লাইফস্টাইল Breastfeeding: ৬ মাস, ২ বছর নাকি ৫ বছর? শিশুকে কতদিন মাতৃদুগ্ধ পান করানো উচিত? বন্ধই বা কবে করবেন? বড় ভুল ভাঙলেন চিকিত্সক Gallery August 6, 2024 Bangla Digital Desk শিশুর জন্মের পর শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করানো অত্যন্ত জরুরি। নবজাত শিশুর স্বাস্থ্য এবং বিকাশের জন্য মাতৃ-দুগ্ধের কোনও বিকল্প হয় না। কিন্তু কতদিন শিশুকে দুধ খাওয়ানো উচিত? এই প্রশ্ন অনেক নতুন মায়েদের মনেই ঘুরপাক খায়। এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলেন বিশিষ্ট চিকিত্সক। অনেক মা তার সন্তানকে জন্মের পর থেকে ৬ মাস মাতৃদুগ্ধ পান করান। কেউ কেউ আবার সন্তানের বয়স ৩-৪ বছর হওয়া পর্যন্ত সন্তানকে দুগ্ধ পান করান। কিন্তু সন্তানের বয়স কত হওয়া পর্যন্ত স্তনদুগ্ধ পান করানো উচিত? কত বয়স পর্যন্ত শিশু মায়ের দুধ খেলে তার স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। নিউ দিল্লির ফোর্টিস লা ফেম হাসপাতালের ল্যাক্টেশন কনসালটেন্ট ডাঃ অনিতা শর্মা জানালেন এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর। প্রত্যেক মায়ের অবশ্যই জানা দরকার সন্তানকে দুগ্ধ পান করানোর সঠিক বয়স। এতে মা এবং সন্তান, দু’জনেরই স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। ডাঃ শর্মা জানালেন, শিশুর জন্মের ১ ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করা উচিত। শিশুর জন্মের পর তাকে ৬ মাস পর্যন্ত তাকে কেবলমাত্র মাতৃদুগ্ধই পান কারনো দরকার। ৬ মাস পর্যন্ত শিশুদের জল খাওয়ানোও উচিত নয়। ডব্লিউএইচও-এর পরামর্শ অনুযায়ীও ৬ মাস পর্যন্ত শিশুদের কেবলমাত্র মায়ের স্তনদুগ্ধ পান করানোই শ্রেয়। তবে তারপরেই কী বন্ধ করে দেওয়া উচিত শিশুকে দুধ খাওয়ানো? চিকিত্সক অবশ্য সে পরামর্শ দিচ্ছেন না। চিকিত্সকের মতে, ৬ মাস পর থেকে শিশুদের ধীরে ধীরে শক্ত খাওয়ারের সঙ্গে পরিচিত করানো উচিত। যাকে পরিপূরক খাবারও বলা হয়। তবে মাতৃদুগ্ধ একেবারে বন্ধ করার প্রয়োজন নেই। ডাক্তার অনিতা বলেছেন যে, শিশুর বয়স ২ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত শিশুকে দুগ্ধ পান করানো যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে। সেইসঙ্গে সন্তানকে দুগ্ধ পান করানোর সময়কালে মায়ের খাওয়ারের দিকেও নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি।