Tag Archives: Property

Property Tax: বিরাট সুখবর! সম্পত্তি কর জমা দিতে এবার পাবেন বিশেষ ছাড়, জানুন কী কী সুবিধা মিলবে?

আসানসোল: নাগরিকদের জন্য বড় ব্যবস্থা আসানসোল পুরনিগমের। আসানসোল চেম্বার অফ কমার্সের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিশেষ উদ্যোগ শহরে। নাগরিকরা যাতে সহজে সম্পত্তি কর জমা দিতে পারেন, তার জন্য আয়োজন করা হচ্ছে বিশেষ শিবিরের। সেখানে গিয়ে কর জমা করলে পাওয়া যাবে বিশেষ ছাড়। প্রথম দিনের শিবিরে সাড়া মিলেছে ভালই।

প্রসঙ্গত, আসানসোল চেম্বার অফ কমার্স এবং আসানসোল পুরনিগমের যৌথ উদ্যোগে সম্পত্তি কর জমা দেওয়ার জন্য বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হবে শহরে। ইতিমধ্যে আসানসোল শহরের মূল অংশে প্রথম শিবিরটি আয়োজিত হয়েছিল। এরপর নিয়ামতপুর, রানীগঞ্জ, বরাকরে এই শিবিরের আয়োজন করা হবে। বিশেষ শিবিরে গিয়ে সম্পত্তি কর জমা করলে ১০ শতাংশের ছাড়ও দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন-     বলুন তো, কোন প্রাণীর রক্তের দাম সবচেয়ে বেশি? ৯৯% মানুষই উত্তর দিতে গিয়ে ডাহা ফেল! চমকে দেবে উত্তর, গ্যারান্টি…!

এই বিষয়ে চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক শম্ভুনাথ ঝাঁ বলছেন, প্রথমে পুরসভার উদ্যোগে একটি ট্রেড লাইসেন্সের শিবির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে দারুণ সাড়া পাওয়া যায়। এরপর পুরসভা সম্পত্তি কর জমা দেওয়ার জন্য এই শিবিরের চিন্তাভাবনা করে। পুরসভার পাশে দাঁড়ায় চেম্বার অফ কমার্স। তারপরে এই শিবিরের আয়োজন করা হয়। প্রথম দিনের শিবিরে সম্পত্তি কর হিসেবে প্রায় ৬ লক্ষ ৭২ হাজার ১৬ টাকা জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন-      ভয়ঙ্কর দুঃসময় শেষ…! বৃহস্পতি-চন্দ্রর মহামিলনে ‘গোল্ডেন টাইম’ শুরু ৪ রাশির, গজকেশরী রাজযোগে সোনায় মুড়বে ভাগ্য…

পুরসভা সূত্রে খবর, শহরের প্রত্যেকটি মানুষ যাতে শিবিরে গিয়ে সম্পত্তি কর জমা দেওয়ার সুযোগ পান, সেজন্য বিভিন্ন জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছে। যে কারণে নিয়ামতপুর, বরাকর, রাণীগঞ্জে আলাদা আলাদা করে শিবির করা হবে। সেখানে গিয়ে সম্পত্তি কর জমা করলে পাওয়া যাবে ১০% ছাড়। এমনকি বাকি থাকা সম্পত্তি কর জমা করলেও ১০% ছাড় পাওয়া যাবে। এক ছাতার তলায় সম্পত্তি কর জমা দেওয়ার এই ব্যবস্থার জন্য পুরনিগমের উদ্যোগকে সাধুবাদ দিয়েছেন শহরবাসী।

নয়ন ঘোষ

Planning To Buy House: ফ্ল্যাট বা বাড়ি কি স্ত্রীর নামে কেনা উচিত ?

