উত্তর ২৪ পরগনা: ভালবাসা বলতে ঘুম, সেই ছাত্রী এবার দেশের মধ্যে গড়ল নজির! দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছে ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট বোর্ড। আর সেখানেই দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে নজর কাড়লজেলার কৃতি ছাত্রী হৃশিতা সরকার।
মধ্যমগ্রাম পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের উদয়রাজপুর পেয়ারা বাগান এলাকার বাসিন্দা হৃশিতা ছোট বেলা থেকেই মেধাবী। তবে পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে সাহিত্যচর্চায় বিশেষ ঝোঁক রয়েছে তার। বাবাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই পরবর্তীতে শিক্ষকতা করার ইচ্ছে রয়েছে হৃশিতার। আর্টস নিয়ে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা, ইলেকটিভ ইংলিশ, ইতিহাস, সোশিয়োলজি, পলিটিকাল সাইন্স নিয়ে মোট নম্বর ৪০০ নম্বরের পরীক্ষায় সে পেয়েছে ৩৯৮। যা শতাংশের হিসাবে ৯৯.৫%।
বিষয়ভিত্তিক পরিসংখ্যান দেখলে, হৃশিতা ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সোশিয়লজিতে পেয়েছে ১০০ নম্বর। বাংলা, ইংলিশ ও ইলেকটিভ ইংলিশে যথাক্রমে পেয়েছে ৯৮ ও ৯৯। অক্সিলিয়াম কনভেন্ট স্কুল বারাসতের ছাত্রী হৃশিতার এই ফলাফল সামনে আসতেই খুশি গোটা পরিবারের। তবে কৃতি ছাত্রীর হৃশিতা অবশ্য জানান, এতটা ফল ভাল হবে তা তিনি নিজেও আশা করেননি। দিনে মাত্র চার পাঁচ ঘণ্টা পড়াশোনা চলত। অবসর সময়ে গল্পের বই যেন ছিল একমাত্র বন্ধু।
আগামীতে ইংলিশে অনার্স নিয়েই এগিয়ে যেতে চান মধ্যমগ্রামের কৃতি পড়ুয়া হৃশিতা সরকার। ছাত্রীর এই সাফল্যের কথা জানিয়ে টুইটও করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিআই অফিস থেকেও মিলেছে বিশেষ সংবর্ধনা। হৃশিতার বাবা শুভেন্দু সরকার রানাঘাট কলেজের ইংলিশের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর। মা রুনা সরকার নিতান্তই গৃহবধূ। মেয়ের এই সাফল্যে যেন আজ গর্বিত তারাও। জানালেন পড়াশোনার পাশাপাশি ওডিসি, ফোক ডান্স সহ নাচের প্রতি রয়েছে হৃশিতার আলাদা টান। এখন পাড়া প্রতিবেশী থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা বন্ধু-বান্ধব সকলেই বাড়িতে এসে ফোনে অভিনন্দন জানাচ্ছে দ্বিতীয় হয়ে নজর কাড়া এই কৃতি ছাত্রীকে।
Rudra Narayan Roy