Tag Archives: Director death

Bollywood Filmmaker Death: সব ঠিক ছিল… হঠাৎ সংক্রমণে জীবনে ইতি! চলে গেলেন জনপ্রিয় পরিচালক, রীতেশ-তুষারের চোখে জল!

মুম্বই: চলে গেলেন বলিউডের একাধিক জনপ্রিয় ছবির নির্মাতা। আজ, বুধবার, ৮ মে প্রয়াত হলেন বলি পরিচালক সঙ্গীত শিবান। ৬১ ​​বছর বয়সে আচমকাই পথচলা শেষ। যদিও তাঁর মৃত্যুর কারণ প্রকাশ করা হয়নি। তবে দাবি করা হয়েছে, কোনও সংক্রমণের কারণে শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়েছিল।

মালয়ালম ছবির জগতে অঢেল কাজ করেছেন সঙ্গীত। তবে কয়েকটি হিন্দি ছবিও বানিয়েছেন তিনি। সুপারস্টার মোহনলালের সঙ্গে কাল্ট ফিল্ম ‘যোদ্ধা’র জন্য পরিচিত ছিলেন। হিন্দিতে তিনি ‘কেয়া কুল হ্যায় হাম’, ‘আপনা সপনা মানি মানি’ এবং ‘ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা ২’ পরিচালনা করেছিলেন।

আরও পড়ুন: বৈশাখ অমাবস্যায় সর্বার্থ সিদ্ধির সঙ্গে আরও কত বিরল যোগ! আজ থেকেই ৩ রাশির ভাগ্যে অবিশ্বাস্য বদল, বলছেন অযোধ্যার জ্যোতিষী

সিভানের অকাল মৃত্যুর খবরে দুই ইন্ডাস্ট্রি শোকস্তব্ধ। শিভানের সঙ্গে ‘কেয়া কুল হ্যায় হাম’ এবং ‘আপনা সপনা মানি মানি’তে কাজ করেছিলেন বলি তারকা রীতেশ দেশমুখ। সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচালকের ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘সঙ্গীত শিভান স্যর আর নেই জেনে গভীরভাবে মর্মাহত। একজন নবাগত হিসাবে আপনি চাইবেন, কেউ আপনাকে বিশ্বাস করে একটি সুযোগ দিন, ‘কেয়া কুল হ্যায় হাম’ এবং ‘আপনা সপনা মানি মানি’-র জন্য তাঁকে ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করতে পারি না। মৃদুভাষী, ভদ্র এবং একজন চমৎকার মানুষ। তাঁর পরিবার এবং প্রিয়জন, তাঁর স্ত্রী, সন্তান, ভাইদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। খুব মিস করব দাদা। আর আপনার ওই ছোঁয়াচে হাসিটিকেও।’

অভিনেতা তুষার কাপুরও লিখেছেন, ‘আমার মনের ভিতরে এখন কী চলছে. তা বর্ণনা করার মতো শব্দ নেই। এক পরামর্শদাতা, যিনি আমাকে ‘কেয়া কুল হ্যায় হম’ দিয়ে কমেডির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি আর নেই! সঙ্গীতজি, সম্প্রতি আপনার সঙ্গে আবার কাজ করার সম্মান পেয়েছিলাম। কিন্তু এই দুঃসংবাদের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে আমার সময় লাগবে। স্যার আপনাকে মিস করব।’

শিভানের পরিবারের তরফে এখনও মৃত্যু নিয়ে বিবৃতি জারি করা হয়নি। ২০১৯ সালে পরিচালকের শেষ কাজ। ‘ভ্রম’ নামে একটি ওয়েব সিরিজ দিয়ে ওটিটি-তে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। সিরিজটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন কল্কি কেঁকলা।

Director Death: অকালে চলে গেলেন জনপ্রিয় পরিচালক, শেষরক্ষা আর হল না! শোকস্তব্ধ বিনোদন মহল

তিরুবন্তপুরম: বিনোজন জগতে ফের দুঃসংবাদ ৷ প্রতিদিনই যেন কেউ না কেউ একে একে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন৷ বছরের শুরু থেকেই চলছে মৃত্যু মিছিল৷ প্রয়াত হলেন মালায়ালম পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার হরিকুমার৷

দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসার বাসা বেঁধেছিল শরীরে৷ মারণ রোগের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল কঠিন লড়াই৷ তবে কোনওভাবেই আর শেষরক্ষা হল না৷ সোমবার সন্ধেবেলায় তিরুবন্তপুরমের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পরিচালক হরিকুমার৷

