Tag Archives: Bandhan Bank

Chandra Shekhar Ghosh-Bandhan Bank: জুলাইতেই শেষ হচ্ছে মেয়াদ; বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি এবং সিইও পদ থেকে অবসর ঘোষণা চন্দ্রশেখর ঘোষের

চলতি বছরের জুলাই মাসেই নিজের পদ থেকে অবসর নেবেন বন্ধন ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চিফ একজিকিউটিভ অফিসার চন্দ্রশেখর ঘোষ। ৫ এপ্রিল, শুক্রবার এই কথা ঘোষণা করা হয়েছে বন্ধন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে। আরও জানা গিয়েছে যে, আগামী ৯ জুলাই, ২০২৪ তারিখে বন্ধন ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চিফ একজিকিউটিভ অফিসার পদে মেয়াদ শেষ হচ্ছে তাঁর। এবার আরও ‘বৃহত্তর’ দায়িত্বে তাঁকে দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ৷
চলতি বছরের জুলাই মাসেই নিজের পদ থেকে অবসর নেবেন বন্ধন ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চিফ একজিকিউটিভ অফিসার চন্দ্রশেখর ঘোষ। ৫ এপ্রিল, শুক্রবার এই কথা ঘোষণা করা হয়েছে বন্ধন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে। আরও জানা গিয়েছে যে, আগামী ৯ জুলাই, ২০২৪ তারিখে বন্ধন ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চিফ একজিকিউটিভ অফিসার পদে মেয়াদ শেষ হচ্ছে তাঁর। এবার আরও ‘বৃহত্তর’ দায়িত্বে তাঁকে দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ৷
চন্দ্রশেখর ঘোষ অবশ্য বন্ধন ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতাও বটে ৷ তিনি ভারতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির অগ্রগণ্য প্রবক্তাদের একজন। মাইক্রোফিনান্স এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাঁর প্রায় তিরিশ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর আগে গত ২৪ নভেম্বর, ২০২৩ সালে তিন বছরের জন্য ব্যাঙ্কের এমডি এবং সিইও হিসেবে পুনর্বহাল করার অনুমোদন আসে ব্যাঙ্কের বোর্ডের তরফে।
চন্দ্রশেখর ঘোষ অবশ্য বন্ধন ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতাও বটে ৷ তিনি ভারতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির অগ্রগণ্য প্রবক্তাদের একজন। মাইক্রোফিনান্স এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাঁর প্রায় তিরিশ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর আগে গত ২৪ নভেম্বর, ২০২৩ সালে তিন বছরের জন্য ব্যাঙ্কের এমডি এবং সিইও হিসেবে পুনর্বহাল করার অনুমোদন আসে ব্যাঙ্কের বোর্ডের তরফে।
রেগুলেটরি ফাইলিংয়ে অ্যাটাচ করা পদত্যাগের চিঠিতে চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, “প্রায় এক দশক ধরে ব্যাঙ্কের কার্য পরিচালনা করেছি। সেই সঙ্গে টানা তিন বছর বছরের মেয়াদে এমডি এবং সিইও থেকেছি। তবে এখন আমি মনে করি যে, এবার আমার জন্য বন্ধন গ্রুপ স্তরে একটি বৃহত্তর কৌশলগত ভূমিকা গ্রহণ করার সময় এসে গিয়েছে। তাই এমডি এবং সিইও হিসাবে আমার বর্তমান মেয়াদের শেষে অর্থাৎ ৯ জুলাই, ২০২৪ তারিখে বন্ধন ব্যাঙ্কের পরিষেবা থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