বাড়ি কেনা মানে প্রচুর খরচ। শুধু ফ্ল্যাট বা বাড়ির দাম নয়, আনুষাঙ্গিক অনেক কিছুতেই জলের মতো টাকা বেরিয়ে যায়। এখন মালিকানা যদি স্ত্রীর নামে থাকে তাহলে কী কিছু লাভ হবে? হ্যাঁ, এতে অনেক সুবিধা মেলে।
বাড়ি কেনা মানে প্রচুর খরচ। শুধু ফ্ল্যাট বা বাড়ির দাম নয়, আনুষাঙ্গিক অনেক কিছুতেই জলের মতো টাকা বেরিয়ে যায়। এখন মালিকানা যদি স্ত্রীর নামে থাকে তাহলে কী কিছু লাভ হবে? হ্যাঁ, এতে অনেক সুবিধা মেলে।
সমাজে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পুরুষদের তুলনায় বাড়তি কিছু সুযোগ সুবিধাও দেওয়া হয়। মহিলাদের সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে আলাদা নিয়ম জারি করা হয়েছে। এমনকী সম্পত্তি করের ক্ষেত্রেও বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়।
সমাজে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পুরুষদের তুলনায় বাড়তি কিছু সুযোগ সুবিধাও দেওয়া হয়। মহিলাদের সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে আলাদা নিয়ম জারি করা হয়েছে। এমনকী সম্পত্তি করের ক্ষেত্রেও বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্ল্যাট বা বাড়ি কেনার কথা ভাবলে স্ত্রীর নামেই কেনা উচিত। এতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়া যাবে। লোনও মিলবে কম সুদে। ফলে দিনের শেষে অনেক টাকা বাঁচবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্ল্যাট বা বাড়ি কেনার কথা ভাবলে স্ত্রীর নামেই কেনা উচিত। এতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়া যাবে। লোনও মিলবে কম সুদে। ফলে দিনের শেষে অনেক টাকা বাঁচবে।
কম সুদে হোম লোন মেলে: সরকারি এবং বেশ কিছু বেসরকারি চাকরিতে মহিলাদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। দেওয়া হয় বেশ কিছু ছাড়ও। তাই সম্পত্তি কেনার কথা ভাবলে স্ত্রীর নামে কেনাই ভাল। বিশেষ করে হোম লোন নিয়ে কিনলে। ভারতে অনেক ব্যাঙ্ক এবং হাউজিং ফাইন্যান্স কোম্পানি পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের কম সুদে ঋণ দেয়। শুধু মহিলাদের জন্য বেশ কিছু স্কিমও রয়েছে। তাই স্ত্রীর নামে হোম লোন নিলে কম সুদে ঋণ মিলতে পারে।
কম সুদে হোম লোন মেলে: সরকারি এবং বেশ কিছু বেসরকারি চাকরিতে মহিলাদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। দেওয়া হয় বেশ কিছু ছাড়ও। তাই সম্পত্তি কেনার কথা ভাবলে স্ত্রীর নামে কেনাই ভাল। বিশেষ করে হোম লোন নিয়ে কিনলে। ভারতে অনেক ব্যাঙ্ক এবং হাউজিং ফাইন্যান্স কোম্পানি পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের কম সুদে ঋণ দেয়। শুধু মহিলাদের জন্য বেশ কিছু স্কিমও রয়েছে। তাই স্ত্রীর নামে হোম লোন নিলে কম সুদে ঋণ মিলতে পারে।
স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়: বাড়ি কেনার সময় অনেক ধরণের কাগজপত্র লাগে। রেজিস্ট্রি করতে হয়। এর জন্য স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হবে। স্ট্যাম্প ডিউটিতে মোটা টাকা খরচ হয়। কিন্তু ভারতে এমন অনেক রাজ্য রয়েছে যেখানে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের স্ট্যাম্প ডিউটি খরচ কম।
স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়: বাড়ি কেনার সময় অনেক ধরণের কাগজপত্র লাগে। রেজিস্ট্রি করতে হয়। এর জন্য স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হবে। স্ট্যাম্প ডিউটিতে মোটা টাকা খরচ হয়। কিন্তু ভারতে এমন অনেক রাজ্য রয়েছে যেখানে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের স্ট্যাম্প ডিউটি খরচ কম।
তুল্যমূল্য বিচার করলে দেখা যাবে, স্ট্যাম্প ডিউটিতে মহিলাদের ২ থেকে ৩ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। পুরুষরা এই সুবিধা পান না। যেমন রাজধানী দিল্লিতে পুরুষদের ৬ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়। মহিলারা ২ শতাংশ ছাড় পান। তাঁদের ৪ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়। আবার উত্তর প্রদেশে পুরুষদের ৭ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়। মহিলাদের দিতে হয় ৫ শতাংশ হারে। অর্থাৎ ২ শতাংশ কম।
তুল্যমূল্য বিচার করলে দেখা যাবে, স্ট্যাম্প ডিউটিতে মহিলাদের ২ থেকে ৩ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। পুরুষরা এই সুবিধা পান না। যেমন রাজধানী দিল্লিতে পুরুষদের ৬ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়। মহিলারা ২ শতাংশ ছাড় পান। তাঁদের ৪ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়। আবার উত্তর প্রদেশে পুরুষদের ৭ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়। মহিলাদের দিতে হয় ৫ শতাংশ হারে। অর্থাৎ ২ শতাংশ কম।

