ব্যবসা-বাণিজ্য ১৫ বছরের চাকরি এবং শেষ বেতন ৭৫,০০০ টাকা হলে কত গ্র্যাচুইটি পাবেন? এই ফর্মুলায় চেক করুন Gallery September 18, 2024 Bangla Digital Desk কেউ যদি ৫ বছর বা তার বেশি সময় ধরে কোনও সংস্থায় কাজ করেন, তবে চাকরি ছাড়ার সময় গ্র্যাচুইটি দেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় ধরে কোম্পানিকে আরও ভাল পরিষেবা প্রদানের জন্য কর্মচারীকে পুরষ্কার হিসাবে কোম্পানি কর্তৃক গ্র্যাচুইটির টাকা দেওয়া হয়। চাকরি ছাড়ার সময় সবাই হিসেব করেন কত টাকা পাবেন। এই বিষয়ে জেনে রাখা প্রয়োজন, কেউ যদি ১৫ বছর ধরে একটি কোম্পানিতে কাজ করেন এবং শেষ বেতন হয় ৭৫,০০০ টাকা, তাহলে কত টাকা গ্র্যাচুইটি পাওয়া যাবে। এই ফর্মুলা দ্বারা গ্র্যাচুইটি গণনা করা হয় –কে কতটা গ্র্যাচুইটি পাবেন, তা একটি ফর্মুলার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। গ্র্যাচুইটি গণনা করার ফর্মুলা হল – (শেষ বেতন) x (কোম্পানিতে কাজ করা বছরের সংখ্যা) x (১৫/২৬)। ফর্মুলার মাধ্যমে গণনা –শেষ বেতন মানে শেষ ১০ মাসের বেতনের গড়। এই বেতনের মধ্যে মূল বেতন, মহার্ঘ ভাতা ও কমিশন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এক মাসে ৪টি রবিবার ছুটি থাকার কারণে ২৬ দিন গণনা করা হয় এবং ১৫ দিনের ভিত্তিতে গ্র্যাচুইটি গণনা করা হয়। ১৫ বছরের চাকরি ও বেতন ৭৫ হাজারে কত টাকা গ্র্যাচুইটি পাওয়া যাবে –আমরা যদি গ্র্যাচুইটি সূত্রের হিসেব দেখি, তাহলে কেউ যদি একটি কোম্পানিতে ১৫ বছর কাজ করেন এবং শেষ বেতন ৭৫,০০০ টাকা হয়, তাহলে গণনার সূত্রটি হবে (৭৫০০০) x (১৫) x (১৫/২৬)। গণনার পরে, মোট ৬,৪৯,০৩৮ টাকা আসবে। এই পরিমাণ টাকা গ্র্যাচুইটি হিসাবে দেওয়া হবে। এইভাবে, নিজেদের শেষ বেতন এবং চাকরির বছরের উপর ভিত্তি করে এই ফর্মুলার মাধ্যমে গ্র্যাচুইটি গণনা করা যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে হিসেব ভিন্ন হতে পারে –যখন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান গ্র্যাচুইটি আইনের অধীনে রেজিস্টার করা না হয়, তখন কর্মচারীরা গ্র্যাচুইটি আইনের আওতায় পড়েন না। কিন্তু, এমন পরিস্থিতিতে কোম্পানি ইচ্ছে করলে স্বেচ্ছায় কর্মীকে গ্র্যাচুইটি দিতে পারে। সেক্ষেত্রে গ্র্যাচুইটি নির্ধারণের ফর্মুলা হয়ে যায় ভিন্ন। এমতাবস্থায় গ্র্যাচুইটির পরিমাণ হবে প্রতি বছরের অর্ধমাসের বেতনের সমান। তবে এক মাসে কর্মদিবসের সংখ্যা ২৬ নয়, ৩০ দিন হিসেবে বিবেচিত হবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য বেসিক স্যালারি ২০ হাজার টাকা? অবসরের সময় কত Gratuity পাবেন দেখুন, রইল সম্পূর্ণ হিসাব Gallery September 14, 2024 Bangla Digital Desk গ্র্যাচুইটি এক ধরণের পুরস্কার। কোম্পানির তরফে কর্মীকে দেওয়া হয়। সরকারি এবং বেসরকারি কোম্পানির কর্মীরা এই গ্র্যাচুইটি পান। তবে এর জন্য ন্যূনতম ৫ বছর কাজ করতেই হবে। অবসরের সময় কর্মীর হাতে তুলে দেওয়া হয় গ্র্যাচুইটির পরিমাণ। গ্র্যাচুইটির পরিমাণ মূলত দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। কর্মীর শেষ পাওয়া বেসিক স্যালারি এবং চাকরির মেয়াদ। বেসিক স্যালারি এবং চাকরির মেয়াদ যত বেশি হবে, গ্র্যাচুইটি হিসাবে তত বেশি টাকা পাবেন কর্মী। গ্র্যাচুইটি পেমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৭২ অনুযায়ী, ১০ বা তার বেশি কর্মচারী যখন একসঙ্গে কোনও প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, তখন তাঁরা গ্র্যাচিউটির যোগ্য। আইন মোতাবেক কারখানা, রেল, বন্দর, বাগান, খনি বা অন্যান্য ক্ষেত্রে কর্মরত কর্মীদের গ্র্যাচুইটি দেওয়া উচিত। আইন অনুযায়ী, কর্মচারীদের দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমত সেই সব কর্মী যাঁরা কেন্দ্রের গ্র্যাচুইটি আইনের আওতায় আসেন। দ্বিতীয়ত যাঁরা আসেন না। এটা নির্ভর করে সেই কোম্পানি গ্র্যাচুইটি আইনের আওতায় আসে কি না। তবে যে সব কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান গ্র্যাচুইটি আইনের আওতায় আসে না, তারাও চাইলে কর্মীদের গ্র্যাচুইটি দিতে পারে। গ্র্যাচুইটি গণনা করার নির্দিষ্ট সূত্র রয়েছে। সেটা হল – শেষ পাওয়া বেসিক স্যালারি x চাকরির মেয়াদ x ১৫/২৬। গ্র্যাচুইটি আইন অনুযায়ী, প্রত্যেক বছরের জন্য ১৫ দিনের বেতনের হারে গ্র্যাচুইটি দেওয়া হয়। যা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই হিসাবে রবিবারগুলো ধরা হয় না। তাই ৩০ দিনের বদলে ২৬ দিনের হিসাবে গণনা করা হয়। এখন ধরে নেওয়া যাক, একজন কর্মী ১০ বছর ধরে কাজ করছেন। শেষ বেসিক স্যালারি হিসাবে তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার টাকা। তাহলে অবসরের সময় গ্র্যাচুইটি হিসাবে তিনি কত টাকা পাবেন? গ্র্যাচুইটি গণনা করার সূত্র অনুযায়ী, ২০ হাজার (শেষ পাওয়া বেসিক স্যালারি) x ১০ (চাকরির মেয়াদ) x ১৫/২৬ = ১,১৫,৩৮৫ টাকা হচ্ছে। অর্থাৎ অবসরের সময় তিনি গ্র্যাচুইটি হিসাবে ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৮৫ টাকা পাবেন।