বুধবার, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ককে তার অনলাইন এবং মোবাইল ব্যাঙ্কিং চ্যানেলগুলির মাধ্যমে নতুন গ্রাহকদের অনবোর্ডিং এবং নতুন ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করা অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
কেন কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নিল RBI – – ২০২২ এবং ২০২৩ সালের আইটি চেকে উদ্বেগের কারণে RBI ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৯-এর ধারা ৩৫এ এর অধীনে এই ব্যবস্থা নিয়েছে৷ – আরবিআই আইটি ইনভেন্টরি, প্যাচ ম্যানেজমেন্ট, ইউজার এক্সেস, ভেন্ডর রিস্ক, ডাটা সিকিউরিটি এবং ডিজাস্টার রিকভারিতে উল্লেখযোগ্য ঘাটতি খুঁজে পেয়েছে।
RBI-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে -“আইটি ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট, প্যাচ অ্যান্ড চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট, ইউজার অ্যাকসেস ম্যানেজমেন্ট, ভেন্ডর রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, ডেটা সিকিউরিটি এবং ডেটা লিক প্রতিরোধ কৌশল, ব্যবসার ধারাবাহিকতা এবং দুর্যোগ পুনরুদ্ধারের কঠোরতা এবং ড্রিলগুলিতে গুরুতর ঘাটতি ও অ-সম্মতিগুলি পরিলক্ষিত হয়েছে।”
– আরবিআই বলেছে যে, ব্যাঙ্কটির পর পর দুই বছর ধরে আইটি ঝুঁকি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতি ছিল। তারা সংশোধনমূলক কর্ম পরিকল্পনা মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে। বিগত দুই বছরে, এটি কোর ব্যাঙ্কিং সিস্টেম এবং ডিজিটাল চ্যানেলগুলিতে ঘন ঘন এবং উল্লেখযোগ্য বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছে।
– RBI-এর সঙ্গে উচ্চ-স্তরের নিযুক্তি থাকা সত্ত্বেও ব্যাঙ্ক প্রয়োজনীয় অপারেশনাল স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। – RBI জানিয়েছে যে, ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত লেনদেন সহ ডিজিটাল লেনদেনের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটেছে, যা আইটি সিস্টেমের উপর লোড বাড়াচ্ছে।
– RBI বলেছে যে এটি “গ্রাহকদের স্বার্থে এবং সম্ভাব্য দীর্ঘায়িত বিভ্রাট রোধ করার জন্য বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যা শুধুমাত্র ব্যাঙ্কের দক্ষ গ্রাহক পরিষেবা প্রদানের ক্ষমতাকেই নয়, ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং এবং পেমেন্ট সিস্টেমের আর্থিক ইকোসিস্টেমকেও মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।” যাঁরা কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের গ্রাহক, RBI-এর পদক্ষেপ তাঁদের কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে –
আরবিআই কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ককে তার অনলাইন এবং মোবাইল ব্যাঙ্কিং চ্যানেলগুলির মাধ্যমে নতুন গ্রাহকদের অনবোর্ড করা এবং নতুন ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করতে বাধা দিয়েছে। তবে, ব্যাঙ্ক ক্রেডিট কার্ড সহ তাদের বিদ্যমান গ্রাহকদের পরিষেবা প্রদান চালিয়ে যাবে। অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক একটি বিস্তৃত বাহ্যিক নিরীক্ষা এবং ঘাটতিগুলির প্রতিকারের পরে ব্যবসায়িক সীমাবদ্ধতাগুলি পর্যালোচনা করবে।
নয়াদিল্লি: দেশে লোকসভা ভোটের আবহে বড় নির্দেশিকা জারি করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের উপর বেশ কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করল আরবিআই ৷ দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, আপাতত অনলাইনে নতুন গ্রাহকদের সংযুক্তি করতে পারবে না কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক ৷ অর্থাৎ মোবাইল ব্যাঙ্কিং অ্যাপ ও অনলাইনের মাধ্যমে নতুন গ্রাহকদের সংযুক্তি করতে পারবে না এই ব্যাঙ্ক। এ ছাড়া নয়া ক্রেডিট কার্ডও আপাতত ইস্যু করতে পারবে না কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক ৷
আরও পড়ুন – পেঙ্গুইন পশু না পাখি? অনেকেই জানেন না এর উত্তর; আপনি বলতে পারবেন?
কোটাক মাহিন্দ্রাকে আরবিআই নির্দেশ দিয়েছে, তাদের মোবাইল ব্যাঙ্কিং অ্যাপ ও অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাহক সংযুক্তি করা আপাতত বন্ধ রাখতে ৷ শীর্ষ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে আইটি পরীক্ষার পরই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০২২-২৩ সালের আইটি যাচাইয়ের পরই এই পদক্ষেপ। তবে আরবিআই জানিয়েছে যে কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক ক্রেডিট কার্ড-সহ তার বিদ্যমান গ্রাহকদের (Existing Customers) সমস্ত পরিষেবা অব্যাহত রাখতে পারবে।
ক্রেডিট কার্ড ও গ্রাহক পরিষেবা নিয়ে আরও একটা বিষয় স্পষ্ট করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তারা জানিয়েছে, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক শুধু নতুন ক্রেডিট কার্ড ইস্যু ও অনলাইনে নতুন গ্রাহক সংযুক্তি থেকেই আপাতত বিরত থাকবে। যাঁরা এই ব্যাঙ্কের বর্তমান গ্রাহক, তাঁদের ক্রেডিট কার্ড এবং অন্যান্য ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় এর কোনও প্রভাব পড়বে না।
দেশের সমস্ত ব্যাঙ্ক এবং এনবিএফসিগুলির উপর কড়া নজর রাখে আরবিআই। কোনও ব্যাঙ্ক যদি আরবিআই-এর নিয়ম না মানে তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নির্দেশ অমান্য করলে দিতে হয় জরিমানাও। তেমনই দুটি ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল আরবিআই।
এর মধ্যে একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা এখন থেকে মাত্র ১৫ হাজার টাকা তুলতে পারবেন, অন্য ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের টাকা তোলার পরিমাণ আরও কমিয়ে ১০ হাজার করা হয়েছে। কোন দুটি ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে আরবিআই পদক্ষেপ করেছে দেখে নেওয়া যাক।
মুম্বইয়ের সর্বোদয় কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক এবং উত্তর প্রদেশের প্রতাপগড়ের ন্যাশনাল আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেডের উপর বিধিনিষেধ জারি করেছে আরবিআই। কেন এমন কঠোর পদক্ষেপ করল দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক? গ্রাহকদের উপর এর কী প্রভাব পড়বে?
উভয় ব্যাঙ্কের আর্থিক অবস্থার অবনতি দেখে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই পদক্ষেপ করেছে। সর্বোদয় কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে মাত্র ১৫ হাজার টাকা তুলতে পারবেন। একই সময়ে, ন্যাশনাল আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা তুলতে পারবেন মাত্র ১০ হাজার টাকা। তাহলে গ্রাহকদের বাকি টাকার কী হবে?
আমানতকারীরা ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স এবং ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন (DICGC) থেকে তাঁদের আমানতের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আমানত বিমা দাবি করতে পারবেন।
ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৯-এর ধারা 35A-এর অধীনে ১৫ এপ্রিল ২০২৪-এ ব্যবসা বন্ধ হওয়ার পর থেকে উভয় ব্যাঙ্কের উপর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। পাশাপাশি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এই নির্দেশিকা জারির অর্থ ব্যাঙ্কিং লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া নয়।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে বিধিনিষেধ আরোপ করার পরে, যোগ্য আমানতকারীরা DICGC থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তাদের আমানত দাবি করতে পারবেন।
আর্থিক অবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ব্যাঙ্কগুলির উপর বিধিনিষেধ জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই বিধিনিষেধের সঙ্গেই তাদের ব্যবসা করতে হবে। প্রসঙ্গত, ১৫ এপ্রিল ২০২৪-এ ব্যবসা বন্ধ হওয়ার পর থেকে ছয় মাসের জন্য বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে আরবিআই।