আরও পড়ুন-  অসহ্য নরকযন্ত্রণা! বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না…! দিনে ৩০টি করে ওষুধ খেতেন এই নায়িকা, মনে হয়েছিল জীবনটাই শেষ, তারপর…

সালটা ১৯৮১৷ আম্বাল পুভু-ছবি দিয়ে পরিচালনায় হাতেখড়ি পরিচালকের৷ তারপর থেকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত মোট ১৮ টি ছবি পরিচালনা করেন৷ ১৯৯৪ সালে সুকৃতাম ছবির জন্য সমালোচকদের প্রশংসা পান৷ শুধু তাই নয়, শ্রেষ্ঠ মালায়ালম ছবি হিসেবে জাতীয় পুরস্কার জিতে নেন পরিচালক৷ হরিকুমার মৃত্যুতে শোকের ছায়া পড়েছে বিনোদন জগতে৷

Producer Death: চলে গেলেন প্রখ্যাত প্রযোজক-পরিচালক! অটোইমিউন রোগে সব শেষ, বিনোদন জগতে শোকের ছায়া

মুম্বই: চলে গেলেন সুনীল শর্মা। গত ৩০ এপ্রিল প্রয়াত বিখ্যাত প্রযোজক। ৭৭ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন প্রযোজক। রেখে গেলেন স্ত্রী ও দুই মেয়েকে। চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া।

আরও পড়ুন: ৮৮ বছরে আবার বিয়ে ধর্মেন্দ্রর? পা পর্যন্ত লম্বা মালা গলায় বর্ষীয়ান অভিনেতার ছবি ভাইরাল!

ছবি প্রযোজনার পাশাপাশি তিনি পরিচালনার জগতেও পা রাখেন। বহু বছর আগে তিনি ঋষি কাপুর অভিনীত একটি ছবি পরিচালনার দায়িত্ব নেন। কিন্তু সেই ছবি কখনও বানানো হয়নি।

‘হাতিয়ারা’ এবং ‘হিরাসাত’ প্রযোজনা করে সুখ্যাতি পেয়েছিলেন সুনীল। ছবিগুলির পরিচালক ছিলেন সুরেন্দ্র মোহন। মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, বিনোদ খান্না, রাকেশ রোশন এবং নিরূপা রায়কে নিয়ে ১৯৭৭ সালে ‘হাতিয়ারা’ বানিয়েছিলেন সুনীল। ‘হিরাসাত’ মুক্তি পায় ১৯৮৭ সালে। এই ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তী, শত্রুঘ্ন সিনহা, হেমা মালিনী এবং অনিতা রাজের মতো তারকাদের দেখা গিয়েছিল।

Hiran Death: অকালে চলে গেলেন পরিচালক হিরণ, দরজা ভাঙতেই সব শেষ…! মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি

ঢাকা: বিনোদন জগতে আবারও দুঃসংবাদ৷ একের পর এক খারাপ খবর ভারাক্রান্ত সকলের মন৷ সাতসকালেই ফের মৃত্যুসংবাদ৷ অকালে চলে গেলেন তরুণ চলচ্চিত্র পরিচালক আবু তাওহীদ হিরণ৷ গতকাল ভোরে রাজধানীর ৩০ নিউ ইস্কাটনের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তরুণ পরিচালক৷

‘আদম’ সিনেমার পরিচালক হিরণকে ঢাকার মগবাজারের ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে৷ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ফ্ল্যাটের কেয়ারটেকার গাজী নজরুল এবং হিরণের প্রতিবেশী ইকরাম৷ ঠিক কী হয়েছিল পরিচালকের৷ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ভোরে নিরাপত্তরক্ষীকে ফোন করে হিরণ জানান, তাঁর স্ট্রোক হয়েছে৷ তারপরই নজরুল ছুটে যান তাঁর ঘরে৷ কিন্তু ঘর বন্ধ থাকায় তিনি ঘরে ঢুকতে পারেন না৷

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

অবশেষে প্রতিবেশীদের সাহায্য নিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন নজরুল৷ কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ৷ মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় হিরণকে৷ তরুণ পরিচালকের মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিচালক বন্ধন বিশ্বাস, ডিরেক্টরস গিল্ডের নেতা কামরুজ্জামান সাগর-সহ আরও অনেকেই হিরণের বাড়িতে গেছেন।

এই মগবাজারের ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন হিরণ। পরিচালকের গ্রামের বাড়ি খুলনার খালিশপুরে। তাঁর এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিনোদন জগতে৷ উল্লেখ্য, ‘রং রোড’ নামে আরও একটি সিনেমার কাজ শুরু করেছিলেন হিরণ, ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায় ছিল।