রেগুলেটরি ফাইলিংয়ে অ্যাটাচ করা পদত্যাগের চিঠিতে চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, “প্রায় এক দশক ধরে ব্যাঙ্কের কার্য পরিচালনা করেছি। সেই সঙ্গে টানা তিন বছর বছরের মেয়াদে এমডি এবং সিইও থেকেছি। তবে এখন আমি মনে করি যে, এবার আমার জন্য বন্ধন গ্রুপ স্তরে একটি বৃহত্তর কৌশলগত ভূমিকা গ্রহণ করার সময় এসে গিয়েছে। তাই এমডি এবং সিইও হিসাবে আমার বর্তমান মেয়াদের শেষে অর্থাৎ ৯ জুলাই, ২০২৪ তারিখে বন্ধন ব্যাঙ্কের পরিষেবা থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন যে, চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও প্রায় ৯ বছরে বন্ধন ব্যাঙ্কের ভাণ্ডারে গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখের হিসেব অনুযায়ী, ১.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা ডিপোজিট হিসেবে এবং ১.২৮ লক্ষ কোটি টাকা অ্যাডভান্স হিসাবে জমা পড়েছে। ইয়ার-অন-ইয়ার গ্রোথও হয়েছে খুবই ভাল।
তিনি আরও বলেন যে, চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও প্রায় ৯ বছরে বন্ধন ব্যাঙ্কের ভাণ্ডারে গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখের হিসেব অনুযায়ী, ১.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা ডিপোজিট হিসেবে এবং ১.২৮ লক্ষ কোটি টাকা অ্যাডভান্স হিসাবে জমা পড়েছে। ইয়ার-অন-ইয়ার গ্রোথও হয়েছে খুবই ভাল।
চন্দ্রশেখর ঘোষের বক্তব্য, “এই মুহূর্তে এই ব্যাঙ্কের পরিবারে রয়েছেন ৩ কোটি ঋণগ্রহীতা এবং ডিপোজিটর। আর রয়েছেন প্রায় ৭৫০০০ কর্মীও। যাঁরা আমার নেতৃত্ব বা পরিচালনায় ব্যাঙ্কের প্রতি আস্থা আর ভরসা রেখেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের প্রতিই আমি ঋণী।”
চন্দ্রশেখর ঘোষের বক্তব্য, “এই মুহূর্তে এই ব্যাঙ্কের পরিবারে রয়েছেন ৩ কোটি ঋণগ্রহীতা এবং ডিপোজিটর। আর রয়েছেন প্রায় ৭৫০০০ কর্মীও। যাঁরা আমার নেতৃত্ব বা পরিচালনায় ব্যাঙ্কের প্রতি আস্থা আর ভরসা রেখেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের প্রতিই আমি ঋণী।”
তিনি আরও যোগ করেন, “একটি দক্ষ নেতৃত্বস্থানীয় দলের হাতে এই শক্তিশালী ফ্র্যাঞ্চাইজি রেখে যেতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত বোধ করছি। এঁদের মধ্যে অনেকেই একই দৃষ্টিভঙ্গি এবং মূল্যবোধ ভাগ করে নিয়ে একটার পর একটা ইট সাজিয়ে সংগঠন গড়ে তোলার কাজে আমার পাশে থেকেছেন। বন্ধন ব্যাঙ্ক সব সময় আমার মনে একটি বিশেষ স্থান জুড়ে থেকে যাবে। আর ব্যাঙ্ক-কে যে কোনও সাহায্য করা কিংবা পরামর্শ দেওয়ার জন্য আমি সর্বদা উপলব্ধ থাকব।” প্রসঙ্গত, ৫ এপ্রিল বন্ধন ব্যাঙ্কের শেয়ার বিএসই-তে ০.৩৫ শতাংশ কমে ১৯৭.৪০ টাকায় ক্লোজ হয়েছে।
তিনি আরও যোগ করেন, “একটি দক্ষ নেতৃত্বস্থানীয় দলের হাতে এই শক্তিশালী ফ্র্যাঞ্চাইজি রেখে যেতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত বোধ করছি। এঁদের মধ্যে অনেকেই একই দৃষ্টিভঙ্গি এবং মূল্যবোধ ভাগ করে নিয়ে একটার পর একটা ইট সাজিয়ে সংগঠন গড়ে তোলার কাজে আমার পাশে থেকেছেন। বন্ধন ব্যাঙ্ক সব সময় আমার মনে একটি বিশেষ স্থান জুড়ে থেকে যাবে। আর ব্যাঙ্ক-কে যে কোনও সাহায্য করা কিংবা পরামর্শ দেওয়ার জন্য আমি সর্বদা উপলব্ধ থাকব।” প্রসঙ্গত, ৫ এপ্রিল বন্ধন ব্যাঙ্কের শেয়ার বিএসই-তে ০.৩৫ শতাংশ কমে ১৯৭.৪০ টাকায় ক্লোজ হয়েছে।