২০২৫ ব্যবসায়িক বছরের প্রথম ক্রেডিট পলিসি সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি ৫ এপ্রিল ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ঘোষণা করেছেন যে, ইউপিআই অর্থাৎ ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেসের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে নগদ জমার সুবিধাও আনা হবে।
এই সুবিধার অধীনে, UPI-এর মাধ্যমে এটিএম মেশিনে নগদ জমা করার সুবিধা পাওয়া যাবে। কেউ যদি সহজ ভাষায় বুঝতে চান, তাহলে সেটি হল UPI-এর মাধ্যমেও নগদ জমা করা যাবে। এদিকে, বড় প্রশ্ন হল কেউ কীভাবে UPI-এর মাধ্যমে নগদ জমা করতে পারবেন? জেনে নেওয়া যাক ধাপে ধাপে।
এইভাবে UPI-এর মাধ্যমে নগদ জমা করা যাবে — UPI-এর মাধ্যমে নগদ জমা করতে, UPI ক্যাশ ডিপোজিট মেশিনে যেতে হবে। – ক্যাশ ডিপোজিট মেশিনের UPI বিভাগে যেতে হবে এবং ক্লিক করতে হবে। – এটিতে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে মেশিনে একটি QR কোড প্রদর্শিত হবে। – এবার নিজেদের মোবাইলে UPI স্ক্যানার ওপেন করতে হবে।
– স্ক্যানারের সাহায্যে ক্যাশ ডিপোজিট মেশিনের QR কোড স্ক্যান করতে হবে। – QR কোড স্ক্যান করার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত বিবরণ দৃশ্যমান হবে। – নগদ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেশিনটি নগদ যাচাই করবে। – অবশেষে, যাচাইকরণের বিবরণ ঠিক হয়ে গেলে, সেই নগদ জমা করা হবে। RBI গভর্নর শক্তি দাস ঘোষণা করেছেন UPI পেমেন্টে একটি বড় পরিবর্তন হতে চলেছে। এর দুটি বড় সুবিধাও রয়েছে-
UPI-এর মাধ্যমে নগদ জমা করার সুবিধা শুরু করা শুধুমাত্র গ্রাহকদের অনেক সুবিধাই দেবে না, এটি ব্যাঙ্কগুলির জন্য মুদ্রা পরিচালনাকেও দক্ষ করে তুলবে। এটি গ্রাহক এবং ব্যাঙ্ক উভয়ের জন্য অনেক সহজ হয়ে উঠবে।
তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ – আরবিআই গভর্নর আরও বলেছেন যে ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেসের জন্য তৃতীয় পক্ষের অ্যাপগুলি অনুমোদন করা হবে। এটি প্রিপেইড পেমেন্ট ইনস্ট্রুমেন্ট অর্থাৎ PPI ওয়ালেটের মাধ্যমে UPI পেমেন্ট করার সুবিধাও প্রদান করবে।
PPI-এর মাধ্যমে UPI পেমেন্টের জন্য TRAP অনুমোদন করা হবে। সরকারি সিকিউরিটিজ মার্কেটে রিটেইল ডায়রেক্ট স্কিমের অধীনে অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য RBI একটি মোবাইল অ্যাপও ঘোষণা করবে।
মাসের শেষ রবিবার অর্থাৎ ৩১ মার্চ খোলা থাকবে ব্যাঙ্ক ৷ বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ৷ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত ব্যাঙ্ক যারা সরকারি ব্যবসা সংক্রান্ত লেনদেন করে তাদের শাখা খোলা রাখতে হবে ৷ চলতি আর্থিক বছরের শেষ দিন ৩১ মার্চ এবার রবিবার পড়েছে ৷
যে যে ব্যাঙ্ক সরকারি লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত তাদের ৩১ মার্চ ব্যাঙ্ক খোলা রাখার অনুরোধ জানিয়েছে আরবিআই ৷ আরবিআই-এর এজেন্সি ব্যাঙ্কের তালিকায় রয়েছে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র, কানাড়া ব্যাঙ্ক, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক রয়েছে ৷
এর পাশাপাশি যে যে বেসরকারি ব্যাঙ্ক রয়েছে তালিকায়- অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, সিটি ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, ডিসিবি ব্যাঙ্ক, ফেডারেল ব্যাঙ্ক, HDFC ব্যাঙ্ক, ICICI ব্যাঙ্ক ৷
রবিবার ব্যাঙ্ক খোলা থাকলেও এই সপ্তাহে বেশ অনেকদিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক ৷ সোমবার হোলি উপলক্ষ্যে ব্যাঙ্কের ছুটি থাকবে ৷ চলতি সপ্তাহে চতুর্থ শনিবার হওয়ায় শনি ও রবি ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে ৷ শুধু তাই নয় সোমবার হোলি উপলক্ষ্যে ছুটি থাকায় ব্যাঙ্ক কর্মীরা পেয়ে যাচ্ছেন লম্বা উইকএন্ড ৷
