Tag Archives: Kolkata Tram

Kolkata Tram: নিঃশেষ হয়ে গেল ১৫০ বছরের ইতিহাস… ট্রাম লাইব্রেরি বা ট্রাম রেস্তোরাঁর কী হবে এবার?

কলকাতা: ১৮৭৩ সালে কলকাতায় ট্রামের যাত্রা শুরু। কিন্তু সাত বছর চলার পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ ব্যবসার দিক থেকে ট্রাম পরিষেবা মোটেও লাভজনক ছিল না। ১৯শ’ মাইল বিস্তৃত ট্রাম লাইন তখন ঘোড়ায় টানত।পরে উনিশ দশকে প্রথম বিদ্যুতের মাধ্যমে ট্রাম চালানো শুরু হয়। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সেসময় কলকাতার মানুষের পছন্দের বাহন হয়ে ওঠে ট্রাম। সেই ট্রাম যাত্রাতেই এবার ছেদ পড়তে চলেছে।

কেন এই সিদ্ধান্ত? পরিবহণ নিগম সূত্রে জানা গেছে, শহরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। সে কারণে আগের তুলনায় ট্রাম পরিষেবা অনেকটা সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। পরিবহণ নিগমের হাতে ট্রাম রয়েছে ২৬৯টি। কিন্তু বর্তমানে দিনে কোনও ট্রামকে রাস্তায় নামানো যাচ্ছে না। তাই চলনে সক্ষম থাকলেও বহু ট্রামকে দিনের পর দিন বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। সেইসব ট্রামকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে পরিকল্পনা চলছিল কিছুদিন ধরেই। সেই সূত্রেই রেস্তোরাঁর জন্য ট্রাম ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ট্রাম লাইব্রেরি, ট্রাম রেস্তোরাঁ একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

এমনকি ট্রামের বগি ভাড়া বা বিক্রি করা হয়েছিল রেস্তোরাঁ তৈরি করতে।কলকাতায় ট্রাম চালুর এক বছরের মাথায় বম্বেতেও (অধুনা মুম্বই) ট্রাম চলেছিল। তবে সে পাট বম্বে (মুম্বই) চুকিয়েও দিয়েছে প্রায় ষাট বছর হতে চলল। ভারতের প্রধান বাণিজ্য শহরের গতিময় জীবনে নাকি বড় প্রতিবন্ধক ছিল ট্রাম। তা বন্ধ করে দিয়ে শহরের সড়কপথের গতি কেমন বেড়েছে তা ব্যস্ত সময়ে গেলেই টের পাওয়া যাবে। তবে উৎসাহীর সন্ধানী চোখে খুঁজে দেখলে বম্বের বৈদ্যুতিক ট্রামের ইতিহাসের ঝলক দেখা যাবে অধুনা মুম্বই শহরে ‘বেস্ট’ বা বম্বে ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই অ্যান্ড ট্রামওয়েজ কোম্পানি লিমিটেড এই বাসগুলির নাম।শহরের গতি বাড়াতে ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমাতে কেবলমাত্র চারটি রুটের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হোক ট্রাম পরিষেবা।

২০২৩ সালে পরিবহণ দফতরকে এমনই পরামর্শ দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। সেই সময় মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, “কলকাতার ট্রাম আমাদের হেরিটেজ। সেই ঐতিহ্য আমাদের বজায় রাখতে হবে। কিন্তু যে সব জায়গায় ইতিমধ্যে ট্রাম চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেখানে লাইনগুলো তুলে দেওয়া দরকার। এমনকি, ওভারহেডে থাকা ট্রামের তারগুলিও সরিয়ে ফেলা দরকার। অনেক জায়গাতে লাইনের উপর পিচের প্রলেপ পড়ে গিয়েছে। তা ছাড়া শহরে ট্রাম চললে যানজট বেশি হবে, শহরের গতি অনেকটাই কমে যাবে। তাই ট্রাম যাতে কেবল চারটি মাত্র রুটেই চালানো হয় সেই বিষয়ে আমরা পরিবহণ দফতরকে বলেছি। শহরের বেশ কিছু রাস্তা রয়েছে, যেগুলি অপরিসর। সেখানে ট্রাম লাইনের জন্য দুর্ঘটনাও ঘটেছে মাঝেমধ্যে। তাই আমরা পরামর্শ দিয়ে পরিবহণ দফতরকে বলেছি বাকি লাইনগুলো রাখার আর কোনও প্রয়োজন নেই।”

