Tag Archives: Baichung Bhutia

Baichung Bhutia: তৃণমূল, নিজের দল অতীত! ভোল বদলে সেই চামলিংয়েরই হাত ধরলেন বাইচুং

গ্যাংটক: প্রথমে তৃণমূল, তার পর নিজের দল হামরো সিকিম৷ শেষ পর্যন্ত যার বিরুদ্ধে সিকিমে নিজের রাজনৈতিক দল তৈরি করেছিলেন, সেই পবন চামলিংয়ের দলেই যোগ দিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া৷ ১৮০ ডিগ্রি অবস্থান বদল করে বাইচুয়ের সিদ্ধান্তে অবাক সিকিমের সাধারণ মানুষের অনেকেই৷

বাইচুংয়ের রাজনৈতিক পথচলা শুরু তৃণমূলের হাত ধরে৷ ২০১৪ সালে তাঁকে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যদিও বিজেপি-র যশবন্ত সিং-এর কাছে পরাজিত হন তিনি৷ যদিও বাইচুংয়ের উপরে আস্থা রেখে ২০১৬ সালে ফের তাঁকে শিলিগুড়ি আসন থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করে তৃণমূল৷ এবার সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্যের কাছে হারতে হয় পাহাড়ি বিছেকে৷

আরও পড়ুন: ছেলের দাম ৬০ হাজার, মেয়ের ১৪! মুম্বইয়ে মাদক কিনতে দুই সন্তানকে বেচে দিল দম্পতি

এই হারের পরেই তৃণমূলের সঙ্গে কার্যত সম্পর্ক ছিন্ন করেন বাইচুং৷ এ রাজ্যের রাজনীতিতেও আর দেখা যায়নি তাঁকে৷ বরং ২০১৮ সালের ৩১ মে মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংয়ের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নিজের রাজনৈতিক দল হামরো সিকিমের ঘোষণা করেন বাইচুং৷ কিন্তু সেই নিজের রাজ্য সিকিমেও সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেনি বাইচুংয়ের নিজের দল৷

শেষ পর্যন্ত গতকাল সিকিমের রাভাংলায় পবন চামলিংয়ের দল সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টেই যোগ দিলেন বাইচুং৷ পবন চামলিং নিজেই বাইচুংয়ের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন৷ বাইচুং বলেন, ২৪-এর লোকসভা এবং ২৬-এর সিকিম বিধানসভার নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। সিকিমবাসীর যাবতীয় আকাঙখা মেটানোর লক্ষ্যেই এই দলবদল। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে চাই৷

ফাইনালে মোহনবাগানের থেকে আরও আক্রমণাত্মক ফুটবল দেখতে চাইছেন বাইচু! দিলেন পরামর্শ

কলকাতা: এটিকে মোহনবাগান বনাম হায়দারাবাদ সেমিফাইনাল দেখতে যুবভারতীতে উপস্থিত ছিলেন বাইচু ভুটিয়া। মোহনবাগান শেষ পর্যন্ত জিতে আইএসএল ফাইনালে কোয়ালিফাই করায় খুশি বাইচু। তবে সবুজ মেরুনের খেলায় সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট নন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। সঙ্গে ছিলেন ছেলে উগেন ভুটিয়া। বাইচু ছেলেকে নিয়েই কলকাতা ফুটবলের উন্মাদনা নিচ্ছিলেন বেশ কয়েকদিন বাদে।

মোহনবাগান সমর্থকরা এসে তার সঙ্গে ছবি তুলে যাচ্ছিলেন। কেউ জড়িয়ে ধরছিলেন। ছেলেকে বাইচুং বোঝাচ্ছিলেন এই ক্লাবের জার্সিতে ডার্বিতে তিনি ছটা গোল করেছেন। যদিও ইস্টবেঙ্গলে বেশি খেলেছেন তবুও মোহনবাগানের সাফল্য চাইবেন না পাহাড়ি বিছে এমনটা হতে পারে না।

আরও পড়ুন – বাংলাদেশ এবার বাঘ, ব্রিটিশ সিংহকে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা উপহার টাইগারদের

হুয়ান ফেরান্ডোর দল ঘরের মাঠে আরও বেশি ফুটবল খেলবে ভেবেছিলেন তিনি। বাইচুং জানিয়েছেন মোহনবাগানের খেলায় বল দখলে রাখার ব্যাপারে শক্তি থাকলেও এবং ডিফেন্স ভাল হলেও আক্রমণ তার পছন্দ হয়নি। তার আর্জি ফাইনালে বেঙ্গালুরুকে হারাতে হলে আর একটু আক্রমাত্মক হতে হবে। বিপক্ষ দলে কৃষ্ণ, সুনীল, জাভি হার্নান্দেজদের মতো তারকা রয়েছে তাদের বেশি আক্রমণ করতে দিলে উল্টে বিপদ হতে পারে।

