Tag Archives: Gratuity

১৫ বছরের চাকরি এবং শেষ বেতন ৭৫,০০০ টাকা হলে কত গ্র্যাচুইটি পাবেন? এই ফর্মুলায় চেক করুন

কেউ যদি ৫ বছর বা তার বেশি সময় ধরে কোনও সংস্থায় কাজ করেন, তবে চাকরি ছাড়ার সময় গ্র্যাচুইটি দেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় ধরে কোম্পানিকে আরও ভাল পরিষেবা প্রদানের জন্য কর্মচারীকে পুরষ্কার হিসাবে কোম্পানি কর্তৃক গ্র্যাচুইটির টাকা দেওয়া হয়। চাকরি ছাড়ার সময় সবাই হিসেব করেন কত টাকা পাবেন। এই বিষয়ে জেনে রাখা প্রয়োজন, কেউ যদি ১৫ বছর ধরে একটি কোম্পানিতে কাজ করেন এবং শেষ বেতন হয় ৭৫,০০০ টাকা, তাহলে কত টাকা গ্র্যাচুইটি পাওয়া যাবে।
কেউ যদি ৫ বছর বা তার বেশি সময় ধরে কোনও সংস্থায় কাজ করেন, তবে চাকরি ছাড়ার সময় গ্র্যাচুইটি দেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় ধরে কোম্পানিকে আরও ভাল পরিষেবা প্রদানের জন্য কর্মচারীকে পুরষ্কার হিসাবে কোম্পানি কর্তৃক গ্র্যাচুইটির টাকা দেওয়া হয়। চাকরি ছাড়ার সময় সবাই হিসেব করেন কত টাকা পাবেন। এই বিষয়ে জেনে রাখা প্রয়োজন, কেউ যদি ১৫ বছর ধরে একটি কোম্পানিতে কাজ করেন এবং শেষ বেতন হয় ৭৫,০০০ টাকা, তাহলে কত টাকা গ্র্যাচুইটি পাওয়া যাবে।
এই ফর্মুলা দ্বারা গ্র্যাচুইটি গণনা করা হয় -কে কতটা গ্র্যাচুইটি পাবেন, তা একটি ফর্মুলার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। গ্র্যাচুইটি গণনা করার ফর্মুলা হল – (শেষ বেতন) x (কোম্পানিতে কাজ করা বছরের সংখ্যা) x (১৫/২৬)।
এই ফর্মুলা দ্বারা গ্র্যাচুইটি গণনা করা হয় –
কে কতটা গ্র্যাচুইটি পাবেন, তা একটি ফর্মুলার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। গ্র্যাচুইটি গণনা করার ফর্মুলা হল – (শেষ বেতন) x (কোম্পানিতে কাজ করা বছরের সংখ্যা) x (১৫/২৬)।
ফর্মুলার মাধ্যমে গণনা -শেষ বেতন মানে শেষ ১০ মাসের বেতনের গড়। এই বেতনের মধ্যে মূল বেতন, মহার্ঘ ভাতা ও কমিশন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এক মাসে ৪টি রবিবার ছুটি থাকার কারণে ২৬ দিন গণনা করা হয় এবং ১৫ দিনের ভিত্তিতে গ্র্যাচুইটি গণনা করা হয়।
ফর্মুলার মাধ্যমে গণনা –
শেষ বেতন মানে শেষ ১০ মাসের বেতনের গড়। এই বেতনের মধ্যে মূল বেতন, মহার্ঘ ভাতা ও কমিশন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এক মাসে ৪টি রবিবার ছুটি থাকার কারণে ২৬ দিন গণনা করা হয় এবং ১৫ দিনের ভিত্তিতে গ্র্যাচুইটি গণনা করা হয়।
