Tag Archives: Film Review

Heeramandi movie review: হীরামান্ডি রিভিউ: বনশালির প্রথম সিরিজ কাব্যিক, ছন্দ বাঁধলেন মনীষাই

বিশাল এবং ঐশ্বর্যে পূর্ণ প্রাসাদ। প্রত্যেক ইট, কাঠ, পাথরে লুকিয়ে রয়েছে প্রেম, লালসা আর বিশ্বাসঘাতকতার গল্প। লম্পট নবাব। এক নিষিদ্ধ বাজার। ব্রিটিশ রাজ আর সোনার খাঁচা থেকে মুক্ত হওয়ার সংগ্রাম। সংক্ষেপে এটাই ‘হিরামান্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার’-সার কথা।

আরও পড়ুন: সরকারকে কর দেননি, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ৫ লাখের উপর সিম কার্ড, কড়া পদক্ষেপ পাকিস্তান সরকারের

‘হীরামান্ডি’-র একটি দৃশ্যের কথা ধরা যাক। কবি হওয়ার স্বপ্ন দেখে আলমজেব। সে নবাবের প্রেমে পড়ে। সেই নবাব আবার বিপ্লবী। সব শুনে তিনি বলছেন, “প্রেম আর বিপ্লবে তো কোনও পার্থক্য নেই”। এইভাবেই একইসঙ্গে সুন্দর অথচ জটিল, ধূসর প্রেম বুনে গিয়েছেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি। ‘আজাদি’ বা স্বাধীনতার প্রতিটা স্তর তুলে ধরেছেন নিপুণ দক্ষতায়।

আরও পড়ুন: ‘সাত পাকে বাঁধা পড়ে নিয়ম মেনে বিয়ে না করলে হিন্দু বিয়ে বৈধ নয়’, বলল সুপ্রিম কোর্ট সুপ্রিম কোর্টের

নারী মনের গহন, গোপন দিকগুলো নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছেন বনশালি। প্রতিটা মহিলা চরিত্র এক একেকটা আবেগের প্রতীক। শাহি মহল নামের পতিতালয় চালান মল্লিকাজান। তিনি নির্মম। রূপ এবং বুদ্ধি দিয়ে গোটা লাহোরকে নিজের কব্জায় রেখেছেন তিনি। তাঁর দুই কন্যা। বিব্বোজান এবং আলমজেব। দু’জনেই মাকে খুব ভালবাসে। কিন্তু মায়ের উত্তরাধিকার এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও ইচ্ছা তাঁদের নেই।

বিব্বোজান দেশপ্রেমিক, ব্রিটিশরা বলে ‘বিদ্রোহী’। আলমজেব কবি। হিরামান্ডিকে পিছনে ফেলে মনের মানুষের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করার স্বপ্ন দেখে সে। অন্যদিকে লাজ্জোজানকে মানুষ করেছেন মল্লিকাজান। মানসিকভাবে বিধ্বস্ত এক মহিলা। এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির প্রেমে পড়েছিলেন, কিন্তু সেই প্রেম জমাট বাঁধেনি। রয়েছেন মল্লিকাজানের বোন ওয়াহেদান। বিগতযৌবনা এই নারী যৌবন হারানোর জন্য দোষারোপ করেন মল্লিকাজানকে। মূলত এঁদের নিয়েই এগিয়েছে গল্প। তারপর গল্পের প্রয়োজন অনুসারে একে একে হাজির হয়েছে অন্যান্য চরিত্র।

দীর্ঘদিন পর বড় চরিত্রে দেখা গিয়েছে মনীষা কৈরালাকে। চ্যালেঞ্জিং কাজ। কিন্তু মনীষা অভিনয় দক্ষতা দিয়ে মন জয় করে নিয়েছেন। অভিনয়ে কঠোর পরিশ্রমের ছাপ স্পষ্ট। এছাড়া শেখর সুমন এবং তাঁর ছেলে অধ্যয়ন সুমনের কাজও প্রশংসিত হচ্ছে। শক্তিশালী চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোনাক্ষী সিনহা। তাঁর অভিনয়ও মনে ধরেছে দর্শকদের। ‘হীরামান্ডি’কে অনায়াসে সঞ্জয় লীলা বনশালির আরেক মাস্টারপিস বলাই যায়। প্রথম সিরিজেই সসম্মানে উতরে গিয়েছেন তিনি।

