Tag Archives: Avocado

Family Offers Avocados At Puja: কলা নয়, আপেল নয়! পুজোর ডালায় এ কোন ফল? জানতে পেরে চোখ কপালে সবার

বেঙ্গালুরু: পুজোয় ফল দেওয়া খুব সাধারণ ব্যাপার। আপেল, কলা, শশা, পেয়ারা, কমলালেবু নানা ধরনের ফলের মেলা দেখা যায় পুজোর ডালায়। মাঝে মাঝে শুকনো ফলও যোগ করা হয় সেখানে। তাই বলে এমন ফলও পুজোয় দেওয়া হয় কেউ জানতেন? সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ছবি। সেখানে দেখা যায় আপেল নয়, কলা নয় বহুমূল্য বিদেশি ফল অ্যাভোগাডো রয়েছে পুজোর ডালায়। সেই দেখে হতবাক নেটিজেনরা। ঈশ্বরকে নৈবেদ্য দিতে এত দামী ফল? উঠছে প্রশ্ন।

X হ্যান্ডলে ধর্মেশ বা অবশ্য বিষয়টি খোলসা করেই লিখেছিলেন। কোথায় পুজো দেওয়া হচ্ছিল সেটি স্পষ্ট নয়। বাড়ি বা মন্দিরে সাজানো পুজোর ডালিতে উঁকি দিচ্ছিল অ্যাভোগাডো। সেই ছবি শেয়ার করে তিনি উল্লেখ করেছেন যে তাঁর বাবা মা-ই ফলগুলিকে “আপগ্রেড” করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ধর্মেশ লিখেছেন,“বাবা-মা শহরে আছেন এবং ঈশ্বরের কাছে তাঁদের অর্ঘ্য কলা থেকে অ্যাভোকাডোতে আপগ্রেড করা হয়েছে”। অর্থাৎ, আগে এই পরিবার পুজোয় কলা দিতেন, এখন দিচ্ছেন  অ্যাভোকাডো!

এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনায় হইচই নেট দুনিয়ায়। একজন রসিকতা করে জিজ্ঞাসা করেছেন, মধ্যবিত্ত নন ওঁরা, অ্যাভোকাডো ক্লাস”। আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, “ভক্তিও এখন বড়লোকের হাতেই। আমাদের আর সামর্থ্য কী!” দামী ফল নৈবেদ্যয় দেখে তির্যক মন্তব্য করতেও ছাড়লেন না অনেকেই। ভারতীয় মুদ্রায় এক একটি আমদানিকৃত আভোকাডো ফলের এখন সাড়ে ছশোর উপরে দাম। এখনও দেশে চাষ হয় না এই ফল। সেই হেন বিদেশি ফল পুজোয় দেওয়া কেমন পাগলামি? প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন নেটিজেনরা। তবে কেউ কেউ লিখলেন, “বেঙ্গালুরুতে কী না হয়! যা অন্য কোথাও কেউ ভাবতেই পারবেন না, এখানে দেখতে পাবেন।” পোস্টটি বহুবার শেয়ার করা হয়েছে এক্স হ্যান্ডলে।

আরও পড়ুন- অবাক কাণ্ড! মারধর করে মাটিতে পুঁতে দেওয়া যুবককে বাঁচাল পথকুকুররা! কী ভাবে

বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী ফল! সহজেই চাষ করে প্রচুর টাকা উপার্জন করাও সম্ভব

Report: Shubham Singh Basonia

ভোপাল: এমনিতে সমস্ত ফলই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। কিন্তু আজ এমন একটা ফলের কথা আলোচনা, যে ফলটিকে বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী ফল বলা হয়। আসলে এই ফলটির নাম অ্যাভোক্যাডো। কৃষকরা যদি এই ফল চাষ করতে শুরু করেন, তাহলে অনায়াসে মালামাল হয়ে যাবেন। কারণ এক-একটি অ্যাভোক্যাডোর দাম বাজারে ২৫০-৩০০ টাকা।

