লাইফস্টাইল Afternoon Naps: ছুটির দিনে ‘ভাতঘুম’ চাই-ই-চাই! শরীর ঠিক আছে তো? নাকি বড় বিপদের অশনি সঙ্কেত? Gallery July 15, 2024 Bangla Digital Desk দুপুরের ভাত ঘুম নিয়ে নানা মুনির নানা মত। কারুর কথায় দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমানো উচিত না আবার কেউ কেউ বলছেন দুপুরের ঘুম শরীরগঠনে সাহায্য করে। ভারতের পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকারের মতে, বেশ কয়েকটি ধর্ম ও সংস্কৃতি দুপুরের কিছুক্ষণের ঘুমকে সমর্থন করে। এটি বহু শতাব্দী ধরে মানুষের দৈনন্দিন অভ্যাসের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকী এর অনেক বৈজ্ঞানিক যুক্তিও আছে। মধ্যাহ্নভোজনের পরে কিছুক্ষণের ঘুম বা ছোট ন্যাপ নেওয়ার আলাদাই গুরুত্ব আছে। মধ্যাহ্নভোজনের পরে ঘুম হজম উন্নত করতে সহায়তা করে। ঘুম আপনার শরীরকে শিথিল করে এবং সারা শরীর জুড়ে সঞ্চালিত পুষ্টিগুলি শোষণ করে। এটি অন্ত্র সিন্ড্রোম (আইবিএস), কোষ্ঠকাঠিন্য, ব্রণ এবং খুশকির সমস্যাগুলি রোধ করতে সহায়তা করতে পারে। কিছুক্ষণের ঘুম বা ন্যাপিং রাতের ঘুমের সময়সূচীর গণ্ডগোল করে না। এটি কেবল তখনই ঘটে যখন আপনি রাতে অনিয়মিত ঘুমের সময়সূচী অনুসরণ করেন বা ঘুমান না। পুষ্টিবিদ পরামর্শ দেন যে দুপুর ১ টের থেকে ৩টের মধ্যে ৩০ মিনিটের ন্যাপ এবং দিনের বেলা মাঝারি অনুশীলন রাতের ঘুমের মান উন্নত করতে সহায়তা করে। আপনি যদি কোনও ধরণের হরমোনের অনিয়মে ভুগে থাকেন তবে দুপুরে ঘুমানো এটিকে উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে। টাইপ ১, টাইপ ডায়াবেটিস, পিসিওডি এবং থাইরয়েডে আক্রান্ত রোগীরা এটিকে তাদের দৈনন্দিন সময়সূচীতে অন্তর্গত করতে পারে। দুপুরের ঘুমালে মেজাজও ভাল থাকে। এমনকী চাপের মাত্রা হ্রাস করে পরামর্শ। দুপুরে ঘুমালেই কিন্তু ওজন বেড়ে যায় তা কিন্তু ঠিক না সবসময়। বিকেলে ঘুমানো অবশ্যই বিভিন্ন উপায়ে সহায়তা করে তবে কেউ যদি এটি সঠিকভাবে করে তবেই উপকারিতা পাবে। রুজুতার মতে, সর্বাধিক সুবিধার জন্য আপনাকে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে- কখন- দুপুরের খাবারের ঠিক পরে, সময়কাল- ১০-৩০ মিনিট (খুব ছোট, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য ৯০ মিনিট)আদর্শ সময়- দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। বাড়িতে থাকলে বিছানায় শুয়ে পড়ুন। কর্মক্ষেত্রে শুধু ডেস্কে মাথা নিচু করে বিশ্রাম নিন। আপনি যদি শান্তিপূর্ণ ন্যাপ চান তবে দিনের বেলা কয়েকটি জিনিস করা এড়ানো উচিত- বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ঘুমাবেন না। মধ্যাহ্নভোজনের পরে চা, কফি, সিগারেট, চকোলেটের মতো উত্তেজক বিষয়গুলি এড়িয়ে চলুন। ৩০ মিনিটের বেশি ঘুমাবেন না।