ব্যাঙ্ক ছুটি থাকলেও অনলাইন পরিষেবার সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা ৷
ভারতের দুই জনপ্রিয় ব্যাঙ্ককে শাস্তি দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া৷ আরবিআই ১৩ মার্চ জানিয়েছে যে নিয়ম ভাঙার জন্য দুটি ব্যাঙ্ক এবং একটি নন-ব্যাঙ্কিং ফাইন্যান্স কোম্পানির উপর আর্থিক জরিমানা আরোপ করা হয়েছে।
যারা আরবিআইয়েক শাস্তির কোপে পড়েছে সেই ব্যাঙ্কগুলি হল বন্ধন ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া৷ পাশাপাশিপ নন ব্যাঙ্কিং ফিনান্স কোম্পানিটি হল, NBFC – ইন্দোস্টার ক্যাপিটাল ফাইন্যান্স।
আরবিআই প্রায় ১.৪১ কোটি টাকা (১,৪০,৭৬,০০০ টাকা) ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে, ২৯.৫৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বন্ধন ব্যাঙ্ককে এবং ১৩.৬০ লক্ষ টাকা ইন্দোস্টার ক্যাপিটাল ফাইন্যান্সের উপর জরিমানা ধার্য করেছে৷
ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে জরিমানা করা হয়েছিল কারণ এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটি নির্দিষ্ট মেয়াদী আমানত অ্যাকাউন্টে সুদ প্রদান না করে আগে প্রকাশ করা সুদের হারের সময়সূচি অনুযায়ী গ্রাহকদের কাছ থেকে এসএমএস ইনটিমেশন চার্জ নিচ্ছিল৷
এই চার্জ নেওয়া হচ্ছিল বাতিল হওয়া মোবাইল নম্বরে এসএমএস পাঠানোর ভিত্তিতে৷ পাশাপাশি সুদ নতুন করে সেট করতে ব্যর্থ হয়েছিল। এমসিএলআর-এ হার এবং এক্সটারনাল বেঞ্চমার্ক পূর্ব নির্ধারিত সীমাতেই চলছিল এমনটাই নিজেদের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আরবিআই৷
এছাড়াও ব্যাঙ্ক নির্দিষ্ট ফ্লোটিং রেট খুচরা ঋণের সুদের মানদণ্ড এবং MSME-কে ফ্লোটিং রেট লোনের সুদের মান, একটি এক্সটারনাল বেঞ্চমার্ক হারে, CRILC-তে নির্দিষ্ট বড় ঋণগ্রহীতাদের সম্পর্কিত সঠিক পরিসংখ্যান রিপোর্ট করতে করতে পারেনি৷ ভুল তথ্য সামনে আসায় সঠিক তথ্য হারিয়ে গেছে। ক্রেডিট ইনফরমেশন কোম্পানি (CICs), রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে৷
‘রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আমানতের উপর সুদের হার সংক্রান্ত নির্দেশে মেনে না চলার জন্য বন্ধন ব্যাঙ্ককে শাস্তি দেয়৷
আরও, Indostar ক্যাপিটাল ফাইন্যান্সকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল কারণ কোম্পানিটি সন্দেহজনক লেনদেনের কার্যকরী সনাক্তকরণ করেছিল আরবিআই৷ এই কোম্পানি ভাল কোনও শক্তিশালী সফ্টওয়্যার ব্যবহার করেনি৷ ফলে তা ঝুঁকিপূর্ণ গ্রাহকদের জন্য৷ KYC নিয়মিত আপডেট হয়নি, তার গ্রাহকদের চলমান যথাযথ অংশ হিসাবে গণ্ডগোল করছিল৷ পাশাপাশি RBI কে ১ লক্ষ টাকার উপরে কিছু জালিয়াতির রিপোর্ট করতেও দেরি করেছিল৷
নিয়ন্ত্রকের নিয়মের সঙ্গে অসম্মত হওয়ায় ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার উপর ১.৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এমনটাই সম্প্রতি জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। আবার সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু নির্দেশিকা না মানার কারণে বেসরকারি সেক্টরের ব্যাঙ্ক বন্ধন ব্যাঙ্ককেও ২৯.৫৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরবিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে যে, ডিপোজিটের উপর সুদের হার, ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস, অ্যাডভান্সের উপর সুদের হার এবং ক্রেডিট ইনফরমেশন কোম্পানি বিধির ২০০৬ সালের নিয়ম লঙ্ঘনের সঙ্গে সম্পর্কিত আরবিআই-এর নির্দেশাবলী না মেনে চলার কারণে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে জরিমানা করা হয়েছে।
