দেশ Heavy Winter Forecast in India: ভাঙবে সব রেকর্ড! ধেয়ে আসছে ঘাতক ‘লা নিনা’! তছনছ হবে গোটা দেশ? জানুন আপডেট Gallery September 3, 2024 Bangla Digital Desk এ বার শীত থেকে প্রভাব পড়তে শুরু করবে লা নিনার৷ আর তাতেই পুড়বে গোটা বিশ্ব৷ এমনই আশঙ্কা প্রকাশ আবহাওয়াবিদদের। ভারত আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) সোমবার সতর্ক করেছে, সেপ্টেম্বরে লা নিনার সূত্রপাত শুরু হয়েছে। সাধারণত বর্ষা ঋতুর শেষের দিকে, লা নিনা তাপমাত্রায় তীব্র হ্রাস দেখে যায়। প্রায়শই লা নিনার কারণে বেশি বৃষ্টিপাত দেখা যায়। যা চরম শীতের সম্ভাবনা প্রকাশ করে। আবহবিদদের ব্যাকরণে এল নিনো এবং লা নিনা এই দুই পরিস্থিতিই একে অন্যের বিপরীত, তৈরি হয় প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে। সাধারণত ‘এল নিনো’ বা ‘লা নিনা’-র প্রভাবে দু’ই প্রকারই চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার মুখে পড়তে হয় পৃথিবীর মানুষকে৷ তাঁদের কখনও পড়তে হয় খরার মুখে, কখনও বা অতিবৃষ্টি বন্যার মুখে, এমনকী সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে দেখা দেয় ঘূর্ণিঝড়ও। লা নিনা এবং এল নিনো উভয়ই উল্লেখযোগ্য মহাসাগরীয় এবং বায়ুমণ্ডলীয় ঘটনা যা সাধারণত এপ্রিল এবং জুনের মধ্যে শুরু হয়, অক্টোবর এবং ফেব্রুয়ারির মধ্যে শক্তি অর্জন করে। যদিও এই ঘটনাগুলি সাধারণত ৯ থেকে ১২ মাসের মধ্যে স্থায়ী হয়, কিন্তু কখনও কখনও দুই বছর পর্যন্ত চলতে পারে। লা নিনার সূচনা এই ভারসাম্যকে ব্যাহত করে, যা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু উপর প্রভাব ফেলে। যদিও এল নিনো প্রশান্ত মহাসাগরে উষ্ণ বায়ু এবং মহাসাগরের তাপমাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত, যার ফলে সামগ্রিকভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি হয়, অপরদিকে, লা নিনা সমুদ্র পৃষ্ঠ এবং এর উপরে থাকা বায়ুমণ্ডল উভয়কে ঠান্ডা করে বিপরীত প্রভাবকে প্ররোচিত করে। লা নিনা সক্রিয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, চলতি বছরের শীত বাড়তে পারে অনেকটাই বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। ইতিমধ্যে, IMD-এর চলতি বছরের চ্যালেঞ্জগুলির জন্য প্রস্তুতির উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছে।
পাঁচমিশালি Reason of Heat Wave: এত গরম পড়ছে কেন জানেন! বড় কারণ কিন্তু এল নিনো! কী এটা? কেন ঘটছে এমন? Gallery April 25, 2024 Bangla Digital Desk আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনা শুরু হয়েছিল আগেই, মার্চ মাস আসতেই দেখা গেল, সেই আশঙ্কা মিথ্যা নয়৷ ‘এল নিনো’-এর প্রভাবে মারাত্মক পরিস্থিতি হতে চলেছে বিশ্বজুড়ে৷ আর সেই প্রভাব থেকে বাদ থাকছে না এই দেশ বা রাজ্যও৷ কিন্তু গোটা বিশ্ব যে কারণে বিপর্যস্ত, সেই এল নিনো জিনিসটা আসলে কী? কোথা থেকে এল এই এল