Tag Archives: Anurag Thakur

অনুরাগ ঠাকুর: জীবন, সাফল্য, কেরিয়ার এক নজরে!

পুরো নামঅনুরাগ সিং ঠাকুর।

জন্ম১৯৭৪ সালের ২৪ অক্টোবর, হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর জেলার সামিরপুরে।

রাজনৈতিক দল :ভারতীয় জনতা পার্টি।

অনুরাগ ঠাকুর পরিবার (Anurag Thakur Family)

বাবা– প্রেম কুমার ধুমল

মা- শীলাদেবী

শেফালি ঠাকুরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন অনুরাগ। তাঁদের দুই পুত্র, জয়াদিত্য ঠাকুর এবং উদয়বীর ঠাকুর।

অনুরাগ ঠাকুর সম্পর্কে

অনুরাগ ঠাকুর হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর কেন্দ্র থেকে লোকসভার সাংসদ। বর্তমানে তিনি ক্রীড়া, যুব বিষয়ক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০০৮ সালের মে মাসে একটি উপনির্বাচনে জিতে তিনি প্রথম লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হন। তারপর থেকে চারবার লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৯ সালে পেয়েছেন ‘সংসদ রত্ন’ পুরস্কার। ২০১০ সাল থেকে সাংসদদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই পুরস্কার চালু করে।

অনুরাগ ঠাকুর ব্যক্তিগত জীবন  (Anurag Thakur Personal Life)

১৯৭৪ সালের ২৪ অক্টোবর হিমাচল প্রদেশের হামিরপুরে জন্মগ্রহণ করেন অনুরাগ ঠাকুর। তিনি প্রেম কুমার ধুমাল ও শীলাদেবীর বড় ছেলে। পঞ্জাবের দোয়াবা কলেজ থেকে বিএ করেন অনুরাগ। ২০০২ সালের ২৭ নভেম্বর হিমাচল প্রদেশ সরকারের গণপূর্ত বিভাগের প্রাক্তন মন্ত্রী গুলাব সিং ঠাকুরের মেয়ে শেফালি ঠাকুরকে বিয়ে করেন তিনি।

অনুরাগ ঠাকুর রাজনৈতিক জীবন (Anurag Thakur Political Career)

২০০৮ সালে হিমাচলের হামিরপুর কেন্দ্র থেকে প্রথমবার লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হন অনুরাগ। এরপর ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালেও ওই কেন্দ্র থেকে বিপুল জয় পান তিনি। অনুরাগ বিজেপির যুব শাখা ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার জাতীয় সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। শুধু তাই নয়, তিনিই একমাত্র নেতা যে টানা তিনবার যুব মোর্চার জাতীয় সভাপতি হয়েছেন। তিনিই প্রথম যুব মোর্চার জাতীয় সভাপতি যিনি তিনজন ভিন্ন জাতীয় সভাপতি– অমিত শাহ, রাজনাথ সিং এবং নীতিন গড়করির সঙ্গে কাজ করেছেন।

২০১১ সালে অনুরাগ সেরা তরুণ সাংসদ সদস্যের পুরস্কার পান। ইকোনমিক ফোরাম তাঁকে ‘ইয়ং গ্লোবাল লিডার’ সম্মানে ভূষিত করে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় সাংসদদের কাজ এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে দেশব্যাপী একটি সমীক্ষায় প্রথম ১০ জন সংসদের মধ্যে জায়গা করে নেন অনুরাগ। সম্প্রতি, তিনি সংসদ সদস্য হিসাবে অসামান্য পারফরম্যান্সের জন্য জুরি কমিটির বিশেষ বিভাগে সংসদ রত্ন পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। ২০২১ সালের ৭ জুলাই তাঁকে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

