ব্যবসা-বাণিজ্য Money Making Tips: SBI-এর এই স্কিমে প্রতি মাসে পেয়ে যাবেন ৫০,০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকা! আপনার করা আছে ? Gallery March 22, 2024 Bangla Digital Desk এসবিআই লাইফ স্মার্ট অ্যানুইটি প্লাস প্ল্যান গ্রাহকদের একবার অর্থ প্রদান করার এবং পূর্ব-নির্ধারিত ব্যবধানে পেনশন গ্রহণের মাধ্যমে আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করার বিকল্প প্রদান করে। এই স্কিমে প্রদত্ত বিভিন্ন বিকল্পের অধীনে মাসে ৫০,০০০ টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যেতে পারে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই স্কিমের খুঁটিনাটি। এসবিআই লাইফের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ‘এসবিআই লাইফ – স্মার্ট অ্যানুইটি প্লাস’ হল একটি স্বতন্ত্র, নন-লিঙ্কড, অ-অংশগ্রহণকারী, সাধারণ বার্ষিক স্কিম। ওয়েবসাইট অনুযায়ী এই স্কিমটি গ্রাহকদের “নিয়মিত গ্যারান্টিযুক্ত আয়ের সঙ্গে একটি চাপমুক্ত অবসর গ্রহণ করতে” সাহায্য করতে পারে। এই বার্ষিক পরিকল্পনা বিলম্বিত এবং অবিলম্বে উভয় বার্ষিক বিকল্প অফার করে। স্কিমটিতে যৌথ জীবনের বিকল্পও রয়েছে। ব্যক্তিরা ৩০ বছর বয়স থেকে তাৎক্ষণিক বার্ষিকীতে এটি সাবস্ক্রাইব করতে পারেন, বার্ষিক বিকল্পগুলির একটি পরিসর বেছে নিয়ে। একটি বিলম্বিত বার্ষিকী ৪৫ বছর বয়স থেকে উপলব্ধ। ৬০ বছর বয়স থেকে প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা এসবিআই লাইফ ওয়েবসাইট তাদের ওয়েবসাইটে একটি ক্যালকুলেটর সরবরাহ করে। যাতে গ্রাহকদের মাসিক, ত্রৈমাসিক, অর্ধ-বার্ষিক বা বার্ষিক কত টাকা দিতে হবে, সেই সম্পর্কে ধারণা পেতে সাহায্য হয় । ৬০ বছর বয়সে কেনা অবিলম্বে বার্ষিকীর অধীনে ১ লক্ষ টাকা/মাসে ক্যালকুলেটর যা দেখায় তা নিম্নে দেওয়া হল।জীবন বার্ষিক – ক্যালকুলেটর দেখায় যে একজন ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে এই বিকল্পের অধীনে স্কিম থেকে ১ লক্ষ টাকা/মাস পেতে ১,৫৫,৯২,৫১৬ টাকা দিতে হবে। ক্রয় মূল্য ফেরত সহ জীবন বার্ষিক – ক্যালকুলেটর দেখায় যে একজন ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে এই বিকল্পের অধীনে স্কিম থেকে ১ লক্ষ টাকা/মাস পেতে ১,৮৮,৩২,৩৯২ টাকা দিতে হবে৷ ব্যালেন্স ক্রয় মূল্যের রিটার্ন সহ জীবন বার্ষিকী – ক্যালকুলেটর দেখায় যে একজন ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে এই বিকল্পের অধীনে স্কিম থেকে ১ লক্ষ টাকা/মাস পেতে ১,৬০,৪০,৬৩৬ টাকা দিতে হবে। বার্ষিক ৩% সাধারণ বৃদ্ধি সহ জীবন বার্ষিকী – ক্যালকুলেটর দেখায় যে একজন ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে এই বিকল্পের অধীনে ২,০৪,১১,৬৩৫ টাকা দিতে হবে। বার্ষিক ৫% সাধারণ বৃদ্ধি সহ জীবন বার্ষিকী – ক্যালকুলেটর দেখায় যে একজন ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে এই বিকল্পের অধীনে ২,৩৫,৬১,৭৫১ টাকা দিতে হবে। ১০ বছরের নির্দিষ্ট সময়ের সঙ্গে জীবন বার্ষিকী – ক্যালকুলেটর দেখায় যে একজন ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে এই বিকল্পের অধীনে স্কিম থেকে ১ লক্ষ টাকা/মাস পেতে ১,৫৭,৭৭,০১৮ টাকা দিতে হবে। ২০ বছরের নির্দিষ্ট সময়ের সঙ্গে জীবন বার্ষিকী – ক্যালকুলেটর দেখায় যে একজন ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে এই বিকল্পের অধীনে স্কিম থেকে ১ লক্ষ টাকা/মাস পেতে ১,৬২,৩৮,১৬০ টাকা দিতে হবে। বার্ষিক ৩% চক্রবৃদ্ধি সহ জীবন বার্ষিকী – ক্যালকুলেটর দেখায় যে একজন ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে এই বিকল্পের অধীনে ২,২০,৮৩,১৮০ টাকা দিতে হবে। বার্ষিক ৫% চক্রবৃদ্ধি সহ জীবন বার্ষিকী – ক্যালকুলেটর দেখায় যে একজন ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে এই বিকল্পের অধীনে ২,৯০,২৭,৬৭৬ টাকা দিতে হবে। ৬০ বছর বয়স থেকে প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকা জীবন বার্ষিক – ক্যালকুলেটর দেখায় যে একজন ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে এই বিকল্পের অধীনে স্কিম থেকে প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকা পেতে ৭৮,০৬,৪০১ টাকা দিতে হবে। ক্রয় মূল্য ফেরত সহ জীবন বার্ষিক – ক্যালকুলেটর দেখায় যে একজন ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে এই বিকল্পের অধীনে স্কিম থেকে ৫০,০০০ টাকা/মাস পেতে ৯৪,৩০,৯৯৭ টাকা দিতে হবে।ব্যালেন্স ক্রয় মূল্যের রিটার্ন সহ জীবন বার্ষিকী – ক্যালকুলেটর দেখায় যে একজন ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে এই বিকল্পের অধীনে স্কিম থেকে ৫০,০০০ টাকা/মাস পেতে ৮০,৩১,০৫৩ টাকা দিতে হবে। বার্ষিক ৩% সাধারণ বৃদ্ধি সহ জীবন বার্ষিকী – ক্যালকুলেটর দেখায় যে একজন ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে এই বিকল্পের অধীনে ১,০২,০৫,৮১৭ টাকা দিতে হবে। বার্ষিক ৫% সাধারণ বৃদ্ধি সহ জীবন বার্ষিকী – ক্যালকুলেটর দেখায় যে একজন ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে এই বিকল্পের অধীনে ১,১৭,৮০,৮৭৬ টাকা দিতে হবে। ১০ বছরের নির্দিষ্ট সময়ের সঙ্গে জীবন বার্ষিকী – ক্যালকুলেটর দেখায় যে একজন ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে এই বিকল্পের অধীনে স্কিম থেকে ৫০,০০০ টাকা/মাস পেতে ৭৮,৯৮,৮৯৪ টাকা দিতে হবে। ২০ বছরের নির্দিষ্ট সময়ের সঙ্গে জীবন বার্ষিকী – ক্যালকুলেটরটি দেখায় যে একজন ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে এই বিকল্পের অধীনে স্কিম থেকে ৫০,০০০ টাকা/মাস পেতে ৮১,৩০,০৮১ টাকা দিতে হবে। বার্ষিক ৩% চক্রবৃদ্ধি সহ জীবন বার্ষিকী – ক্যালকুলেটর দেখায় যে একজন ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে এই বিকল্পের অধীনে ১,১০,৪১,৫৯০ টাকা দিতে হবে। বার্ষিক ৫% চক্রবৃদ্ধি সহ জীবন বার্ষিকী – ক্যালকুলেটর দেখায় যে একজন ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে এই বিকল্পের অধীনে ১,৪৫,১৩,৭৮৮ টাকা দিতে হবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য Retirement Planning: অবসর জীবন কাটান পায়ের উপরে পা তুলে, প্রতি মাসে আসবে ১ লক্ষ টাকা পেনশন Gallery February 27, 2024 Bangla Digital Desk অবসর জীবন ভাল কাটুক, এই তো আমরা সবাই চাই। তার জন্য দরকার একটা ঠিকঠাক উপার্জন প্রবাহ। অর্থাৎ এই বয়সে এসে পেনশন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। কোথায় বিনিয়োগ করলে সর্বোচ্চ লাভ বা সবচেয়ে বেশি পেনশন পাওয়া যাবে? এর একটাই উত্তর, এনপিএস বা ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম। দীর্ঘমেয়াদে এই পেনশন স্কিমের জুড়ি নেই। সরকারি তো বটেই, বেসরকারি কর্মচারীরাও এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে কিস্তিতে টাকা দিতে হয়। মেয়াদ শেষে বিনিয়োগের একটা অংশ হাতে আসে। বাকিটা ব্যবহার করা হয় পেনশন হিসেবে। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, অবসরকালীন বিনিয়োগের জন্য সেরা স্কিম এনপিএস। যত কম বয়সে শুরু করা যায় তত ভাল। তাহলে ৬০ বছর বয়সে সর্বাধিক পেনশন হাতে আসবে। সেটা কত? ঠিকঠাক বিনিয়োগ করলে এনপিএস থেকে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পেনশন পাওয়া যায়। কীভাবে মাসে ১ লাখ টাকা পেনশন: একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যাবে। ধরা যাক একজন বিনিয়োগকারী ৪০ বছর বয়সে এনপিএস স্কিমে বিনিয়োগ শুরু করলেন। তাহলে তাঁর বিনিয়োগের মেয়াদ (অবসরের বয়স ৬০ বছর ধরে) ২০ বছর। ১ লাখ টাকা মাসিক পেনশনের জন্য প্রতি মাসে ৬৬ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এতে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ১.