১৫ বছরের চাকরি ও বেতন ৭৫ হাজারে কত টাকা গ্র্যাচুইটি পাওয়া যাবে -আমরা যদি গ্র্যাচুইটি সূত্রের হিসেব দেখি, তাহলে কেউ যদি একটি কোম্পানিতে ১৫ বছর কাজ করেন এবং শেষ বেতন ৭৫,০০০ টাকা হয়, তাহলে গণনার সূত্রটি হবে (৭৫০০০) x (১৫) x (১৫/২৬)। গণনার পরে, মোট ৬,৪৯,০৩৮ টাকা আসবে। এই পরিমাণ টাকা গ্র্যাচুইটি হিসাবে দেওয়া হবে। এইভাবে, নিজেদের শেষ বেতন এবং চাকরির বছরের উপর ভিত্তি করে এই ফর্মুলার মাধ্যমে গ্র্যাচুইটি গণনা করা যেতে পারে।
১৫ বছরের চাকরি ও বেতন ৭৫ হাজারে কত টাকা গ্র্যাচুইটি পাওয়া যাবে –
আমরা যদি গ্র্যাচুইটি সূত্রের হিসেব দেখি, তাহলে কেউ যদি একটি কোম্পানিতে ১৫ বছর কাজ করেন এবং শেষ বেতন ৭৫,০০০ টাকা হয়, তাহলে গণনার সূত্রটি হবে (৭৫০০০) x (১৫) x (১৫/২৬)। গণনার পরে, মোট ৬,৪৯,০৩৮ টাকা আসবে। এই পরিমাণ টাকা গ্র্যাচুইটি হিসাবে দেওয়া হবে। এইভাবে, নিজেদের শেষ বেতন এবং চাকরির বছরের উপর ভিত্তি করে এই ফর্মুলার মাধ্যমে গ্র্যাচুইটি গণনা করা যেতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে হিসেব ভিন্ন হতে পারে -যখন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান গ্র্যাচুইটি আইনের অধীনে রেজিস্টার করা না হয়, তখন কর্মচারীরা গ্র্যাচুইটি আইনের আওতায় পড়েন না। কিন্তু, এমন পরিস্থিতিতে কোম্পানি ইচ্ছে করলে স্বেচ্ছায় কর্মীকে গ্র্যাচুইটি দিতে পারে। সেক্ষেত্রে গ্র্যাচুইটি নির্ধারণের ফর্মুলা হয়ে যায় ভিন্ন। এমতাবস্থায় গ্র্যাচুইটির পরিমাণ হবে প্রতি বছরের অর্ধমাসের বেতনের সমান। তবে এক মাসে কর্মদিবসের সংখ্যা ২৬ নয়, ৩০ দিন হিসেবে বিবেচিত হবে।
এই পরিস্থিতিতে হিসেব ভিন্ন হতে পারে –
যখন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান গ্র্যাচুইটি আইনের অধীনে রেজিস্টার করা না হয়, তখন কর্মচারীরা গ্র্যাচুইটি আইনের আওতায় পড়েন না। কিন্তু, এমন পরিস্থিতিতে কোম্পানি ইচ্ছে করলে স্বেচ্ছায় কর্মীকে গ্র্যাচুইটি দিতে পারে। সেক্ষেত্রে গ্র্যাচুইটি নির্ধারণের ফর্মুলা হয়ে যায় ভিন্ন। এমতাবস্থায় গ্র্যাচুইটির পরিমাণ হবে প্রতি বছরের অর্ধমাসের বেতনের সমান। তবে এক মাসে কর্মদিবসের সংখ্যা ২৬ নয়, ৩০ দিন হিসেবে বিবেচিত হবে।

