Tag Archives: Uttam Kumar

Uttam Kumar Sweet: শ্যুটিং করতে এসে এই মিষ্টি খেতেন উত্তমকুমার, বাংলার অত্যন্ত প্রিয় ‘এই’ মিষ্টির স্বাদই আলাদা

শোনা যায় একটি ছবির শ্যুটিং এর সময় উত্তম কুমারও পূর্ব বর্ধমানের এই মিষ্টির স্বাদ নিয়েছিলেন। পূর্ব বর্ধমান জেলার জনপ্রিয় একটি মিষ্টি হল কাটোয়ার পরাণের ক্ষীরের পানতুয়া। এই মিষ্টি সকলের কাছে পরাণের পানতুয়া নামেই পরিচিত। কাটোয়া শহরের বারোয়ারী তলায় রয়েছে এই জনপ্রিয় মিষ্টির দোকান। তবে এই পরাণের পানতুয়া নাম হওয়ার পিছনে এক কারণ রয়েছে। (বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
শোনা যায় একটি ছবির শ্যুটিং এর সময় উত্তম কুমারও পূর্ব বর্ধমানের এই মিষ্টির স্বাদ নিয়েছিলেন। পূর্ব বর্ধমান জেলার জনপ্রিয় একটি মিষ্টি হল কাটোয়ার পরাণের ক্ষীরের পানতুয়া। এই মিষ্টি সকলের কাছে পরাণের পানতুয়া নামেই পরিচিত। কাটোয়া শহরের বারোয়ারী তলায় রয়েছে এই জনপ্রিয় মিষ্টির দোকান। তবে এই পরাণের পানতুয়া নাম হওয়ার পিছনে এক কারণ রয়েছে। (বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
অবিভক্ত বাংলাদেশ থেকে পেটের তাগিদে ফরিদপুর জেলা থেকে কাটোয়ায় গঙ্গা তীরবর্তী বারোয়ারিতলায় এসেছিলেন সুরেন্দ্রনাথ কুণ্ডু। বারোয়ারিতলায় তিনি একটি ছোট্ট মিষ্টির দোকান খুলেছিলেন ।
অবিভক্ত বাংলাদেশ থেকে পেটের তাগিদে ফরিদপুর জেলা থেকে কাটোয়ায় গঙ্গা তীরবর্তী বারোয়ারিতলায় এসেছিলেন সুরেন্দ্রনাথ কুণ্ডু। বারোয়ারিতলায় তিনি একটি ছোট্ট মিষ্টির দোকান খুলেছিলেন ।
প্রথম সেখান থেকেই তিনি লম্বা সাইজের ক্ষীরের পান্তুয়া তৈরি করতে শুরু করেন। সুরেন্দ্রনাথ বাবুর তিন ছেলে ছিল। তাঁদের মধ্যে ছোট ছেলে প্রাণকৃষ্ণ কুণ্ডু তাঁর বাবার কাছে পানতুয়ার রেসিপি জেনে শুরু করেন পানতুয়া তৈরির কাজ। পরবর্তীতে সেই প্রাণকৃষ্ণ মানুষের কাছে ‘পরাণ’ হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। ধীরে ধীরে পরাণের পানতুয়া নামেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে কাটোয়ার এই দোকান।
প্রথম সেখান থেকেই তিনি লম্বা সাইজের ক্ষীরের পান্তুয়া তৈরি করতে শুরু করেন। সুরেন্দ্রনাথ বাবুর তিন ছেলে ছিল। তাঁদের মধ্যে ছোট ছেলে প্রাণকৃষ্ণ কুণ্ডু তাঁর বাবার কাছে পানতুয়ার রেসিপি জেনে শুরু করেন পানতুয়া তৈরির কাজ। পরবর্তীতে সেই প্রাণকৃষ্ণ মানুষের কাছে ‘পরাণ’ হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। ধীরে ধীরে পরাণের পানতুয়া নামেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে কাটোয়ার এই দোকান।
এই প্রসঙ্গে দোকানের তরফে তপন কুণ্ডু জানিয়েছেন, "এই মিষ্টি কিভাবে তৈরি হয় সেই রেসিপি আমরা কাউকে জানায় না। আমাদের কোনও কারিগর নেই। নিজেরাই তৈরি করি এই মিষ্টি। এটাই আমাদের সম্পদ। একবার যে এই মিষ্টির স্বাদ নেবে, তাকে বারবার আসতে হবে।"
