লাইফস্টাইল Diabetes Age Chart: ‘বয়স’ অনুযায়ী ব্লাড সুগার লেভেল কত হলে ‘পারফেক্ট’…? ফিট থাকতে জেনে নিন এখনই! দেখে নিন চার্ট Gallery July 11, 2024 Bangla Digital Desk বর্তমানে ঘরে ঘরে ক্রমশ বাড়ছে একের পর এক লাইফস্টাইল-জনিত রোগ। খুব অল্প বয়সেই মানুষ ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, হাইপারটেনশনের মতো রোগের শিকার হচ্ছেন। আজ এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাকে রক্তে শর্করার মাত্রা সম্পর্কে সেই তথ্য শেয়ার করব যা জানা প্রত্যেকের জন্যই জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন বয়সে রক্তে শর্করার মাত্রা কত হওয়া উচিত। আজকাল এমন কিছু রোগ আছে যা আগে বৃদ্ধদের হতো, কিন্তু এখন তা যে কোনও বয়সেই প্রকট হচ্ছে মানুষের মধ্যে। ঘরে ঘরে অল্প বয়সেই রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের শিকার হচ্ছেন। ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, পাটপারগঞ্জ -এর চিকিৎসক ডাঃ প্রিয়ম্বদা ত্যাগী, (কনসালটেন্ট – এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড ডায়াবেটিস) তাঁর পরামর্শে বলেন, “ডায়াবেটিস যত শরীরকে ছেঁকে ধরে ততই কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের ক্ষতি হতে শুরু করে। হৃদপিণ্ড দুর্বল হয়ে যেতে পারে, রোগী হাইপারটেনশনের শিকার হতে পারেন যার ফলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।” কিন্তু, একইসঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ, আপনার খাদ্যাভ্যাসের প্রতি যথাযথ যত্ন নিলে কিন্তু চাইলে আপনি এই মারাত্মক রোগগুলি সহজেই এড়াতে পারেন। পাশাপাশি সর্বাঙ্গীন ভাবেই এতে আপনার স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। এই প্রতিবেদনে আপনার রক্তে শর্করা সম্পর্কে এমনই কিছু জরুরি তথ্য শেয়ার করা হল। বয়স অনুযায়ী রক্তে শর্করার মাত্রা:খাবার খাওয়ার এক বা দুই ঘণ্টা পর ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের রক্তে শর্করার মাত্রা ১৪০ মিলিগ্রাম হয়। এবং যদি আপনি উপবাস করে ব্লাড সুগার লেভেল চেক করেন তবে এটি প্রতি ডেসিলিটারে ৯৯ মিলিগ্রাম হওয়া উচিত। ৪০ বছর বয়স অতিক্রম করার পরে, মানুষের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত। যাদের বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং একইসঙ্গে যদি তাঁরা ডায়াবেটিক রোগী হন, তাঁদের ক্ষেত্রে ফাস্টিং সুগারের মাত্রা ৯০ থেকে ১৩০ mg/dL হওয়া উচিত। পাশাপাশি খাবার খাওয়ার পরে সুগার লেভেল ১৪০ mg/dl এবং রাতের খাবারের পরে ১৫০ এর কম হওয়া কাম্য বলে মনে করা হয়। এর বেশি হলে তা উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন সুগার লেভেল?আপনি যদি ব্লাড সুগারের রোগী হন তাহলে ঘুম থেকে ওঠা থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত আপনার সম্পূর্ণ খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা উচিত। আপনার শারীরিক কার্যকলাপ বাড়াতে হবে। ব্যায়াম আপনার জীবনধারার একটি ‘মাস্ট’ অংশ করে নিন সময় থাকতেই। অতিরিক্ত চিনি, লবণ, কোল্ড ড্রিঙ্কস, মিষ্টি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। সেইসঙ্গে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে এমন জিনিস এড়িয়ে চলতে হবে। আপনার খাদ্যতালিকায় স্যালাড ও শাক সবজি বেশি করে অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না। শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য, জীবন ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।