বেসিক স্যালারি ২০ হাজার টাকা? অবসরের সময় কত Gratuity পাবেন দেখুন, রইল সম্পূর্ণ হিসাব

গ্র্যাচুইটি এক ধরণের পুরস্কার। কোম্পানির তরফে কর্মীকে দেওয়া হয়। সরকারি এবং বেসরকারি কোম্পানির কর্মীরা এই গ্র্যাচুইটি পান। তবে এর জন্য ন্যূনতম ৫ বছর কাজ করতেই হবে। অবসরের সময় কর্মীর হাতে তুলে দেওয়া হয় গ্র্যাচুইটির পরিমাণ।
গ্র্যাচুইটি এক ধরণের পুরস্কার। কোম্পানির তরফে কর্মীকে দেওয়া হয়। সরকারি এবং বেসরকারি কোম্পানির কর্মীরা এই গ্র্যাচুইটি পান। তবে এর জন্য ন্যূনতম ৫ বছর কাজ করতেই হবে। অবসরের সময় কর্মীর হাতে তুলে দেওয়া হয় গ্র্যাচুইটির পরিমাণ।
গ্র্যাচুইটির পরিমাণ মূলত দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। কর্মীর শেষ পাওয়া বেসিক স্যালারি এবং চাকরির মেয়াদ। বেসিক স্যালারি এবং চাকরির মেয়াদ যত বেশি হবে, গ্র্যাচুইটি হিসাবে তত বেশি টাকা পাবেন কর্মী।
গ্র্যাচুইটির পরিমাণ মূলত দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। কর্মীর শেষ পাওয়া বেসিক স্যালারি এবং চাকরির মেয়াদ। বেসিক স্যালারি এবং চাকরির মেয়াদ যত বেশি হবে, গ্র্যাচুইটি হিসাবে তত বেশি টাকা পাবেন কর্মী।
গ্র্যাচুইটি পেমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৭২ অনুযায়ী, ১০ বা তার বেশি কর্মচারী যখন একসঙ্গে কোনও প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, তখন তাঁরা গ্র্যাচিউটির যোগ্য। আইন মোতাবেক কারখানা, রেল, বন্দর, বাগান, খনি বা অন্যান্য ক্ষেত্রে কর্মরত কর্মীদের গ্র্যাচুইটি দেওয়া উচিত।
গ্র্যাচুইটি পেমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৭২ অনুযায়ী, ১০ বা তার বেশি কর্মচারী যখন একসঙ্গে কোনও প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, তখন তাঁরা গ্র্যাচিউটির যোগ্য। আইন মোতাবেক কারখানা, রেল, বন্দর, বাগান, খনি বা অন্যান্য ক্ষেত্রে কর্মরত কর্মীদের গ্র্যাচুইটি দেওয়া উচিত।
আইন অনুযায়ী, কর্মচারীদের দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমত সেই সব কর্মী যাঁরা কেন্দ্রের গ্র্যাচুইটি আইনের আওতায় আসেন। দ্বিতীয়ত যাঁরা আসেন না। এটা নির্ভর করে সেই কোম্পানি গ্র্যাচুইটি আইনের আওতায় আসে কি না। তবে যে সব কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান গ্র্যাচুইটি আইনের আওতায় আসে না, তারাও চাইলে কর্মীদের গ্র্যাচুইটি দিতে পারে।
