খেলা, পাঁচমিশালি General Knowledge: খেলোয়াড়রা খেলার সময় চ্যুইংগাম চিবোয় কেন বলুন তো? ভাবছেন শখ করে! আসল কারণ জানলে বিশ্বাসই হবে না Gallery October 27, 2024 Bangla Digital Desk ক্রিকেট খেলা দেখতে গিয়ে একটি ব্যাপার হয়তো অনেকেই খেয়াল করেছেন চ্যুইংগাম চেবাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। শুধু ক্রিকেটাররাই নয়, ফুটবলার বা অন্যান্য যে কোনও খেলার সঙ্গে যুক্ত খেলোয়াড়দের দেখা যায় চ্যুইংগাম চিবোতে। কখনও ভেবে দেখেছেন কেন খেলোয়াড়রা এত বেশি চ্যুইংগাম চিবোয়? চ্যুইংগামের সঙ্গে খেলার সম্পর্কটা ঠিক কী? কেন খেলতে মাঠে নামলে মুখে চ্যুইংগাম রাখেন খেলোয়াড়রা? এর পেছনে কোনও বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে? সায়েন্স এবিসি ওয়েবসাইটের রিপোর্ট অনুযায়ী, চুইংগাম এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতার মধ্যে অনেক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা যখন কিছু চিবিয়ে থাকি তখন আমাদের মুখের রিসেপ্টরগুলো স্বাদ অনুভব করে। পাশাপাশি চোয়ালের নড়াচড়ার কারণে চাপও অনুভব করে মুখের রিসেপ্টরগুলি। যার কারণে এই রিসেপ্টরগুলি অবিলম্বে মস্তিষ্কে সংকেত পাঠাতে শুরু করে। এর পরে মস্তিষ্ক এই সংকেতগুলিকে ডিকোড করে। ডিকোডিংয়ের এই প্রক্রিয়া মস্তিষ্ককে আরও সক্রিয় করে। ফলে ব্যক্তি আরও মনোযোগ দিতে এবং মনোনিবেশ করতে সক্ষম হয়। রক্তের চাহিদা বেশি থাকায় হৃৎপিণ্ড দ্রুত স্পন্দন শুরু করে। এভাবে মাংসপেশিতেও রক্তসরবরাহ বৃদ্ধি পায়। ফলে চ্যুইংগামের সঙ্গে মস্তিস্কের কার্যকারিতার একটি সম্পর্ক রয়েছে। খেলার জন্য ঠিক যতখানি প্রয়োজন দৈহিক সক্ষমতা, ততখানিই প্রয়োজন মানসিক স্থিরতা। একাগ্রতা এবং খেলায় মনোনিবেশ করতে পারলেই ভাল খেলা সম্ভব, সারা বিশ্বের প্রচুর খেলোয়াড়রাই বারবার স্বীকার করেছেন একথা। খেলোয়াড়রা খেলার সময় যখন চ্যুইংগাম চিবোলে মনোযোগ বাড়ে। হৃৎপিণ্ড দ্রুত স্পন্দন শুরু করে, যার কারণে পেশীগুলি বেশি করে রক্তক্ষরণ করতে সক্ষম হয়। শুধু তাই নয়, চ্যুইংগাম চিবোনোর কারণে দেহের ক্লান্তি দূর হয়। চুইংগামও স্ট্রেস লেভেল কমায়। চুইংগাম সেরোটোনিন নামক হরমোন নিঃসরণ করে যা মস্তিষ্ককে শিথিল করে। চুইংগাম মুখ ভেজা রাখে তাই খুব বেশি পিপাসা লাগে না।(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
লাইফস্টাইল Chewing Gum: কচকচ করে চিবিয়ে খান! কোন গাছের জমা রস দিয়ে তৈরি চুইং গাম? ৯৯ শতাংশ মানুষই জানেন না Gallery October 9, 2024 Bangla Digital Desk সময় কাটানো থেকে শুরু করে মুখের দুর্গন্ধ নিরাময়, অবসর সময় কিংবা খেলার সময় শিশু-কিশোরদের কাছে অতি পরিচিত একটি খাবার চুইংগাম। খেলোয়াড়েরা খেলার বা অনুশীলনের সময় যেন গলা শুকিয়ে না যায়, সেটি নিশ্চিত করতে প্রায়শই চুয়িংগাম চিবিয়ে থাকেন। শহর থেকে গ্রামের প্রতিটি দোকানেই দেখা মেলে চুইংগামর। এই চুইংগামের ইতিহাস কিন্তু সুদূরপ্রসারী। প্রাচীনকাল থেকে চুইংগামের ব্যবহার হয়ে আসছে। আজ থেকে প্রায় কয়েক হাজার বছর আগে, উত্তর ইউরোপের অদিবাসীরা এক ধরনের গাছের ছাল চিবাতেন। তবে মূলত দাঁতের ব্যথা এবং সুস্বাদুর জন্যই গাছের ছাল চিবাতেন বলে জানা যায়। আমেরিকা মহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস ও চুইংগামের কথা জানা যায়। সাপোডিল্লা নামে এক প্রজাতির গাছের উৎপন্ন এক ধরনের জমে যাওয়া রস চিবাতেন বলে জানা যায়। আর এভাবেই চুইংগামের ভাবনা মাথায় আসে। এই স্যাপোডিল্লা গাছের নির্যাস থেকে পরবর্তীতে বাণিজ্যিকভাবে চুইংগাম তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়। সর্বপ্রথম ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে জন কার্টিস নামের একজন ব্যক্তি চুয়িং গাম শিল্পের সুচনা করেন ১৮৪০ সালের দিকে। নিউ ইয়র্কের থমাস আাডামস নামের একজন ব্যক্তি স্যাপোডিল্লা গাছের নির্যাস থেকে উৎপাদিত চুইংগাম বাণিজ্যিকভাবে তৈরির জন্য ব্যবসা শুরু করেন। আর এর পর ধীরে ধীরে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে পড়ে চুইংগাম।