আরও পড়ুন: আবার কী ঘটল আরজি করে! ফের জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান-স্লোগান! নিশানায় ‘সেই’ ১২ জন

বিধানসভায় স্পিকার বলেছিলেন, ‘ট্রাম কলকাতার ঐতিহ্য। সেই ট্রাম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমি কলকাতার মেয়রকে অনুরোধ করব বিষয়টি যাতে দেখেন।’ পাশাপাশি স্পিকার পরিবহণ মন্ত্রীকে অনুরোধ করে বলেছিলেন, ‘কলকাতার ট্রাম নিয়ে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। দেখবেন যাতে বন্ধ না হয়ে যায়।’ট্রাম চলাচল পুনরায় সম্ভব কিনা সেই সিদ্ধান্ত এখন নির্ভর করে আছে আদালতের উপরেই।

Kolkata Tram: কলকাতায় রাস্তায় আর চলবে না ট্রাম! শেষলগ্নে চোখ বুলিয়ে নিন চাঞ্চল্যকর এই তথ‍্যে!

কলকাতাঃ ট্রাম পরিষেবা বন্ধ নিয়ে তীব্র আপত্তি জানাচ্ছে বিভিন্ন পরিবেশপ্রেমী সংগঠন। ট্রাম বন্ধ নিয়ে আপত্তি আছে যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এই পরিবহণকে বাঁচাতে কাজ করে আসছেন তাঁদের মধ্যেও। এর আগেও কলকাতার ট্রামকে ভিন্নভাবে ব্যবহার করতে নানা উদ্যোগের কথা সামনে এসেছিল।

যদিও তার কোনওটাই বাস্তব সম্মত প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়নি৷ ধীরে ধীরে ট্রাম সংস্থার ওপর প্রভাব পড়তে শুরু করে ট্রাম রুট, ট্রাম লাইন, কর্মী আর বিনিয়োগ ঘিরে। মেট্রোর কাজের জন্য যে ট্রাম লাইন তোলার কাজ বেহালা দিয়ে শুরু হয়েছিল তার প্রভাব অব্যাহত থাকল শেষ পর্যন্ত৷

আরও পড়ুনঃ কাচ বা স্টিল নয়, সস্তার ‘এই’ থালায় খাবার খান! ক্লিন বোল্ড শরীর খারাপ! সারাদিনই টানটান উত্তেজনা

শহর কলকাতায় ২০১১ সালে মোট ৩৭’টি রুটে ট্রাম চলত। ২০১৩ সালে সেই রুট কমে ২৭ টি হয়ে যায়। ২০১৭ সালে ট্রামের রুট কমে দাঁড়িয়ে যায় মাত্র ১৫ টি৷ ২০১৮ সালে ট্রামের রুট কমে দাঁড়িয়ে যায় আটটি। আর কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে ট্রাম রুটের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছিল মাত্র ২ টি। ২০১১ সালে ট্রাম পরিচালনায় ৭০০০ কর্মী কাজ করতেন। ২০১৩ সালে ট্রাম পরিচালনায় ৫৬০০ কর্মী কাজ করতেন। ২০১৭ সালে ট্রাম পরিচালনায় ৪১০০ কর্মী কাজ করতেন। ২০১৮ সালে কাজ করতেন ৩৭০০ কর্মী। আর ২০২২ সালে সেই কর্মীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়ে যায় শূন্য।

শহর কলকাতায় ২০১১ সালে ৬১ কিমি ট্রাম লাইন ছিল। ২০১৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়ে যায় ৪৩ কিমি। ২০১৭ সালে ২২ কিমি ট্রাম লাইন ছিল। ২০১৮ সালে ১৫ কিমি ট্রাম লাইন ছিল। আর কোভিডের পরে সেটা গিয়ে দাঁড়িয়ে যায় মাত্র ১২ কিমি।২০১১ সালে ট্রামে চাপত ৭০ থেকে ৭৫ হাজার যাত্রী৷