এই প্রসঙ্গে দোকানের তরফে তপন কুণ্ডু জানিয়েছেন, “এই মিষ্টি কিভাবে তৈরি হয় সেই রেসিপি আমরা কাউকে জানায় না। আমাদের কোনও কারিগর নেই। নিজেরাই তৈরি করি এই মিষ্টি। এটাই আমাদের সম্পদ। একবার যে এই মিষ্টির স্বাদ নেবে, তাকে বারবার আসতে হবে।”
দোকানের কর্ণধারের কথায় বর্তমানে দৈনিক প্রায় এই দোকান থেকে দু হাজার পিস পানতুয়া বিক্রি হয়। তবে শুধু পানতুয়া নয়, পানতুয়া ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি পাওয়া যায় এই দোকানে। দূর দূরান্ত থেকে এই পানতুয়ার স্বাদ নেওয়ার জন্য ছুটে আসেন বহু মানুষ। জেলা ছড়িয়ে ভিন জেলা, এমনকি ভিন রাজ্য থেকেও বিভিন্ন সময় অনেকেই এখানে এসে থাকেন। চাঁদু হাজরা নামের এক ক্রেতা জানিয়েছেন, "এই মিষ্টির স্বাদ সত্যিই অসাধারণ। আমি আমার বাড়ির জন্য এবং আত্মীয়দের জন্য বিভিন্ন সময় এই মিষ্টি নিয়ে যাই।"
দোকানের কর্ণধারের কথায় বর্তমানে দৈনিক প্রায় এই দোকান থেকে দু হাজার পিস পানতুয়া বিক্রি হয়। তবে শুধু পানতুয়া নয়, পানতুয়া ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি পাওয়া যায় এই দোকানে। দূর দূরান্ত থেকে এই পানতুয়ার স্বাদ নেওয়ার জন্য ছুটে আসেন বহু মানুষ। জেলা ছড়িয়ে ভিন জেলা, এমনকি ভিন রাজ্য থেকেও বিভিন্ন সময় অনেকেই এখানে এসে থাকেন। চাঁদু হাজরা নামের এক ক্রেতা জানিয়েছেন, “এই মিষ্টির স্বাদ সত্যিই অসাধারণ। আমি আমার বাড়ির জন্য এবং আত্মীয়দের জন্য বিভিন্ন সময় এই মিষ্টি নিয়ে যাই।”
বিভিন্ন নেতা, মন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেকেই এই পানতুয়ার স্বাদ উপভোগ করেছেন। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের এই জনপ্রিয় মিষ্টি। আমেরিকা , জাপান সহ আরও বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিয়েছে কাটোয়ার পরাণের পানতুয়া। বর্তমানে সর্বনিম্ন ১০ টাকার বিনিময়ে পাওয়া যায় এই মিষ্টি। আজও স্বাদ ঐতিহ্যের জোরে নিজের জায়গা ধরে রেখেছে পূর্ব বর্ধমানের এই মিষ্টি।
বিভিন্ন নেতা, মন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেকেই এই পানতুয়ার স্বাদ উপভোগ করেছেন। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের এই জনপ্রিয় মিষ্টি। আমেরিকা , জাপান সহ আরও বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিয়েছে কাটোয়ার পরাণের পানতুয়া। বর্তমানে সর্বনিম্ন ১০ টাকার বিনিময়ে পাওয়া যায় এই মিষ্টি। আজও স্বাদ ঐতিহ্যের জোরে নিজের জায়গা ধরে রেখেছে পূর্ব বর্ধমানের এই মিষ্টি।

Uttam Kumar: তিনিই মহানায়ক! বলুন তো, উত্তম কুমারের আসল নাম কী? নাম পাল্টানোর ‘কারণ’ নাকি রবীন্দ্রনাথ!

