লাইফস্টাইল Salt in High Blood Pressure: কোন নুন খেলে বাড়বে না ব্লাড প্রেশার? এই রোগে রোজ কতটা লবণ খেলে বিপদ নেই? সুস্থ থাকতে এখনই জানুন Gallery July 16, 2024 Bangla Digital Desk হাই ব্লাড প্রেশার এবং নুন কোনও সময়েই এক মেরুতে মেলে না। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নুন খেতে সব সময় নিষেধ করা হয়। সাদা নুনের পাশাপাশি একাধিক রকমের নুন পাওয়া যায়। জেেন নিন কন নুনটা রক্তচাপে কতটা খাওয়া যায়। আদৌ খাওয়া যায় কি না। বলছেন পুষ্টিবিদ মনপ্রীত কালরা। রোজকার ব্যবহার্য সাদা নুনকে বলা হয় টেবল সল্ট। এর মূল যৌগ সোডিয়াম ক্লোরাইড। বেশি পরিমাণে খেলে বাড়তে পারে হাই প্রেশার ও হৃদরোগের আশঙ্কা। সমুদ্রের জল বাষ্পীভূত হয়ে তৈরি হয় সামুদ্রিক লবণ বা সি সল্ট। এতে সোডিয়াম ক্লোরাইডের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম টেবল সল্টের তুলনায়। তবে সেটা সামান্যই। টেবল সল্ট বেশি খেলে হাইপ্রেশার বাড়তে পারে। যুগ যুগ ধরে সঞ্চিত সি সল্ট থেকে তৈরি হয় হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট। এই নুনে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম আছে। ফলে এর রং গোলাপি। এর ফলে পুষ্টিগুণ সামান্য বাড়লেও ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে কতটা কার্যকরী, সেটা এখনও প্রমাণিত নয়। কোশের সল্টের ফ্লেক্স ও গঠন টেবল সল্টের তুলনায় বড়। এই টেক্সচারের জন্য রান্নায় অন্য মাত্রা যোগ করে। তবে সোডিয়ামের দিক থেকে এটা ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে কতটা কার্যকর, তা নিয়ে প্রামাণ্য তথ্য নেই। হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে কোনও নির্দিষ্ট নুন বা লবণ নেই। হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট বা সি সল্ট ব্যবহার করতে পারেন এর খনিজের পুষ্টিগুণের জন্য। কিন্তু মনে রাখবেন সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণ করে ব্লাড প্রেশার কম রাখার ক্ষেত্রে আলাদা করে বিশেষত্ব নেই এই দুই নুনের। হাই প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করতে সার্বিক ভাবে সোডিয়াম ইনটেক কমান। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ সুষম খাবার খান। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দৈনিক সোডিয়াম গ্রহণের সর্বোচ্চ পরিমাণ রাখতে হবে ২৩০০ মিলিগ্রামের মধ্যে। হাই প্রেশার থাকলে বা এই সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে দৈনিক সোডিয়াম গ্রহণের পরিমাণ রাখুন ১, ৫০০ মিলিগ্রামে সীমাবদ্ধ।
লাইফস্টাইল High Blood Pressure Superfood: হাই ব্লাডপ্রেশারে ধন্বন্তরি! দিনভর এই খাবারেই কমবে রক্তচাপ! খেতে হবে এই ঘরোয়া সুপারফুড Gallery May 30, 2024 Bangla Digital Desk হাই ব্লাডপ্রেশার বা হাইপার টেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ মূলত লাইফস্টাইল সংক্রান্ত অসুখ৷ ওষুধের পাশাপাশি ডায়েট নিয়ন্ত্রণও অত্যন্ত জরুরি এই অসুখে৷ ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামে ভরপুর কিছু খাবারকে বলা হয় হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণের সুপারফুড৷ বলছেন পুষ্টিবিদ অবনী কৌল৷ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা টক দইয়ের৷ ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর পরিমাণে আছে টকদইয়ে৷ সকাল থেকেরাত নানা ডায়েটে একাধিক উপায়ে খেতে পারেন টক দই৷ স্যামন, ম্যাকারেল, সার্ডিনের মতো মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে৷ এই সামুদ্রিক মাছগুলি ইনফ্লেম্যাশন ও খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে৷ টকটকে লাল বিটরুটে প্রচুর নাইট্রেট আছে৷ এই উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে৷ শিকড় থেকে শুরু করে পাতা-বিটগাছের সবই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সুপারফুড৷ স্যালাড, জুস, তরকারি-নানা ভাবে খেতে পারেন বিটরুট৷ অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, পলিফেনলে ঠাসা ডার্ক চকোলেট ডায়েটে থাকলে রক্তচাপ বশে থাকে৷ তবে দৈনিক ২ টি স্কোয়্যারের বেশি খাবেন না৷ নাইট্রেট ভরপুর বাঁধাকপি, পালংশাক, কেল এবং অন্যান্য সবুজ শাকসবজি রক্তচাপ বশে রাখে৷ ডায়েটে নানাভাবে সবুজ শাকসবজি রাখতে ভুলবেন না৷ গোটা দানাশস্য উচ্চ রক্তচাপ কমাতে কার্যকর৷ কারণ ওটস এবং অন্যান্য গোটা দানাশস্যে থাকা বিটা গ্লুকান সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক ব্লাড প্রেশার কমাতে সাহায্য করে৷ ব্রেকফাস্টে খান চিনিছাড়া ওটমিল৷ লাঞ্চে হোল গ্রেন ব্রেড এবং রাতে সাইড ডিশে খান সিজনড কিনোয়া৷