Tag Archives: ATKMB

প্রাণের প্রিয় মোহনবাগান নাকি জামাই সুনীল ছেত্রী? মেগা ফাইনালে সুব্রতর বাজি কে?

কলকাতা: তিনি ভারতীয় ফুটবল এবং মোহনবাগান ক্লাবের কিংবদন্তি। ফুটবলার এবং কোচ দুটো ভূমিকাতেই অসাধারণ সাফল্য রয়েছে তার। ঘটনাক্রমে সুনীল ছেত্রীর শ্বশুরমশাই সুব্রত ভট্টাচার্য। আইএসএল ফাইনাল ঠিক আর একদিন দূরে। মাঝে একটা দিন। শনিবার গোয়ার মাঠে মুখোমুখি হবে এটিকে মোহনবাগান বনাম বেঙ্গালুরু এফসি। সুব্রত ভট্টাচার্যের যেন ধর্ম সংকট।

একদিকে জামাই সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু ক্লাব। অন্যদিকে তার প্রিয় মোহনবাগান। প্রশ্ন রাখা হয়েছিল কে জিতবে ফাইনাল। ময়দানের সকলের প্রিয় বাবলুদা মনে করেন ফাইনাল যে কেউ জিততে পারে। বেঙ্গালুরু শক্তিশালী দল। শুধু সুনীল ছেত্রী কেন, জয় কৃষ্ণ, জাভি, সন্দেশ, প্রবীর দাসের মতো মোহনবাগানে খেলে যাওয়া ফুটবলাররা আছেন। তাই কঠিন লড়াই হবে শনিবার।

আরও পড়ুন – অস্ট্রেলিয়াকে একদিনের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করতে চায় ভারত, গোপন তাস তৈরি হার্দিকের

তবে এটিকে মোহনবাগানের ডিফেন্স বেঙ্গালুরুর থেকে কিছুটা এগিয়ে মনে করেন সুব্রত। প্রীতম, শুভাশিস বসু দুই বাঙালি ছেলে সবুজ মেরুন ডিফেন্স এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সঙ্গে সার্বিয়ার স্লাভকো নিজেকে প্রমাণ করেছেন ইতিমধ্যে। ব্লকার হিসেবে কার্ল ম্যাক হিউ ধারাবাহিক। সুব্রত ভট্টাচার্য মনে করেন চাপ নেওয়ার ক্ষেত্রে এবং ফাইনাল জেতার অভিজ্ঞতার সুবাদে বেঙ্গালুরুর তুলনায় কিছুটা এগিয়ে মোহনবাগান।

এই ক্লাবে তিনি ১৬ বছর খেলেছেন। প্রচুর রক্ত দিয়েছেন। কোচ হিসেবে ট্রফি দিয়েছেন। এশিয়ার সেরা কোচ হয়েছেন। সুব্রত পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন মোহনবাগান জিতলে বেশি খুশি হবেন। কিন্তু লড়াই সমানে সমানে হবে। কেউ কাউকে জায়গা দেবে না। যে দল কম ভুল করবে এবং গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে, ফাইনালে তারাই বাজিমাত করবে।

দিমিত্রিকে পছন্দ হয়েছে সুব্রতর। তার সঙ্গে হুগো দায়িত্ব নিতে পারলে কলকাতায় ট্রফি আসতে পারে মনে করেন বাবলুদা। কিন্তু ৯০ মিনিটের মধ্যে মোহনবাগানকে খেলা শেষ করার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।

ফাইনালে মোহনবাগানের থেকে আরও আক্রমণাত্মক ফুটবল দেখতে চাইছেন বাইচু! দিলেন পরামর্শ

কলকাতা: এটিকে মোহনবাগান বনাম হায়দারাবাদ সেমিফাইনাল দেখতে যুবভারতীতে উপস্থিত ছিলেন বাইচু ভুটিয়া। মোহনবাগান শেষ পর্যন্ত জিতে আইএসএল ফাইনালে কোয়ালিফাই করায় খুশি বাইচু। তবে সবুজ মেরুনের খেলায় সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট নন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। সঙ্গে ছিলেন ছেলে উগেন ভুটিয়া। বাইচু ছেলেকে নিয়েই কলকাতা ফুটবলের উন্মাদনা নিচ্ছিলেন বেশ কয়েকদিন বাদে।

মোহনবাগান সমর্থকরা এসে তার সঙ্গে ছবি তুলে যাচ্ছিলেন। কেউ জড়িয়ে ধরছিলেন। ছেলেকে বাইচুং বোঝাচ্ছিলেন এই ক্লাবের জার্সিতে ডার্বিতে তিনি ছটা গোল করেছেন। যদিও ইস্টবেঙ্গলে বেশি খেলেছেন তবুও মোহনবাগানের সাফল্য চাইবেন না পাহাড়ি বিছে এমনটা হতে পারে না।