শুধু তা-ই নয়, আরবিআই আরও জানিয়েছে, ইন্দোস্টার ক্যাপিটাল ফিনান্স লিমিটেডের উপর ১৩.৬০ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। মূলত ২০১৬ সালের প্রতারণার উপর নজরদারি সংক্রান্ত এনবিএফসি নির্দেশিকা এবং কেওয়াইসি নির্দেশিকার নির্দিষ্ট কিছু বিধানের সঙ্গে অসম্মত হওয়ার কারণেই এই শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে আরও বলা হয়েছে যে, সমস্ত ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সম্মতিতে ঘাটতির জন্যই জরিমানা আরোপ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলির গ্রাহকদের সঙ্গে সত্তার দ্বারা প্রবেশ করা কোনও লেনদেন বা চুক্তির বৈধতার বিষয়ে প্রতিফলন করার উদ্দেশ্যে নয়।
আবার গত বছরের শেষের দিকে জরিমানা আরোপ করা হয়েছিল ব্যাঙ্ক অফ বরোদা (বিওবি)-র উপর। সেই সময় আরবিআই-এর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছিল যে, সেন্ট্রাল রিপোজিটরি গঠনের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু নির্দেশাবলী লঙ্ঘন করার জন্য এবং অন্যান্য বিষয়গুলির জন্য সরকারি ক্ষেত্রের ব্যাঙ্ক অফ বরোদাকে ৪.৩৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এই জরিমানার ফলে কি সাধারণ গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন? কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী, যে ব্যাঙ্কের উপর জরিমানা করা হয়, সেই ব্যাঙ্ককেই জরিমানা মেটাতে হয়। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে যাঁরা অ্যাকাউন্ট খুলেছেন, তাঁদের এই পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হবে না।
পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের উপর একাধিক বিধিনিষেধ জারি করেছে আরবিআই। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে টাকা তোলা থেকে শুরু করে ওয়ালেট মানি। সময়সীমা ১৫ মার্চ। এরপর থেকে আর পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের একাধিক পরিষেবা পাবেন না গ্রাহক। প্রসঙ্গত নিষেধাজ্ঞার তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
এখনও পর্যন্ত পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলে পেটিএম অ্যাপে সবকটি পরিষেবাই চালু রেখেছে। ১৫ মার্চের পর নির্দিষ্ট কয়েকটি পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে। এখন ১৫ মার্চের পর পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের কোন পরিষেবা পাওয়া যাবে আর কোনগুলো বন্ধ হয়ে যাবে দেখে নেওয়া যাক।
১৫ মার্চের পর যে পরিষেবাগুলো বন্ধ হয়ে যাবে: গ্রাহক পেটিএম অ্যাকাউন্ট, ফ্যাস্ট্যাগ এবং ওয়ালেটে টাকা পাঠাতে পারবেন না। অন্য কেউ পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে পারবে না। অর্থাৎ লেনদেন একপ্রকার বন্ধ হয়ে যাবে। এই অ্যাকাউন্টে বেতন নেওয়া যাবে না। সরকারি সুবিধাও এই অ্যাকাউন্টে জমা হবে না।
পেটিএমের ফ্যাস্ট্যাগ অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। ইউপিআই বা আইএমপিএস-এর মাধ্যমে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো যাবে না।
১৫ মার্চের পর যে পরিষেবাগুলো চালু থাকবে: গ্রাহক পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা ওয়ালেটে জমা টাকা তুলতে পারবেন। অংশীদারি ব্যাঙ্ক থেকে রিফান্ড, ক্যাশব্যাক এবং সুইপ ইন পাওয়া যাবে। পাশাপাশি অ্যাকাউন্টে সুদও জমা হবে।
পেটিএম পেমেন্ট ব্যাঙ্ক ওয়ালেটের মাধ্যমে কোনও দোকান বা রেস্তরাঁর বিল মেটানো যাবে না। গ্রাহক চাইলে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে জমা টাকা অন্য ব্যাঙ্কে স্থানান্তর করতে পারেন। যতক্ষণ ব্যালেন্স থাকবে ততক্ষণই ফ্যস্ট্যাগ ব্যবহার করা যাবে।
