কলকাতা শুধুই কী জ্বর! আর কী কী দেখে বুঝবেন ডেঙ্গির লক্ষণ! জানলেন চিকিৎসক Video July 30, 2024 Bangla Digital Desk
লাইফস্টাইল Dengue Symptoms: শুধু জ্বর নয়, শারীরিক এই লক্ষণগুলিও কিন্তু ডেঙ্গির উপসর্গ! সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞ Gallery July 29, 2024 Bangla Digital Desk প্রতি বছর বর্ষার সময় ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়।এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে ডেঙ্গি জ্বরের উৎপত্তি। ডেঙ্গি জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনও ব্যক্তিকে কামড়ালে, সেই ব্যক্তি ৪ থেকে ৬ দিনের মধ্যে ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত হয়। ( প্রতিবেদন: জুলফিকার মোল্যা) এবার এই আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনও জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে, সেই মশাটিও ডেঙ্গি জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গি ছড়িয়ে থাকে। মূলত, জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, বিশেষ করে বর্ষার সময়টাতেই ডেঙ্গি জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে। তবে কেউ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা সহজে বুঝবেন কীভাবে! ডেঙ্গি আক্রান্ত ব্যক্তির কী কী লক্ষণই বা দেখা যেতে পারে। তা নিয়ে বিস্তারিত জানালেন বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-২ অনুপম ভট্টাচার্য। সাধারণত শহর অঞ্চলে অভিজাত এলাকায়, বড় বড় দালান কোঠায় এই মশার প্রাদুর্ভাব বেশি, তাই ডেঙ্গি জ্বরও এই এলাকার বাসিন্দাদের বেশি হয়। বস্তিতে বা গ্রামে বসবাসরত লোকজনের ডেঙ্গি তুলনামূলক কম হয়। ডেঙ্গি জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর ও সেই সঙ্গে সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়ে থাকে। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমড়, পিঠ সহ অস্থি সন্ধি এবং মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পিছনে ব্যথা হয়। অনেক সময় ব্যথা এত তীব্র হয় যে মনে হয় বুঝি হাড় ভেঙে যাচ্ছে। জ্বর হওয়ার ৪ বা ৫ দিনের সময় সারা শরীরজুড়ে লালচে দানা দেখা যায়, যাকে বলা হয় স্কিন র্যাশ, অনেকটা এলার্জি বা ঘামাচির মতো। এর সঙ্গে বমি বমি ভাব, এমনকি বমি হতে পারে। রোগী অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করে এবং রুচি কমে যায়। সাধারণত ৪ বা ৫ দিন জ্বর থাকার পর তা এমনিতেই চলে যায় এবং কোন কোন রোগীর ক্ষেত্রে এর ২ বা ৩ দিন পর আবার জ্বর আসে। ডেঙ্গি জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গের পাশাপাশি আরও যে সমস্যাগুলো হয়, তা হল- শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত পড়া শুরু হয়, যেমন চামড়ার নীচে, নাক ও মুখ দিয়ে, মাড়ি ও দাঁত থেকে, কফের সঙ্গে, রক্তবমি, মলের সঙ্গে তাজা রক্ত বা কালো পায়খানা, চোখের মধ্যে এবং চোখের বাইরে, মহিলাদের অসময়ে ঋতুস্রাব অথবা রক্তক্ষরণ শুরু হলে অনেকদিন পর্যন্ত রক্ত পড়তে থাকা ইত্যাদি। তিন চার দিন জ্বর বা জ্বরের সঙ্গে এই রকম কিছু লক্ষণ দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না হলে এই জ্বর প্রাণঘাতী হতে পারে।