ব্যবসা-বাণিজ্য Planning To Buy House: ফ্ল্যাট বা বাড়ি কি স্ত্রীর নামে কেনা উচিত ? Gallery September 13, 2024 Bangla Digital Desk বাড়ি কেনা মানে প্রচুর খরচ। শুধু ফ্ল্যাট বা বাড়ির দাম নয়, আনুষাঙ্গিক অনেক কিছুতেই জলের মতো টাকা বেরিয়ে যায়। এখন মালিকানা যদি স্ত্রীর নামে থাকে তাহলে কী কিছু লাভ হবে? হ্যাঁ, এতে অনেক সুবিধা মেলে। সমাজে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পুরুষদের তুলনায় বাড়তি কিছু সুযোগ সুবিধাও দেওয়া হয়। মহিলাদের সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে আলাদা নিয়ম জারি করা হয়েছে। এমনকী সম্পত্তি করের ক্ষেত্রেও বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্ল্যাট বা বাড়ি কেনার কথা ভাবলে স্ত্রীর নামেই কেনা উচিত। এতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়া যাবে। লোনও মিলবে কম সুদে। ফলে দিনের শেষে অনেক টাকা বাঁচবে। কম সুদে হোম লোন মেলে: সরকারি এবং বেশ কিছু বেসরকারি চাকরিতে মহিলাদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। দেওয়া হয় বেশ কিছু ছাড়ও। তাই সম্পত্তি কেনার কথা ভাবলে স্ত্রীর নামে কেনাই ভাল। বিশেষ করে হোম লোন নিয়ে কিনলে। ভারতে অনেক ব্যাঙ্ক এবং হাউজিং ফাইন্যান্স কোম্পানি পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের কম সুদে ঋণ দেয়। শুধু মহিলাদের জন্য বেশ কিছু স্কিমও রয়েছে। তাই স্ত্রীর নামে হোম লোন নিলে কম সুদে ঋণ মিলতে পারে। স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়: বাড়ি কেনার সময় অনেক ধরণের কাগজপত্র লাগে। রেজিস্ট্রি করতে হয়। এর জন্য স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হবে। স্ট্যাম্প ডিউটিতে মোটা টাকা খরচ হয়। কিন্তু ভারতে এমন অনেক রাজ্য রয়েছে যেখানে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের স্ট্যাম্প ডিউটি খরচ কম। তুল্যমূল্য বিচার করলে দেখা যাবে, স্ট্যাম্প ডিউটিতে মহিলাদের ২ থেকে ৩ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। পুরুষরা এই সুবিধা পান না। যেমন রাজধানী দিল্লিতে পুরুষদের ৬ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়। মহিলারা ২ শতাংশ ছাড় পান। তাঁদের ৪ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়। আবার উত্তর প্রদেশে পুরুষদের ৭ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়। মহিলাদের দিতে হয় ৫ শতাংশ হারে। অর্থাৎ ২ শতাংশ কম।
ব্যবসা-বাণিজ্য Right Time To Buy Flat: চাকরি পাওয়ার পরই ফ্ল্যাট কেনার কথা ভাবছেন? বাড়ি কেনার সঠিক বয়স কত জেনে নিন Gallery September 5, 2024 Bangla Digital Desk ২৪-২৫ বছর বয়সে কর্মজীবন শুরু হয়। শুরু হয় রোজগার। এই সময় থেকেই কী বাড়ি কেনার কথা ভাবা উচিত? না কি দশ-পনেরো বছর পর হাতে যখন মোটা টাকা জমে যাবে তখন? বাড়ি কেনার উপযুক্ত বয়স কত? অনেকেই চাকরি পাওয়ার পর প্রথমেই বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনে ফেলেন। কারণ সহজেই হোম লোন পাওয়া যায়। মেট্রো শহরগুলোতে এই প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। আম ভারতীয় অন্ন-বস্ত্রের পর মাথা সবচেয়ে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয় গোঁজার ঠাঁইকেই। আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে চাকরি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি কেনা উচিত নয়। এর অনেক অসুবিধা রয়েছে। আর্থিক বৃদ্ধিতেও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এই সিদ্ধান্ত। কারণ চাকরি পাওয়ার পরই যদি কেউ বাড়ি কিনে ফেলেন তাহলে অন্য কোনও আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো অবস্থা আর তাঁর থাকবে না। অন্তত দশ বছর চাকরি করার পর বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার পরামর্শ দেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। তেমন হলে প্রথম দিকে ভাড়া বাড়িতে থাকতে হবে। এতে অনেক টাকা সঞ্চয় হবে। পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতেও অসুবিধা হবে না। অর্থাৎ যদি কেউ ২৫ বছর বয়সে চাকরি পান তাহলে তিনি ৩৫ বছর বয়সে বাড়ি কিনতে পারেন। চাকরি জীবনের শুরুতে যদি ৫০ হাজার টাকা বেতন হয়, তাহলে আগামী দশ বছরে তা বেড়ে কোথায় পৌঁছবে তা মাথায় রাখা উচিত। মোটামুটি ৬-৭ বছরেই বেতন দ্বিগুণ হয়ে যায়। সেই হিসাবে দশ বছর পর বেতন বেড়ে দাঁড়াবে দের লাখ টাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেতন অবশ্যই কমপক্ষে ১.২০ লাখ টাকা বাড়বে। এ থেকেই অনুমান করা যায়, দশ বছর ভাড়া বাড়িতে থাকলে কত টাকা সঞ্চয় হতে পারে। এরপর বাড়ি কিনলে ইএমআই নিয়েও টেনশন করতে হবে না। সহজে হোম লোনের ডাউন পেমেন্টও করা যাবে। সবচেয়ে বড় কথা হল, অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর জন্যও হাতে মোটা টাকা থাকবে। বিয়ে, সন্তানের শিক্ষা এবং অবসরের জন্যও মোটা টাকা জমে যাবে অনায়াসে।