গ্রাহক ইউপিআই বা আইএমপিএসের মাধ্যমে পেটিএম পেমেন্ট ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে পারবেন। ১৫ মার্চ পর্যন্ত জমা টাকা থেকে মাসিক ওটিটি-র পেমেন্টও করা যাবে। কিন্তু ১৫ মার্চের পর এর জন্য অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে হবে।
পাশাপাশি ১৫ মার্চের পরেও ন্যাশনাল অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজ পরিষেবা চালু থাকবে। গ্রাহক ফোন বিল, লোন, ইএমআই ইত্যাদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিশোধ করতে পারবেন। তবে যতক্ষণ পেটিএম পেমেন্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা থাকবে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত ৯৭ শতাংশ ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে ফেরত চলে এসেছে ৷ সে ক্ষেত্রে এখনও ৩ শতাংশ নোট ফেরত আসা বাকি রয়েছে ৷ ১ মার্চ আরবিআই জানিয়েছিল ২০০০ টাকার নোট যার মূল্য প্রায় ৮৪৭০ কোটি টাকা এখনও ফেরত আসতে বাকি রয়েছে ৷
১৯ মে ২০২৩ সালে RBI ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ঘোষণা করেছিল ৷ বিজ্ঞপ্তি জারি করা জানানো হয়েছিল কী করে সাধারণ মানুষ ২০০০ টাকা জমা দিতে পারেন বা বদলে নিতে পারেন ৷ ১৯ মে ২০২৩ থেকে আরবিআই এর ১৯টি ইস্যু অফিসে ২০০০ টাকার নোট ফেরত ও বদল করা যাচ্ছিল ৷
এর পাশাপাশি দেশের যে কোনও ডাকঘরে থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের যে কোনও ইস্যু অফিসে ২০০০ টাকার নোট পাঠানোর সুবিধাও দেওয়া হয়েছিল ৷ এই টাকা ওই ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করে দেওয়া হচ্ছিল ৷
RBI-এর ১৯টি কার্যালয় আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, বেলাপুর, ভোপাল, ভুবনেশ্বর, চন্ডীগড়, চেন্নাই, গুয়াহাটি, হায়দরাবাদ, জয়পুর, জম্মু, কানপুর, কলকাতা, লখনউ, মুম্বই, নাগপুর, নয়াদিল্লি, পটনা ও তিরুঅন্ততপুরমে আছে ৷ নোট বদলের সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল ৷ পরে অবশ্য এই সময়সীমা ৭ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল ৷ ৭ অক্টোবর থেকে ব্যাঙ্কগুলি ২০০০ টাকার নোট নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল ৷
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছিল একজন ব্যক্তি ডাকঘর বা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কার্যালয়ে একবারে ২০০০০ টাকা পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোট বদলাতে পারবেন ৷
২০২৩ সালে ২০০০ টাকার নোট ফেরত দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে নোট বাতিলের সময় ২০০০ টাকার নোট প্রথমবার জারি করা হয়েছিল ৷
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানতে পারা যাচ্ছে গতকাল অর্থাৎ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, এর মধ্যে ২,০০০ টাকার নোট নিয়ে বড়সড় ঘোষণা ৯৭.৬২ শতাংশ নোট এখনও পর্যন্ত ফেরৎ নেওয়া হয়েছে ৷ প্রতীকী ছবি ৷
এখনও পর্যন্ত ২.৩৮ শতাংশ নোট জনগণের কাছে আছে ৷ যা এখনও পর্যন্ত ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ফেরৎ নেওয়া সম্ভব হয়নি ৷ প্রতীকী ছবি ৷
তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জাননো হয়েছে এই ২,০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে বৈধ থাকবে ৷ ২০১৬ সালের নভেম্বরের ৫০০, ১,০০০ টাকা বাতিল করে ২,০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে আসে ৷ প্রতীকী ছবি ৷
এরপরে গত ২৩ মে ২০২৩ ২,০০০ টাকার নোট সার্কুলেশন বা মুদ্রণ বন্ধ হয়ে যায় ৷ সেই নোট ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে আরবিআই বেশ কয়েকটি দফায় ৷ এবং চূড়ান্ত সময় সীমা ছিল গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৷ প্রতীকী ছবি ৷
কিন্তু এরপরেও ২,০০০ টাকার নোট জমা দেওয়ার দিনক্ষণ বর্ধিত করা হয় ৷ প্রতীকী ছবি ৷
Posts navigation
Just another WordPress site