আইন অনুযায়ী, কর্মচারীদের দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমত সেই সব কর্মী যাঁরা কেন্দ্রের গ্র্যাচুইটি আইনের আওতায় আসেন। দ্বিতীয়ত যাঁরা আসেন না। এটা নির্ভর করে সেই কোম্পানি গ্র্যাচুইটি আইনের আওতায় আসে কি না। তবে যে সব কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান গ্র্যাচুইটি আইনের আওতায় আসে না, তারাও চাইলে কর্মীদের গ্র্যাচুইটি দিতে পারে।
গ্র্যাচুইটি গণনা করার নির্দিষ্ট সূত্র রয়েছে। সেটা হল – শেষ পাওয়া বেসিক স্যালারি x চাকরির মেয়াদ x ১৫/২৬। গ্র্যাচুইটি আইন অনুযায়ী, প্রত্যেক বছরের জন্য ১৫ দিনের বেতনের হারে গ্র্যাচুইটি দেওয়া হয়। যা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই হিসাবে রবিবারগুলো ধরা হয় না। তাই ৩০ দিনের বদলে ২৬ দিনের হিসাবে গণনা করা হয়।
গ্র্যাচুইটি গণনা করার নির্দিষ্ট সূত্র রয়েছে। সেটা হল – শেষ পাওয়া বেসিক স্যালারি x চাকরির মেয়াদ x ১৫/২৬। গ্র্যাচুইটি আইন অনুযায়ী, প্রত্যেক বছরের জন্য ১৫ দিনের বেতনের হারে গ্র্যাচুইটি দেওয়া হয়। যা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই হিসাবে রবিবারগুলো ধরা হয় না। তাই ৩০ দিনের বদলে ২৬ দিনের হিসাবে গণনা করা হয়।
এখন ধরে নেওয়া যাক, একজন কর্মী ১০ বছর ধরে কাজ করছেন। শেষ বেসিক স্যালারি হিসাবে তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার টাকা। তাহলে অবসরের সময় গ্র্যাচুইটি হিসাবে তিনি কত টাকা পাবেন? গ্র্যাচুইটি গণনা করার সূত্র অনুযায়ী, ২০ হাজার (শেষ পাওয়া বেসিক স্যালারি) x ১০ (চাকরির মেয়াদ) x ১৫/২৬ = ১,১৫,৩৮৫ টাকা হচ্ছে। অর্থাৎ অবসরের সময় তিনি গ্র্যাচুইটি হিসাবে ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৮৫ টাকা পাবেন।
এখন ধরে নেওয়া যাক, একজন কর্মী ১০ বছর ধরে কাজ করছেন। শেষ বেসিক স্যালারি হিসাবে তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার টাকা। তাহলে অবসরের সময় গ্র্যাচুইটি হিসাবে তিনি কত টাকা পাবেন? গ্র্যাচুইটি গণনা করার সূত্র অনুযায়ী, ২০ হাজার (শেষ পাওয়া বেসিক স্যালারি) x ১০ (চাকরির মেয়াদ) x ১৫/২৬ = ১,১৫,৩৮৫ টাকা হচ্ছে। অর্থাৎ অবসরের সময় তিনি গ্র্যাচুইটি হিসাবে ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৮৫ টাকা পাবেন।

