেন ১৯ বছর এই বোলার ৷ বিশ্বকাপে ১১ উইকেট পকেটে রয়েছে তার৷ ফাইনালে প্রথম চারটি বাংলাদেশ উইকেট নিলেন তিনিই ৷ এদিন তিনি আউট করেন তানজিদ হাসান, মাহামদুল হাসান জয়, তউহিদ হৃদয় ৷ এদিন ৪ ওভারে ৩ টি উইকেট নেন তিনি ৷ এরপর আবার শাহদাত হোসেনকে স্টাম্পিং করেন জুরেল , এরও বোলার ছিলেন রবি বিষ্ণোই ৷
Third wicket for Ravi Bishnoi as #TeamIndia strike thrice in a quick succession.
Follow it livehttps://t.co/WK6GcTF6Ou #INDvBAN #U19CWC pic.twitter.com/xmcA3wfM5s
— BCCI (@BCCI) February 9, 2020
এদিকে বিষ্ণোই ছাড়া সুশান্ত মিশ্র শামিম হোসেন , অভিষেক দাসের উইকেট ৷ শামিমের দুরন্ত ক্যাচ নেন ৮৮ রান করার পর যশস্বী জয়সওয়াল ৷ এছাড়াও তিনি বল হাতেও দলকে বড় ব্রেক থ্রু দেন ৷ চোট পেয়ে এক সময় প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়া পারভেজ হোসেন ইমন ফের নেমে তিনি আকবর আলির সঙ্গে সংযত ইনিংস খেলছিলেন ৷ তবে তাঁকে তুলে নেন যশস্বী জয়সওয়াল ৷
Bangladesh six down as Sushant Mishra gets his second wicket in the #INDvBAN #U19CWC final
Follow it livehttps://t.co/WK6GcTF6Ou #TeamIndia pic.twitter.com/edP5liPUXo
— BCCI (@BCCI) February 9, 2020
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় আগুনে বোলিং বাংলাদেশের ৷ বাঙালি বোলাররা এত সংযত এবং নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেন যে ফাইনালে গোটা ম্যাচে কুঁকড়ে রইল টিম ইন্ডিয়া ৷ বাংলাদেশী অভিষেক দাস সফলতম বোলার ৷ এছাড়াও ভালো বল করেন শরিফুল ইসলাম ৷ আর এঁদের আটোঁসাটোঁ বোলিংয়ে-র সুবাদে ভারত ৪৭.২ ওভারে ১৭৭ রান করল ৷
এদিন যশস্বী ও তিলক ভর্মা ছাড়া কোনও ক্রিকেটারই বিশেষ কিছু করতে পারেননি ৷ এঁরা ছাড়া দু অঙ্কের রান পেরোন ধ্রুব জুরেল ৷ তিনি ২২ রান করেন ৷
শুরুতেই এক ওপেনারকে হারিয়ে চাপ তৈরি হতে পারত টিম ইন্ডিয়ার কিন্তু অধিনায়ক যশস্বী জয়সওয়ালের বিশ্বাসী ব্যাটে ভর দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এগোচ্ছিল টিম ইন্ডিয়া ৷ দায়িত্বশীল ইনিংস গড়ার পাশাপাশি যখন প্রয়োজন তখন স্কোর অ্যাকসিলারেট করার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বুঝে বুঝে নিচ্ছিলেন যশস্বী ৷ কিন্তু ৮৮ রানে আউট হতেই ভারতীয় ফ্যানদের মন ভাঙল ৷
এদিন ১২১ বলে ৮৮ রান করে অনুর্ধ্ব ১৯ যশস্বী জয়সওয়াল ৷ তাঁর এদিনের ইনিংস সাজানো ৮ টি চার ও ১ টি ছয় দিয়ে৷ এদিনের অর্ধশতরানের মধ্যে দিয়ে এই বিশ্বকাপের চতুর্থ অর্ধশতরান সেরে নিলেন যশস্বী ৷ পাশাপাশি বিশ্বকাপে ৪০০ রান করেন জয়সওয়াল ৷
4⃣0⃣0⃣: Yashasvi Jaiswal completes 400 runs in the #U19CWC. ??
Follow the #INDvBAN final live ?? https://t.co/WK6GcTF6Ou#TeamIndia pic.twitter.com/vwiePNHChp
— BCCI (@BCCI) February 9, 2020
এদিন যশস্বীকে আউট করেন শরিফুল ইসলাম আর ক্যাচ ধরেন তানজিদ হাসান ৷
আরও পড়ুন – #Viral : ঘরে ফিরেছেন স্বামী, লাজুক স্ত্রী কাজকর্ম ফেলে দৌড়লেন ঘরে, তারপর… দেখুন Tiktok ভিডিও
এদিকে যশস্বী আউট হওয়ার পরপরই হয়ে যান এস এ ভীর ৷ একসময় যেভাবে ইনিংস বিল্ডিং চলছিল সেটা হঠাৎ ধাক্কা খায় ৷ এদিন টসে জিতে বাংলাদেশে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায়৷ প্রথম ঝটকার পর যশস্বী ও তিলক ভর্মা দলের স্কোর এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ এরপর তিলক আউট হন ৩৮ রানে ৷