তাই দিমিত্রি, হুগো, লিস্টন, মনবীরদের শনিবার শুরু থেকেই টপ গিয়ারে থাকার উপদেশ দিচ্ছেন বাইচু। আক্রমণ ডিফেন্সের সেরা অস্ত্র এটাই বিশ্বাস করেন তিনি। আর চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে গুটিয়ে থেকে নয় সাহস দেখিয়ে খেলতে হবে। তবে বাইচুং আশাবাদী এটিকে মোহনবাগান নিজেদের মেলে ধরতে পারলে এবং সুযোগ অপচয় না করলে গোয়াতে শনিবার জিতবে তারাই।

বেঙ্গালুরু দুর্ধর্ষ ভাবে কামব্যাক করেছে। শেষ সাক্ষাৎকারে কলকাতায় এসে এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে গিয়েছে। তবে অভিজ্ঞতা এবং ফুটবল বুদ্ধি থেকে বাইচুং মনে করেন ফাইনাল জয়ের ব্যাপারে কিছুটা হলেও এগিয়ে শুরু করবে মোহনবাগান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ম্যাচ শেষ করার টার্গেট রাখতে হবে। সেট পিস থেকে গোল করার ক্ষেত্রে সবুজ মেরুনকে আরও দক্ষ হতে হবে।

বেঙ্গালুরু দলে মোহনবাগানের বেশ কয়েকজন প্রাক্তন তারকা রয়েছে। তারা মরিয়া হবে ফাইনালে সবুজ মেরুনকে হারিয়ে প্রাক্তন ক্লাবকে জবাব দিতে। অন্যদিকে প্রীতম, মনবীর, আশিষ রাইদের একটাই লক্ষ্য হবে ৯০ মিনিটে খেলা শেষ করা এবং চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেরা। সুনীল ছেত্রীকেও চোখে চোখে রাখতে হবে জানিয়ে দিয়েছেন বাইচুং।

ভারতীয় ফুটবলের নতুন প্রেসিডেন্ট বাংলার কল্যাণ চৌবে, পারলেন না বাইচুং ভুটিয়া

#নয়াদিল্লি: সব প্রতীক্ষার অবসান। যেমনটা ভাবা গিয়েছিল, তেমনটাই হল শেষ পর্যন্ত। বাইচুং ভুটিয়াকে হারিয়ে ভারতীয় ফুটবলের নতুন সভাপতি হলেন বাংলার কল্যাণ চৌবে। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে গেলে নির্দিষ্ট সময় নির্বাচন করে নিতে হবে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল ফিফা। ভারতকে সাময়িক নির্বাসনেও পাঠানো হয়েছিল।

পরে অবশ্য সেই নির্বাসন তুলে নেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্ট ভেঙে দিয়েছিল সিওএ। ভাইচুংয়ের লড়াই ছিল পুরোটাই একা। তিনি লড়াইতে নেমেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে। সমর্থন ছিল রাজস্থান ফুটবল সংস্থার। তবে ভাইচুংয়ের নিজের রাজ্য সিকিমই তাঁকে সমর্থন করেননি। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু রাজ্যের সমর্থন তিনি পাবেন না বলে মনে করা হচ্ছিল।

সেক্ষেত্রে ভোটাভুটিতে হারার সম্ভাবনাই বেশি ছিল। তবে যতক্ষণ না নির্বাচনের ফল বেরোচ্ছে, তত ক্ষণ কেউই চূড়ান্ত মন্তব্য করতে চাননি। কারণ, এ ধরনের নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে হিসাব উল্টে যেতে পারে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল কল্যাণ একতরফা ভাবে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হবেন। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে প্রথম দিনই মনোনয়ন জমা দেন ভাইচুং।

ফলে কল্যাণের বিরুদ্ধে নির্বাচনে জিতেই তাঁকে সভাপতি হতে হত। সেই সম্ভাবনা অবশ্য অনেকটাই কম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য গুজরাত ফুটবল সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে লড়ছেন কল্যাণ। তিনি নিজেও বিজেপি-র সক্রিয় সদস্য।