Heeramandi First Review: যেন এক অন্য দুনিয়ায় নিয়ে গিয়েছেন বনশালি, ‘হিরামান্ডি’-র প্রথম রিভিউ প্রকাশ্যে আসতেই ভক্তদের প্রত্যাশা বাড়ছে

মুম্বই: আগামী সপ্তাহেই সমস্ত অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘হিরামান্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার’। আপাতদৃষ্টিতে মনে করা হচ্ছে যে, প্রত্যেকের প্রত্যাশা রাখতে পারবে এই সিরিজ।

আসলে ‘হিরামান্ডি’-তে ফুটে উঠেছে দেশ স্বাধীন হওয়ার আগের কিছু ঘটনা। মূলত ব্রিটিশ শাসিত ভারতের প্রেক্ষাপটে বারবণিতাদের অবস্থার কাহিনিই প্রতিফলিত হয়েছে। আর এই সিরিজ একেবারে তারকাখচিত। দেখা যাবে মণীষা কৈরালা, সোনাক্ষি সিনহা, রিচা চাড্ডা, শরমিন সেগাল, অদিতি রাও হায়দরি এবং সঞ্জিদা শেখের মতো দুর্ধর্ষ অভিনেত্রীদের। আবার এই সিরিজের হাত ধরে ফের বলিউডে কামব্যাক করতে চলেছেন অভিনেতা ফারদিন খান। ‘হিরামন্ডি’-তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করবেন তিনি। তাঁর পাশাপাশি অধ্যয়ন সুমন এবং শেখর সুমনকেও দেখা যাবে প্রধান চরিত্রে।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

বুধবার এই সিরিজের গ্র্যান্ড প্রিমিয়ারের আয়োজন করেছিল নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়া। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সলমন খান, আলিয়া ভাট, ভিকি কৌশল, রেখা এবং জেনেলিয়া দেশমুখের মতো তারকারা। তবে ‘হিরামান্ডি’-র প্রথম রিভিউটা শেয়ার করলেন জেনেলিয়াই। অভিনেত্রী নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালির সঙ্গে একটা ছবি শেয়ার করে রিভিউটি ভাগ করে নিয়েছেন।

রীতেশ-ঘরণি লিখেছেন যে, “হিরামান্ডি-র মাত্র ২টো এপিসোডই দেখেছি। আর তাতেই আরও বেশি করে দেখার ইচ্ছা জাগছে। এ এক অসাধারণ দুনিয়া, এক দুর্দান্ত সফর – যার মধ্যে দিয়ে সঞ্জয় স্যার আমাদের নিয়ে গিয়েছেন! আর আমি বরাবরের মতোই মুগ্ধ। গোটা কাস্টের জন্য প্রচুর ভালবাসা! এমনকী কলাকুশলীদেরও কী অসাধারণ প্রয়াস! নেটফ্লিক্স সত্যিই ভীষণ স্পেশ্যাল!”

আগামী ১ মে মুক্তি পেতে চলেছে ‘হিরামান্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার’। চলতি মাসের গোড়ার দিকেই প্রকাশ্যে এসেছিল এই সিরিজের ট্রেলার। যা ভক্তদের যেন টাইম ট্র্যাভেল করে নিয়ে গিয়েছে এমন একটা সময়ে, যখন রাজ দরবারে যেন রাজত্ব করতেন বারবণিতারা! ১৯৪০-এর দশকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সেই টালমাটাল পরিস্থিতিতে বারবণিতা এবং তাঁদের গ্রাহকদের গল্পই প্রতিফলিত হয়েছে।

আর এই সিরিজে বারবণিতাদের চরিত্রে দেখা গিয়েছে মণীষা কৈরালা, সোনাক্ষি সিনহা, অদিতি রাও হায়দরি, রিচা চাড্ডা, শরমিন সেগাল এবং সঞ্জিদা শেখকে। আর এই বারবণিতারা নবাবদেরকে নিজেদের হাতে রাখতেন, এমনকী ব্রিটিশ দমনের বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়ান তাঁরা। আর এই নবাবদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারদিন খান, তাহা শাহ বাদুশা, শেখর সুমন এবং অধ্যয়ন সুমন।