Right Time To Buy Flat: চাকরি পাওয়ার পরই ফ্ল্যাট কেনার কথা ভাবছেন? বাড়ি কেনার সঠিক বয়স কত জেনে নিন

২৪-২৫ বছর বয়সে কর্মজীবন শুরু হয়। শুরু হয় রোজগার। এই সময় থেকেই কী বাড়ি কেনার কথা ভাবা উচিত? না কি দশ-পনেরো বছর পর হাতে যখন মোটা টাকা জমে যাবে তখন? বাড়ি কেনার উপযুক্ত বয়স কত?
২৪-২৫ বছর বয়সে কর্মজীবন শুরু হয়। শুরু হয় রোজগার। এই সময় থেকেই কী বাড়ি কেনার কথা ভাবা উচিত? না কি দশ-পনেরো বছর পর হাতে যখন মোটা টাকা জমে যাবে তখন? বাড়ি কেনার উপযুক্ত বয়স কত?
অনেকেই চাকরি পাওয়ার পর প্রথমেই বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনে ফেলেন। কারণ সহজেই হোম লোন পাওয়া যায়। মেট্রো শহরগুলোতে এই প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। আম ভারতীয় অন্ন-বস্ত্রের পর মাথা সবচেয়ে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয় গোঁজার ঠাঁইকেই।
অনেকেই চাকরি পাওয়ার পর প্রথমেই বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনে ফেলেন। কারণ সহজেই হোম লোন পাওয়া যায়। মেট্রো শহরগুলোতে এই প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। আম ভারতীয় অন্ন-বস্ত্রের পর মাথা সবচেয়ে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয় গোঁজার ঠাঁইকেই।
আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে চাকরি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি কেনা উচিত নয়। এর অনেক অসুবিধা রয়েছে। আর্থিক বৃদ্ধিতেও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এই সিদ্ধান্ত। কারণ চাকরি পাওয়ার পরই যদি কেউ বাড়ি কিনে ফেলেন তাহলে অন্য কোনও আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো অবস্থা আর তাঁর থাকবে না।
আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে চাকরি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি কেনা উচিত নয়। এর অনেক অসুবিধা রয়েছে। আর্থিক বৃদ্ধিতেও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এই সিদ্ধান্ত। কারণ চাকরি পাওয়ার পরই যদি কেউ বাড়ি কিনে ফেলেন তাহলে অন্য কোনও আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো অবস্থা আর তাঁর থাকবে না।
অন্তত দশ বছর চাকরি করার পর বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার পরামর্শ দেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। তেমন হলে প্রথম দিকে ভাড়া বাড়িতে থাকতে হবে। এতে অনেক টাকা সঞ্চয় হবে। পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতেও অসুবিধা হবে না। অর্থাৎ যদি কেউ ২৫ বছর বয়সে চাকরি পান তাহলে তিনি ৩৫ বছর বয়সে বাড়ি কিনতে পারেন।
অন্তত দশ বছর চাকরি করার পর বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার পরামর্শ দেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। তেমন হলে প্রথম দিকে ভাড়া বাড়িতে থাকতে হবে। এতে অনেক টাকা সঞ্চয় হবে। পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতেও অসুবিধা হবে না। অর্থাৎ যদি কেউ ২৫ বছর বয়সে চাকরি পান তাহলে তিনি ৩৫ বছর বয়সে বাড়ি কিনতে পারেন।
চাকরি জীবনের শুরুতে যদি ৫০ হাজার টাকা বেতন হয়, তাহলে আগামী দশ বছরে তা বেড়ে কোথায় পৌঁছবে তা মাথায় রাখা উচিত। মোটামুটি ৬-৭ বছরেই বেতন দ্বিগুণ হয়ে যায়। সেই হিসাবে দশ বছর পর বেতন বেড়ে দাঁড়াবে দের লাখ টাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেতন অবশ্যই কমপক্ষে ১.২০ লাখ টাকা বাড়বে।
চাকরি জীবনের শুরুতে যদি ৫০ হাজার টাকা বেতন হয়, তাহলে আগামী দশ বছরে তা বেড়ে কোথায় পৌঁছবে তা মাথায় রাখা উচিত। মোটামুটি ৬-৭ বছরেই বেতন দ্বিগুণ হয়ে যায়। সেই হিসাবে দশ বছর পর বেতন বেড়ে দাঁড়াবে দের লাখ টাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেতন অবশ্যই কমপক্ষে ১.২০ লাখ টাকা বাড়বে।
এ থেকেই অনুমান করা যায়, দশ বছর ভাড়া বাড়িতে থাকলে কত টাকা সঞ্চয় হতে পারে। এরপর বাড়ি কিনলে ইএমআই নিয়েও টেনশন করতে হবে না। সহজে হোম লোনের ডাউন পেমেন্টও করা যাবে। সবচেয়ে বড় কথা হল, অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর জন্যও হাতে মোটা টাকা থাকবে। বিয়ে, সন্তানের শিক্ষা এবং অবসরের জন্যও মোটা টাকা জমে যাবে অনায়াসে।
এ থেকেই অনুমান করা যায়, দশ বছর ভাড়া বাড়িতে থাকলে কত টাকা সঞ্চয় হতে পারে। এরপর বাড়ি কিনলে ইএমআই নিয়েও টেনশন করতে হবে না। সহজে হোম লোনের ডাউন পেমেন্টও করা যাবে। সবচেয়ে বড় কথা হল, অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর জন্যও হাতে মোটা টাকা থাকবে। বিয়ে, সন্তানের শিক্ষা এবং অবসরের জন্যও মোটা টাকা জমে যাবে অনায়াসে।

