বিনোদন কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার সময় সলমনের সঙ্গে ছিলেন সইফ-নীলম-টাবু-সোনালিও; তাহলে শুধুমাত্র ভাইজানই কেন লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায়? Gallery October 18, 2024 Bangla Digital Desk দীর্ঘ প্রায় ২৬ বছর ধরে একটি মামলা যেন তাড়া করে বেড়াচ্ছে বলিউড তারকা সলমন খানকে। যার জেরে তাঁকে জেল পর্যন্ত খাটতে হয়েছিল। যদিও এই শাস্তিকে যথেষ্ট বলে মনে করে না বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। ঘটনার রাত অর্থাৎ ১৯৯৮ সালের ১ অক্টোবর রাতে একা ছিলেন না সলমন। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে, টাবু এবং নীলমের মতো বলিউডের বড়সড় তারকারা। কিন্তু তা সত্ত্বেও শুধু সলমন এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরাই কেন লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানার মুখে রয়েছেন। আসলে ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হম সাথ সাথ হ্যায় ছবির শ্যুটিংয়ের সময় বড়সড় একটা ভুল করে ফেলেছিলেন সলমন খান। যার মাসুল তাঁকে গুনতে হচ্ছে দীর্ঘ ২৬ বছর পরেও। আসলে এই মামলাটি ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের। তখন ওই ছবির শ্যুটিংয়ে রাজস্থানে ছিলেন হম সাথ সাথ হ্যায় ছবির কলাকুশলীরা। সলমন এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ২টি চিঙ্কারা হরিণ এবং ৩টি কৃষ্ণসার মৃগ শিকার করার অভিযোগ উঠেছিল। অস্ত্র আইনের আওতায় সলমনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ওই বছরের ২৭-২৮ সেপ্টেম্বর রাতে জোধপুরের ঘোডা ফার্ম হাউজ এবং ভাগবড় গ্রামে হরিণ শিকারের অভিযোগ উঠেছিল সলমনের বিরুদ্ধে। এরপর ১ অক্টোবর কঙ্কনি গ্রামে ২টি কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেছিলেন অভিনেতা। এর জেরে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন মামলা হয়েছিল ভাইজানের বিরুদ্ধে। এরপর অস্ত্র আইনের আওতায় লাইসেন্সের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও দুটি রাইফেল রাখার দায়ে চতুর্থ মামলাটি হয়েছিল। তবে কঙ্কনি গ্রামের ঘটনাটিতে প্রত্যক্ষদর্শীরা আদালতে জানিয়েছেন যে, গুলির আওয়াজ শুনে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন। তাঁরা দাবি করেন যে, জিপে সলমনের সঙ্গে ছিলেন সইফ, নীলম, সোনালি এবং টাবু। তাঁরা সলমনকে উস্কে দিচ্ছিলেন। গ্রামবাসীদের দেখে হরিণের মৃতদেহ রেখে দিয়েই গাড়ি নিয়ে পালিয়েছিলেন সলমন। এদিকে আদালতে মামলার শুনানি শুরু হতেই অবশ্য নিজেদের বয়ান বদলে সেই সাক্ষীরা জানান যে, ওই ঘটনার বিষয়ে তাঁদের কিছু মনে নেই। যার জেরে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যায় মুক্তি পান অভিনেতা। যদিও মামলাটি যোধপুরের সিজেএম কোর্টে চলতে থাকে। ১৯৯৮ সালের ১২ অক্টোবর প্রথম বারের জন্য সলমনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরে অনেক ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সইফ আলি খান, নীলম, সোনালি, টাবু এবং দুশ্যন্ত সিংকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই সলমন খানের পিছনে রীতিমতো ধাওয়া করছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। যদিও ২০১৮ সালের ৭ এপ্রিল ৫০ হাজার বন্ডে জামিন পান সলমন। ওই একই দিনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
পাঁচমিশালি কালোবাজারে কৃষ্ণসার হরিণের দাম কত জানেন? এই কারণেই লরেন্স বিষ্ণোই হয়ে উঠেছেন সলমনের প্রধান শত্রু Gallery October 17, 2024 Bangla Digital Desk বলিউডের ‘দাবাং’ অভিনেতা সলমন খান। তিনি কিছু বললে বা করলেই খবর হয়। তবে এবার তাঁর খবরে থাকার কারণটা অন্য। জেল থেকে আবারও সলমন খানকে খুনের হুমকি দিয়েছেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুতর বলে মনে করছে পুলিশ। চলতি বছরের শুরুতেই সলমনকে খুনের চেষ্টা হয়। অভিনেতার বাড়ির সামনে গুলি চলে। এরপর গত সপ্তাহে সলমন ঘনিষ্ঠ এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে খুন করে বিষ্ণোই গ্যাং। এবার ফের খুনের হুমকি। এত কিছু ঘটছে একটি কৃষ্ণসার হরিণের জন্য। ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’-এর শ্যুটিং চলাকালীন সলমন খানের বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ উঠেছিল। এই নিয়ে মামলাও হয়। দীর্ঘদিন ধরে চলে মামলা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য যোধপুর আদালতে রেহাই পান তিনি। বেকসুর খালাস করা হয় সলমনকে। কিন্তু এই রায়ে লরেন্স বিষ্ণোই সন্তুষ্ট হননি। বিষ্ণোই সম্প্রদায় কৃষ্ণসার হরিণকে ঈশ্বরের সমতুল্য মনে করেন। তাই সলমন তাঁর শত্রু। কৃষ্ণসার হরিণের কালোবাজারি: কৃষ্ণসার বিরল প্রজাতির হরিণ। কালোবাজারে এর ব্যাপক চাহিদা। ফলে দামও অনেক। ভারতে কৃষ্ণসার হরিণ শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু শিকারিরা লুকিয়ে চুরিয়ে শিকার করে। এমনকী কালোবাজারে বিক্রিও হয়। কৃষ্ণসার হরিণের শরীরের প্রতিটা অংশ তো বটেই, মাংসেরও আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রেস্তোরাঁয় কৃষ্ণসার হরিণের মাংস বিপুল দামে বিক্রি হয়। ওষুধ-সহ অন্যান্য জিনিস তৈরি হয় শরীরের বাকি অংশ থেকে। কালোবাজারে কৃষ্ণসার হরিণের মাথা আর সিংয়ের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বাড়ির ড্রয়িং রুমে শিং সমেত মাথা স্টাফ করে সাজিয়ে রাখা হয়। ধনী ব্যক্তিদের কাছে এটা স্ট্যাটাস সিম্বল। শিং, নখ ও দাঁত দিয়ে বিভিন্ন ধরণের ওষুধ ও অন্যান্য সামগ্রী তৈরি করা হয়। সোজা কথায়, নিরীহ এই প্রাণীর শরীরের প্রতিটা অংশ দিয়েই হয় কিছু তৈরি হয়। নয়ত ঘর সাজানোর কাজে লাগে। কালোবাজারে কৃষ্ণসার হরিণের দাম: কালোবাজারে একটি কৃষ্ণসার হরিণের দাম ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা। শুধু শিং সমেত মাথা ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। এই কারণে মাঝেমধ্যেই কৃষ্ণসার হরিণ পাচারের খবর সামনে আসে। এদের বাঁচানো বন বিভাগের কাছেও বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়া কৃষ্ণসার হরিণের মাংসও হাজার হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। রেস্তোরাঁয় রান্নার পর তা ১০ গুণ দামে পরিবেশন করা হয়।