দেশ Weather Alert IMD: আসছে লা নিনা…! অক্টোবর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি কাঁপাবে, তারপরই চরম কোপ? আগামী দু’মাসের মধ্যেই আবহাওয়ার বিরাট হুঁশিয়ারি! IMD-র সতর্কবাণী Gallery September 9, 2024 Bangla Digital Desk ধেয়ে আসছে লা নিনা। এবার বড়সড় পরিবর্তন হতে চলেছে আবহাওয়ার। এমনটাই জানিয়ে সতর্ক করল ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি) অর্থাৎ মৌসম ভবন। আগামী দু’মাসেই আবহাওয়ার চরম রদবদলের ইঙ্গিত। এই বছর কনকনে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা। লা নিনার প্রভাব শুরু হতে চলেছে সেপ্টেম্বরেই। আবহাওয়া দফতরের সতর্কবাণী জানাচ্ছে, ফের একবার ভয়ঙ্কর প্রকৃতির খেলার সম্মুখীন হতে পারে গোটা দেশ। লা নিনা, যা সাধারণত বর্ষার শেষে প্রভাব বিস্তার করে, তার জেরেই এবার দ্রুত তাপমাত্রা পতনের আশঙ্কা। বাড়বে বৃষ্টিপাত, তারপরে আসবে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) সেপ্টেম্বরেই ব্যাপক বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। রিপোর্ট বলছে উত্তর ভারতের বেশ কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই বছর লা নিনা ভারতে ভয়ঙ্কর শীতের কারণ হতে পারে। যার জেরে তাপমাত্রা তীব্র হ্রাস পেতে চলেছে এবং একইসঙ্গে বাড়বে বৃষ্টিপাত। যা এই বর্ষার শেষে একটি বড়সড় জলবায়ু পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ভারতে বর্ষা সাধারণত ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হয়, কিন্তু এবার লা নিনার কারণে প্রলম্বিত হতে পারে বর্ষা। শুধু তাই নয়, লা নিনা প্রভাবই অক্টোবরের শেষ দিকে দক্ষিণ ভারতে আসা উত্তর-পূর্ব বর্ষাকেও প্রভাবিত করতে পারে। আইএমডি-র অধিকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, যদিও বর্ষা সেপ্টেম্বরে পালা গোটাবে বলেই আশা করা হচ্ছে, তবে লা নিনার প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে জোরালো ‘ঘূর্ণিঝড়ের কার্যকলাপ’ চলতে পারে এবং মাসের বেশিরভাগ সময়ই বৃষ্টিপাতের দুর্যোগেরও ইঙ্গিত। তিনি আরও বলেন, সেপ্টেম্বরে মৌসুমী বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের চেয়ে ৯% বেশি হবে (১৬.৮ সেমি)। আইএমডির পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড এবং দিল্লির একাধিক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। লা নিনা, যার অর্থ স্প্যানিশ ভাষায় ‘মেয়ে’, এল নিনোর জলবায়ু প্রতিরূপ লা নিনা। এই দুটি প্রাকৃতিক সিস্টেম মূলত একে অপরের ঠিক বিপরীত আচরণ করে। আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রশান্ত মহাসাগরে তৈরি হওয়া এল নিনো এবং লা নিনা (Li Nina) একে অপরের বিপরীত। তবে এল নিনো এবং লা নিনা এই দুয়ের প্রভাবেই সৃষ্টি হয় চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার। এর জেরে কখনও আমরা সম্মুখীন হই খরার, কখনও অতিবৃষ্টির। আবার সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সৃষ্টি হয় ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রলয়ের। লা নিনা এবং এল নিনো উভয়ই উল্লেখযোগ্য মহাসাগরীয় এবং বায়ুমণ্ডলীয় ঘটনা যা সাধারণত এপ্রিল এবং জুনের মধ্যে শুরু হয় এবং অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই ঘটনাগুলি সাধারণত ৯ থেকে ১২ মাস স্থায়ী হয় তবে কখনও কখনও দু’ বছর পর্যন্ত চলতে পারে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, এই বছর লা নিনা (La Nina) সক্রিয় হওয়ায় অনেকটাই বাড়তে পারে শীত।
দেশ Heavy Winter Forecast in India: ভাঙবে সব রেকর্ড! ধেয়ে আসছে ঘাতক ‘লা নিনা’! তছনছ হবে গোটা দেশ? জানুন আপডেট Gallery September 3, 2024 Bangla Digital Desk এ বার শীত থেকে প্রভাব পড়তে শুরু করবে লা নিনার৷ আর তাতেই পুড়বে গোটা বিশ্ব৷ এমনই আশঙ্কা প্রকাশ আবহাওয়াবিদদের। ভারত আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) সোমবার সতর্ক করেছে, সেপ্টেম্বরে লা নিনার সূত্রপাত শুরু হয়েছে। সাধারণত বর্ষা ঋতুর শেষের দিকে, লা নিনা তাপমাত্রায় তীব্র হ্রাস দেখে যায়। প্রায়শই লা নিনার কারণে বেশি বৃষ্টিপাত দেখা যায়। যা চরম শীতের সম্ভাবনা প্রকাশ করে। আবহবিদদের ব্যাকরণে এল নিনো এবং লা নিনা এই দুই পরিস্থিতিই একে অন্যের বিপরীত, তৈরি হয় প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে। সাধারণত ‘এল নিনো’ বা ‘লা নিনা’-র প্রভাবে দু’ই প্রকারই চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার মুখে পড়তে হয় পৃথিবীর মানুষকে৷ তাঁদের কখনও পড়তে হয় খরার মুখে, কখনও বা অতিবৃষ্টি বন্যার মুখে, এমনকী সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে দেখা দেয় ঘূর্ণিঝড়ও। লা নিনা এবং এল নিনো উভয়ই উল্লেখযোগ্য মহাসাগরীয় এবং বায়ুমণ্ডলীয় ঘটনা যা সাধারণত এপ্রিল এবং জুনের মধ্যে শুরু হয়, অক্টোবর এবং ফেব্রুয়ারির মধ্যে শক্তি অর্জন করে। যদিও এই ঘটনাগুলি সাধারণত ৯ থেকে ১২ মাসের মধ্যে স্থায়ী হয়, কিন্তু কখনও কখনও দুই বছর পর্যন্ত চলতে পারে। লা নিনার সূচনা এই ভারসাম্যকে ব্যাহত করে, যা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু উপর প্রভাব ফেলে। যদিও এল নিনো প্রশান্ত মহাসাগরে উষ্ণ বায়ু এবং মহাসাগরের তাপমাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত, যার ফলে সামগ্রিকভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি হয়, অপরদিকে, লা নিনা সমুদ্র পৃষ্ঠ এবং এর উপরে থাকা বায়ুমণ্ডল উভয়কে ঠান্ডা করে বিপরীত প্রভাবকে প্ররোচিত করে। লা নিনা সক্রিয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, চলতি বছরের শীত বাড়তে পারে অনেকটাই বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। ইতিমধ্যে, IMD-এর চলতি বছরের চ্যালেঞ্জগুলির জন্য প্রস্তুতির উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছে।
দেশ Heavy Monsoon Forecast in India: ধেয়ে আসবে ‘লা নিনা’! বর্ষায় প্রবল বৃষ্টি ভারতে! ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস মে থেকেই, ভয়ঙ্কর আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের Gallery March 26, 2024 Bangla Digital Desk বর্ষা নিয়ে দেশ জুড়ে ঘোর অশনি সঙ্কেত। একাধিক সংস্থার পূর্বাভাস এ বার বর্ষায় ভারতে ফিরছে ‘লা নিনা’। এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কর্পোরেশন ক্লাইমেট সেন্টার বা এপিসিসি ভারতে বর্ষাকাল নিয়ে পূর্বাভাস জানিয়েছে। আবহবিদরা এ বার ভারতের বর্ষাকে দু’ভাগে ভাগ করেছেন। এপ্রিল থেকে জুন এবং জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর। পূর্বাভাস, বর্ষা তার দ্বিতীয় মরশুমে তুঙ্গে উঠবে। সেই পর্বে সাধারণের তুলনায় বেশি বৃষ্টিপাত হবে ভারতে। সাম্প্রতিক ENSO সতর্কতা বলছে ‘এল নিনো’ থেকে পরিস্থিতি রূপান্তরিত হবে ‘লা নিনা’-য়। আবহবিদদের ব্যাকরণে এল নিনো এবং লা নিনা এই দুই পরিস্থিতিই একে অন্যের বিপরীত, তৈরি হয় প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে। স্প্যানিশে এল নিনো শব্দের অর্থ ছোট ছেলে। পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের পশ্চিম উপকূল ঘেঁষে পেরু, ইকুয়েডর বরাবর কোনও কোনও বছর উষ্ণ দক্ষিণমুখী স্রোতের সৃষ্টি হয়। এরই নাম এল নিনো। পেরু, ইকুয়েডর উপকূলেই আবার এল নিনোর বিপরীত একটি শীতল স্রোত সৃষ্টি হয়। তার নাম লা নিনা। বিশ্ব জুড়ে দুই বিপরীতধর্মী স্রোতের প্রভাব পড়ে আবহাওয়ায়। El Nino-Southern Oscillation বা ENSO alert system বলছে লা নিনা তৈরি হতে পারে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর। এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ বলছে, জুনের শুরুতেই লা নিনা দেখা দিতে পারে। তবে শক্তিশালী হযে উঠবে অগাস্ট সেপ্টেম্বরে। লা নিনার প্রভাবে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হবে পূর্ব আফ্রিকা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। পূর্ব এশিয়া ও উত্তর অস্ট্রেলিয়ায় ভারী বর্ষণ হবে। পূর্বাভাস এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কর্পোরেশন ক্লাইমেট সেন্টার বা এপিসিসি-র। আবহাওয়া সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের প্রাক্তন সচিব এম রাজীবন বলেছেন, ‘‘এল নিনো চলে যাচ্ছে। আসছে শীতল প্রশান্ত মাহসাগরীয় স্রোত লা নিনা। তাই ভারতে এ বছর বেশ বৃষ্টি হবে বর্ষায়। মে মাস থেকেই ক্রমশ স্পষ্ট হবে সেই লক্ষণ।’’