রাকেশ মাইতি, হাওড়া: জামাইষষ্ঠীতে জামাইয়ের জন্য বাড়িতে বানিয়ে নিন সুস্বাদু লাল দই! দই খেতে কে না পছন্দ করে! আবার সেই দই যদি হয় লাল দই, তাহলে তো আর কথা নেই। মিষ্টিপ্রিয় বাঙালির অতি পছন্দের খাবার এই দই। বেশ কয়েকটি উৎসব আবার এই দই ছাড়া বেমানান। তেমনি একটি উৎসব হল বাঙালির জামাইষষ্ঠী। সারা বছর জামাইদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে জ্যৈষ্ঠমাসে আসে জামাই ষষ্ঠী। এই জামাইষষ্ঠী মানে আম কাঠাল কলা লিচুর চিঁড়ে- মুড়কির সঙ্গে দই। এছাড়াও শ্বশুরবাড়িতে জামাই এর জন্য হয়ে থাকে এলাহি আয়োজন। ষষ্ঠী উপলক্ষে জামাইয়ের জন্য ভাল বা নামিদামী দোকানের দই খোঁজ করেন শ্বশুর শাশুড়ি। সেই দিক থেকে এবার জামাইয়ের জন্য নিজে হাতে লাল দই বানিয়ে ফেলতে পারেন। যে দই হার মানাবে দোকানের দইকে।
উপকরণ
লাল দই তৈরির জন্য সামান্য কয়েকটা উপকরণ। আর সহজ পদ্ধতিতেই সুস্বাদু লাল দই তৈরি করা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন, দুধ, চিনি এলাচ, গুঁড়ো দুধ, টক দই এবং মাটির হাঁড়ি। এক লিটার বা এক কেজি দুধের দই তৈরি করতে প্রয়োজন প্রায় ১২৫ গ্রাম চিনি।
আরও পড়ুন : মেয়ে জামাই আসছে জামাইষষ্ঠীতে? তাঁদের মঙ্গলকামনায় ডালায় রাখুন এই সাদা মিষ্টি ও এই গাছের পাতা
পদ্ধতি
প্রথমে দুধ ঘন করে ফুটিয়ে নিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। অন্যদিকে টক দই জল ঝরিয়ে নিয়ে, শুকনো ঝরঝরে নিতে হবে। এবার পাত্রে অল্প পরিমাণ জল দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম চিনি জলে দিয়ে আগুনে ক্যারামেল কালার করে নিন। তাতে জ্বাল দেওয়া দুধ ঢেলে দিয়ে ভাল করে নেড়েচেড়ে কয়েকটা এলাচ ও পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে আবারও ভাল করে জ্বাল দিয়ে দুধ নামিয়ে নিন। এবার নতুন হাঁড়ি পরিষ্কার করে নিন। পাত্রে জল ঝরানো দই ভাল করে মাখিয়ে নিন। তার পর হাতসওয়া গরম দুধ নতুন হাঁড়িতে উপর থেকে ঢেলে হাঁড়ির উপর টিস্যু পেপার জড়িয়ে তার উপর তোয়ালে জড়িয়ে গরম জায়গায় ৬-৮ ঘন্টা রাখলেই দই জমে যাব। এরপর ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা জমাট বাঁধা পরিবেশন করুন।