Gangu Ramsay Death: অকালে চলে গেলেন বলিউডের বিখ্যাত চিত্রগ্রাহক-পরিচালক, কিংবদন্তির মৃত্যুতে বড় ক্ষতি! বিনোদন জগতে শোকের ছায়া

মুম্বই: সময়টা মোটেই ভাল যাচ্ছে না৷ আবারও এক দুঃসংবাদ বিনোদন জগতে৷ আচমকা প্রয়াত হলেন বলিউডের জনপ্রিয় সিনেমাটোগ্রাফার গাঙ্গু রামসে৷ গতকাল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘বীরানা’ খ্যাত বিখ্যাত চিত্রগাহক৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর৷

দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি৷ শারীরিক নানা সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছিলেন গাঙ্গু রামসে৷ মৃত্যুর আগের একমাস পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে৷ তারপর তড়িঘড়ি করে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়৷ হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি৷ বলিউডের জনপ্রিয় এই চিত্রগ্রাহকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ফিল্ম ইন্ডাস্টিতে৷

আরও পড়ুন-   শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

সময়টা ছিল ৭০-৮০ দশক৷ মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে হরর ফিল্ম মানেই ছিল রামসে ব্রাদার্স৷ তাদের মধ্যেই অন্যতম একজন ছিলেন গাঙ্গু রামসে৷ যার ক্যামেরার কাজ মুগ্ধ করেছে দর্শকদের৷ তার মধ্যে ১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া সবচেয়ে চর্চিত ছবি ছিল ‘বীরানা’৷

একাধিক হরর ছবি ‘পুরানা মন্দির’, ‘বন্ধ দরওয়াজা’, ‘বীরানা’, ‘খোঁজ’, ‘পুরানি হাভেলি’, ‘খোঁজ’-এর মতো একাধিক ছবিতে নিজেদের ছাপ রেখেছেন৷ নব্বইয়ের দশকে হরর ছবি মানেই ‘রামসে ব্রাদার্স’ ভীষণ ভাবে জনপ্রিয় ছিল৷ শুধু সিনেমাতেই নয়, টেলিভিশনে ছাপ রেখেছেন তিনি৷ একাধিক হরর শো ‘দ্য জি হরর শো’, ‘স্যাটারডে সাসপেন্স’, ‘এক্স জোন’, ‘নাগিন’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ শো রয়েছে তালিকায়৷

Director Surya Death: চলে গেলেন ‘বিগ বস’ খ্যাত তারকা! জন্ডিসের করাল থাবায় ৫০-এই থেমে গেল পরিচালকের পথচলা

চেন্নাই: প্রয়াত পরিচালক সূর্য কিরণ। তেলুগু ইন্ডাস্ট্রিতে শিশু অভিনেতা এবং পরিচালক চেন্নাইতে নিজের বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন গত ১১ মার্চ। জানা গিয়েছে, জন্ডিসের কারণে সূর্যকিরণের মৃত্যু হয়েছে। কেরলের বাসিন্দা কিরণ। ৪৮ বছরের কিরণের শেষ ছবি ‘আরাসি’ শীঘ্রই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। অভিনয় করেছেন ভারালক্ষ্মী শরৎকুমার।

‘সত্যম’ এবং ‘ধানা ৫১’-এর মতো ছবি বানিয়ে সুখ্যাতি অর্জন করেন। ‘বিগ বস তেলুগু’-তেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সূর্য কিরণ তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একটি জনপ্রিয় নাম ছিল।

১৯৭৮ সালে মালয়ালম ছবি ‘স্নেহিখান ওরু পেন্নু’ দিয়ে শিশু অভিনেতা হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। তারপরে তিনি ২০০টিরও বেশি ফিচার ছবিতে কাজ করেন। কিরণ তেলুগু ছবি ‘সত্যম’ দিয়ে পরিচালনায় পা রাখেন।

আরও পড়ুন: কেউ নিল ট্রফি, কেউ জনপ্রিয়তা! আজ ২০ বছর পর কার বেশি সম্পত্তি? রাহুল বৈদ্য-অভিজিৎ সাওয়ান্তের পারিশ্রমিকের ব্যবধানে চমকে উঠবেন

পরে তিনি ‘ব্রহ্মাস্ত্রম’ (২০০৬), ‘রাজু ভাই’ (২০০৭) এবং ‘অধ্যায় ৬’ (২০১০)-সহ আরও কয়েকটি ছবি পরিচালনা করেন। সূর্য কিরণ তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একটি জনপ্রিয় নাম ছিল। কিরণের ছোট বোন সুজিতা ধনুষও একজন অভিনেত্রী। অভিনেত্রী কল্যাণীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সূর্যের। কিন্তু তাঁরা তাড়াতাড়িই আলাদা হয়ে যান।

