বেঙ্গালুরু: এই দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারের ফিল্ডিং নিয়ে দক্ষতা প্রশ্নাতীত। তবে, বার বার ভারত ঘোরার সৌজন্যে এই দেশের সংস্কৃতি থেকে খাদ্যাভ্যাস রপ্ত করার ব্যাপারেও যে দক্ষ হয়ে উঠছেন জন্টি রোডস, তা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলো দেখলেই বেশ বোঝা যায়।
রোডস সম্প্রতি ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভারতের রোডে। দিনকয়েক আগে বেঙ্গালুরু এয়ারপোর্টের নিকটস্থ এক খাবারের দোকান থেকে ছবিও তিনি পোস্ট করেছিলেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে। সেই ছবি থেকে জানা গিয়েছিল যে তাঁর ড্রাইভার তাঁকে এই খাবারের দোকানের সন্ধান দেন- মূলত ভাল খাবার আর স্থানীয় খাদ্যাভ্যাসের স্বাদ উভয়ই গ্রহণের জন্য।
তারকা খেলোয়াড় কী খেয়েছিলেন, তা নিয়ে কৌতূহল থাকবেই। ছবি দেখে বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না যে তিনি বেশ চেটেপুটেই উপভোগ করেছেন বেঙ্গালুরুর এই দোকানের খাবার। পাতে ছিল ম্যাঙ্গালোর বান আর মশালা ধোসা। খুব বেশি মশলাদার, ঝাল ভারতীয় খাবার নিয়ে বিদেশিদের যে অসুবিধায় পড়তে হয়, এখানে তার প্রশ্নই ছিল না। ফলে, রোডসও তারিয়ে তারিয়ে খেয়েছেন।
আরও পড়ুন: হুহু করে নামছে তাপমাত্রা, দার্জিলিং-কালিম্পংয়ে কত ঠান্ডা জানেন? পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার আগে জানুন
উল্লেখযোগ্য বিষয় এই যে খাবারগুলো কিন্তু বেছে দিয়েছিলেন তাঁর গাড়িচালকই। রোডসের ছবিতে সেই কৃতজ্ঞতা আর স্বাদের জাদুর আমেজ ধরা দিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, খাবার সামনে নিয়ে হাসিমুখে থাম্বস আপ পোডজে তিনি বসে, উল্টোদিকে আরেক ভদ্রলোক। এক্স-ক্রিকেটারের এই পোস্ট এক্স মিডিয়া হ্যান্ডেলে আসতেই উড়ে এল এক কটাক্ষ। জনৈক ইউজার ধরেই নিলেন, দ্বিতীয় ভদ্রলোকই রোডসের ড্রাইভার। তাঁর সামনে খাবার না দেখে তিনি মন্তব্য করলেন- সেলিব্রিটি হলেই যে তার ক্লাস থাকে, এমনটা নয়! এ হেন মন্তব্যের যুক্তি, রোডস শুধু নিজেই খেয়েছেন, ড্রাইভারের জন্য খাবার অর্ডার করেননি।
স্বাভাবিক ভাবেই এই মন্তব্য খারাপ লেগেছে রোডসের। তবে তিনি চুপ করে থাকেননি। লিখেছেন যে, দিনকয়েক ধরেই ভাবছিলেন এর জবাব দেবেন। উল্টোদিকে বসে থাকা ওই ভদ্রলোক তাঁর ড্রাইভার নন, তিনি সম্পূর্ণ অপরিচিত। ড্রাইভারের জন্য খাবার অর্ডার করতে চাইলেও তিনি এক কাপ চা ছাড়া কিছু খাননি। সেটার দাম যে তিনিই দিয়েছেন, এটা লিখতেও কার্যত বাধ্য হয়েছেন রোডস।
তাঁর এই পোস্ট এখন ভাইরাল। জনমত তাঁরই পক্ষে। সবাই বলছেন- সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোলকে এত পাত্তা দেওয়ার কোনও কারণই নেই। কারও কাছে জবাবদিহি করারও প্রশ্ন ওঠে না। কিন্তু এই ক্রিকেটার আদ্যন্ত ভদ্রতায় বিশ্বাসী, তাই যে বিষয় বিতর্কের কারণ হতে পারে, তা খারিজ করলেন নম্রভাবেই।