Bandhan Bank: ফিক্সড ডিপোজিটে চমক বন্ধন ব্যাঙ্কের ! সেভিংস অ্যাকাউন্টেও মিলছে নজরকাড়া সুদ

কলকাতা: ফিক্সড ডিপোজিটে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সুদ দেওয়া ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে অন্যতম হল বন্ধন ব্যাঙ্ক। প্রবীণ নাগরিকদের ৫০০ দিনের এফডি-তে মিলছে ৮.৩৫ শতাংশ হারে সুদ। একই মেয়াদে সাধারণ গ্রাহকদের ৭.৮৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে। ৫ বছর মেয়াদের ট্যাক্স সেভার ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হারও পরিবর্তন করেছে বন্ধন ব্যাঙ্ক। সাধারণ গ্রাহকরা ৭ শতাংশ এবং প্রবীণ নাগরিকদের ৭.৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে।

একনজরে সুদের হার:

১. এক বছর থেকে ৪৯৯ দিনের ফিক্সড ডিপোজিটে সাধারণ গ্রাহকরা ৭.২৫ শতাংশ এবং প্রবীণ নাগরিকরা ৭.৭৫ শতাংশ হারে সুদ পাচ্ছেন।

২. ৫০০ দিন মেয়াদের ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার সবচেয়ে বেশি। সাধারণ গ্রাহকদের ৭.৮৫ শতাংশ এবং প্রবীণ নাগরিকদের ৮.৩৫ শতাংশ হারে সুদ দিচ্ছে বন্ধন ব্যাঙ্ক।

আরও পড়ুন– এক সময় চলতে হত টাকা বাঁচিয়ে, আজ ৮ হাজার কোটি টাকার কোম্পানির মালিক ! ৪ কোটি টাকার গাড়ি চালান, চেনেন এঁকে?

৩. ৫০১ দিন থেকে ২ বছর মেয়াদি ফিক্সড ডিপোজিটে সাধারণ গ্রাহকরা ৭.২৫ শতাংশ এবং প্রবীণ নাগরিকরা ৭.৭৫ শতাংশ হারে সুদ পাচ্ছেন।

৪. ২ বছর থেকে ৩ বছর এবং ৩ বছর থেকে ৫ বছর মেয়াদি ফিক্সড ডিপোজিটেও সুদের হার একই। অর্থাৎ সাধারণ গ্রাহকদের ৭.২৫ শতাংশ এবং প্রবীণ নাগরিকদের ৭.৭৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে।

৫. ৫ বছর থেকে ১০ বছর মেয়াদি ফিক্সড ডিপোজিটে সাধারণ গ্রাহকরা ৫.৮৫ শতাংশ এবং প্রবীণ নাগরিকরা ৬.৬০ শতাংশ হারে সুদ পাচ্ছেন।পাশাপাশি সেভিংস ব্যালেন্স অ্যাকাউন্টে ৭ শতাংশ হারে সুদ দিচ্ছে বন্ধন ব্যাঙ্ক। ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যালেন্সে ৩ শতাংশ, ১ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা ব্যালেন্সে ৬ শতাংশ এবং ১০ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা ব্যালেন্সে ৭ শতাংশ হারে সুদ পাচ্ছেন গ্রাহকরা।

আরও পড়ুন– বেড়াতে গিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হোটেল রুমে থাকাকালীন দরজায় রাখুন তোয়ালে; ভ্রমণ সংক্রান্ত টিপস শেয়ার করে জানালেন বিমানসেবিকা