Kumar Sahani Passes Away: প্রয়াত কিংবদন্তি পরিচালক কুমার সাহানি! সমান্তরাল ছবির অন্যতম পথিকৃতের জীবনাবসান কলকাতায়

কলকাতা: চলে গেলেন কুমার সাহানি। ভারতে নবতরঙ্গ বা সমান্তরাল ছবির অন্যতম পথিকৃত বললে অত্যুক্তি হবে না। ৮৩ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন ‘মায়া দর্পন’, ‘তরঙ্গ’ ছবির পরিচালক।

কিংবদন্তি পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের অন্যতম প্রিয় ছাত্র ছিলেন তিনি। কলকাতাতেই মৃত্যু হয়েছে কুমার সাহানির। গতকাল রাতে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হন পরিচালক। গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন তিনি।

১৯৪০ সালে জন্ম কুমার সাহানির। পুণে ফিল্ম ইনস্টিটিউট (এফটিআইআই) থেকে চলচ্চিত্র নিয়েই পড়াশোনা তাঁর। ১৯৬৯ সালে বিখ্যাত ফরাসি পরিচালক রবার্ট ব্রেসনের ‘এ জেন্টল ক্রিয়েচার’ ছবিতে তাঁকে অ্যাসিস্ট করেছিলেন। পরিচালক প্যাসোলিনি এবং আন্দ্রেই তারকভস্কির সঙ্গে কুমার সাহানির ছবি তুলনা করা হত কারণ তিনি সেই ফর্মালিস্ট ছবির ধারা অনুসরণ করেছিলেন।

‘মায়া দর্পণ’, ‘তরঙ্গ’, ‘খেয়াল গাথা’, ‘কসবা’ এবং ‘চার অধ্যায়’ তাঁর বিখ্যাত ছবিগুলির মধ্যে কয়েকটি। কেবল নির্দেশক নন, কুমার সাহানি উচ্চপ্রশংসিত সাহিত্যিকও। তাঁর ‘দ্য শক অফ ডিজায়ার অ্যান্ড এসেস’-এর মতো কাজগুলি থেকে যাবে। তিনি চলে গেলেও তাঁর কাজ আগামী আরও একাধিক প্রজন্মের পরিচালকদের অনুপ্রাণিত করে চলবে যুগের পর যুগ।

Director Raj Kumar Kohli Death: দরজা ভেঙে উদ্ধার নিথর দেহ! চলে গেলেন পরিচালক রাজ কুমার, নায়ক আরমান-পিতার জীবনাবসান

মুম্বই: প্রয়াত পরিচালক রাজ কুমার কোহলি। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আজ, শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা আরমান কোহলির বাবা। আরমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিজয় গ্রোভার এই দুঃসংবাদটি নিশ্চিত করেছেন। আজই সন্ধ্যায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে রাজ কুমার কোহলির।

আরও পড়ুন: ছাপিয়ে গেল কলকাতাকেও! গুয়াহাটিতে অরিজিতের শো-এর টিকিটের সর্বোচ্চ মূল্য শুনে আঁতকে উঠবেন

জানা গিয়েছে, আজ সকালে স্নান করতে গিয়েছিলেন রাজ কুমার। কিন্তু অনেকক্ষণ বেরচ্ছেন না দেখে সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। সূত্রের খবর, ছেলে আরমান তখন বাথরুমের দরজা ভেঙে ফেলতে বাধ্য হন। দেখেন, তাঁর বাবা বাথরুমের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। হাসপাতালেই চিকিৎসকরা পরে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ছেলে আরমানের কেরিয়ার তৈরি করেছিলেন তাঁর বাবা-ই। রাজ কুমারের দু’টি ছবিতেই আরমান শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন। সেই দুই ছবি হল ‘বদলে কি আগ’ (১৯৮২) এবং ‘রাজ তিলক’ (১৯৮৪)। ফের ১৯৯২ সালে ‘বিরোধী’-তে আরমানকে মুখ্য ভূমিকায় কাস্ট করেন তাঁর বাবা। কিন্তু তার পরেও সেভাবে বলিউডে নিজের পায়ের জমি শক্ত করতে পারেননি আরমান।

পরবর্তীকালে আরমান খ্যাতি অর্জন করেন সলমন খানের শো ‘বিগ বস’-এ অংশগ্রহণ করে। সহ প্রতিযোগী তনিশা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন তিনি। পরে অবশ্য সেই শো-তেই আর এক প্রতিযোগী সোফিয়া হায়াতকে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে যান।