৫৮ কোটি টাকা। বার্ষিক ১০ শতাংশ রিটার্ন ধরলে লাভ হবে ৩.৪৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০ বছর পর এনপিএস ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫.০৫ কোটি টাকা। মেয়াদপূর্তির পর মোট টাকার ৬০ শতাংশ তুলে নেওয়া যায়। অর্থাৎ ৩.০৩ কোটি টাকা একলপ্তে হাতে আসবে। বাকি পড়ে থাকবে ৪০ শতাংশ বা ২.০২ কোটি টাকা। এই টাকা থেকে ৬ শতাংশ বার্ষিক সুদ পেলে প্রতি মাসে ১.০১ লক্ষ টাকা পেনশন হাতে আসবে। এনপিএসে বেশ কিছু সুবিধা আছে। যে কোনও সময় বিনিয়োগ শুরু করা যায়। চাইলে বিনিয়োগের পরিমাণ পরিবর্তনও করতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। অন্যান্য স্কিমের তুলনায় এনপিএসে রিটার্নও অনেক বেশি। এখনও পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা বার্ষিক ৯ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত সুদ পেয়েছেন। ধারা ৮০সিসিডি(১), ৮০সিসিডি(২) এবং ৮০সিসিডি(১বি)-র আওতায় বার্ষিক ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করছাড় পাওয়া যায়।
ব্যবসা-বাণিজ্য Pension Schemes: অবসরের পর মিলবে এক লক্ষ টাকা পেনশন; জেনে নিন কীভাবে পাবেন Gallery December 22, 2023 Bangla Digital Desk ভাল থাকতে গেলে যেটা সব থেকে বেশি প্রয়োজন, তা বোধহয় টাকা। তাই লেখাপড়া শেষ করেই একজন মানুষের লক্ষ্য হয় ভাল রোজগারের পথ তৈরি করা। কিন্তু শুধু রোজগার করলেই তো হবে না। উপার্জিত অর্থ সঠিক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করে ভবিষ্যতের জন্য তহবিল তৈরি করতে হবে। যখন শরীরের শক্তি কমে আসবে তখন যাতে বিনা ক্লেশে জীবন অতিবাহিত করা যায়। বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির বাজারে শুধু সঞ্চয়ই যথেষ্ট নয়। বরং ভবিষ্যতের জন্য ভাল তহবিল তৈরি করতে গেলে লাগবে বিনিয়োগ, তাও বিচক্ষণতার সঙ্গে। সাধারণত সরকারি কর্মীরা যে পরিমাণ বেতন পান, অবসরের পর পেনশন পান তার থেকে অনেকটাই কম। কিন্তু এই সময় দাঁড়িয়ে যদি কোনও ব্যক্তি চান মাসিক এক লক্ষ টাকা পেনশন পেতে তাহলে অবসরকালীন তহবিলে তাঁকে কত টাকা জমা করতে হবে! হিসেবটা জটিল হলেও অসম্ভব নয়। দেখে নেওয়া যাক এক নজরে— ভবিষ্যতের তহবিল তৈরি করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়ক হতে পারে ন্যাশনাল পেনশন স্কিম। চাকরি জীবনের শুরু থেকেই অল্প অল্প সঞ্চয় করে যেকোনও ব্যক্তি বড় সংখ্যার তহবিল গড়ে তুলতে পারেন। বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির কথা মাথায় রেখে মাসিক এক লক্ষ টাকা আয়ের ব্যবস্থা করা জরুরি। SBI-এর পেনশন ফান্ডের NPS ক্যালকুলেটর অনুযায়ী যদি ৬০ বছর বয়সে কোনও ব্যক্তি মাসিক এক লক্ষ টাকার পেনশন চান তাহলে তাঁকে ২১ বছর বয়স থেকে বিনিয়োগ শুরু করতে হবে। তাও ১০ হাজার টাকার। এই ভাবে ৬০ বছর পর্যন্ত NPS-এ বিনিয়োগ করে যেতে পারলে জমা অঙ্ক দাঁড়াবে ৪৬.৮০ লক্ষে। এর উপর পাওয়া যাবে ১০ শতাংশ রিটার্ন। অর্থাৎ, প্রায় ৩৯ বছর পর যখন মেয়াদপূর্তি হবে তখন বিনিয়োগ মূল্য দাঁড়াবে ৫.৬২ কোটি টাকায়। এর উপর ৪০ শতাংশ অ্যানুইটি ক্রয় করতেই হবে। অর্থাৎ প্রায় ২.২৫ কোটি টাকার অ্যানুইটি থাকবে। এই হিসেব যদি বজায় রাখা যায় তাহলে একজন প্রবীণ নাগরিক এই পরিমাণ তহবিলে ৬ শতাংশ হারে প্রতি মাসে ১,১২,৪৫৮ টাকা পেতে পারেন, পেনশন হিসেবে।