তথাগতর মহানিষ্ক্রমণ এবং তাঁর মহাপ্রয়াণও বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতেই। বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাসেই এই তিথি অত্যন্ত পবিত্র।
বুদ্ধপূর্ণিমা তিথিতে কোন কোনও রাশির জীবন ও পথচলা ওলটপালট হতে চলেছে। নেমে আসচে চলেছে ঘোর দুর্বিপাক। বলছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ অরবিন্দ ত্রিপাঠী।
মিথুনরাশির জাতক জাতিকাদের জীবনে চরম চড়াই উতরাই আসতে চলেছে। কাজের জায়গায় সহকর্মীদের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয়ে বাকবিতণ্ডা হতে পারে।
মিথুনরাশির ক্ষেত্রে পারিবারিক জীবনেও আসতে পারে সমস্যা। আছে শারীরিক বিভ্রাটের যোগও। ধনসম্পদের ক্ষতি হতে পারে। কোনওভাবে ধৈর্যের পরীক্ষা নিতে পারে ভাগ্য।
কর্কটরাশির জাতক জাতিকাদের নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। আচমকাই দেখা দিতে পারে জটিলতা। তাই সতর্ক থাকুন। নিয়মিত চেক আপ করাবেন।সিংহরাশির জাতক জাতিকাদের ক্ষেত্রে আসতে পারে সমস্যা ও সঙ্কট। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতন থাকুক।
মে মাসটা কন্যারাশির জন্য সমস্যাবহুল হতে পারে। বিবাহিত জীবন বিঘ্নিত হতে পারে। দেখা দিতে পারে আর্থিক ক্ষতি। মাথার যন্ত্রণায় কাহিল হতে পারেন।
মঙ্গলবার গ্রহদের রাজা হিসেবে পরিচিত সূর্য তার গতিপথ পরিবর্তন করেছে। মেষ রাশি থেকে স্থানান্তরিত হয়ে তিনি এখন বৃষ রাশিতে প্রবেশ করেছেন, যাকে শত্রু রাশি বলা হয়।এ কারণে আকাশে গ্রহের গমনের কারণে সূর্য, বৃহস্পতি, সিংহ রাশিতে চন্দ্র, কন্যা রাশিতে কেতু, কুম্ভ রাশিতে শনি এবং মঙ্গল ও রাহু মীন রাশিতে অবস্থান করে অঙ্গারক যোগ সৃষ্টি করে। এটি একটি ভাল লক্ষণ নয়। শুধু তাই নয়, ১৯ মে শুক্র গ্রহও বৃষ রাশিতে প্রবেশ করবে। বৃহস্পতি আগে থেকেই এখানে উপস্থিত। এর কারণে ত্রিগ্রহী যোগ তৈরি হতে চলেছে।এ কারণে আকাশে গ্রহের গমনের কারণে সূর্য, বৃহস্পতি, সিংহ রাশিতে চন্দ্র, কন্যা রাশিতে কেতু, কুম্ভ রাশিতে শনি এবং মঙ্গল ও রাহু মীন রাশিতে অবস্থান করে অঙ্গারক যোগ সৃষ্টি করে। এটি একটি ভাল লক্ষণ নয়। শুধু তাই নয়, ১৯ মে শুক্র গ্রহও বৃষ রাশিতে প্রবেশ করবে। বৃহস্পতি আগে থেকেই এখানে উপস্থিত। এর কারণে ত্রিগ্রহী যোগ তৈরি হতে চলেছে।ডঃ শ্রীপতির মতে, গ্রহের রাজা সূর্য দেবতা আগামী এক মাস বৃষ রাশিতে থাকবেন। এদিকে, বিহার-সহ দেশের অনেক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাপ বৃদ্ধির সম্ভাবনাও রয়েছে। কিন্তু যারা রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করছেন তাদের জন্য সম্পদের বৃষ্টি হতে চলেছে।এছাড়া বাজার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসাও বাড়বে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি ভূমিকম্প, বিমান দুর্ঘটনা ইত্যাদিরও সম্ভাবনা থাকে।এছাড়াও, ভারত আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃত হবে।জ্যোতিষশাস্ত্রে, সূর্যকে উজ্জ্বলতা, সম্মান এবং খ্যাতি, উচ্চ অবস্থান এবং প্রতিপত্তির জন্য দায়ী গ্রহ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সূর্যের নিজস্ব রাশি সিংহ রাশি এবং যখন এটি তুলা রাশিতে যায় তখন এটি দুর্বল হয়ে পড়ে। যেখানে তারা মেষ রাশিতে উচ্চপদস্থ। উচ্চ গৃহের গ্রহগুলি শক্তিশালী এবং আরও শক্তিশালী হয়, যেখানে নীচের ঘরে তারা দুর্বল হয়।যাদের কুণ্ডলীতে গ্রহের রাজা সূর্য দেবতা দুর্বল তাদের প্রতিদিন সূর্যকে জল নিবেদন করা উচিত। এর পাশাপাশি প্রতি রবিবার উপবাস এবং প্রতিদিন উদিত সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন ফলদায়ক হতে পারে।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে গ্রহ নক্ষত্রের রাশি পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। একটি নির্দিষ্ট সময় পূর্ণ করার পরে সমস্ত গ্রহ একটি রাশি ছেড়ে অন্য রাশিতে প্রবেশ করে। গ্রহের এই ঘটনাকে গোচর বলা হয়। সূর্য থেকে কেতু পর্যন্ত সমস্ত গ্রহের রাশি পরিবর্তনের সময়কাল আলাদা।গ্রহের গোচরের প্রভাব পড়ে ১২ টি রাশির জাতক জাতিকাদের উপরে। কখনও এই প্রভাব ইতিবাচক হয়, আবার কখনও নেতিবাচকও হয়। গ্রহের গোচরের শুভ প্রভাবে বদলে যেতে পারে বিভিন্ন রাশির জাতক জাতিকাদের ভাগ্য।জ্যোতিষশাস্ত্রীয় গণনা অনুসারে, ১৯ মে শুক্র মেষ রাশি থেকে বেরিয়ে বৃষ রাশিতে প্রবেশ করবে। দেবতাদের গুরু বৃহস্পতি পহেলা মে বৃষ রাশিতে প্রবেশ করেছেন। প্রায় ১২ বছর পর বৃষ রাশিতে গজলক্ষ্মী রাজযোগ গঠিত হবে। লক্ষণীয় যে বৃহস্পতি এবং শুক্র যখন কেন্দ্রের ঘরে, মুখোমুখি বা প্রথম, চতুর্থ এবং সপ্তম ঘরে থাকে, তখন গজলক্ষ্মী রাজযোগ গঠিত হয়।অযোধ্যার জ্যোতিষী পন্ডিত কল্কি রাম বিস্তারিত ভাবে জানালেন এই শুভ যোগের কোন কোন রাশির ভাগ্যচক্রে আসবে আমূল পরিবর্তন। শুভ সময় শুরু হবে।মেষ: মেষ রাশির জাতক জাতিকাদের আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী হবে। বাড়িতে শুভ কাজ হতে পারে। কর্মজীবনে স্থানীয়রা দারুণ সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় উন্নতির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। কর্কট: কর্কট রাশির জাতক জাতিকারা আটকে থাকা টাকা ফেরত পাবেন। ব্যবসায় বৃদ্ধি হবে। দাম্পত্য জীবনে মধুরতা থাকবে। অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা সাফল্য পাবে। কর্মরত ব্যক্তিরা তাদের সিনিয়রদের কাছ থেকে সমর্থন পাবেন।কন্যা রাশি: এই সময়টি কন্যা রাশির জাতকদের জন্য ভাল যাবে। পরিবারে সুখ থাকবে। ধর্মীয় কাজে মানুষের আগ্রহ বাড়বে। বিদেশ যাত্রার সম্ভাবনা রয়েছে। জীবনে সুখ থাকবে। সমাজে সম্মান বাড়বে।বৃশ্চিক রাশি: বৃশ্চিক রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য এই ট্রানজিট খুব ভাল হতে চলেছে। পাশাপাশি, এই বিরল কাকতালীয় কারণে ব্যবসায় ক্রমাগত বৃদ্ধি হবে। আপনি প্রতিটি বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের সমর্থন পাবেন।(দাবিত্যাগ: রাশিচক্র, ধর্ম ও শাস্ত্রের ভিত্তিতে জ্যোতিষী ও আচার্যদের সঙ্গে কথা বলে এই সংবাদে দেওয়া তথ্য লেখা হয়েছে। কোনও ঘটনা, দুর্ঘটনা বা লাভ-ক্ষতি নিছকই কাকতালীয়। জ্যোতিষীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সবার স্বার্থে লেখা হয়েছে। নিউজ-18 এই সমস্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে না।)
চলতি বছরে বুদ্ধ পূর্ণিমা পড়ছে ২৩ মে৷ বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বৈশাখ পূর্ণিমা অর্থাৎ বুদ্ধ পূর্ণিমায় গ্রহ-নক্ষত্রের শুভ অবস্থানের কারণে অনেকগুলি শুভ সংযোগের ঘটনা ঘটছে। বুদ্ধ পূর্ণিমায় শিব যোগ ও সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ হবে। এই দিনে শুক্র ও সূর্যের মিলনের ফলে শুক্রাদিত্য যোগ ও রাজভঙ্গ যোগ তৈরি হবে৷যেখানে বৃষ রাশিতে বৃহস্পতি ও শুক্রের মিলনের ফলে গজলক্ষ্মী রাজযোগ তৈরি হচ্ছে, তেমনি বৃহস্পতি ও সূর্যের মিলনের ফলে গুরু আদিত্য যোগের সংযোগও তৈরি হচ্ছে। গজলক্ষ্মী রাজযোগে করা কাজ সম্পদ, সৌন্দর্য এবং সাফল্য নিয়ে আসবে বলে মনে করা হয়৷ অন্যদিকে, গুরু আদিত্য যোগ ব্যক্তিগত গুণ এবং জ্ঞান অর্জন করে৷ এছাড়া, তৈরি হচ্ছে বুধাদিত্য রাজযোগ৷অর্থ সমস্যা দূর করতে এই বিশেষ দিনে বিশেষ কিছু উপায় করার কথা জানাচ্ছেন তিরুপতির জ্যোতিষী এবং বাস্তু বিশেষজ্ঞ ডঃ কৃষ্ণ কুমার ভার্গব৷পূর্ণিমা তিথিতে অশ্বত্থ গাছে দেবী লক্ষ্মী অধিষ্ঠান করেন। এমন অবস্থায় বুদ্ধ পূর্ণিমায় সূর্যোদয়ের পর অশ্বত্থ গাছে জল নিবেদন করে ৭ বার প্রদক্ষিণ করুন৷ এতে আর্থিক সঙ্কট দূর হয়৷বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন কাঁচা দুধে চিনি ও চাল মিশিয়ে চন্দ্রকে অর্ঘ্য নিবেদন করুন।যদি আপনি অর্থের অভাবে কষ্ট পান তবে বুদ্ধ পূর্ণিমায় হলুদে ১১টি কড়ি রঞ্জিত করুন এবং দেবী লক্ষ্মীকে নিবেদন করুন এবং পরের দিন লাল কাপড়ে বেঁধে ধন-সম্পদ রাখার জায়গায় রাখুন৷বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে আপনি যদি শিব যোগে আপনি ধ্যান করেন তবে আপনার চিন্তা প্রখর হতে পারে। এছাড়াও, আপনার জ্ঞান চোখ খুলতে পারে এবং আপনি প্রতিটি ক্ষেত্রে সফল হতে পারেন৷দাবিত্যাগ: রাশিচক্র, ধর্ম ও শাস্ত্রের ভিত্তিতে জ্যোতিষী ও আচার্যদের সঙ্গে কথা বলে এই সংবাদে দেওয়া তথ্য লেখা হয়েছে। কোনও ঘটনা, দুর্ঘটনা বা লাভ-ক্ষতি নিছকই কাকতালীয়। জ্যোতিষীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সবার স্বার্থে লেখা হয়েছে। নিউজ-18 এই সমস্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে না।
আমাদের অনেকেরই বাড়ি বা ফ্ল্যাটের জানলায় বা বারান্দায় আসে পায়রারা৷ প্রথম প্রথম যে সেটা মন্দ লাগে তা নয়৷ তবে, যত দিন যায় ততই বাড়তে থাকে তাদের সাঙ্গপাঙ্গ, সন্তানসন্ততি৷ তারপরে একটা সময় আসে যখন, এই পায়রারাই জানলা থেকে বারান্দা সব নোংরা করতে শুরু করে৷পায়রার এই ভয়ঙ্কর উৎপাতে যে শুধু জানলা, বারান্দা নোংরা হয় তাই নয়, বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে এটি যথেষ্ট অশুভও। এই ধরনের পরিস্থিতি সংসারে নেতিবাচক শক্তি বয়ে নিয়ে আসে, যা বাড়িতে পারিবারিক থেকে অর্থনৈতিক নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে।ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচীর জ্যোতিষী সন্তোষ কুমার চৌবে (রাঁচী বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতিষশাস্ত্রে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত এবং ১০ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা) বলেছেন যে, পায়রা যদি ঘরে এসে ময়লা করে, তবে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলা দরকার৷ তবে বারবার যদি ময়লা তৈরি হয় তবে এটি পরিষ্কার করা কঠিন হয়ে পড়ে৷এই নোংরা থাকাও অশুভ, কারণ এটি ঘরে নেতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে এবং ঘরে সদস্যেরা নানা কাজে ব্যর্থ হতে শুরু করেন। এমন পরিস্থিতিতে পায়রাদের দূরে রাখতে বাড়ির জানলায় বা বারান্দায় বিশেষ কিছু গাছ লাগাতে পারেন৷সন্তোষ কুমার চৌবে জানাচ্ছেন, প্রাথমিক ভাবে বাড়ি বা ফ্ল্যাটের জানলা বা বারান্দায় রসুনের চারা লাগাতে পারেন। আসলে, রসুনের সুগন্ধ খুব শক্তিশালী, পায়রা তথা অন্যান্য পোকামাকড়ও তা সহ্য করতে পারে না। তাই রসুন গাছ লাগালে এ বিষয়ে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়৷পায়রাদের উপদ্রব দূরে রাখতে পুদিনা গাছও খুব উপকারী। পায়রা পুদিনার গন্ধ পছন্দ করে না। তাই গাছ থেকে দূরে থাকে। তাই পুদিনা গাছও লাগাতে পারেন।তবে এক্ষেত্রে ক্যাকটাস গাছ সবচেয়ে উপকারী বলে মনে করা হয়, কারণ ক্যাকটাস গাছকে এরা ভয় পায়। তাই তারা এই ধরনের গাছপালা থেকে দূরে থাকে।দাবিত্যাগ: রাশিচক্র, ধর্ম ও শাস্ত্রের ভিত্তিতে জ্যোতিষী ও আচার্যদের সঙ্গে কথা বলে এই সংবাদে দেওয়া তথ্য লেখা হয়েছে। কোনও ঘটনা, দুর্ঘটনা বা লাভ-ক্ষতি নিছকই কাকতালীয়। জ্যোতিষীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সবার স্বার্থে লেখা হয়েছে। নিউজ-18 এই সমস্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে না।
প্রতিটি গ্রহ একটি নির্দিষ্ট সময়ে তার রাশিচক্র পরিবর্তন করে। কখনও কখনও একই রাশিতে দুই বা ততোধিক গ্রহের সংযোগ থাকে। গ্রহের রাশিচক্রের সংমিশ্রণ বা পরিবর্তন শুধুমাত্র রাশিচক্রের চিহ্নই নয়, মানুষের জীবনকেও প্রভাবিত করে।দুই বা ততোধিক গ্রহের মিলনও অনেক শুভ বা অশুভ যোগের সৃষ্টি করে। এর প্রভাব কিছু রাশিচক্রের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক এবং অন্যদের জন্য নেতিবাচক। এমনকি ভাল সময় খারাপ সময়ে পরিণত হয়। বহু বছর পর বৃষ রাশিতে পঞ্চগ্রহী যোগ তৈরি হতে চলেছে, অর্থাৎ পাঁচটি গ্রহ একত্রিত হতে চলেছে।দেওঘর বাবা মন্দিরের জ্যোতিষী প্রমোদ শ্রিংগারী জানান, জুন মাসে বৃষ রাশিতে বহু গ্রহের মিলন ঘটতে চলেছে। বৃহস্পতি ও সূর্য বৃষ রাশিতে প্রবেশ করেছে। বৃহস্পতি এক বছর বৃষ রাশিতে অবস্থান করবে। ৬ জুন, বৃহস্পতি এবং সূর্যের পাশাপাশি শুক্র, বুধ এবং চাঁদও বৃষ রাশিতে প্রবেশ করতে চলেছে।৬ জুন বৃষ রাশিতে একসঙ্গে পাঁচটি গ্রহের মিলন ঘটতে চলেছে। এর কারণে মহালক্ষ্মী রাজযোগ, গজকেশরী রাজযোগ, বুদ্ধাদিত্য রাজযোগ ইত্যাদির মতো অনেক শুভ রাজযোগও তৈরি হতে চলেছে। এমন কাকতালীয় ঘটনা খুব কমই দেখা যায়। এই শুভ যোগগুলি তিনটি রাশির জাতকদের উপর পড়তে চলেছে, এর মধ্যে রয়েছে মেষ, সিংহ এবং ধনু।পাঁচটি গ্রহের মিলন মেষ রাশির জাতকদের উপর খুব ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে চলেছে। কেরিয়ার ব্যবসা বাড়তে চলেছে। ব্যবসায় শুভ সময় শুরু হতে চলেছে। ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ করলে আর্থিক সুবিধাও পাবেন। এর পাশাপাশি, আপনি ব্যবসার জন্য দীর্ঘ ভ্রমণে যেতে পারেন। সেই যাত্রা খুবই উপকারী হতে চলেছে।সিংহ রাশির ব্যক্তির উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়তে চলেছে। বাড়িতে ধর্মীয় বা শুভ কাজ সম্পন্ন হতে পারে। আপনি আপনার সন্তানদের কাছ থেকে কিছু ভাল খবর পেতে পারেন। পিতার সহায়তায় অমীমাংসিত কাজ শেষ হতে চলেছে। এমন কিছু কাজ করবেন যা সমাজে আপনার মর্যাদা বাড়াবে। প্রেমের ক্ষেত্রে সাফল্য পেতে পারেন।পঞ্চগ্রহী রাজযোগ ধনু রাশির জাতকদের জন্য খুব শুভ হতে চলেছে। আপনার আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী হতে চলেছে আপনার আয় বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি অর্থ উপার্জনে সফল হবেন। আপনি যদি রিয়েল এস্টেট সম্পর্কিত কোনও মামলা লড়ছেন তবে সিদ্ধান্ত আপনার পক্ষে আসতে পারে। আপনি লটারি জিততে পারেন। কিছু কাজ সম্পন্ন হবে যার কারণে আপনি মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবেন।
গ্রহের গোচরে আমূল বদলে যেতে পারে ভাগ্যচক্র। গ্রহের স্থান পরিবর্তনের প্রভাব ১২ টি রাশির জাতক জাতিকার উপরেই পড়ে। কখনও সেই প্রভাব হয় ইতিবাচক, কখনও বা নেতিবাচক।শুক্র, সম্পদ এবং সমৃদ্ধির দাতা। ১৯ মে গোচর বৃষ রাশিতে হবে শুক্রের। ফলে বৃষ রাশিতে বৃহস্পতি ও শুক্রের মিলনের ফলে গজলক্ষ্ণী রাজযোগ তৈরি হচ্ছে। এই যোগ অত্যন্ত শুভ।গজলক্ষ্মী রাজযোগের ফলে কয়েকটি প্রভাবে কয়েকটি রাশির কপাল খুলে যাবে। শুরু হবে শুভ সময়। হাতে প্রচুর টাকাপয়সা আসার সম্ভাবনা। চাকরি ও ব্যবসায় হবে প্রচুর লাভ।মেষ: মেষ রাশির জাতক জাতিকাদের জীবনে সাফল্যের সেরা সময় আনবে গজলক্ষ্মী রাজযোগ। আর্থিক লাভের সম্ভাবনা। ব্যবসায় বড় সাফল্য পেতে পারেন এই রাশির জাতক জাতিকারা। চাকরিজীবীদের জন্যও সময় ভাল। সম্মান বাড়বে। প্রেম জীবন ভাল কাটবে।বৃষ রাশি: বৃহস্পতি ও শুক্রের মিলনের কারণে বৃষ রাশিতে গজলক্ষ্মী রাজযোগ তৈরি হচ্ছে, যা এই রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য অত্যন্ত শুভ হতে চলেছে। বড় কোনও কাজ সম্পন্ন হতে পারে। অবিবাহিতদের বিয়ে ঠিক হতে পারে। আপনি আপনার কর্মজীবনে সেই সুযোগগুলি পাবেন যার জন্য আপনি দীর্ঘকাল অপেক্ষা করেছিলেন। আর্থিক লাভ হবে। অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী হবেমকর: গজলক্ষ্মী রাজযোগ মকর রাশির জাতক জাতিকাদের জন্যও অনুকূল ফল দেবে। সাফল্যের আস্বাদ পাওয়া যাবে। কোনও ব্যক্তির সহায়তায় বড় সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা। প্রেম জীবন ভাল হবে। সন্তানদের থেকেও সুখ পাবেন। অর্থাগম হবে। কুম্ভ রাশি: এই বিশেষ যোগের প্রভাব পড়বে কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকাদের উপরেও। জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।অর্থ লাভের সম্ভাবনা। পুরনো বিনিয়োগ থেকে লাভের সম্ভাবনা। সমাজে মান সম্মান বাড়বে।(দাবিত্যাগ: রাশিচক্র, ধর্ম ও শাস্ত্রের ভিত্তিতে জ্যোতিষী ও আচার্যদের সঙ্গে কথা বলে এই সংবাদে দেওয়া তথ্য লেখা হয়েছে। কোনও ঘটনা, দুর্ঘটনা বা লাভ-ক্ষতি নিছকই কাকতালীয়। জ্যোতিষীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সবার স্বার্থে লেখা হয়েছে। নিউজ-18 এই সমস্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে না।)
হিন্দু ধর্মে শনিদেবকে ধর্মের রাজা এবং ন্যায়ের দেবতা হিসেবে পূজা করা হয়। সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে শনিবার শনিদেবকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এই দিনে তেলে মুখ দেখে শনিদেবের চরণে অর্পণ করলে কুণ্ডলীতে শনি দোষের প্রভাব কমানো যায়।জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, শনিবার যদি ধর্মরাজ শনিদেবকে কালো তিল নিবেদন করা হয়, তাহলে সাড়েসাতি ও ঢাইয়ার প্রভাব কমার সম্ভাবনা থাকে।বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র বলে, যদি কোনও ব্যক্তির উপর শনির কৃপা হয়, তাহলে তিনি বিশেষ কিছু সঙ্কেত দেখতে পেতে পারেন৷ সেই লক্ষণ দেখেই বোঝা যায় যে শনিদেব আপনার উপর আশীর্বাদ বর্ষণ করতে চলেছেন।ভোপালের বাসিন্দা জ্যোতিষী এবং বাস্তু পরামর্শদাতা পণ্ডিত হিতেন্দ্র কুমার শর্মা এই বিষয়ে আমাদের আরও তথ্য দিচ্ছেন।কালো কুকুর দেখা: জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, শনিবার কালো কুকুর দেখলে তা খুবই শুভ লক্ষণ বলে মনে করা হয়। শনিবার একটি কালো কুকুরকে খাওয়ালে শনিদেব প্রসন্ন হন এবং আপনার উপর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন। এছাড়া, শনিবার যদি কালো কুকুরকে তেল মাখা রুটি খাওয়ান তাহলে রাহু ও কেতুর আশীর্বাদ আপনার উপর থাকে।ভিক্ষুককে দেখা: জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে শনিবার ভিক্ষুক দেখলে তাঁকে খালি হাতে যেতে দেবেন না। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু দান করুন। এতে শনিদেব প্রসন্ন হন এবং আপনার প্রতি সদয় হন।কালো গরু দেখা: জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, কেউ যদি শনিবার কালো গরু দেখেন, তবে এটি একটি শুভ লক্ষণ বলে মনে করা হয়। এটি একটি লক্ষণ যে শনিদেব আপনার উপর প্রসন্ন হতে চলেছেন এবং আপনি প্রতিটি কাজে সাফল্য পেতে চলেছেন।কালো কাক দেখা: জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তি কালো কাক দেখেন তবে এটি একটি শুভ লক্ষণ হিসাবে বিবেচিত হয়।কালো কাককে জল খেতে দেখা: বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, কেউ যদি শনিবার একটি কালো কাক জল পান করতে দেখেন তবে এটি তার ভাগ্য উজ্জ্বল হওয়ার লক্ষণ। শনিদেব সেই ব্যক্তির উপর খুশি হতে চলেছেন এবং তিনি প্রতিটি কাজে সাফল্য পেতে পারেন।দাবিত্যাগ: রাশিচক্র, ধর্ম ও শাস্ত্রের ভিত্তিতে জ্যোতিষী ও আচার্যদের সঙ্গে কথা বলে এই সংবাদে দেওয়া তথ্য লেখা হয়েছে। কোনও ঘটনা, দুর্ঘটনা বা লাভ-ক্ষতি নিছকই কাকতালীয়। জ্যোতিষীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সবার স্বার্থে লেখা হয়েছে। নিউজ-18 এই সমস্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে না।
হিন্দু ধর্মে, প্রতিটি শুভ কাজে প্রথমে ভগবান শ্রী গণেশের পূজা করা হয়ে থাকে। ভগবান শ্রী গণেশ দূর্বা ঘাস খুব পছন্দ করেন। গণপতি পূজোর সময় সেই কারণে অবশ্যই দূর্বা ঘাস দেওয়া হয়ে থাকে। আমাদের কোনও কাজে আসা যে কোনও বাধা দূর করতে দূর্বা ঘাস অত্যন্ত কার্যকর বলে মনে করা হয়৷ তবে দূর্বা ঘাস ছাড়াও এমন আরও ৫টি গাছ এবং গাছপালা রয়েছে যার পাতা ভগবান গণেশকে নিবেদন করলে তিনি সন্তুষ্ট হন এবং ভক্তের যাবতীয় মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন।উজ্জয়ীনির জ্যোতিষী রবি শুক্লার কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক, কোন ৫টি গাছ এবং গাছের পাতা ভগবান গণেশকে নিবেদন করলে তুষ্ট হন তিনি।জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ভগবান গণেশ অর্জুন গাছের পাতা খুব পছন্দ করেন। যাঁরা বেকার, চাকরিতে পদোন্নতি চান বা বেতন বাড়াতে চান, তাঁরা অর্জুন গাছের ৫ বা ৭টি পাতা শুদ্ধ শরীরে, শুদ্ধ বস্ত্রে ভগবান গণেশকে অর্পণ করুন। বুধবার এই গাছের পাতা নিবেদন করলে বিশেষ ফল পাওয়া যায়।জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে কেতকী ফুলের পাতাও শ্রী গণেশকে নিবেদন করলে ভগবান প্রসন্ন হন বলে মনে করা হয়। এই গাছের পাতাগুলি বিশেষ করে সেই সমস্ত লোকদের দেওয়া উচিত, যাঁরা কোনও নতুন কাজ শুরু করতে চান। বিশ্বাস করা হয় যে, এই গাছের পাতা নিবেদন করার সময় ভগবান গণেশের ১২টি নামের জপ করলে সমস্যার দ্রুত উপশম হয়।জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ভগবান গণেশকে শিম পাতা নিবেদন করলে, শীঘ্রই পূর্ণ হয় মনস্কামনা। এই পাতা অর্ঘ্য দেওয়ার আগে, পাতাগুলি কাটা বা ছেঁড়া আছে কি না দেখে নিন। কোনও কাজে বারবার বাধার সম্মুখীন হলে এই প্রতিকার অবশ্যই করুন।জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মাদার গাছের পাতা নিবেদন করলে ভগবান গণেশ খুব খুশি হন। ভগবান শিবের কাছেও এই পাতা খুবই প্রিয়। আর্থিক সঙ্কটে ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য মাদার গাছের পাতার প্রতিকার করতে পারেন। এর জন্য তাঁদের কমপক্ষে ১১টি পাতা প্রয়োজন হবে।জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, বুধবার ভগবান গণেশের প্রিয় দিন। এই দিনে সাদা বা হলুদ করবীর ফুলের পাতা নিবেদন করলে ভগবান গণেশ প্রসন্ন হন। সাধারণ বিশ্বাস, করবী পাতা নিবেদন করলে সব ধরনের সঙ্কট দূর হয় এবং মানুষ সমস্যা থেকে মুক্তি পায়।দাবিত্যাগ: রাশিচক্র, ধর্ম ও শাস্ত্রের ভিত্তিতে জ্যোতিষী ও আচার্যদের সঙ্গে কথা বলে এই সংবাদে দেওয়া তথ্য লেখা হয়েছে। কোনও ঘটনা, দুর্ঘটনা বা লাভ-ক্ষতি নিছকই কাকতালীয়। জ্যোতিষীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সবার স্বার্থে লেখা হয়েছে। নিউজ-18 এই সমস্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে না।
বর্তমানে কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করছেন শনি৷ এরপরে শনি মীন রাশিতে যাবেন৷ ২০২৭ সাল পর্যন্ত মীন রাশিতেই থাকবেন শনি৷ এই অবস্থায়, রাশিচক্রের ১২ রাশির মধ্যে ৪ রাশির শনির কৃপায় দুর্দান্ত সময় শুরু হচ্ছে৷ সেই রাশি ৪টি কী কী, তাদের উপরে শনির কী প্রভাব পড়তে চলেছে, সেই বিষয়ে বিশদে জানাচ্ছেন ভোপালের জ্যোতিষাচার্য তথা বাস্তু পরামর্শদাতা হিতেন্দ্রকুমার শর্মা৷২০২৭ সাল পর্যন্ত সোনার সময় ফিরবে ৪ রাশির জীবনে৷ এই সময়ে যে কাজেই তাঁরা হাত দেবেন, তা সুসম্পন্ন হবে৷ ব্যবসায় আগের চেয়ে অনেক বেশি লাভের সুযোগ তৈরি হবে৷ অর্থ উপায়ের উৎসও বাড়বে৷মীন রাশিতে শনির গমনের ফলে সিংহ রাশির জীবনে দুর্দান্ত বদল আসবে৷ তাঁরা এতদিন পর্যন্ত যে সমস্ত সমস্যায় ভুগছিলেন, তা ধীরে ধীরে উধাও হয়ে যাবে৷ আর্থিক লাভের সম্ভাবনাও এই সময় প্রবল৷ এই সময় নতুন কিছু করলে সাফল্যের সম্ভাবনা থাকবে সবচেয়ে বেশি৷মীন রাশিতে শনির গমন তুলা রাশির জাতক জাতিকার উপরেও ভাল প্রভাব ফেলবে৷ উন্নতির একাধিক সুযোগ পাবেন এবং তা কাজেও লাগাতে পারবেন৷ প্রতিটি কাজে সাফল্য পাবেন৷ সংসারে অর্থের অভাব থাকবে না৷মীন রাশিতে শনির গমনে বৃশ্চিক রাশির জাতক জাতিকাদের উপরে সুপ্রভাব পড়বে৷ এই সময়ে সর্বক্ষেত্রে তাঁরা লাভবান হবেন, নতুন দায়িত্ব পাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে৷ ২০২৫-এ আমার জন্য ভাল কোনও খবর অপেক্ষা করছে৷মীন রাশিতে শনির গমনের প্রভাবে ভাল সময় আসবে মকর রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য৷ অতীতে আপনি যদি কিছু হারিয়ে থাকেন, তা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই সময়ে৷ এই সময়কালে আপনার আর্থিক উন্নতি তো হবেই, সমাজে মান সম্মানও বৃদ্ধি পাবে৷ অর্থের কোনও অভাব থাকবে না৷দাবিত্যাগ: রাশিচক্র, ধর্ম ও শাস্ত্রের ভিত্তিতে জ্যোতিষী ও আচার্যদের সঙ্গে কথা বলে এই সংবাদে দেওয়া তথ্য লেখা হয়েছে। কোনও ঘটনা, দুর্ঘটনা বা লাভ-ক্ষতি নিছকই কাকতালীয়। জ্যোতিষীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সবার স্বার্থে লেখা হয়েছে। নিউজ-18 এই সমস্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে না।