আরও পড়ুন – বাংলাদেশ এবার বাঘ, ব্রিটিশ সিংহকে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা উপহার টাইগারদের

হুয়ান ফেরান্ডোর দল ঘরের মাঠে আরও বেশি ফুটবল খেলবে ভেবেছিলেন তিনি। বাইচুং জানিয়েছেন মোহনবাগানের খেলায় বল দখলে রাখার ব্যাপারে শক্তি থাকলেও এবং ডিফেন্স ভাল হলেও আক্রমণ তার পছন্দ হয়নি। তার আর্জি ফাইনালে বেঙ্গালুরুকে হারাতে হলে আর একটু আক্রমাত্মক হতে হবে। বিপক্ষ দলে কৃষ্ণ, সুনীল, জাভি হার্নান্দেজদের মতো তারকা রয়েছে তাদের বেশি আক্রমণ করতে দিলে উল্টে বিপদ হতে পারে।

তাই দিমিত্রি, হুগো, লিস্টন, মনবীরদের শনিবার শুরু থেকেই টপ গিয়ারে থাকার উপদেশ দিচ্ছেন বাইচু। আক্রমণ ডিফেন্সের সেরা অস্ত্র এটাই বিশ্বাস করেন তিনি। আর চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে গুটিয়ে থেকে নয় সাহস দেখিয়ে খেলতে হবে। তবে বাইচুং আশাবাদী এটিকে মোহনবাগান নিজেদের মেলে ধরতে পারলে এবং সুযোগ অপচয় না করলে গোয়াতে শনিবার জিতবে তারাই।

বেঙ্গালুরু দুর্ধর্ষ ভাবে কামব্যাক করেছে। শেষ সাক্ষাৎকারে কলকাতায় এসে এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে গিয়েছে। তবে অভিজ্ঞতা এবং ফুটবল বুদ্ধি থেকে বাইচুং মনে করেন ফাইনাল জয়ের ব্যাপারে কিছুটা হলেও এগিয়ে শুরু করবে মোহনবাগান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ম্যাচ শেষ করার টার্গেট রাখতে হবে। সেট পিস থেকে গোল করার ক্ষেত্রে সবুজ মেরুনকে আরও দক্ষ হতে হবে।

বেঙ্গালুরু দলে মোহনবাগানের বেশ কয়েকজন প্রাক্তন তারকা রয়েছে। তারা মরিয়া হবে ফাইনালে সবুজ মেরুনকে হারিয়ে প্রাক্তন ক্লাবকে জবাব দিতে। অন্যদিকে প্রীতম, মনবীর, আশিষ রাইদের একটাই লক্ষ্য হবে ৯০ মিনিটে খেলা শেষ করা এবং চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেরা। সুনীল ছেত্রীকেও চোখে চোখে রাখতে হবে জানিয়ে দিয়েছেন বাইচুং।

ATK Mohun Bagan: কলিঙ্গ যুদ্ধে জয়ী মোহনবাগান, দিমিত্রি, হুগোর গোলে পৌঁছে গেল সেমিফাইনালে

কলকাতা: কলিঙ্গ যুদ্ধের শেষে জয়ী এটিকে মোহনবাগান। যুবভারতীতে ওড়িশাকে ২-০ হারিয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে চলে গেল হুয়ান ফেরান্ডোর দল। ম্যাচের শুরু থেকে বলে দখল বেশি থাকলেও সেভাবে ওপেন করতে পারছিল না সবুজ মেরুন। ওড়িশা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ব্লক করে আটকে দিচ্ছিলেন সবুজ মেরুন ফুটবলারদের। ১১ মিনিটেই গোড়ালিতে লেগে উঠে গেলেন মোহনবাগানের আশিক। তার জায়গায় নিয়ে আসা হল লিস্টনকে।

৩৬ মিনিটে গোল করে এগিয়ে গেল সবুজ মেরুন। দিমিত্রির কর্নার ফ্লিক করলেন মানবীর। হুগো বুমু বা পায়ের শটে বল জালে পাঠালেন। দ্বিতীয় গোল পেল মোহনবাগান ৫৮ মিনিটে। এবার নাম লেখালেন দিমিত্রি। কার্ল একটা বল কেড়ে নিয়ে বাড়িয়েছিলেন। দিমিত্রি ডান পায়ের জোরালো শটে বল পাঠিয়ে দেন জালে। এই নিয়ে চলতি লিগে ৯ গোল হয়ে গেল তার। এরপর মোহনবাগানের গোলরক্ষক বিশাল চোট পান।

মাঠে এম্বুলেন্স আসে। তবে সবার আশঙ্কা শেষ করে দিয়ে তিনি নিজের পায়ে উঠে দাঁড়ান। যদিও সাবধানতা অবলম্বন করার ক্ষেত্রে বিশালের পরিবর্তন হিসেবে নিয়ে আসা হয় গোলরক্ষক আনোয়ারকে। ৮০ মিনিটে হুগোর জায়গায় গয়েগো এবং পুইতার জায়গায় হানামতে আসেন। ওড়িশা কাউন্টার অ্যাটাক করে গোল তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু সেটা বিশেষ ভাবে সফল হচ্ছিল না।

লিগে একটা সময় টানা ৬ ম্যাচে পয়েন্ট খুইয়ে নক-আউটের পথটাই কঠিন হয়ে পড়েছিল এটিকে মোহনবাগানের। কার্যত ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে ঘরের মাঠে কেরল ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে সবুজ-মেরুন শিবিরের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন অনেকেরই মনে আছে। তারপর মর্যাদার ডার্বি জয়। দু’সপ্তাহের ব্যবধানে বদলে গিয়েছিল ড্রেসিং-রুমের চিত্রটাই।

কেটেছিল যাবতীয় চাপ। এখন তাই প্র্যাকটিস সেশন সবার জন্য খোলা ছিল। জিতলে শেষ চারের লড়াইয়ে খেলতে হবে হায়দরাবাদ এফসি’র বিরুদ্ধে। আর হারলে, বাজবে বিদায়ঘণ্টা। কোচ ফেরান্দো অবশ্য জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর একটাই লক্ষ্য ছিল ৯০ মিনিটে ম্যাচ শেষ করা।শেষ পর্যন্ত সেটাই হল। এবার ডবল লেগ ম্যাচে হায়দারাবাদের মুখোমুখি হবে সবুজ মেরুন।

ডার্বি ফের সবুজ মেরুন, ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে প্রথম তিনে জায়গা করে নিল এটিকে মোহনবাগান

কলকাতা: শনিবার আবার এটিকে মোহনবাগানের পক্ষেই গেল ডার্বির ফলাফল। সব মিলিয়ে শেষ আট সাক্ষাৎকারে ৮-০ এগিয়ে গেল সবুজ মেরুন। ইস্টবেঙ্গল লড়াই করলেও আবার দিনের শেষে খালি হাতেই ফিরতে হল। ম্যাচের হিরো মোহনবাগানের সার্বিয়ার ডিফেন্ডার স্লাভকো ডামজানোভিচ। শনিবার বাঙালির চিরকালের দুভাগ হয়ে যাওয়ার সেই ম্যাচে প্রথম থেকেই বলের দখল ছিল এটিকে মোহনবাগানের কাছে।

চোট থাকলেও প্রথম থেকেই মাঠে নেমে ছিলেন হুগো বুমু। দিমিত্রি, মনবীর, আশিকরা নিজেদের দখলে বল রেখে যথেষ্ট আক্রমণ তুলে আনছিলেন। কিন্তু বক্সে ফিনিশিং হচ্ছিল না। দিমিত্রি এবং প্রীতম কোটাল পজিটিভ সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু মোহনবাগানের পজিটিভ স্ট্রাইকার না থাকায় বল গোলে যাচ্ছিল না।

উল্টোদিকে প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের সুহের এবং মহেশ হাফ চান্স পেয়েছিলেন। কিন্তু দুই দলের ডিফেন্স বিশেষ ভুল না করায় আসল গোল আসেনি। তবে মেজাজ ছিল আগুনে। রেফারিকে বেশ কয়েকবার হলুদ কার্ড বের করতে হল। ৫২ মিনিটের মাথায় দিমিত্রি র শট পোস্টে লেগে ফিরে এল। এরপর হঠাৎ করেই গ্লেনকে তুলে নিয়ে পুটিয়াকে নিয়ে আসা হল।

৬৭ মিনিটে এগিয়ে গেল এটিকে মোহনবাগান। দিমিত্রি কর্নার থেকে ফ্লিক করেন মনবীর। স্লাভকো হেডে বলটা ঘুরিয়ে দিলেন। পোস্টে লেগে ফিরে এলেও আবার সেই তিনি বল জালে পাঠিয়ে দিলেন। তারপর জার্সি খুলে সেলিব্রেশন সার্বিয়ান তারকার। আজ ব্রেন্ডন হামিল ফিট থাকলে তিনি খেলতেন কিনা সন্দেহ।

কিন্তু বড় ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ গোল এল তার পা থেকে। এরপর অবশ্য মাথা গরম করে হলুদ কার্ড দেখলেন ইস্টবেঙ্গলের সিলভা। এরপর হুগোর জায়গায় কিয়ানকে নামালেন হুয়ান। ৯০ মিনিট শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে আবার মোহনবাগানের পক্ষে ব্যবধান বাড়ালেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা দিমিত্রি। কিয়ানের শট ফিরে এলে সেই বল জালে জড়িয়ে দিলেন তিনি।