Gratuity Limit Hike: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সোনায় সোহাগা, DA-র পর বাড়ল গ্র্যাচুইটির লিমিট

লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্মীদের মহার্ঘ্য ভাতা বা ডিএ বাড়িয়েছিল কেন্দ্র সরকার। এবার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা পেলেন আরও এক উপহার। সেটা হল, কেন্দ্রীয় সরকার কর্মীদের গ্র্যাচুইটির সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্মীদের মহার্ঘ্য ভাতা বা ডিএ বাড়িয়েছিল কেন্দ্র সরকার। এবার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা পেলেন আরও এক উপহার। সেটা হল, কেন্দ্রীয় সরকার কর্মীদের গ্র্যাচুইটির সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা ৪ শতাংশ বাড়ানোর পরে, কেন্দ্রীয় সরকার অবসরকালীন গ্র্যাচুইটি এবং ডেথ গ্র্যাচুইটি ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করল। এই কারণে, গ্র্যাচুইটির সীমা ২০ লক্ষ টাকা থেকে এক ধাক্কায় বেড়ে হল ২৫ লক্ষ টাকা। এই বৃদ্ধি ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে কার্যকর বলে বিবেচিত হবে৷
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা ৪ শতাংশ বাড়ানোর পরে, কেন্দ্রীয় সরকার অবসরকালীন গ্র্যাচুইটি এবং ডেথ গ্র্যাচুইটি ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করল। এই কারণে, গ্র্যাচুইটির সীমা ২০ লক্ষ টাকা থেকে এক ধাক্কায় বেড়ে হল ২৫ লক্ষ টাকা। এই বৃদ্ধি ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে কার্যকর বলে বিবেচিত হবে৷
৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির পর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা দাঁড়ায় মূল বেতনের ৫০ শতাংশ। তখন থেকে অবসরকালীন গ্র্যাচুইটি ও ডেথ গ্র্যাচুইটিসহ অন্যান্য ভাতা বাড়ানো হবে বলে আশা করা হচ্ছিল। এখন ১ জানুয়ারি ২০২৪-এর পরে অবসর নেওয়া কর্মীরা এই সুবিধা পাবেন।
৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির পর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা দাঁড়ায় মূল বেতনের ৫০ শতাংশ। তখন থেকে অবসরকালীন গ্র্যাচুইটি ও ডেথ গ্র্যাচুইটিসহ অন্যান্য ভাতা বাড়ানো হবে বলে আশা করা হচ্ছিল। এখন ১ জানুয়ারি ২০২৪-এর পরে অবসর নেওয়া কর্মীরা এই সুবিধা পাবেন।
২০২৪ সালের ৩০ মে জারি হওয়া অফিস মেমোরেন্ডামে বলা হয়েছে, সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসেস (পেনশন) বিধিমালা, ২০২১ বা কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসেস (জাতীয় পেনশন সিস্টেমের অধীনে গ্র্যাচুইটির অর্থ প্রদান) নিয়ম ২০২১-এর অধীনে, ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে অবসরকালীন গ্র্যাচুইটি এবং ডেথ গ্র্যাচুইটির সর্বোচ্চ সীমা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে অর্থাৎ ২০.০০ লক্ষ টাকা থেকে ২৫.০০ লক্ষ টাকা করা হবে৷
২০২৪ সালের ৩০ মে জারি হওয়া অফিস মেমোরেন্ডামে বলা হয়েছে, সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসেস (পেনশন) বিধিমালা, ২০২১ বা কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসেস (জাতীয় পেনশন সিস্টেমের অধীনে গ্র্যাচুইটির অর্থ প্রদান) নিয়ম ২০২১-এর অধীনে, ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে অবসরকালীন গ্র্যাচুইটি এবং ডেথ গ্র্যাচুইটির সর্বোচ্চ সীমা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে অর্থাৎ ২০.০০ লক্ষ টাকা থেকে ২৫.০০ লক্ষ টাকা করা হবে৷
৩০ এপ্রিল গৃহীত সিদ্ধান্ত ৭ মে স্থগিত করা হয়। এর আগে ৩০ এপ্রিল গ্র্যাচুইটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৭ মে সার্কুলার জারি করে সেই সিদ্ধান্ত রদ করা হয়।
৩০ এপ্রিল গৃহীত সিদ্ধান্ত ৭ মে স্থগিত করা হয়। এর আগে ৩০ এপ্রিল গ্র্যাচুইটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৭ মে সার্কুলার জারি করে সেই সিদ্ধান্ত রদ করা হয়।
গ্র্যাচুইটি কী: যখন একজন কর্মী কোনও সংস্থায় দীর্ঘদিন কাজ করেন, তখন তিনি বেতন, পেনশন এবং পিএফ ছাড়াও গ্র্যাচুইটি পান। এই গ্র্যাউইটি আসলে কর্মচারীকে দেওয়া কোম্পানির পুরস্কার। বর্তমানে একজন কর্মচারী কোনও সংস্থায় ৫ বছর কাজ করলে গ্র্যাচুইটি পাওয়ার অধিকারী হন।
গ্র্যাচুইটি কী: যখন একজন কর্মী কোনও সংস্থায় দীর্ঘদিন কাজ করেন, তখন তিনি বেতন, পেনশন এবং পিএফ ছাড়াও গ্র্যাচুইটি পান। এই গ্র্যাউইটি আসলে কর্মচারীকে দেওয়া কোম্পানির পুরস্কার। বর্তমানে একজন কর্মচারী কোনও সংস্থায় ৫ বছর কাজ করলে গ্র্যাচুইটি পাওয়ার অধিকারী হন।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের ডিএ বাড়ানো হয়েছিল। এই বৃদ্ধির কারণে লাখ লাখ কর্মচারী ও পেনশনভোগী স্বস্তি পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরে, অনেক রাজ্য সরকারও নির্বাচনের আগে তাদের কর্মচারীদের ডিএ বাড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের ডিএ বাড়ানো হয়েছিল। এই বৃদ্ধির কারণে লাখ লাখ কর্মচারী ও পেনশনভোগী স্বস্তি পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরে, অনেক রাজ্য সরকারও নির্বাচনের আগে তাদের কর্মচারীদের ডিএ বাড়িয়েছে।

Gratuity: অবসরের পরও গ্রাচুইটি দেয়নি কোম্পানি? আপনি কী কী করতে পারেন দেখুন

কলকাতাঃ গ্র্যাচুইটি এককথায়, কর্মীকে দেওয়া কোম্পানির উপহার। যদিও এর সামান্য অংশ বেতন থেকে কেটে নেওয়া হয়। বড় অংশটা কোম্পানি দেয়। কোম্পানিতে টানা ৫ বছর কাজ করলে কর্মী গ্র্যাচুইটি পাওয়ার যোগ্য হন। যদিও এই সময়সীমা ১ থেকে ৩ বছর করার কথা ভাবছে কেন্দ্র সরকার। এখন অবসর নেওয়ার পর কোম্পানি যদি গ্র্যাচুইটি না দেয়?

আরও পড়ুনঃ এই চাষ শুরু করে আপনিও আয় করতে পারবেন লক্ষ লক্ষ টাকা!

ধরা যাক, ৬৪ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত কর্মী কোনও বেসরকারি সংস্থায় দুই দফায় কুড়ি বছর কাজ করেছেন। ২০০০ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রথম দফায় এবং ২০১২ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায়। এখন কোম্পানি দ্বিতীয় মেয়াদের গ্র্যাচুইটি দিলেও প্রথম দফার গ্র্যাচুইটি দিচ্ছে না। এই অবস্থায় ওই কর্মী কী কী পদক্ষেপ করতে পারেন?

এর উত্তরে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেমেন্ট অফ গ্র্যাচুইটি অ্যাক্ট ১৯৭২-এর আওতায় কর্মীকে গ্র্যাচুইটি দেওয়া হয়। এই আইনের অধীনে গ্র্যাচুইটি একজন কর্মীর বিধিবদ্ধ অধিকার। আইনের ধারা ৪(৬)-এ উল্লিখিত পরিস্থিতি ছাড়া কোম্পানি কর্মীর গ্র্যাচুইটি আটকে রাখতে পারে না। আইনের ধারা ৪ অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মেয়াদে কাজের জন্য কোম্পানি ওই কর্মীকে গ্র্যাচুইটি দিতে বাধ্য। যেহেতু তিনি ২০০০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত চাকরি করেছেন, অর্থাৎ পাঁচ বছরের বেশি।

২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত চাকরিকে পুনঃনিযুক্তি হিসেবে দেখা হবে। তাই ওই কর্মী ২০১২ থেকে ২০২২ পর্যন্ত চাকরির জন্য গ্র্যাচুইটির পাশাপাশি ২০০০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মেয়াদে চাকরি করার জন্য আলাদাভাবে গ্র্যাচুইটি পাবেন।

কোম্পানি গ্র্যাচুইটি দিতে অস্বীকার করলে, না দেওয়া টাকার পরিমাণের উপর ১০ শতাংশ সুদ সহ চাকরির সমস্ত নথিপত্র সমেত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিস পাঠাতে পারেন। এছাড়া গ্রাচুইটি পুনরুদ্ধারের জন্য ধারা ৮-এর অধীনে রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞপ্তি দ্বারা নির্ধারিত কন্ট্রোলিং কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করতে হবে। নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ নথিপত্র যাচাইয়ের পর নিয়োগকর্তার কাছ থেকে গ্র্যাচুইটির পরিমাণ পুনরুদ্ধারের জন্য কালেক্টরের কাছে শংসাপত্র জারি করবে।