২০১৩ সালে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করত। ২০১৭ সালে ট্রামে ওঠানামা করত ২০ থেকে ২১ হাজার যাত্রী৷ ২০১৮ সালে তা একটু কমে দাঁড়ায় ১৪ থেকে ১৫ হাজার যাত্রী৷ আর কোভিডের পরে ২০২২ সালে তা দাঁড়িয়ে যায় মাত্র ৫ থেকে ৭ হাজারে। ২০১১ সালে ট্রাম পরিচালনায় বিনিয়োগ হত ৫ কোটির বেশি৷ ২০১৩ সালে বিনিয়োগ হত তিন কোটির বেশি৷ ২০১৭ সালে তা গিয়ে দাঁড়ায় এক কোটির বেশি৷ আর ২০১৮ সাল থেকে ট্রামে বিনিয়োগ কার্যত বন্ধ হয়ে যায়।

Kolkata Tram: বাজল ‘বিদায়ঘণ্টা’! কলকাতায় রাস্তায় আর চলবে না ট্রাম? কবে শেষ যাত্রা? হেরিটেজ হিসেবে চলবে শুধু এই রাস্তায়

বন্ধ হওয়ার পথে কলকাতার ঐতিহ্য ট্রাম। বহুবছর ধরে শোনা যাচ্ছিল যেকোনও মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ‘কল্লোলিনী তিলোত্তমার’ নস্ট‍্যালজিয়া ট্রাম। আগের চেয়ে অনেকাংশে কমে গিয়েছে ট্রাম চলার রাস্তা। ধীরে ধীরে কমেছে শহরে ট্রামের সংখ‍্যাও।
বন্ধ হওয়ার পথে কলকাতার ঐতিহ্য ট্রাম। বহুবছর ধরে শোনা যাচ্ছিল যেকোনও মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ‘কল্লোলিনী তিলোত্তমার’ নস্ট‍্যালজিয়া ট্রাম। আগের চেয়ে অনেকাংশে কমে গিয়েছে ট্রাম চলার রাস্তা। ধীরে ধীরে কমেছে শহরে ট্রামের সংখ‍্যাও।
এবার একেবারে বন্ধের পথে ট্রাম। তবে হেরিটেজ হিসেবে ধর্মতলা থেকে ময়দান পর্যন্ত ট্রাম চালাতে চাইছে রাজ্য পরিবহন দফতর। শুধু সাড়ে ৩ কিলোমিটার রাস্তায় ট্রাম চলবে বলেই জানা গিয়েছে।
এবার একেবারে বন্ধের পথে ট্রাম। তবে হেরিটেজ হিসেবে ধর্মতলা থেকে ময়দান পর্যন্ত ট্রাম চালাতে চাইছে রাজ্য পরিবহন দফতর। শুধু সাড়ে ৩ কিলোমিটার রাস্তায় ট্রাম চলবে বলেই জানা গিয়েছে।
রাজ‍্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানালেন, ট্রাম চালাতে বিভিন্ন ধরণের সমস‍্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যানজট তৈরি হচ্ছে। দ্রুত গতির যুগে ধীরে চলা ট্রামের কারণে রাস্তায় সমস‍্যা বাড়ছে।
রাজ‍্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানালেন, ট্রাম চালাতে বিভিন্ন ধরণের সমস‍্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যানজট তৈরি হচ্ছে। দ্রুত গতির যুগে ধীরে চলা ট্রামের কারণে রাস্তায় সমস‍্যা বাড়ছে।
ইতিমধ্যে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে, সেখানে কোর্টের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে ট্রাম চালানো নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থা। সরকার জানাতে চলেছে তাদের অবস্থান।
ইতিমধ্যে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে, সেখানে কোর্টের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে ট্রাম চালানো নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থা। সরকার জানাতে চলেছে তাদের অবস্থান। প্রসঙ্গত, গত বছর ট্রামে যে পুজো পরিক্রমা করা হয়েছিল, এবছর তা আর হবে না বলেই সূত্রের খবর।
১৮৮৩ সালে কলকাতা শহর ভারতের ১৫ টা শহরে যাত্রায় শুরু করেছিল ট্রাম। তবে কালের নিয়মে গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পেরে অনেক পিছিয়ে পড়ছে ট্রাম যাত্রা।
১৮৭৩ সালে কলকাতা -সহ ভারতের ১৫ টা শহরে যাত্রা শুরু করেছিল ট্রাম। তবে কালের নিয়মে গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পেরে অনেক পিছিয়ে পড়ছে ট্রাম যাত্রা। কলকাতা ছাড়া বাকি সমস্ত শহরেই ইতিমধ‍্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে ট্রাম চলা।
ট্রাম যখন চালু হয়েছিল তখন গরুর গাড়ি চলত, টানা রিকশা ছিল এখন অত্যাধুনিক ক্যাব মেট্রো চালু হয়ে গেছে। কিন্তু রাস্তা আগে যা ছিল তাই রয়েছে নতুন করে রাস্তা হয়নি। নতুন করে রাস্তা করা যায়নি।
ট্রাম যখন চালু হয়েছিল তখন গরুর গাড়ি চলত, টানা রিকশা ছিল এখন অত্যাধুনিক ক্যাব মেট্রো চালু হয়ে গেছে। কিন্তু রাস্তা আগে যা ছিল তাই রয়েছে নতুন করে রাস্তা হয়নি। নতুন করে রাস্তা করা যায়নি। মোট জমির মাত্র ছয় শতাংশ কলকাতায় রাস্তা।
একসময় গোটা শহর জুড়ে যাতায়াতের অন‍্যতম মাধ‍্যম ছিল এই যান। তবে বর্তমানে ট্রাম লাইনের সংখ‍্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে।

একসময় গোটা শহর জুড়ে যাতায়াতের অন‍্যতম মাধ‍্যম ছিল এই যান। তবে বর্তমানে ট্রাম লাইনের সংখ‍্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। বর্তমানে কলকাতায় মোট ১৭ টি ট্রাম চলে।

 

এই ট্রামগুলি কলকাতায় মাত্র তিনটে রুটে চলাচল করে। ধর্মতলা থেকে শ্যামবাজার, ধর্মতলা থেকে গড়িয়া হাট। টালিগঞ্জ থেকে বালিগঞ্জ। যদিও রাস্তা সমস্যার কারণে টালিগঞ্জ থেকে বালিগঞ্জ রুটের ট্রাম বন্ধ রয়েছে।
এই ট্রামগুলি কলকাতায় মাত্র তিনটে রুটে চলাচল করে। ধর্মতলা থেকে শ্যামবাজার, ধর্মতলা থেকে গড়িয়া হাট। টালিগঞ্জ থেকে বালিগঞ্জ। যদিও রাস্তা সমস্যার কারণে টালিগঞ্জ থেকে বালিগঞ্জ রুটের ট্রাম বন্ধ রয়েছে।

Tram Line in Kolkata: খানা-খন্দে ভরা ট্রাম লাইনে যেন ‘মরণফাঁদ’! বাড়ছে ঝুঁকি-দুর্ঘটনা, কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা: দিন দিন কলকাতা রাস্তায় যানজটের সমস্যা বেড়ে যাওয়া দু’কামরার ট্রাম চালানো নিয়ে আপত্তি জানায় কলকাতা পুলিশ। শহরের যানজট কমানোর জন্য তুলে দেওয়া হয় বেশ কিছু ট্রামের রুট। আবার কিছু ট্রামের রুট বন্ধ হয়েছে উড়ালপুল নির্মাণের স্বার্থে, আবার কোনও ট্রাম রুট উঠে গিয়েছে মেট্রো রেলের নির্মাণকার্যের জন্য। তবে বন্ধ হয়ে যাওয়া এমন কিছু রুট রয়েছে, যেখানে এখনও পরিষেবা শুরু করার মতো পরিকাঠামো রয়েছে। তাই পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ট্রাম পরিষেবা চালু করার পক্ষপাতী ছিল পরিবহণ দফতরের একাংশ।