Property: উইল করা না থাকলে সম্পত্তিতে কন্যার অধিকার কতটা? কী বলছে আইন? জেনে নিন সবটা

প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত পারিবারিক সম্পত্তিতে মহিলাদের অধিকার সংক্রান্ত নানা বিষয়ে নানাবিধ পরিবর্তন এসেছে। তবে মহিলারা স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের দেশে সম্পত্তির বিষয়ে সমান অধিকার লাভ করা শুরু করেছেন। সম্পত্তি এবং জমি ভাগাভাগি অনেক সময় বিবাদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের দেশে পারিবারিক সম্পত্তি বণ্টন একটি বড় সমস্যা। সম্পত্তিতে কন্যাদের অধিকার আছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কোনও ব্যক্তি যদি মারা যান এবং তাঁর কোনও উইল না থাকে, তাহলে তাঁর সম্পত্তি ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে কী ভাবে ভাগ হবে? কন্যা বিবাহিত হলেই বা এই বণ্টনের পদ্ধতি কী?

এর উত্তর জানতে, আমরা বুন্দেলখণ্ড শিল্প উন্নয়ন প্রাধিকরণের ওএসডি ড. লাল কৃষ্ণের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করেছি, তাঁকে এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন যে, উত্তরপ্রদেশের রাজস্ব কোড অনুসারে, উত্তরাধিকারের সময় অবিবাহিত কন্যা এবং পুত্রদের মধ্যে সম্পত্তি সমান ভাবে ভাগ করা হয়।

তিনি আরও বলেন যে, বিয়ের পর মেয়ে চাইলে সম্পত্তির অংশ ছেড়ে দিতে পারেন। এর জন্য মেয়ের ওপর কোনও চাপ দেওয়া যাবে না।

আরও পড়ুন: Income Tax Return এসেছে কি না তা কীভাবে বোঝা যেতে পারে? এক নজরে দেখে নিন এই সহজ উপায়

আরও পড়ুন: প্রতি মাসে মাত্র ৩০০০ টাকা জমিয়ে, ১,০৫,৮৯,৭৪১ টাকা সহজেই জমিয়ে ফেলতে পারবেন, দেখে নিন কীভাবে

ড. লাল কৃষ্ণ আরও বলেন যে, সম্পত্তি বিভাজন সংক্রান্ত বিরোধ যদি সাব-ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট অর্থাৎ এসডিএম আদালতে পৌঁছয়, তবে সরকারি নথিতে যাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে সেই সমস্ত শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি প্রয়োজন।

