প্রযুক্তি Homely Hearing Test: সতর্ক না হলে পস্তাতে হবে! হেডফোনের ভলিউম বাড়িয়ে শোনেন? বুঝে নিন আপনার কানের সহ্য ক্ষমতা Gallery June 25, 2024 Bangla Digital Desk অনেকেই জোরে গান শুনতে ভালবাসেন। কানে হেডফোন লাগিয়ে বাড়িয়ে দেন ভলিউম। পৌঁছে যান অন্য জগতে। বাইরের কোলাহল আর ছুঁতে পারে না। এটা এক ধরনের ‘খেলা’। কিন্তু এতে কানের বারোটা বাজছে। কারণ উচ্চ ভলিউমের ঝুঁকি বিস্তর। তাহলে হেডফোনে গান শোনার জন্য সঠিক ভলিউম বোঝার উপায় কী? রিঙ্গিং টেস্ট: এটা খুব সহজ একটা পরীক্ষা। একজোড়া ফোমের ইয়ার প্লাগ আর যথাযথ সেটিংস দরকার শুধু। ২-৩ দিন হেডফোন ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। তারপর নিরিবিলি ঘরে গিয়ে কানে ইয়ারফোন লাগাতে হবে। এবার মন দিতে হবে শ্বাস প্রশ্বাসের শব্দে। এই সময় কানে খুব হালকা একটা শব্দ আসবে। এটাই কানের বেসলাইন লেভেল। পরেরদিন স্বাভাবিক হেডফোন ব্যবহারের পর সন্ধ্যায় ফের এই পরীক্ষা করতে হবে। সেই সময় আওয়াজ যদি আগের দিনের চেয়ে বেশি আসে, তাহলে বুঝতে হবে হেডফোনের ভলিউম বেশি ছিল। মুখের সামনে হেডফোন: পছন্দের ভলিউমে হেডফোন চালিয়ে কান থেকে খুলে ফেলতে হবে। রাখতে হবে মুখের সামনে। এখন কি গান স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। উত্তর হ্যাঁ হলে, বুঝতে হবে ভলিউম বেশি আছে। ভলিউম কন্ট্রোল দেখা: হেডফোনের ভলিউম যেন অর্ধেকের কম হয়। এটা গুরুত্বপূর্ণ। ভলিউম কন্ট্রোল যদি দুই-তৃতীয়াংশের বেশি বা ৬০ শতাংশের বেশি চলে যায়, তাহলে তা কানের জন্য ক্ষতিকর। বন্ধুর সাহায্য: পাশে বসা বন্ধু কি হেডফোনের গান শুনতে পাচ্ছে? যদি শুনতে পায়, তাহলে গান খুব জোরে বাজছে। ভলিউম বেশি রয়েছে। কানের ক্ষতি হচ্ছে। ওপেন ব্যাক হেডফোন ব্যবহার না করলে এটা খুব ভাল বোঝা যায়। পাশের বন্ধু যদি গানের প্রতিটা কথা স্পষ্ট শুনতে পায়, তাহলে ভলিউম কমানোর সময় এসেছে। শ্রবণশক্তি হ্রাসের লক্ষণ: শ্রবণশক্তি হ্রাস পেয়েছে কি না, সেটা সহজে বোঝা যায় না। তবে এর কিছু লক্ষণ রয়েছে। যেমন –কানে রিঙ্গিং, ক্লিকিং, হিসিং শব্দ শোনা।কোলাহলপূর্ণ জায়গায় অন্যের কথা শুনতে অসুবিধা।ভলিউম ক্রমাগত বাড়ানোর প্রয়োজন হয়।