রবিবার ২১ জুলাই গুরু পূর্ণিমা। গুরু পূর্ণিমার দিন তৈরি হচ্ছে বিশেষ যোগ। বৃষ রাশিতে মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মহামিলন ঘটতে চলেছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়তে চলেছে বেশ কয়েকটি রাশির জাতক জাতিকার উপর।বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, সমস্ত গ্রহ একটি নির্দিষ্ট সময়ে স্থানান্তর করে। ১২ জুলাই মঙ্গল বৃষ রাশিতে স্থান পরিবর্তন করেছিল। বৃহস্পতি আগে থেকেই এই রাশিতে উপস্থিত ছিল।তাই বৃষ রাশিতে মঙ্গল এবং বৃহস্পতি যুতি তৈরি হয়েছে। এই সংযোগটি ২৬শে আগস্ট পর্যন্ত চলবে। কোন কোন রাশির ভাগ্য খুলে যাবে এই বিশেষ যোগে, জেনে নিন।মেষ রাশি: জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, গুরু পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মিলন মেষ রাশির জাতকদের জন্য বিশেষ সুবিধা নিয়ে আসতে চলেছে। বৃহস্পতির কৃপায় এই রাশির জাতক জাতিকাদের ঘরে ধন সম্পদের আগমণে সম্ভাবনা। যারা চাকরি পরিবর্তন করার কথা ভাবছেন, তারাও ভাল জায়গা থেকে অফার পেতে পারেন। এই রাশির জাতক জাতিকারা পৈতৃক সম্পত্তি থেকেও লাভবান হবেন। এই রাশির ব্যবসায়ীরাও লাভজনক অবস্থানে থাকবেন। বক্তব্যে স্বচ্ছতা থাকবে। সামাজিক স্তরে সম্মান পাবেন।কর্কট রাশি: কর্কট রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনতে চলেছে বৃহস্পতি এবং মঙ্গলের সংযোগ। এই দুই গ্রহের প্রভাবে অনেক আটকে থাকা পরিকল্পনা শেষ হতে পারে।এই রাশির জাতক জাতিকাদের পরিবারে সুখ শান্তি বজায় থাকবে। শুধু তাই নয়, আপনার আর্থিক অবস্থা আরও শক্তিশালী হবে। জমা টাকার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। এই রাশির জাতক জাতিকারা ভ্রমণে উপকৃত হতে পারেন। অনেক দিনের কোনও ইচ্ছা পূরণের সম্ভাবনা।সিংহ রাশি: সিংহ রাশির জাতক জাতিকাদের জন্যও শুভ হতে চলেছে গুরু পূর্ণিমা। বৃহস্পতি এবং মঙ্গলের মিলনের প্রভাবে ভাগ্য খুলে যাবে এই রাশির জাতক জাতিকাদের। এই রাশির জাতকরা কর্মক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন। যেসব প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা ভাল সুবিধা পাবেন। বাবার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হবে। অর্থ সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় সমস্যা এই সময়ে সমাধান হতে পারে।কন্যা রাশি: কন্যা রাশির জাতক জাতিকাদের জন্যও শুভ হবে বৃহস্পতি এবং মঙ্গলের যোগ। ব্যবসায়ীরা এই সময়ে একটি বড় চুক্তি পেতে পারেন। কাজের ধরনে পরিবর্তন দেখা যাবে। যদি কোনও কারণে চিন্তিত থাকেন, তাহলে আপনি সমাধান খুঁজে পেতে পারেন।
হিন্দুধর্মে গুরু পূর্ণিমার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে৷ প্রতি বছর আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতে গুরু পূর্ণিমা উৎসব পালিত হয়৷ চলতি বছর ২১ জুলাই গুরু পূর্ণিমা উৎসব৷ এই দিনটি গুরুকে উৎসর্গ করা হয়৷চলতি বছরে গুরু পূর্ণিমার দিন একাধিক বিরল যোগ তৈরি হচ্ছে৷ সর্বার্থ সিদ্ধি যোগের মতো শুভ যোগ গঠিত হয়েছে গুরু পূর্ণিমায়৷ এদিন আষাঢ় পূর্ণিমায় স্নান ও দানও হবে।আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথি, উত্তরাষাঢ় নক্ষত্র, বিশকম্ভ যোগ, বাব করণ, পশ্চিমের দিশাসুল, রবিবার এবং ধনু চন্দ্র। গুরু পূর্ণিমা উপলক্ষে, সকাল ০৫:৩৭ থেকে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ গঠিত হবে৷গুরু পূর্ণিমার দিন গ্রহ ও নক্ষত্রের দুর্দান্ত মিলন ঘটতে চলেছে৷ যার কারণ বেশ কিছু রাশির জাতক-জাতিকারা দারুণ ফল পেতে চলেছে৷ গুরু পূর্ণিমায় কাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরছে, জেনে নিন আপনিও আছেন কিনা সেই তালিকায়৷গুরু পূর্ণিমার দিনেই শুক্রাদিত্য রাজযোগ গঠিক হচ্ছে, পাশাপাশি শশ মহাপুরুষ রাজযোগে কপাল খুলছে ৷ এছাড়াও বৃষ রাশিতে বৃহস্পতি থাকার কারণে কুবের রাজযোগও সৃষ্টি হচ্ছে৷ এছাড়াও সূর্য-শনি ষড়ষ্টক যোগ সৃষ্টি করছে৷বৃষ রাশি: বৃষ রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য গুরু পূর্ণিমার দিনটি খুবই শুভ৷ মঙ্গল ও বৃহস্পতি এই রাশির উর্ধ্বমুখী ঘরে অবস্থান করছে৷ চাকরিজীবীদের জন্য ভাল সময়। নতুন সুযোগ পেতে পারেন। নতুন সম্পত্তি ও যানবাহন কেনার স্বপ্নপূরণ হতে পারে। বাবা ও মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। দাম্পত্য জীবনে সুখের সময়। ধারের টাকা ফেরত পেতে পারেন।তুলা রাশি: গুরু পূর্ণিমার দিন তুলা রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য খুবই ভাল যাবে। এই রাশিতে বুধ গ্রহ উর্ধ্বমুখী ঘরে অবস্থান করছে৷ যার ফলে সব কাজেই সাফল্য পাবেন। সমাজে সম্মান বাড়বে। কাজের জায়গায় সুবিধা পাবেন, প্রশংসা পাবেন। ব্যবসায়ীদের জন্যও সময়টা লাভ। প্রচুর লাভ পাবেন, বিনিয়োগে ভাল রিটার্ন পাবেন।
আজ ২১ জুলাই গুরু পূর্ণিমা৷ চলতি বছরে গুরু পূর্ণিমার দিন একাধিক বিরল যোগ তৈরি হচ্ছে৷ সর্বার্থ সিদ্ধি যোগের মতো শুভ যোগ গঠিত হয়েছে গুরু পূর্ণিমায়৷এদিন আষাঢ় পূর্ণিমায় স্নান ও দানও হবে। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথি, উত্তরাষাঢ় নক্ষত্র, বিশকম্ভ যোগ, বাব করণ, পশ্চিমের দিশাসুল, রবিবার এবং ধনু চন্দ্র। গুরু পূর্ণিমা উপলক্ষে, সকাল ০৫:৩৭ থেকে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ গঠিত হবে৷আষাঢ় পূর্ণিমা উপলক্ষে চাল, চিনি, দুধ, দই, সাদা কাপড় ইত্যাদি দান করতে পারেন। যেহেতু রবিবার, তাই স্নানের পর সূর্যের পূজা করা উচিত। তাদের জল দিয়ে অর্ঘ্য নিবেদন করুন। এটি আপনার রাশিফল থেকে সূর্যদোষ দূর করবে। এই কাজটি আপনার প্রতিদিন করা উচিত। সূর্যের মন্ত্র জপ করাও শুভ হতে পারে।জ্যোতিষী অনিল শর্মার মতে, এই দিনে গুরুর আরাধনা এবং দরিদ্রদের দান করলে বিশেষ ফল পাওয়া যায়।জ্যোতিষী অনিল শর্মা বলেছেন, আপনি যদি কোনও গুরু মন্ত্র গ্রহণ না করে থাকেন তাহলে আপনার গুরুর কাছ থেকে গুরু মন্ত্র নেওয়ার জন্য গুরু পূর্ণিমা হল সেরা দিন।এই গুরু পূর্ণিমার দিন শ্রী গিরিরাজ গোবর্ধন জিকে প্রদক্ষিণ করলে অনন্ত পুণ্য লাভ করবেন। গুরু পূর্ণিমায় ব্রাহ্মণ ও দরিদ্রদের দান করা শুভ৷ ব্রাহ্মণদের হলুদ রঙের জিনিস দান করলে সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হবে৷এদিন আপনার গুরুর পূজা করুন, মালা পরান, তারপর গুরুকে উপহার হিসাবে পোশাক, ফল, মিষ্টি ইত্যাদি দিন, প্রণাম করুন এবং আশীর্বাদ নিন।জ্যোতিষীর মতে, যারা উপোস করবেন তাদের ভুল করেও আজকের দিনে নুন খাওয়া উচিত নয়। তারা সন্ধ্যার খাবারে চিনি ব্যবহার করতে পারেন। সূর্যের শুভ প্রভাব পেতে রবিবার উপবাসও পালন করা হয়।
রবিবার গুরু পূর্ণিমা। এই পূর্ণিমা তিথি গুরু পূর্ণিমা হিসাবে পরিচিত। পূর্ণিমা তিথিতে বহু হিন্দু পরিবারেই নানা শুভ কাজ সম্পন্ন হয়। দেখে নেওয়া যাক, এই গুরু পূর্ণিমা তিথি কবে কোন সময় থেকে পড়ছে। এদিকে, জ্যোতিষশাস্ত্র মতে বলা হচ্ছে, গুরু পূর্ণিমা তিথিতে পড়ছে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ।২০ জুলাই ভারতীয় সময় অনুসারে ভোর ৫ টা ৫৯ মিনিটে শুরু হবে আষাঢ় পূর্ণিমার তিথি। এরপর তিথি শেষ হবে ২১ জুলাই সন্ধ্যা ৩ টে ৪৬ মিনিটে শেষ হবে তিথি। এই দিনে স্নান, দান ও ধ্যান সম্পন্ন করার শুভ সময় রয়েছে।প্রেমযোগ শুরু হবে ২১ জুলাই রাত ৯ টা ১১ মিনিট থেকে, আর ২২ জুলাই সন্ধ্যা ০৫ টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত তা চলবে। এই যোগগুলিতে শুভ কাজ করার কথা বলছেন জ্যোতিষবিদরা।গুরু পূর্ণিমা পূজার্চনা, ব্রত করলে ব্যক্তির জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে। এই তিথিতে গুরু আরাধনার মাহাত্ম্য রয়েছে। তবে এ বছর গুরু পূর্ণিমার তারিখ নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি রয়েছে।পৌরাণিক ধারণা অনুযায়ী এই তিথিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বেদব্যাস। এই তিথিটি ব্যাস পূর্ণিমা বা ব্যাস জয়ন্তী নামে পরিচিত। এই তিথিতে বেদের বিভাজন করেছিলেন বেদব্যাস। এই তিথিতে গুরু নিজের শিষ্যদের দীক্ষা দেন।জ্যোতিষবিদ সুদীপ শাস্ত্রী জানাচ্ছেন, প্রীতি যোগকে প্রেম যোগও বলা হয়। শুভ ও ইতিবাচকতার প্রতীক এই যোগ। এ বছর গুরু পূর্ণিমায় এই যোগ থাকবে। ২১ জুলাই রাত ৯টা ১১ মিনিট থেকে ২২ জুলাই সন্ধ্যা ৫টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত প্রীতি যোগ থাকবে। এই যোগে কোনও কাজ করলে সফল হয়।এছাড়াও করুন জপ গুরুর্বহ্মা গুরুর্বিষ্ণু গুরুর্দেবো মহেশ্বরঃ গুরু সাক্ষাৎ পরমব্রহ্ম তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ। ওম নমোঃ নারায়ণায়। ওম নমোঃ ভগবতে বাসুদেবায়। ওম শ্রী বিষ্ণবে চ বিদ্মহে বাসুদেবায় ধীমহি। তন্নো বিষ্ণুঃ প্রচোদয়াৎ।।এছাড়াও করুন শান্তাকারম ভূজঙ্গশয়নম পদ্মনাভম সুরেশম্। বিশ্বধারম গগনসদৃশম মেঘবর্ণম শুভাঙ্গম্। লক্ষ্মীকান্তম কমলনয়নম যোগিভির্ধ্যানগম্যম্ বন্দে বিষ্ণু ভবভয়হরম সর্বলোকৈকনাথম্।।
গুরু পূর্ণিমাকে শাস্ত্র মতে খুবই পবিত্র দিন হিসাবে মানা হয়। হিন্দু ধর্ম মতে, আষাঢ় মাসে এই পবিত্র দিনে জন্ম গ্রহণ করেন বেদের রচয়িতা বেদব্যাস। এই দিনে প্রার্থনা এবং দানধ্যান করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।শনিবার অর্থাৎ ২০ জুলাই বিকেল ৫টা ৫৯ থেকে রবিবার ২১ জুলাই ৩টে ৪৬ পর্যন্ত গুরুপূর্ণিমা থাকবে। শুধু তাই নয়, ওই একই দিনে রয়েছে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ, যা শুরু হবে ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটে এবং শেষ হবে রাত ১২টা ১৪ মিনিটে।সেই সঙ্গে উত্তরাষাঢ় নক্ষত্র ভোর থেকে রাক ১২টা ১৪ পর্যন্ত বজায় থাকবে। শুধু তাই নয়, শ্রাবণ নক্ষত্র এবং প্রীতি যোগও পূর্ণিমার দিনেই পড়েছে। এখানেই শেষ নয়, ২০ তারিখ রাত ১২টা ৮ থেকে ২১ তারিখ রাত ৯টা ১১ পর্যন্ত থাকবে বিষকম্ব যোগ।পণ্ডিত কল্কি রামের মতে, সর্বার্থ সিদ্ধি যোগে যে কোনও কাজ করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে, যেমন নতুন কাজ শুরু করা, জমি, বাড়ি বা গাড়ি কেনা।সেই সঙ্গেই রয়েছে মহাপবিত্র প্রীতি যোগ। এই সময়ও কোনও কাজ করলে সাফল্য অবধারিত।