বিদেশে তো চাহিদা রয়েছেই, দেশেও ক্রমে অ্যাভোক্যাডোর চাহিদা বাড়ছে। অনেকটা পেয়ারা এবং ন্যাশপাতির মতো দেখতে হয়। নানা ভাবে খাওয়া যেতে পারে এই ফল। শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে ডায়েটে তা যোগ করা যেতে পারে। তাই অ্যাভোক্যাডো চাষ করে অনায়াসে টাকা রোজগার করা সম্ভব।

আরও পড়ুন- পাসপোর্ট র‍্যাঙ্ক তালিকায় ৮২ নম্বরে ভারত, কোন ৫৮টি দেশে ‘ভিসা ফ্রি’ ভ্রমণের সুযোগ ভারতীয়দের? জেনে নিন

ইজরায়েলের মতো কায়দায় মধ্যপ্রদেশের ভোপালে অ্যাভোক্যাডো চাষ করতে শুরু করেছেন হর্ষিত গোধা। Local 18-কে তিনি বলেন, তাঁর জমিতে ৫ ধরনের অ্যাভোক্যাডো হয়। যথা – হাস, ল্যামভাস, পিঙ্কারটন, এটিঙ্গার এবং রিট। আর এই অ্যাভোক্যাডোর দাম হয় ২৫০-৩০০ টাকা।

আর এই ফল চাষ করতে গেলে চাই এমন মাটি, যেখানে নিউট্রিয়েন্টের ভাগ থাকবে বেশি। এর জন্য অ্যাসিডিক বা অম্ল মাটি নেওয়া যেতে পারে। যার পিএইচ-এর মান ৬.৭ হতে হবে। যদি ক্ষারীয় মাটিতে চাষ করা হয়, তাহলে তাতে পর্যাপ্ত জল দিতে হবে। আর মজার বিষয় হল, অ্যাভোক্যাডো উষ্ণ জলবায়ুর ফসল। তাই তাপমাত্রা থাকতে হবে ১৫-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরও পড়ুন– অডিতে চেপে বাসভবনে ফিরছিলেন প্রেমানন্দ মহারাজ, আচমকাই সামনে এসে দাঁড়াল অন্য একটি গাড়ি; তারপর যা হল…

চাষের জন্য প্রথম মাটি ভাল করে চষে নিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে গাছের বীজ বুনতে হবে। ৭ মাসের জন্য এভাবে নার্সারিতে গাছ তৈরি করতে হবে। এরপর চারাগাছ জমিতে লাগাতে ৮০*৮০ গর্ত খুঁড়তে হবে। এবার সেই গর্তে ১:১ অনুপাতে সার আর মাটি মেশাতে হবে। এরপর ১০ থেকে ১২ মিটার ব্যবধান রেখে গাছ পুঁতে দিতে হবে। সেই সঙ্গে সেচের ভাল ব্যবস্থাও রাখতে হবে। প্রতি ২-৩ সপ্তাহে জল দিতে হবে।

হর্ষিত গোধার মতে, অ্যাভোক্যাডো চাষের আদর্শ সময় হল মার্চ থেকে এপ্রিল অথবা সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর। আসলে মার্চ-এপ্রিলে চাষ করলে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ফল ধরতে শুরু করে। আর অ্যাভোক্যাডো বিভিন্ন রোগে ভীষণ উপকারী। চুল ঝরা, ত্বকের রোগ, চোখের সমস্যা সারাতে এর জুড়ি মেলা ভার। এর পাশাপাশি প্রদাহ কমাতেও দারুণ কার্যকরী অ্যাভোক্যাডো। ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করলে শরীর থাকবে ভাল। কোনও রোগ স্পর্শও করতে পারবে না। ফলে বিশেষজ্ঞরাও আজকাল এই ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ৷