তাঁকে সমর্থন করছে অরুণাচল প্রদেশ, যেখান থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু রয়েছেন। ফলে রাজনৈতিক ভাবে দেশের শাসক দলের সমস্ত সমর্থন পাবেন তিনি। এই প্রথম বার এআইএফএফ-এর সভাপতি পদে বসতে চলেছেন কোনও প্রাক্তন ফুটবলার।

কল্যাণ ভারতীয় ফুটবলের অত্যন্ত স্বনামধন্য গোলকিপার। টাটা ফুটবল একাডেমি থেকে পাস করার পর মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, সালগাওকার, মাহিন্দ্রা, জেসিটির হয়ে সাফল্যের সঙ্গে খেলেছেন। জার্মানির ক্লাবে ট্রায়াল দিতে গিয়েছিলেন। দুবার দেশের সেরা গোলকিপার নির্বাচিত হন।

কল্যান জানিয়ে দিলেন ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি এবং সাফল্যের সঙ্গে মহিলাদের অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ আয়োজন করাই হবে তার দায়িত্ব। এছাড়াও একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে ভবিষ্যতের জন্য।

Baichung Bhutia : কোন পথে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে ভারত? সভাপতি হলে নাকি দেখিয়ে দেবেন বাইচু!

#কলকাতা: ফুটবল জীবনে যেমন শেষ মুহূর্তে গোল করে অনেক ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিয়েছেন, তেমনই এবার ভারতীয় ফুটবলের নতুন প্রেসিডেন্ট বাছাই করার ক্ষেত্রে শেষ মুহূর্তে নমিনেশন জমা দিয়ে আসর জমিয়ে দিয়েছেন বাইচুং ভুটিয়া। বিজেপির কল্যান চৌবে যদিও নতুন প্রেসিডেন্ট হওয়ার ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়ে। তবুও বাইচুং বুঝিয়ে দিয়েছেন গোলরক্ষককে একা জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি নন প্রাক্তন স্ট্রাইকার।

আরও পড়ুন – Virat Kohli fan : পাকিস্তান থেকে এসেছি, একটা সেলফি চাই! ভক্তের আবদার শুনে দাঁড়ালেন কোহলি, তারপর?

সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, দুটো জিনিসের উপরে আমাদের আরও জোর দিতে হবে। প্রথমত, তৃণমূল স্তরের উন্নতি। দ্বিতীয়ত, রাজ্য সংস্থাগুলোকে আরও বেশি টাকা দেওয়া। তৃণমূল স্তরের উন্নতির কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু আমি চাই সে ব্যাপারে আরও মনোযোগ দেওয়া হোক।

বাইচুং জানিয়েছেন, ফুটবলারদের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়ার পক্ষপাতী তিনি। বলেছেন, ফুটবলার-কেন্দ্রিক একটা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই। ফুটবলারদের আরও পরিষেবা দিতে চাই। খেলোয়াড়দের যাতায়াত এবং থাকার ব্যবস্থা আরও উন্নত করার পরিকল্পনা রয়েছে। কীভাবে সেটা সম্ভব সেটাও বলেছেন পাহাড়ি বিছে।

তাঁর কথায়, ধরুন অরুণাচল প্রদেশের ফুটবলাররা কেরলে কোনও জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাবে। সেক্ষেত্রে ট্রেনে করে তিন দিন ওদের যেতে হবে। ওরা যাতে বিমানে যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। বাইচুংয়ের মতে, যদি দেশের ফুটবলের পরিকাঠামোর উন্নতি হয়, তা হলে দ্রুত বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে ভারত।

তিনি বলেছেন, বয়সভিত্তিক দল হোক বা সিনিয়র দল, আগামী দিনে দুটো দলই নিজেদের যোগ্যতায় বিশ্বকাপে যেতে পারে। তার জন্য আমূল সংস্কার এবং ফুটবলের পরিকাঠামোয় বদল প্রয়োজন। রাজ্য দলগুলি থেকেই প্রতিভাবান ফুটবলাররা উঠে আসে। তাই ওদের হাতে বেশি টাকা দিতে হবে।

বাইচুং মনে করেন নিজে যেহেতু লড়াই করে উঠে এসেছেন তাই ভারতীয় ফুটবলারদের অসুবিধের ব্যাপারগুলো তিনি ভালই জানেন। অন্যদিকে কল্যান চৌবে নিশ্চিত তিনি প্রেসিডেন্ট হলেন সব সিদ্ধান্ত ভারতীয় ফুটবলের পক্ষেই যাবে। কারণ তিনিও দীর্ঘদিন জাতীয় দল এবং দুই প্রধানে খেলছেন। ভারতীয় ফুটবলের চিত্রটা তারও অজানা নয়।