লাইফস্টাইল Effects of Afternoon Nap: রোজ দুপুরে ভাতঘুম? আদৌ উপকারী নাকি ক্ষতিকর! ঠিক কতক্ষণ ঘুম আপনার জন্য ‘পারফেক্ট’? জানুন চিকিৎসকের মতামত Gallery May 19, 2024 Bangla Digital Desk রাতে আরামদায়ক এবং পর্যাপ্ত ঘুম হয় না অনেকেই। সেক্ষেত্রে দুপুরে ঘণ্টাখানেকের ঘুম সেই ক্ষতিপূরণ করে দিতে পারে। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে দিবানিদ্রায় অনেকে আরাম পান। কিন্তু দিনের বেলা ঘুম কি আদৌ উপকারী? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? আমেরিকান জেরিয়াট্রিক্স সোসাইটির জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, ৩০-৯০ মিনিটের ঘুম প্রাপ্তবয়স্কদের মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। তবে এক ঘণ্টার বেশি হলেই সমস্যা হতে পারে। গুরুগ্রামের আর্টেমিস হাসপাতালের স্ট্রোক ইউনিটের কো-চিফ, এবং নিউরোইন্টারভেনশনাল সার্জারির চিফ ড. বিপুল গুপ্তা বলেছেন, ‘‘কিছু লোকের জন্য দুপুরে ঘুমনোটা রিসেট বোতামের মতো কাজ করে। ঘুম থেকে উঠে খুবই সতেজ বোধ করেন কেউ কেউ।’’ ‘‘ফ্রেশ হয়ে দিন সম্পূর্ণ করতে পারেন তাঁরা। যদিও হালকা ঘুম অনেক সময় গভীর ভাবে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাসকে নষ্ট করে দেয়, তবু তন্দ্রার ফলে অনেকেরই ক্লান্তি, ঘুমের জড়তা কেটে যায়।’’ মেডিবাডির মেডিক্যাল অপারেশনের প্রধান ড. গৌরি কুলকার্নির মতে, তন্দ্রা ব্যক্তিকে বিভিন্ন উপায়ে উপকার করতে পারে। দুপুরে স্বল্প ঘুম শিথিলতা, ক্লান্তি হ্রাস করে। মস্তিষ্ককে সতর্ক রাখে, মেজাজ ভাল রাখে, স্মৃতিশক্তি জোরালো হয়। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, যাঁরা শিফটে কাজ করেন, এবং যখন-তখন কাজে বসতে হয়, ঘুম হয় না ভাল মতো, তাঁদের জন্য এই স্বল্প নিদ্রা বা ন্যাপ বিশেষভাবে উপকারী। কর্মক্ষমতা বাড়তে পারে এর ফলে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দুপুরে বেশি ঘুমিয়ে নিলে রাতের ঘুমে সমস্যা হতে পারে। ড. কুলকার্নি জানান, ন্যাপ যদি ১৫-২০ মিনিটের হয়, তাহলে সবথেকে ভাল। দুপুরের প্রথমার্ধে ঘুমনো উচিত। কারণ সন্ধ্যা হয়ে গেলেই তা ঘুমের চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে। ডক্টর গুপ্তার মতে, ন্যাপ হওয়া উচিত ২০-৩০ মিনিটের। তবে তিনি জানান, এক একজনের ক্ষেত্রে এক একরকম হওয়া উচিত এই সময়সীমা। তবে ছোট ঘুমই বাঞ্ছনীয়। দুপুর ৩টে বেজে যাওয়ার না ঘুমনোই ভাল বলে জানালেন চিকিৎসক। তিনি জানালেন, দুপুরে বেশি ঘুমলে আপনার ঘুমের চক্র ব্যাহত হতে পারে এবং অনিদ্রায় ভুগতে পারেন। অনেক গবেষণায় টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সঙ্গে দিনের বেলা বেশি (এক ঘণ্টার বেশি) ঘুমের সম্পর্ক পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, হজম সমস্যাও হতে পারে। দুপুরে ঘুমনোর ক্ষেত্রে সময়সীমাই আসল। অ্যালার্ম সেট করুন। সেই মতো ঘুম থেকে উঠে পড়বেন। দুপুর ৩টের মধ্যে উঠে পড়বেন। ঘুমনোর সময় আপনার সমস্ত উদ্বেগ দূরে রাখুন কারণ এর মূল উদ্দেশ্য হল আপনার শরীর এবং মনকে চাঙ্গা করা। অ্যালকোহল সেবন এড়িয়ে চলুন এবং দুপুর ৩টের পর ক্যাফিন থেকে দূরে থাকুন। এতে রাতের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে।