লাইফস্টাইল High Cholesterol Control: রাতের অভ্যাসে হাঁপিয়ে যান? এখনই বদলান কিছু পুরনো নিয়ম, কোলেস্টেরল লেভেল তরতর করে কমবে, জীবনের ঝুঁকিও থাকবে না Gallery June 10, 2024 Bangla Digital Desk ওজনের সঙ্গেই বাড়ছে কোলেস্টেরল৷ ঘরে ঘরে এই সমস্যা এবং যার পরিণতি খুবই ভয়ঙ্কর হতে পারে৷ কোলেস্টেরলের জন্য কোনও বয়সের গণ্ডি নেই, এখন যে কোনও বয়সেই এই খারাপ রোগ ধরা পড়ে৷ ফলে সতর্ক না থাকলে খুবই বিপদ৷ কারণ শরীরে কোলেস্টেরলের লেভেল সঠিক না রাখলে অন্য বড় রোগে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি৷ প্রতিদিন তাই নিজের খেয়াল রাখুন , খাওয়াদাওয়া ছাড়াও কিছু অভ্যাসের বদল আনুন৷ চিকিৎসকেরা বলেন, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে না রাখলে বড় বিপদ।এ দেশে প্রায় ৫২ শতাংশ মানুষ খারাপ কোলেস্টেরলের শিকার, ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন’ (এনসিবিআই)-এর সমীক্ষা। ২০ থেকে ৪০ বছরে এক রকম ঝুঁকি, আবার ৪০ উর্দ্ধে আর এক রকম ঝুঁকি থাকে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে৷ শুধু ওষুধে কিছুটা কোলেস্টেরলের লেভেল কম রাখলেও পুরোপুরি রোগ মুক্তি পেতে প্রতিদিনের নিয়মে কিছু বদল আনা প্রয়োজন৷ কোলেস্টেরল দুই রকমের, ভাল (এইচডিএল) ও খারাপ (এলডিএল)। খারাপ কোলেস্টেরল বেশি থাকা মানেই হার্টের ও কিডনির বারোটা বাজবে৷ কীভাবে বাড়ে এই কোলেস্টেরলের লেভেল? সারাদিন যা খান, কিন্তু রাতের কিছু নিয়নে বদল আনতে হবে৷ যার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে৷ রাতের কোন নিয়ম বদলাবেন? রাতে আমরা এমন কিছু খাচ্ছি যা উপকারের চেয়ে বেশি অপকার করছে৷ কী কী অভ্যাস বদলালে খারাপ৷ কোলেস্টেরলের হাত থেকে বাঁচতে পারেন? রাতে চেষ্টা করুন মেপে খেতে৷ অনেক সময়ই হয় আমরা অফিস থেকে বাড়ি ফিরে রাতে বসে আরাম করে অনেকটা খাবার খেয়ে ফেলি৷ এই অভ্যাসটা খুবই ক্ষতিকর৷ চেষ্টা করুন রাতের খাবারটা যতটা হাল্কা খাওয়ার৷ ২টো রুটি বা ১ কাপ ভাত, স্যুপ, স্যালাড, এক বাটি সবজি, এভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে স্বাদ অনুযায়ী খেতে পারেন৷ রাতের খাবারে মাছ-মাংস বেশি রাখবেন না৷ চেষ্টা করুন রাতের খাবারে প্রোটিন কম রাখার৷ কারণ এগুলো হজম করতে সময় বেশি লাগে৷ কোনও রকম প্রিজারভেটিভ দেওয়া খাবার খেলেও সমস্যা হয়৷ এতে শরীরে খুব বাড়িয়ে দেয় কোলেস্টেরলের লেভেল৷ রাতের খাবার থেকে একেবারে বাদ দিতে হবে চিনি বা মিষ্টি৷ আমাদের অনেকের অভ্যাস রয়েছে রাতে খাবার পর কিছু একটা মিষ্টি জিনিস খাওয়ার৷ এতে হঠাৎ করে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে৷ ফলে এটা বদভ্যাস, যা পাল্টে ফেলতে হবে৷ অনেকে রাতের দিকে চকোলেট বা কফি এড়িয়ে চলুন৷ রাত জেগে কাজ করলেও এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে৷ একই সঙ্গে মাঝরাতে খেতে মন চাইলেও কোনও ভাবে মুখে কিছু দেবেন না৷ কারণ এতেই বিপদ বাড়ে৷ আর যা একেবারে বাদ দিতে হবে তা হল কোনও ধরনের কেক, পেস্ট্রি বা ক্রিম জাতীয় খাবার, কোনও রকম কোল্ড ড্রিঙ্ক, ফ্রায়েড ফুড খাবেন না৷ এরই সঙ্গে বাদ দিতে হবে রাতে মদ্যপান৷ রাতের দিকে মদ পানের অভ্যাস খুব খারাপ৷ অতিরিক্ত মদ্যপানে কোলেস্টেরল চড়চড় করে বাড়ে।Disclamer: এই মতামত News18বাংলার নিজস্ব মত নয়৷ প্রচলিত ধারণার ভিত্তিতেই এই প্রতিবেদন৷ সঠিক ফল পেতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷
লাইফস্টাইল How To Make A Habit: ২১ দিন ধরে একটি কাজ করলেই শরীরে বিশাল পরিবর্তন! কোনও কাজে অভ্যাস কেন হয় Gallery May 21, 2024 Bangla Digital Desk এটি কোনও অভ্যাস ত্যাগ করা বা একটি নতুন অভ্যাস গঠনের বিষয়ে হোক না কেন, আমরা প্রায়শই শুনি যে এটির জন্য মাত্র ২১ দিন সময় লাগে। প্রকৃতপক্ষে, ম্যাক্সওয়েলের মতে, যখনই তিনি কোনও অস্ত্রোপচার করেন, তার রোগীদের মধ্যে পরিবর্তন ঘটতে ২১ দিন লেগেছিল। এমতাবস্থায় প্রশ্ন জাগে যে আসলেই কি আমাদের কোনো অভ্যাস আয়ত্ত্ব করতে ২১ দিন সময় লাগে? গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় এবং পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই ২১ দিনের ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। এর জন্য, তিনি ৩০,০০০টিরও বেশি জিমে যান এবং ৩,০০০-এরও বেশি হাসপাতালের কর্মচারীর ডেটা অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। এই বিশ্লেষণটি মেশিন লার্নিং টুল ব্যবহার করে করা হয়েছিল। এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে কিছু অভ্যাস তৈরি হতে অন্যদের তুলনায় বেশি সময় নেয়। উদাহরণস্বরূপ, গড়ে ছয় মাসেরও বেশি সময়ে কোনও কাজ করার অভ্যাস হয়ে উঠতে। কখনও কখনও একজন ব্যক্তি কয়েক মাস পরেও কাজ করার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন না, যেখানে গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে হাসপাতালে কর্মরত লোকেরা হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে মাত্র এক সপ্তাহ সময় নেন। প্রকৃতপক্ষে, গবেষণা অনুসারে, এটি অভ্যাসের বিকাশের জন্য কতটা সময় নেয় তার উপর নির্ভর করে। কোনও অভ্যাস আপনার নিয়মিত রুটিনের অংশ হতে কতটা সময় নেয় তা নির্ভর করে সেই ব্যক্তি এবং সেই অভ্যাসের উপর। কখনও কখনও সাধারণ অভ্যাসগুলি তৈরি হতে অনেক সময় নেয়, যেখানে অন্যান্য অনেক অভ্যাস সহজেই তৈরি হয়। ২০০৯ সালে পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে প্রাতঃরাশ খাওয়ার মতো জিনিসগুলি-সহ তাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অভ্যাস গড়ে তুলতে মানুষের ১৮ থেকে ২৫৪ দিন সময় লেগেছে।