ঘর তৈরিতে প্রতিটি জায়গারই বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বাস্তুশাস্ত্রে, বাড়ি তৈরির সময় প্রতিটি দিকের বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়। বেডরুম কোথায় হবে, সিঁড়ি কোথায় হবে, বাথরুম ও টয়লেট কোথায় হবে, সবকিছুই ঠিক করা হয় বাস্তু অনুসারে।ভোপালের বাসিন্দা জ্যোতিষী এবং বাস্তু পরামর্শদাতা পণ্ডিত হিতেন্দ্র কুমার শর্মা জানিয়েছেন যে, সিঁড়ির নীচে টয়লেট তৈরি করা মোটেই ঠিক নয়, বাস্তু মতে সংসারে এর বিরাট প্রভাব রয়েছে।বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, টয়লেট তৈরির জন্য কিছু নির্দিষ্ট দিক নির্দেশ সহ নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। বাড়িতে এমন কিছু জায়গা আছে। যেখানে বাথরুম তৈরি করলে বাস্তু দোষ হতে পারে। এই জায়গাগুলির মধ্যে একটি হল সিঁড়ির নীচের জায়গা। সিঁড়ির নিচে বাথরুম তৈরির নানা অসুবিধা আসতে পারে।সিঁড়ির নীচে টয়লেট তৈরি করলে দুর্ঘটনা ও আঘাত আসতে পারে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, সিঁড়ির নীচের জায়গাটিতে কোনও শক্তিশালী ভিত নেই, যার কারণে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়া সিঁড়ির নিচে তৈরি টয়লেট গৃহকর্তার স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে।বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, সিঁড়ির নীচের স্থানটিকে নেতিবাচক শক্তির কেন্দ্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই কারণে এই জায়গাটি সবসময় ফাঁকা রাখাই ভাল। এই স্থানটি ব্যবহার করলে ঘরে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে। সিঁড়ির নিচে জায়গা কম থাকায় সঠিক বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা নেই। এর ফলে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, সিঁড়ির নীচের জায়গাটি বাড়ির আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং বিকাশকে প্রতিফলিত করে। এই জায়গাটি ঘিরে থাকলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতে পারে। এই ত্রুটি কমাতে সিঁড়ির নিচে টয়লেট না বানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, সিঁড়ির নীচে টয়লেট তৈরি করলে বাড়িতে নেতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়। এর প্রভাব পড়তে শুরু করে ঘরে থাকা মানুষের ওপর। এই নেতিবাচক শক্তির কারণে বাড়ির লোকেরা হজম সংক্রান্ত রোগ, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।বিশেষভাবে খেয়াল রাখবেন টয়লেট কখনও উত্তর-পূর্ব কোণে তৈরি করা উচিত নয়। এর পাশাপাশি সিঁড়ির নিচেও টয়লেট তৈরি করা উচিত নয়। যেখানে উত্তর-পূর্বকে ঈশ্বরের স্থান বলে মনে করা হয়
অর্থ এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ, যা আমাদের জীবনে সুখ, সন্তুষ্টি এবং আত্মবিশ্বাস প্রদান করে। কিন্তু অনেক সময় মানুষ চিন্তা না করে এমন কিছু জিনিস মানিব্যাগে রেখে দেয় যা ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এমনকি চরম আর্থিক সঙ্কটেও পড়তে হয় তাদের।সিনিয়র জ্যোতিষী সত্যনারায়ণ শর্মা এর সমাধান ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি জানিয়েছন, এমন কিছু জিনিস রয়েছে যা মানিব্যাগে রাখলে জীবনে চরম সমস্যা ডেকে আনে৷ এমনকী কাঙালও হয়ে যেতে পারেন রাতারাতি৷অনেক সময় কেনাকাটা করার সময় আমরা আমাদের মানিব্যাগে পুরনো বিল রাখি খরচের হিসাব রাখার জন্য এবং বিল দীর্ঘ সময় পার্সে থাকার কারণে টাকায় বাধা থাকে। এবং অর্থ আসাও বন্ধ হয়ে যায়।কেউ কেউ তাদের বিশ্বাস ও অনুভূতির কথা মাথায় রেখে মানিব্যাগে দেব-দেবীর ছবি রাখেন, কিন্তু বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে পার্সে দেব-দেবীর ছবি রাখলে দেব-দেবীদের রাগ হয়। এবং তাদের সম্পদের আশীর্বাদ পেতে বাধা দেয়।বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে মানিব্যাগে চাবি রাখা অশুভ লক্ষণ হিসাবে বিবেচিত হয় কারণ এটি গাড়ি চুরির ঝুঁকি বাড়ায়, তাই চাবি সর্বদা নিরাপদ স্থানে রাখা উচিত।ধন সম্পদ বাড়াতে পার্সে রাখতে পারেন স্ত্রীর ছবি, কারণ তিনি দেবী লক্ষ্মীর রূপ এবং স্ত্রীর ছবি রাখলে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে এবং অর্থ বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও বৃহস্পতিবার পার্সে একটি ভাগ্যবান মুদ্রা, একটি কর্পূর, সাতটি এলাচ এবং সাতটি লবঙ্গ রাখলে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে এবং দেবী লক্ষ্মী আশীর্বাদ পাওয়া যায়৷