অনুরাগ ঠাকুর বিতর্ক

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দিল্লি দাঙ্গার সময় ঘৃণা ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে অনুরাগের বিরুদ্ধে। একটি সভা থেকে তিনি স্লোগান দেন, ‘দেশ কো গদ্দার কো’, উপস্থিত জনতা পাদপূরণ করে, ‘গোলি মারো শালো কো’। ২০২০-র জানুয়ারিতে বিজেপির একটা র‍্যালিতেও তিনি এই স্লোগান দেন বলে অভিযোগ। ধর্মশালায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অধিকার নিয়ে হিমাচল প্রদেশ রাজ্য সরকার এবং হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে আইনি লড়াইয়ের মধ্যেও তিনি জড়িয়ে পড়েন।

২০১৬ সালের ২২ মে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতি হন অনুরাগ ঠাকুর। কিন্তু ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে সেয় সুপ্রিম কোর্ট। লোধা কমিটির সুপারিশ না মানার জন্যই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।

Anurag Thakur Vs Rahul Gandhi: ‘নোংরা রাজনীতি…’, নাম না করে সংসদে রাহুলকে ‘জাত’ কটাক্ষে অনুরাগকে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? ভাইরাল পোস্ট

নয়াদিল্লি: জাতগণনার দাবি নিয়ে সম্মুখসমরে বিজেপি ও ইন্ডিয়া জোট। সংসদে জোর বাদানুবাদ, কটাক্ষ। শোরগোল দেশজুড়ে। এরই মধ্যে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। দলের সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের পিঠ চাপড়ে মোদি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেছেন। একইসঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের জাতগণনার দাবিকে ‘নোংরা রাজনীতি’ বলেও কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার সংসদ কক্ষে রাহুল গান্ধিকে নাম না করে কটাক্ষ করেছিলেন অনুরাগ ঠাকুর। সেই ‘কটাক্ষ’কে ভরপুর সমর্থন দিয়েছেন মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে সংসদে তর্কবিতর্কের ভিডিও পোস্ট করে অনুরাগ ঠাকুরকে বাহবা দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, ‘আমার যুবা ও কর্মশক্তিতে ভরপুর সহকর্মী অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্য শোনা উচিত সকলের। মজার ছলে আসল তথ্য রয়েছে তাতে। ইন্ডিয়া জোটের নোংরা রাজনীতির সামনে আয়না ধরেছে এই ভাষণ।’

আরও পড়ুন: অলকা ৩৫ বছর স্বামীর থেকে আলাদা, কখনও শানু-কখনও উদিত! গায়িকার প্রেমজীবন চরম গোপনে রাখা

জাতগণনা ইস্যুতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিকে উদ্দেশ্য করে বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের মন্তব্য ঘিরে মঙ্গলবার উত্তাল হয় লোকসভা। এদিন নাম না করে অনুরাগকে বলতে শোনা যায়, ‘যাঁর জাত জানা নেই, তিনিই জাতগণনার কথা বলছেন!’ অনুরাগের মন্তব্য নিয়ে গোটা বিরোধী শিবির প্রতিবাদ জানায়। রাহুল নিজে উঠে বলেন, ‘এ দেশে বঞ্চিত, গরিবের জন্য যে মুখ খুলেছে, তাকে গালিগালাজ শুনতে হয়েছে। আপনারা আমায় যত অপমান করুন, আমি ক্ষমা চাইতে বলব না। কিন্তু এই সংসদে জাতগণনা পাশ করিয়ে ছাড়ব।’

আরও পড়ুন: ১৪ দিন চিনি না খেলে শরীরে কী হয় জানেন? বিশেষজ্ঞের টিপস শুনলে চমকে যাবেন!

অনুরাগ ব্যাখ্যা দেন, তিনি কারও নাম বলেননি। সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব অনুরাগকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কারও জাত কী, তা নিয়ে কী ভাবে প্রশ্ন তুলতে পারেন?’ এ নিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা পরে নরেন্দ্র মোদিকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘আর্থ-সামাজিক জাতগণনা দেশের ৮০ শতাংশের দাবি। সংসদে কি দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে গালিগালাজ করা হবে? নরেন্দ্র মোদি স্পষ্ট করুন, তাঁর নির্দেশে এ সব হয়েছে কি না?’