কলকাতা শহরে ট্রাম পরিষেবার বর্তমান অবস্থা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল ‘পিপল ইউনাইটেড ফর বেটার লিভিং ইন ক্যালকাটা’ নামে একটি সংগঠন। রাজ্য সরকার কি কলকাতা শহর থেকে ট্রাম তুলে দিতে চাইছে? ট্রাম নিয়ে সরকার কী নীতি নিয়েছে? এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে এ বার বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বর্তমানে মাত্র তিনটি রুটে চলছে ট্রাম পরিষেবা। বালিগঞ্জ–টালিগঞ্জ, ধর্মতলা-গড়িয়াহাট ও ধর্মতলা-শ্যামবাজার রুটের মধ্যেই চলাচল করে হাতেগোনা কয়েকটি ট্রাম।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

আগামী দিনে আরও দুয়েকটি রুটে ট্রাম চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ধর্মতলা-খিদিরপুর রুট।এর আগে কলকাতা পুলিশের তরফে চিঠিতে জানানো হয়েছে, মূল রাস্তায় এবং ব্রিজের ওপর ট্রাম লাইন থাকার কারণে গাড়ির গতি কমছে, দুর্ঘটনা বাড়ছে এবং যানজট দেখা দিচ্ছে। চিঠিতে যে সমস্ত এলাকায় ট্রাম লাইন তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেগুলি হল শিয়ালদহ ফ্লাইওভার, এপিসি রোড, এমজি রোড, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট,সিআইটি রোড, মানিকতলা মেন রোড প্রভৃতি জায়গায়।

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

খন্দে ভরা ট্রামলাইন, চলছে ঝুঁকির যাতায়াত শিয়ালদহ উড়ালপুল ও সূর্যসেন স্ট্রিটে ট্রাম লাইনের বেহাল দশা। এর জন্য বেশ কয়েক বার ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটে গিয়েছে। এতে গাড়ি চলাচলেও অসুবিধা হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে এই বেহাল অবস্থার জন্য ক্ষোভ বাড়ছে নিত্য যাত্রীদের। অভিযোগ স্বীকারও করে নিয়েছেন কলকাতা ট্রাম কোম্পানির (সিটিসি) বেশ কয়েক জন কর্তা। ট্রাম লাইনের পাশের পিচ উঠে গিয়েছে। বেরিয়ে পড়েছে নীচে থাকা পাথর, ইট। লাইনের দু’পাশে কয়েক ফুটের গর্ত হয়ে গিয়েছে। জমে রয়েছে জলও। এই ধরনের রাস্তায় মোটরবাইক ও অটো চালানো খুবই বিপজ্জনক বলে জানালেন নিত্যযাত্রীরা।

গর্তে চাকা পড়লে যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বাইক ও স্কুটার চালকরা ৷ তাঁদের বক্তব্য, ট্রাম যদি চলত, তাহলেও না হয় ঠিক ছিল ৷ কিন্তু, যে সমস্ত রুটে ট্রাম চলছে না, সেখানে কেন এখনও ট্রাম লাইন রেখে দেওয়া হচ্ছে? রাস্তা ব্যবহারকারীদের দাবি, এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা দরকার ৷ অব্যবহৃত ট্রাম লাইনগুলি তুলে দেওয়া হোক ৷ অথবা, সেগুলির উপর পিচের প্রলেপ দেওয়া হোক ৷ সেটা কর্পোরেশন করুক, কিংবা ট্রাম সংস্থা করুক ৷ তবে, কেউ তো করুক।।প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে শহর কলকাতার ৩০টি রুটে ট্রাম চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ৷ এর মধ্যে কিছু জায়গায় ট্রাম লাইনের উপর পিচ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে ৷ কিছু রুটের উপর ট্রাম চলাচলের জন্য ব্যবহৃত বিদ্যুতের তারও খুলে দেওয়া হয়েছে ৷ বর্তমানে শহরের মাত্র দু’টি রুটে ট্রাম চলছে ৷