Tag Archives: Mahanayak

Uttam Kumar: তিনিই মহানায়ক! বলুন তো, উত্তম কুমারের আসল নাম কী? নাম পাল্টানোর ‘কারণ’ নাকি রবীন্দ্রনাথ!

বাঙালির মহানায়ক একজনই, তিনি হলেন উত্তম কুমার। যুগ যুগান্তর ধরে বাংলার দর্শকদের মননে সেরা নায়ক তিনিই। তার পরবর্তী সময়ে বহু নায়কের উত্থান হয়েছে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। কিন্তু কেউ তার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেননি। মৃত্যুর পর ৪ দশক পেরিয়ে গেলেও সকলের মনের মধ্যে জ্বলজ্বল করে উত্তম কুমারের নাম। কিন্তু যদিও সেটা মহানায়কের আসল নাম নয়।
বাঙালির মহানায়ক একজনই, তিনি হলেন উত্তম কুমার। যুগ যুগান্তর ধরে বাংলার দর্শকদের মননে সেরা নায়ক তিনিই। তার পরবর্তী সময়ে বহু নায়কের উত্থান হয়েছে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। কিন্তু কেউ তার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেননি। মৃত্যুর পর ৪ দশক পেরিয়ে গেলেও সকলের মনের মধ্যে জ্বলজ্বল করে উত্তম কুমারের নাম। কিন্তু যদিও সেটা মহানায়কের আসল নাম নয়।
উত্তম কুমারের ভক্তরা সকলেই জানেন টলিউডে পা রাখার আগে নিজের নামটা বদলে ফেলেন তিনি। যার নেপথ্যে রয়েছে রহস্য। কেন নিজের নাম বদলে ফেলেছেন উত্তম কুমার জানেন?
উত্তম কুমারের ভক্তরা সকলেই জানেন টলিউডে পা রাখার আগে নিজের নামটা বদলে ফেলেন তিনি। যার নেপথ্যে রয়েছে রহস্য। কেন নিজের নাম বদলে ফেলেছেন উত্তম কুমার জানেন?
জানতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে বেশ কয়েকটা বছর। ১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতার আহিরীটোলায় মামার বাড়িতে জন্ম নেন উত্তম কুমার। তার পিতৃপুরুষের বাড়ি অবশ্য কলকাতার ভবানীপুরে। পিতার নাম সাতকড়ি চট্টোপাধ্যায় এবং মা চপলা দেবী।
জানতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে বেশ কয়েকটা বছর। ১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতার আহিরীটোলায় মামার বাড়িতে জন্ম নেন উত্তম কুমার। তার পিতৃপুরুষের বাড়ি অবশ্য কলকাতার ভবানীপুরে। পিতার নাম সাতকড়ি চট্টোপাধ্যায় এবং মা চপলা দেবী।
ছেলের জন্মের পর সাতকড়িবাবু তার নাম রাখেন অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। ছোট থেকে এই পরিচয়েই বড় হয়ে উঠছিলেন অরুণ কুমার।। পড়াশোনাতে তিনি ছিলেন ভীষণ মেধাবী। সাউথ সাবার্ন স্কুলের পর গোয়েঙ্কা কলেজে ভর্তি হন তিনি। বিজনেস এবং কমার্স শাখাতে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পড়াশোনা মাঝপথে ছেড়ে তাকে চাকরিতে যোগদান করতে হয়। কলকাতা পোস্ট ট্রাস্টে ক্লার্কের পদে তিনি চাকরি পেয়েছিলেন।
ছেলের জন্মের পর সাতকড়িবাবু তার নাম রাখেন অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। ছোট থেকে এই পরিচয়েই বড় হয়ে উঠছিলেন অরুণ কুমার।। পড়াশোনাতে তিনি ছিলেন ভীষণ মেধাবী। সাউথ সাবার্ন স্কুলের পর গোয়েঙ্কা কলেজে ভর্তি হন তিনি। বিজনেস এবং কমার্স শাখাতে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পড়াশোনা মাঝপথে ছেড়ে তাকে চাকরিতে যোগদান করতে হয়। কলকাতা পোস্ট ট্রাস্টে ক্লার্কের পদে তিনি চাকরি পেয়েছিলেন।
চাকরি করার সঙ্গে সঙ্গেই কলকাতার নাট্যগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে অরুণ কুমার নাটক করতে শুরু করেন। এভাবেই পরিচালক নীতিন বোসের নজরে পড়ে যান তিনি। ১৯৪৮ সালের ‘দৃষ্টিদান’ ছিল তাঁর প্রথম ছবি। উল্লেখ্য, তখনও পর্যন্ত তিনি কিন্তু নিজের নাম অরুণ কুমারই লিখতেন। তবে পরপর বেশ কয়েকটি সিনেমা ফ্লপ হওয়ার পর তিনি যখন সিনেমা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন তখনই ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবির প্রস্তাব আসে তার হাতে।
চাকরি করার সঙ্গে সঙ্গেই কলকাতার নাট্যগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে অরুণ কুমার নাটক করতে শুরু করেন। এভাবেই পরিচালক নীতিন বোসের নজরে পড়ে যান তিনি। ১৯৪৮ সালের ‘দৃষ্টিদান’ ছিল তাঁর প্রথম ছবি। উল্লেখ্য, তখনও পর্যন্ত তিনি কিন্তু নিজের নাম অরুণ কুমারই লিখতেন। তবে পরপর বেশ কয়েকটি সিনেমা ফ্লপ হওয়ার পর তিনি যখন সিনেমা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন তখনই ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবির প্রস্তাব আসে তার হাতে।
ভানু বন্দোপাধ্যায়, জহর রায় অভিনীত এই ছবিই উত্তম কুমার এবং সুচিত্রা সেনের জুটির প্রথম ছবি ছিল। এই ছবির পর থেকেই বাঙালি চিনতে শুরু করে উত্তম কুমারকে। তবে এই নাম পরিবর্তনের পেছনে গভীর এক ভাবনা কাজ করেছিল উত্তম কুমারের মনে। তিনি তার আত্মজীবনী ‘হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি মোর’তে লিখেছেন অরুণ কুমার নামের অর্থ সূর্যের পুত্র। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামের অর্থও তাই।
ভানু বন্দোপাধ্যায়, জহর রায় অভিনীত এই ছবিই উত্তম কুমার এবং সুচিত্রা সেনের জুটির প্রথম ছবি ছিল। এই ছবির পর থেকেই বাঙালি চিনতে শুরু করে উত্তম কুমারকে। তবে এই নাম পরিবর্তনের পেছনে গভীর এক ভাবনা কাজ করেছিল উত্তম কুমারের মনে। তিনি তার আত্মজীবনী ‘হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি মোর’তে লিখেছেন অরুণ কুমার নামের অর্থ সূর্যের পুত্র। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামের অর্থও তাই।
উত্তম কুমারের কথায়, “সূর্যের মত সাহিত্য জগতে বিরাজ করছেন রবীন্দ্রনাথ। এই নাম নেওয়া তাকেই মানায়। কিন্তু আমি? আমি তো সামান্য মানুষ। আমার যোগ্যতা নেই এই নাম নেওয়ার। তাই আমি আমার নাম বদলে রাখলাম উত্তম কুমার। অর্থাৎ উত্তম মানুষের পুত্র।” উল্লেখ্য, উত্তম নামটা কিন্তু ছোটবেলাতে তার মাতামহ রেখেছিলেন। উত্তম কুমারের নজরে তাঁর বাবা-মা হলেন শ্রেষ্ঠ মানুষ। তাই তিনি উত্তম কুমার হিসেবেই পরিচিতি পেতে চেয়েছিলেন।
উত্তম কুমারের কথায়, “সূর্যের মত সাহিত্য জগতে বিরাজ করছেন রবীন্দ্রনাথ। এই নাম নেওয়া তাকেই মানায়। কিন্তু আমি? আমি তো সামান্য মানুষ। আমার যোগ্যতা নেই এই নাম নেওয়ার। তাই আমি আমার নাম বদলে রাখলাম উত্তম কুমার। অর্থাৎ উত্তম মানুষের পুত্র।” উল্লেখ্য, উত্তম নামটা কিন্তু ছোটবেলাতে তার মাতামহ রেখেছিলেন। উত্তম কুমারের নজরে তাঁর বাবা-মা হলেন শ্রেষ্ঠ মানুষ। তাই তিনি উত্তম কুমার হিসেবেই পরিচিতি পেতে চেয়েছিলেন।