বন্ধন ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা রিটেল ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং বা mBandhan মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে এখন বাড়ি বা অন্যান্য যে কোনও জায়গা থেকে ফিক্সড ডিপোজিট বুকিং বা বিনিয়োগ করতে পারবেন। সময় লাগবে মাত্র কয়েক মিনিট। অনলাইনের কারণে কাজ হবে দ্রত। সময়ও বাঁচবে। ঝঞ্ঝাটমুক্ত ভাবেই কয়েক মিনিটের মধ্যে ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগের সুবিধা এখন গ্রাহকের হাতের মুঠোয়।

Bandhan Bank Q3 Results: তৃতীয় ত্রৈমাসিকে দ্বিগুণ লাভ করল বন্ধন ব্যাঙ্ক, মুনাফা বেড়ে দাঁড়াল ৭৩৩ কোটি টাকা

কলকাতা: তৃতীয় ত্রৈমাসিকে দ্বিগুণ লাভ করল বন্ধন ব্যাঙ্ক। ২০২৩-এর ডিসেম্বরে বেসরকারি খাতের এই ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৭৩৩ কোটি টাকা। গত বছর এই সময়ে তাদের মোট লাভের পরিমাণ ছিল ২৯১ কোটি টাকা।

ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ব্যাঙ্কের মোট আয় বেড়ে ৫,২১০ কোটি টাকা হয়েছে। গত বছর এই সময়ে তাদের মোট আয় ছিল ৪,৮৪০.৯৪ কোটি টাকা। রেগুলেটরি ফাইলিংয়ে এ কথা জানিয়েছে বন্ধন ব্যাঙ্ক। গত অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৩,৮০৮ কোটি টাকার তুলনায় সুদের আয়ও বেড়ে ৪,৬৬৫ কোটি টাকা হয়েছে।

আরও পড়ুন– বন্ধন ব্যাঙ্কের মোট ব্যবসা বৃদ্ধি পেল ১৭ শতাংশ, তৃতীয় ত্রৈমাসিকের রিপোর্ট কী বলছে, জেনে নিন

নেট সুদের আয় গত এবছর এই সময় ২,০৮০ টাকা ছিল। এ বছর তা বেড়ে ২,৫৩০ কোটি টাকা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বন্ধন ব্যাঙ্কের গ্রস এনপিএ (নন পারফর্মিং অ্যাসেটস)-তেও উন্নতি হয়েছে। আগের অর্থবর্ষে অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ৭.২ শতাংশ ছিল। এবার তা ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে নেট এনপিএ আগের বছরের ১.৯ শতাংশের তুলনায় ২.২ শতাংশ বেড়েছে। তাছাড়া পর্যাপ্ত মূলধন অনুপাত ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ১৯.১০ শতাংশের তুলনায় ১৭.৮৬ শতাংশে নেমে এসছে।

আরও পড়ুন- বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন চুরমার! দিল্লি বিমানবন্দরে ‘ভুয়ো’ ভিসা নিয়ে তরুণ; গ্রামে ফিরেই প্রতারণার নালিশ দায়ের

বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি এবং সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেছেন, ‘‘তৃতীয় ত্রৈমাসিকের শেষে শতাংশের হিসেবে ব্যাঙ্কের সুরক্ষিত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৪.৫ শতাংশ। ২০২৫-২৬-এর মধ্যে এটাকে ৫০ শতাংশে নিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কঠিন পরিস্থিতিতেও ব্যাঙ্কের হাতে পর্যাপ্ত লিক্যুইডিটি রয়েছে। কারণ অগ্রিমের তুলনায় আমানতের পরিমাণ বেশি।’’

Chandra Shekhar Ghosh, MD & CEO, Bandhan Bank
Chandra Shekhar Ghosh, MD & CEO, Bandhan Bank

তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ব্যাঙ্কের অপারেটিং প্রফিট আগের বছরের ১৯২০ কোটি টাকার তুলনায় কমে ১৬৬০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। এই পতন গত অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৪১০ কোটি টাকার এনপিএ বিক্রির কারণে যা লাভের সঙ্গে যোগ করা হয়। এই নন রেকারিং আইটেম বর্তমান ত্রৈমাসিকে নেই বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্ক। চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কিং ব্যবসার বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। আমরা আশা করি বৃদ্ধির এই গতি অব্যাহত থাকবে।’’

তৃতীয় প্রান্তিকের শেষে নেট সুদের মার্জিন দাঁড়িয়েছে ৭.২ শতাংশ। চন্দ্রশেখরের কথায়, ‘‘চলতি আর্থিক বছরের শেষে এনআইএম ৭ থেকে ৭.৫ শতাংশের মধ্যে রাখতে চাই।’’ জিএনপিএ-ও সাত শতাংশ হয়েছে। মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১৯.৮ শতাংশ।

Bandhan Bank Q3 Results: বন্ধন ব্যাঙ্কের মোট ব্যবসা বৃদ্ধি পেল ১৭ শতাংশ, তৃতীয় ত্রৈমাসিকের রিপোর্ট কী বলছে, জেনে নিন

কলকাতা: বন্ধন ব্যাঙ্ক ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের ফলাফল ঘোষণা করল। ব্যাঙ্কের মোট ব্যবসা ১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৩৩ লক্ষ কোটি টাকায়। ব্যাঙ্কের মোট আমানতের মধ্যে রিটেল ব্যবসার পরিমাণ ৭১ শতাংশ। ডিস্ট্রিবিউশনের সম্প্রসারণ এবং অনুকূল পরিচালন পরিবেশের সঙ্গে ব্যাঙ্ক এই ত্রৈমাসিকে সুষম ব্যবসায়িক বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করেছে।

এই ত্রৈমাসিকে ব্যাঙ্ক সারা দেশে ২৬টি শাখা খুলেছে। এর ফলে এখন দেশে ৬২৫০টি-র বেশি ব্যাঙ্কিং আউটলেটের মাধ্যমে ৩.২৬ কোটির বেশি গ্রাহককে পরিষেবা দেয় বন্ধন ব্যাঙ্ক। পাশাপাশি বর্তমানে ব্যাঙ্কে কর্মরত রয়েছেন ৭৫ হাজারের বেশি কর্মচারী।

আরও পড়ুন– ‘বিধানসভায় আমিও ‘খুন’ হয়ে যেতে পারি…’! বড় আশঙ্কা প্রকাশ শুভেন্দু অধিকারীর, লিখিত নালিশ সচিব ও পুলিশকে

২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ব্যাঙ্কের আমানত গত বছরের এই ত্রৈমাসিকের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে। ব্যাঙ্কে মোট আমানতের পরিমাণ বর্তমানে ১.১৭ লক্ষ কোটি টাকা। অন্যদিকে মোট অ্যাডভান্স হল ১.১৬ লক্ষ কোটি টাকা। বর্তমানে CASA (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট সেভিংস অ্যাকাউন্ট) অনুপাত ৩৬.১%, যা বেশ ভাল। ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি রেশিও (সিএআর) যা কোনও ব্যাঙ্কের সুস্থিরতা প্রতিফলিত করে। বন্ধন ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে সিএআর এখন ১৯.৮%, যা নিয়ন্ত্রক নির্ধারিত প্রয়োজনীয় মাত্রার তুলনায় অনেকটাই বেশি।

আর্থিক ফলাফলের প্রসঙ্গে বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি এবং সিইও চন্দ্র শেখর ঘোষ বলেন, ‘‘বহু বছর ধরেই তৃতীয় ত্রৈমাসিকটা আমাদের ব্যাঙ্কের জন্যে বৃদ্ধির পর্ব। এই ত্রৈমাসিকের শুরুতে আমরা কোর ব্যাঙ্কিং সিস্টেম (সিবিএস) আপগ্রেড করেছি। এই নতুন সিস্টেমের সঙ্গে আমরা আরও ভাল ব্যবসা পাওয়ার ব্যাপারে আত্মপ্রত্যয়ী। ব্যাঙ্ক সমস্ত গ্রাহককে তাঁদের প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পণ্য ও পরিষেবা জোগাতে বদ্ধপরিকর। এর পাশাপাশি আমরা দেশজুড়ে আরও বেশি মানুষের কাছে সক্রিয়ভাবে পৌঁছানোর ও আমাদের বিতরণ ব্যবস্থা আরও সম্প্রসারণ করার পথগুলোর মূল্যায়ন করতে থাকব।’’

আরও পড়ুন– বয়স অনুযায়ী কত ওজন হওয়া উচিত? এই ফর্মুলাতেই পেয়ে যাবেন হিসেব, আপনি জানতেন?

ব্যাঙ্ক ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অন্যান্য প্রডাক্ট সম্ভারের মধ্যে এসএমই লোন, গোল্ড লোন, পার্সোনাল লোন ও গাড়ির লোনের ভার্টিকালে নিজের পোর্টফোলিও বিস্তার করে থাকবে। ব্যাঙ্ক সম্প্রতি কমার্শিয়াল ভেহিক্যাল লেন্ডিং এবং ব্যবসার জন্য লোন এগেইনস্ট প্রপার্টির মতো নতুন নতুন ক্ষেত্রেও ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে। এর ফলে আগামী কয়েকটি ত্রৈমাসিকে ব্যাঙ্কের লোন বুকের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে।

Bandhan Bank: রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন বন্টনে এবার বন্ধন ব্যাঙ্ক, অনুমোদন RBI-এর, শীঘ্রই শুরু হবে প্রক্রিয়া

কলকাতা: রেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বন্ধন ব্যাঙ্ককে ই-পিপিও-এর মাধ্যমে পেনশন দেওয়ার অনুমতি দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। জানানো হয়েছে, পেনশন বিতরণ প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য ব্যাঙ্ক শীঘ্রই রেল মন্ত্রকের সঙ্গে একযোগে কাজ শুরু করবে।

এই অনুমোদনের ফলে বন্ধন ব্যাঙ্ক রেল মন্ত্রকের সমস্ত প্রাক্তন কর্মচারীদের পেনশন দিতে পারবে। ১৭টি জোনাল রেলওয়ে এবং ৮টি উৎপাদন ইউনিট-সহ ভারতীয় রেলে প্রতি বছর ৫০ হাজার কর্মী অবসর নেন। তাঁদের সমস্ত নথির অ্যাক্সেস পাবে বন্ধন ব্যাঙ্ক। একটি বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে ব্যাঙ্ক।

আরও পড়ুন– ‘দেশে একটাই গ্যারান্টি, মোদিজীর গ্যারান্টি…’ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারে নামল বঙ্গ বিজেপি

ভারতীয় রেল দেশের সবচেয়ে বড় নিয়োগ প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ১.২ মিলিয়ন মানুষ কর্মরত। পেনশন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে বন্ধন ব্যাঙ্ক শীঘ্রই রেল মন্ত্রকের সঙ্গে একত্রে কাজ চালু করবে।

এই প্রসঙ্গে বন্ধন ব্যাঙ্কের হেড অফ গভর্নমেন্ট বিজনেস দেবরাজ সাহা বলেন, ‘‘এই অনুমোদন ব্যাঙ্কের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থার প্রমাণ। ভারতীয় রেলওয়ে দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এবং বৃহত্তম নিয়োগ প্রতিষ্ঠান। এটি পেনশনভোগীদের প্রতিযোগিতামূলক হার এবং ব্যাঙ্কের দেওয়া অন্যান্য সুবিধা পেতে সাহায্য করবে।’’ পাশাপাশি ব্যাঙ্ক প্রদত্ত সিনিয়র সিটিজেনদের প্রাপ্য সুবিধাগুলি পাওয়ার সুযোগ দেবে। পেনশনভোগীরা বন্ধন ব্যাঙ্কের ১৬৪০টি-র বেশি শাখা থেকে পেনশন তুলতে পারবেন। এছাড়া ব্যবহার করতে পারবেন ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং প্ল্যাটফর্মও।

আরও পড়ুন-পৃথিবীতে এমন কোন জিনিস রয়েছে, যার গন্ধে ভয় পায় সাপ! জেনে রাখা প্রয়োজন

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে বন্ধন ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা তিন গুণেরও বেশি বেড়ে ৭২১ কোটি টাকা হয়েছে। গত বছর একই সময় ২০৯ কোটি টাকার তুলনায় নিট মুনাফা ২৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

চলতি ত্রৈমাসিকে ব্যাঙ্কের সঙ্গে প্রায় ১০ লাখ নতুন গ্রাহক যুক্ত হয়েছে। এতে ব্যাঙ্ক গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ কোটি ১৭ লাখ। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত, ব্যাঙ্কের ৬২০০ টিরও বেশি আউটলেট ছিল। ব্যাঙ্কিং নেটওয়ার্কে ১৬২১টি শাখা এবং ৪৫৯৮টি ব্যাঙ্কিং ইউনিট রয়েছে।

প্রসঙ্গত বলে রাখা ভাল, বন্ধন ব্যাঙ্ক জানিয়েছে যে এই স্কিমে প্রাক্তন সংসদ সদস্যদের পেনশন প্রদান এবং ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতিদের পেনশন এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Bandhan Bank Q2 Results: বাড়ছে ব্যাঙ্কের ব্যবসা, বন্ধনের আমানত বেড়ে হল ৬৬ হাজার কোটি টাকা

#কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতেও লাভের মুখ দেখল বন্ধন ব্যাঙ্ক। চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বন্ধন ব্যাঙ্কের আমানতের বহর বেড়ে হল ৬৬,১২৭.৭ কোটি টাকা। এই ব্যাঙ্কের মোট গ্রাহক সংখ্যা এখন ২.০৮ কোটি। এবং কর্মী সংখ্যা ৪৫,৫৪৯ জন ৷

সোমবার একটি ভার্চুয়াল কনফারেন্সে বন্ধন ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, “চলতি আর্থিক বছরের প্রথম তিন মাস একেবারেই লকডাউন ছিল দেশ। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে দেশের অনেকাংশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়ে গিয়েছে। এই কঠিন সময়ের মধ্যেও আমাদের গ্রাহকরা যে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন এবং বন্ধনের উপর যে ভাবে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন, তার ফলেই আমাদের বৃদ্ধি হয়েছে। গ্রাহকদের আরও ভাল পরিষেবা দিতে ব্যাঙ্ক ও আমাদের কর্মীরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবং এর মাধ্যমে সমাজ ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে বদ্ধপরিকর।”

দেশে আনলক পর্ব শুরু হয়েছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বন্ধন ব্যাঙ্কের আমানতের বহর গত আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের তুলনায় চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৩৪.৪ শতাংশ হারে বেড়েছে। বর্তমানে আমানতের পরিমান ৬৬,১২৭.৭ কোটি টাকা ৷ গত অর্থবর্ষের তুলনায় CASA ( কারেন্ট অ্যাকাউন্ট সেভিংস অ্যাকাউন্টে) ৫৬.২ শতাংশ হারে বেড়ে হয়েছে ২৫,২৭৯ কোটি টাকা। মোট আমানতের মধ্যে এখন CASA অনুপাত হল ৩৮.২ শতাংশ।

বন্ধন ব্যাঙ্কের ঋণের খাতাতেও বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। গ্রাহকদের গত অর্থ বর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে যে পরিমাণ ঋণ দেওয়া হয়েছিল তার তুলনায় চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ঋণের খাতায় ১৯.৪ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। মোট ঋণের বহর এখন ৭৬,৬১৪.৬ কোটি টাকা।

ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি রেশিও (সিএআর) যে কোনও ব্যাঙ্কের দৃঢ়তাকে বোঝায়। বন্ধন ব্যাঙ্কের সিএআর এখন ২৭.৮ শতাংশ। যা প্রয়োজনীয় মাত্রার তুলনায় অনেকটাই বেশি।