নিনো? আবহাওয়াবিদরা বারবার বলেছেন, এল নিনোর ফলে কমে যেতে পারে বৃষ্টির পরিমাণ, বাড়তে পারে গরম। বাস্তবেও যা ঘটছে। এই এল নিনো আসলে কী? দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা যায় এল নিনো। তাহলে ভারতে কেন এর প্রভাব পড়ে? ১৬ শতকের কথা। দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলের একদল জেলে মাছ ধরছিলেন। এই সময় তাঁরা প্রথম খেয়াল করলেন সমুদ্রজল তুলনামূলক উষ্ণ। অথচ এমনটা থাকে না। এই অঞ্চলের জল স্বাভাবিক বা তুলনামূলক শীতল থাকে। অস্বাভাবিক এই পরিস্থিতির নাম তাঁরা দিলেন ‘এল নিনো দে নাভিদাদ’। স্প্যানিশ ‘নাভিদাদ’ শব্দের অর্থ ইংরেজিতে ‘ক্রিসমাস’। অর্থাৎ ক্রিসমাসের সময়ের এল নিনো। সেই সময় তাঁরা দেখেছিলেন, ডিসেম্বরে মূলত এমনটা হয়। অর্থাৎ ক্রিসমাসের সময়ে। এল নিনো কথাটিও স্প্যানিশ। এর অর্থ, দুষ্টু ছেলে। এখন আর এল নিনো শুধু ডিসেম্বরে আসে না। এপ্রিল-মে মাসের দিকেও দেখা যায় এ পরিস্থিতি। আসলে, এল নিনো মানে প্রশান্ত মহাসাগরে উষ্ণ সমুদ্রস্রোত। এই স্রোতের ফলে উষ্ণ হয়ে ওঠে দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূল, বিশেষ করে পেরুর দিকের জল। এ সময় দক্ষিণ গোলার্ধের পুবালী বায়ুর প্রবাহ বদলে যায়। পুবালী বায়ু সাধারণত পেরু থেকে অস্ট্রেলিয়ার দিকে বয়ে যায়। এল নিনো পরিস্থিতিতে এই বায়ুপ্রবাহ কমে যায়, থেমে যায় অথবা উল্টে যায় এর দিক। বায়ু তখন পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রবাহিত হয়। ফলে যে সমুদ্রস্রোত উষ্ণ জলকে অস্ট্রেলিয়ার দিকে বয়ে নেওয়ার কথা, তার দিকও উল্টে যায়। সমুদ্রস্রোতের টানে উষ্ণ জল বয়ে যায় পেরু, অর্থাৎ দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলের দিকে। এই জল আসে অস্ট্রেলিয়া উপকূল থেকে। ফলে অস্ট্রেলিয়া উপকূলে জল নেমে যায়। আর বেড়ে যায় পেরু উপকূলের সমুদ্রের তাপমাত্রা ও উচ্চতা। এসব পরিবর্তনের কারণে পেরুতে বায়ুর উর্ধ্বমুখী পরিচলন ঘটে। বাংলাদেশ, ভারত বা দক্ষিণ এশিয়ার বিষয়টা কী? পুবালী বায়ু যখন পূর্বে না বয়ে পশ্চিমে বয়ে যায়, তখন অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার—এই পুরো অঞ্চলটিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়। কারণ, বাতাসের প্রবাহ সমুদ্রস্রোতকে বয়ে নিতে থাকে পশ্চিম দিকে। ফলে পশ্চিমের দিকে বৃষ্টি বাড়ে। আর বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত—এসব অঞ্চলে দেখা দেয় বৃষ্টির অভাব। বেড়ে যায় তাপমাত্রা। শুকিয়ে যায় মাটি। এমনকি খরাও দেখা দিতে পারে। বিজ্ঞানীরা এখনও ঠিক জানেন না, এল নিনো কখন বা কেন হয়। আমরা জানি, বায়ুপ্রবাহের দিক বদলে যাওয়ার ফলে এমনটা হয়। কিন্তু কেন এই বদলে যাওয়া, তা জানা যায়নি। তা ছাড়া প্রতিটি এল নিনো পরিস্থিতি ভিন্ন হয়। এর প্রতি বায়ুমণ্ডলের প্রতিক্রিয়াও তাই ভিন্ন হয় প্রতিবার। প্রত্যেকবার এরকম ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় এবং সুনির্দিষ্ট কোনও নিয়ম না থাকায়, এল নিনোর পেছনের কারণ এখনও পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। সাধারণত ৪ থেকে ৭ বছর পরপর এই পরিস্থিতি দেখা দেয়। স্থায়ী হয় ১২ থেকে ১৮ মাসের মতো। কিন্তু বর্তমানে এটি আরও ঘন ঘন দেখা যাচ্ছে।
দেশ Heavy Monsoon Forecast in India: ধেয়ে আসবে ‘লা নিনা’! বর্ষায় প্রবল বৃষ্টি ভারতে! ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস মে থেকেই, ভয়ঙ্কর আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের Gallery March 26, 2024 Bangla Digital Desk বর্ষা নিয়ে দেশ জুড়ে ঘোর অশনি সঙ্কেত। একাধিক সংস্থার পূর্বাভাস এ বার বর্ষায় ভারতে ফিরছে ‘লা নিনা’। এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কর্পোরেশন ক্লাইমেট সেন্টার বা এপিসিসি ভারতে বর্ষাকাল নিয়ে পূর্বাভাস জানিয়েছে। আবহবিদরা এ বার ভারতের বর্ষাকে দু’ভাগে ভাগ করেছেন। এপ্রিল থেকে জুন এবং জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর। পূর্বাভাস, বর্ষা তার দ্বিতীয় মরশুমে তুঙ্গে উঠবে। সেই পর্বে সাধারণের তুলনায় বেশি বৃষ্টিপাত হবে ভারতে। সাম্প্রতিক ENSO সতর্কতা বলছে ‘এল নিনো’ থেকে পরিস্থিতি রূপান্তরিত হবে ‘লা নিনা’-য়। আবহবিদদের ব্যাকরণে এল নিনো এবং লা নিনা এই দুই পরিস্থিতিই একে অন্যের বিপরীত, তৈরি হয় প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে। স্প্যানিশে এল নিনো শব্দের অর্থ ছোট ছেলে। পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের পশ্চিম উপকূল ঘেঁষে পেরু, ইকুয়েডর বরাবর কোনও কোনও বছর উষ্ণ দক্ষিণমুখী স্রোতের সৃষ্টি হয়। এরই নাম এল নিনো। পেরু, ইকুয়েডর উপকূলেই আবার এল নিনোর বিপরীত একটি শীতল স্রোত সৃষ্টি হয়। তার নাম লা নিনা। বিশ্ব জুড়ে দুই বিপরীতধর্মী স্রোতের প্রভাব পড়ে আবহাওয়ায়। El Nino-Southern Oscillation বা ENSO alert system বলছে লা নিনা তৈরি হতে পারে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর। এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ বলছে, জুনের শুরুতেই লা নিনা দেখা দিতে পারে। তবে শক্তিশালী হযে উঠবে অগাস্ট সেপ্টেম্বরে। লা নিনার প্রভাবে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হবে পূর্ব আফ্রিকা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। পূর্ব এশিয়া ও উত্তর অস্ট্রেলিয়ায় ভারী বর্ষণ হবে। পূর্বাভাস এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কর্পোরেশন ক্লাইমেট সেন্টার বা এপিসিসি-র। আবহাওয়া সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের প্রাক্তন সচিব এম রাজীবন বলেছেন, ‘‘এল নিনো চলে যাচ্ছে। আসছে শীতল প্রশান্ত মাহসাগরীয় স্রোত লা নিনা। তাই ভারতে এ বছর বেশ বৃষ্টি হবে বর্ষায়। মে মাস থেকেই ক্রমশ স্পষ্ট হবে সেই লক্ষণ।’’