এতে সম্পত্তি বিভাজনে কন্যা বা বোনের সম্মতিও নিতে হয়। এর পরেই প্রক্রিয়াটি আরও এগিয়ে যেতে পারে। আদালতের অনেক সিদ্ধান্তেই স্পষ্ট করা হয়েছে যে, বাবা-মায়ের সম্পত্তিতে কন্যার সমান অধিকার রয়েছে। তাই সম্পত্তিতে যে কোনও বণ্টনের আগে তাঁদের সম্মতি প্রয়োজন।

হিন্দু উত্তরাধিকার আইন ২০০৫, হিন্দু উত্তরাধিকার আইন ১৯৫৬ এবং হিন্দু উত্তরাধিকার সংশোধিত আইন ২০০৫-এ এই বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করা রয়েছে। কন্যা বিধবা, ডিভোর্সপ্রাপ্ত বা অবিবাহিত হলে তিনি বাবা-মায়ের বাসভবনে আশ্রয় চাইতে পারেন।

জামাইবাবু বিগড়ে গেলেই সর্বনাশ, ছেলে-ভাইকে তাকিয়ে থাকতে হবে, সম্পত্তি বন্টনের আইন জানুন

Report: Shaswat Singh

ঝাঁসি: সম্পত্তি নিয়ে ভাইতে ভাইতে বিবাদ। সেই মহাভারতের কাল থেকে চলে আসছে। আজও বন্ধ হয়নি। সেই সময় সম্পত্তির দখল নিতে যুদ্ধ হত। বর্তমানে আইন কানুন রয়েছে। যুদ্ধ হয় না বটে, তবে ঘরোয়া বিবাদ বেঁধে যায়। সেটাও যুদ্ধের চেয়ে কম কিছু নয়। গালিগালাজ থেকে হাতাহাতি, সংসার যেন রণক্ষেত্র।

উত্তরাধিকার কার কাছে যাবে? দাদু-ঠাকুরদার জমি, বাড়ি কে পাবে? এই নিয়েই মূলত বিবাদ। বাবা বা পরিবারের বর্ষীয়াণ সদস্য বেঁচে থাকাকালীন যদি ভাগ বাঁটোয়ারা করে দিয়ে যান, তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু সেটা না হলেই সমস্যার সূত্রপাত হয়। সম্পত্তিতে কন্যার অধিকার আছে কি না, সেই প্রশ্নও ওঠে।

আরও পড়ুন- দরকার আর ১৩টা উইকেট, তাহলেই বিশ্বের প্রথম পেসার হিসেবে এই নয়া রেকর্ডের মালিক হবেন জেমস অ্যান্ডারসন

ধরে নেওয়া যাক, কোনও ব্যক্তির অনেক সম্পত্তি। কিন্তু উইল করার আগেই তাঁর মৃত্যু হল। বা উইল করলেন না। তাহলে সেই বিপুল সম্পত্তি তাঁর ছেলেমেয়েদের মধ্যে কীভাবে ভাগ হবে? মেয়ে বিবাহিত হলে কি সম্পত্তির ভাগ পাবেন? এই নিয়ে আইন কী বলছে?

বাবার সম্পত্তিতে মেয়ের সমান ভাগ রয়েছে: এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতেই বুন্দেলখণ্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ওএসডি ডক্টর লাল কৃষ্ণের সঙ্গে কথা বলে লোকাল 18। তিনি বলছেন, বাবার সম্পত্তিতে মেয়ের সমান ভাগ রয়েছে। উত্তর প্রদেশের রাজস্ব কোড অনুযায়ী, উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি অবিবাহিত কন্যা এবং পুত্রদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করা হয়। কন্যা চাইলে বিয়ের পর সম্পত্তির অংশ ছেড়ে দিতে পারেন। এর জন্য মেয়ের উপর কোনও রকম চাপ দেওয়া যাবে না।

আরও পড়ুন- বিয়ে করেই প্রাণপণ দৌড়তে শুরু করলেন নবদম্পতি, সটান এসপি অফিসে ঢুকেই থামলেন তাঁরা; আনলেন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ

সম্মতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: ডক্টর লাল কৃষ্ণ আরও বলছে, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ যদি সাব-ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট অর্থাৎ এসডিএম আদালত পর্যন্ত পৌঁছায়, তাহলে সরকারি নথিতে যাঁদের নাম উল্লেখ রয়েছে তাঁদের সবার অর্থাৎ সম্পত্তির সমস্ত শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি প্রয়োজন। কন্যা বা বোনের সম্মতিও নিতে হয়। এরপরই প্রক্রিয়া এগোবে। আদালত একাধিকবার স্পষ্ট জানিয়েছে, পিতা বা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে কন্যার সমান অধিকার রয়েছে। কোনও বন্টনের আগে তাঁদেরও সম্মতি প্রয়োজন।

Property Buying Tips: জমি কেনার আগে অবশ্যই করুন তিন কাজ, না হলে পথে বসতে হবে

বাঁকুড়া: জমি জায়গা কিনতে গিয়ে ঠকে যাওয়ার ভয় হচ্ছে ? ভয় হওয়াটা স্বাভাবিক। জমি সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে পারে বিভিন্ন আইনি জ্বটিলতা। দুম করে পছন্দ মত জমি কিনে নিয়ে পরে আপনাকে ছুটতে হতে পারে কোর্ট কাছারিতে। কিম্বা জমি কেনার পর যে দলিল হাতে পেয়েছেন সেই দলিল নকল হলেও হতে পারে। জায়গা কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ। তাহলে কি করবেন? উত্তর দিলেন বিশেষজ্ঞ।

জমি জায়গা সংক্রান্ত জ্ঞান কিংবা সচেতনতা সকলের নেই, আর সেই কারণেই জমি কিনতে গিয়ে প্রথমেই কি করতে হবে তা জানতে বাঁকুড়া জেলা আদালতের স্মরনাপন্ন হতে হল। বাঁকুড়া কোর্টের উকিল অতনু দে জানান, জমি কিনতে গেলেই প্রথমেই পরখ করে দেখে নিতে হবে জমির “চেইনডিড” এর প্রথম থেকে শেষ রেকর্ড। যদি পৈতৃক জমি হয় তাহলে জমির পর্চা দেখে বিচার করে নিতে হবে কতবার হস্তান্তরিত হয়েছে জায়গাটি। এছাড়াও দেখে নিতে হবে আর এস এ, সি এস এ এবং এল আর এ কার নামে রয়েছে।

আরও পড়ুন: SBI FD না কি মিউচুয়াল ফান্ড, কোথায় ৩, ৫, ৭ এবং ১০ বছরে বেশি রিটার্ন আসতে পারে?

এবার আসা যাক দলিলে। বাজারে নকল দলিলের গল্প আমরা প্রায়শই শুনেছি। সেই কারণেই আপনার পায়ের ঘাম মাথায় ফেলে উপার্জন করা অর্থ দিয়ে কেনা শখের জায়গার দলিল যাতে নকল না হয় তার জন্য কি করতে হবে জেনে নিন। নির্দিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দলিল আসল কি নকল তা সার্চ করতে হবে।

ন্যূনতম ১২ বছরের রেকর্ড সার্চিং হওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও দলিল পরখ করে দেখলেই জানা যাবে আরও আনুষাঙ্গিক বিষয়বস্তুগুলি যেমন, জমিটি কতবার হস্তান্তরিত হয়েছে এবং কার কাছে হস্তান্তরিত হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, দলিল আসল হলেও আইনিভাবে কোনও জটিলতা আছে কি’না সেটা বুঝতে এবার নির্দিষ্ট আদালতে গিয়ে চেকিং করতে হবে।

আরও পড়ুন: মাত্র ৩০ ঘণ্টায় LIC থেকে প্রতি মাসে ৮৪,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব; করতে হবে এই কাজ

এতকিছু করার পরও আপনাকে যেতে হবে বিএলআরও অফিস। বি এল আর ও অফিসে গিয়ে আবারও পরীক্ষা করা হবে জমির “ইন ডিটেইল” রেকর্ড। পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে জমির মালিক পৈত্রিক সূত্রে জমি পেয়েছেন না কিনেছেন এবং যদি তিনি এই জমি কিনে থাকেন তাহলে জমির আগের মালিক কি ছিল অথবা কি রেকর্ড ছিল এই জমির।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী