Tag Archives: Bone Marrow

EIBMCT Meet 2024: বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন, পথ দেখাচ্ছে কলকাতার ইআইবিএমসিটি সম্মেলন

কলকাতা: গত বছরের মতো এবারও কলকাতায় আয়োজিত হল দু’দিন ব্যাপী ‘ইস্টার্ন ইন্ডিয়া ব্লাড, ম্যারো অ্যান্ড সেলুলার থেরাপি মিট ২০২৪’। আয়োজনে ইএইচজি (ইস্টার্ন হেমাটোলজি গ্রুপ)। এটাই পূর্ব ও উত্তর পূর্ব ভারতের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন নিয়ে সর্ববৃহৎ আলোচনা কর্মসূচি।

ইএইচজি পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের হেমাটোলজিস্ট এবং হেমাটো অনকোলজিস্টদের নিয়ে গঠিত সংগঠন। এটা সম্মেলনের দ্বিতীয় সংস্করণ। এবারের থিম হল, “পূর্ব ভারতের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের একত্রীকরণ’’ (Consolidating BMT activities in Eastern India)। চিকিৎসকদের মতে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতে এখন যথেষ্ট উন্নত পরিকাঠামো রয়েছে ৷ তাই এর জন্য অনেক বেশি টাকা খরচ করে দক্ষিণ ভারতের হাসপাতালগুলিতে বা দেশের অন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই ৷ রোগীদের সুবিধার্থে এই চিকিৎসা ব্যবস্থা যাতে এ রাজ্যে আরও উন্নত করা যায়, সেই প্রচেষ্টাই চলছে ৷

আরও পড়ুন- বইয়ের নির্বাচিত এক অংশ: ‘দিল্লির এক নবাব’

দু’দিনের সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন ২৫০-এর বেশি মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞ, হেমাটোলজিস্ট, হেমাটো অনকোলজিস্ট, মেডিক্যাল অনকোলজিস্ট, রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট, বিএমটি চিকিৎসক, নার্সিং স্টাফ, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, বিএমটি-এর সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানী ও অন্যান্য সহায়ক কর্মীদের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা এবং এনজিও-এর আধিকারিকরা। নিজেদের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা ভাগ করে নেন তাঁরা। পাশপাশি পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও আলোচনায় উঠে আসতে চলেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের প্রধান সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের প্রাক্তন সচিব ডা. কৌস্তভ নায়েক, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের স্বাস্থ্য পরিষেবা পরিচালক ডা. সিদ্ধার্থ নিয়োগী, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক এবং ইআইবিএমসিটি-এর অর্গানাইজিং সচিব অধ্যাপক ডা. রাজীব দে, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. পীতবরণ চক্রবর্তী, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান ডা. তুফান কান্তি দলুই, ইস্টার্ন হেমাটোলজি গ্রুপ এবং ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ হেমাটোলজি অ্যান্ড ব্লাড ট্রান্সফিউশনের প্রেসিডেন্ট ডা. শর্মিলা চন্দ্র, ইস্টার্ন হেমাটোলজি গ্রুপ (ইএইচজি) এবং ইন্ডিয়ান কলেজ অফ হেমাটোলজির সেক্রেটারি ডা. রবীন্দ্র কুমার জেনা এবং ACTREC, TMH মুম্বইয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. নবীন খাট্টি।

আরও পড়ুন- পাসপোর্ট র‍্যাঙ্ক তালিকায় ৮২ নম্বরে ভারত, কোন ৫৮টি দেশে ‘ভিসা ফ্রি’ ভ্রমণের সুযোগ ভারতীয়দের? জেনে নিন

এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক এবং ইআইবিএমসিটি-এর অর্গানাইজিং সচিব অধ্যাপক ডা. রাজীব দে (Prof. (Dr.) Rajib De, Professor, Department of Haematology, NRS Medical College & Organising Secretary, EIBMCT Meet 2024) বলেন, “পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে অংশ গ্রহণকারী সমস্ত সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই। গত বছর পূর্ব ভারতে অভূতপূর্ব সাফল্য পাওয়ার পর আমরা এই বছর সম্মেলনকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি। ২ দিনের সম্মেলন এবং ওয়ার্কশপে বেশ কয়েকটি নতুন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে বিএমটি, ট্রান্সপ্লান্ট সংক্রান্ত জটিলতা, সিএআর-টি সেল থেরাপি, তহবিল সংগ্রহ, স্টেম সেল এই অঞ্চলে বিএমটি-দের জন্য রেজিস্ট্রি এবং ডেডিকেটেড সেশন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ছাড়াও বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টকে আরও সহজ করতে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি।’’

সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “আমরা জানি, লিউকোমিয়া, ব্লাড ক্যানসার, থ্যালাসেমিয়ার মতো প্রাণঘাতী হেমাটোলজি ডিজঅর্ডারও অ্যাপ্ল্যাস্টিক অ্যানিমিয়ার মতো অন্যান্য জিন বাহিত রক্তের রোগের নিরাময়যোগ্য চিকিৎসা হল বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট। পূর্ব ভারতের কয়েকটি কেন্দ্রেই এই চিকিৎসা হয়। আইবিএমসিটি-এর বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের উপর সম্মেলন বিপ্লব নিয়ে আসবে বলেই আমার বিশ্বাস। আশা করি এই সম্মেলন বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে। ভারতের এবং এই অঞ্চলের রোগীরা আরও ভাল চিকিৎসা পাবেন।’’

সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, অসম এবং ছত্তিশগড়ের ১৩টি বিএমটি সেন্টার অংশ নিয়েছিল। তারা হল – ১) এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, কলকাতা; ২) IHTM-মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতা; ২) টাটা মেডিক্যাল সেন্টার, কলকাতা; ৪) অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল, কলকাতা; ৫) নারায়ণ সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল, হাওড়া; ৬) সরোজ গুপ্ত ক্যানসার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, কলকাতা; ৭) HCG EKO ক্যানসার সেন্টার, কলকাতা; ৮) SCB মেডিক্যাল কলেজ, কটক; ৯) IMS এবং SUM হাসপাতাল, ভুবনেশ্বর; ১০) পারস এইচএমআরআই হাসপাতাল, পটনা; ১১) গৌহাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, গুয়াহাটি; ১২) ভুবনেশ্বর বড়ুয়া ক্যানসার ইনস্টিটিউট, গুয়াহাটি ১৩) বাল্কো মেডিকেল সেন্টার, রায়পুর।

Sibling Love: ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে ক্যানসার আক্রান্ত দাদাকে সুস্থ করতে অস্থিমজ্জা দান করে ছোট্ট ভাই আজ সুপারহিরো

বড় ভাই যুদ্ধ করছে ক্যানসারের সঙ্গে। দাদাকে বাঁচাতে অস্থিমজ্জা দান করল ছোট ভাই। আমেরিকার এই দুই ভাই প্রেস্টন এবং ক্যামেরন পিপকিন্স এখন সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার শীর্ষে। অস্ত্রোপচারের আগে তাদের আলোচনা মন জয় করে নিয়েছে নেটিজনেদের। ঘটনাচক্রে ভালবাসার দিন ১৪ ফেব্রুয়ারিতে ভাই ক্যামেরনের কোষ থেকে অস্থিমজ্জা গ্রহণ করেছে দাদা, প্রেস্টন।

অ্যাকিউট মাইলয়েড লিউকেমিয়াতে আক্রান্ত প্রেস্টনের কাছে ভাইয়ের অস্থিমজ্জা এখন জীবনদায়ী। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ভাইকে বাস্তব জীবনের সুপারহিরো বলেছে দাদা, প্রেস্টন।

আরও পড়ুন :  সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল! বিশ্বে একটিমাত্র জায়গাতেই পাওয়া যায় এই বেগুনি মধু, জানুন কোথায়

দাদার কথা অবশ্য সহজে মানতে নারাজ ভাই ক্যামেরন। একরত্তি বলেছে, “ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে মানে এই নয় যে আমি তোমাকে বাঁচিয়েছি।” ভাইয়ের কথা শুনে তার অবদান মনে করিয়ে দেয় দাদা। বলে, “আমার শরীরে বোনম্যারো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তার কারণ ক্যানসার। তুমি আমাকে বোনম্যারো দিয়েছো। তাই, এটাই ঠিক যে তুমি আমার জীবন রক্ষা করেছ।”

 

 

View this post on Instagram

 

A post shared by ????????? ???? (@majicallynews)

এর পর ভাইকে বুঝিয়ে দেয় দাদা। বলে কীভাবে বোনম্যারো অপারেশন করা হয়। এই অস্ত্রোপচারে কী হবে, সেটাও বলে দাদা প্রেস্টন। বার বার বলতে থাকে ছোট্ট ভাই-ই তাঁর জীবনের সুপারহিরো। দুই একরত্তি মনে করিয়ে দিল ১৪ ফেব্রুয়ারি শুধু প্রেমের দিনই নয়। সেটা জাতীয় অঙ্গদান দিবসও।