বাঙালির মহানায়ক একজনই, তিনি হলেন উত্তম কুমার। যুগ যুগান্তর ধরে বাংলার দর্শকদের মননে সেরা নায়ক তিনিই। তার পরবর্তী সময়ে বহু নায়কের উত্থান হয়েছে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। কিন্তু কেউ তার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেননি। মৃত্যুর পর ৪ দশক পেরিয়ে গেলেও সকলের মনের মধ্যে জ্বলজ্বল করে উত্তম কুমারের নাম। কিন্তু যদিও সেটা মহানায়কের আসল নাম নয়।
বাঙালির মহানায়ক একজনই, তিনি হলেন উত্তম কুমার। যুগ যুগান্তর ধরে বাংলার দর্শকদের মননে সেরা নায়ক তিনিই। তার পরবর্তী সময়ে বহু নায়কের উত্থান হয়েছে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। কিন্তু কেউ তার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেননি। মৃত্যুর পর ৪ দশক পেরিয়ে গেলেও সকলের মনের মধ্যে জ্বলজ্বল করে উত্তম কুমারের নাম। কিন্তু যদিও সেটা মহানায়কের আসল নাম নয়।
উত্তম কুমারের ভক্তরা সকলেই জানেন টলিউডে পা রাখার আগে নিজের নামটা বদলে ফেলেন তিনি। যার নেপথ্যে রয়েছে রহস্য। কেন নিজের নাম বদলে ফেলেছেন উত্তম কুমার জানেন?
উত্তম কুমারের ভক্তরা সকলেই জানেন টলিউডে পা রাখার আগে নিজের নামটা বদলে ফেলেন তিনি। যার নেপথ্যে রয়েছে রহস্য। কেন নিজের নাম বদলে ফেলেছেন উত্তম কুমার জানেন?
জানতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে বেশ কয়েকটা বছর। ১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতার আহিরীটোলায় মামার বাড়িতে জন্ম নেন উত্তম কুমার। তার পিতৃপুরুষের বাড়ি অবশ্য কলকাতার ভবানীপুরে। পিতার নাম সাতকড়ি চট্টোপাধ্যায় এবং মা চপলা দেবী।
জানতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে বেশ কয়েকটা বছর। ১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতার আহিরীটোলায় মামার বাড়িতে জন্ম নেন উত্তম কুমার। তার পিতৃপুরুষের বাড়ি অবশ্য কলকাতার ভবানীপুরে। পিতার নাম সাতকড়ি চট্টোপাধ্যায় এবং মা চপলা দেবী।
ছেলের জন্মের পর সাতকড়িবাবু তার নাম রাখেন অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। ছোট থেকে এই পরিচয়েই বড় হয়ে উঠছিলেন অরুণ কুমার।। পড়াশোনাতে তিনি ছিলেন ভীষণ মেধাবী। সাউথ সাবার্ন স্কুলের পর গোয়েঙ্কা কলেজে ভর্তি হন তিনি। বিজনেস এবং কমার্স শাখাতে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পড়াশোনা মাঝপথে ছেড়ে তাকে চাকরিতে যোগদান করতে হয়। কলকাতা পোস্ট ট্রাস্টে ক্লার্কের পদে তিনি চাকরি পেয়েছিলেন।
ছেলের জন্মের পর সাতকড়িবাবু তার নাম রাখেন অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। ছোট থেকে এই পরিচয়েই বড় হয়ে উঠছিলেন অরুণ কুমার।। পড়াশোনাতে তিনি ছিলেন ভীষণ মেধাবী। সাউথ সাবার্ন স্কুলের পর গোয়েঙ্কা কলেজে ভর্তি হন তিনি। বিজনেস এবং কমার্স শাখাতে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পড়াশোনা মাঝপথে ছেড়ে তাকে চাকরিতে যোগদান করতে হয়। কলকাতা পোস্ট ট্রাস্টে ক্লার্কের পদে তিনি চাকরি পেয়েছিলেন।
চাকরি করার সঙ্গে সঙ্গেই কলকাতার নাট্যগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে অরুণ কুমার নাটক করতে শুরু করেন। এভাবেই পরিচালক নীতিন বোসের নজরে পড়ে যান তিনি। ১৯৪৮ সালের ‘দৃষ্টিদান’ ছিল তাঁর প্রথম ছবি। উল্লেখ্য, তখনও পর্যন্ত তিনি কিন্তু নিজের নাম অরুণ কুমারই লিখতেন। তবে পরপর বেশ কয়েকটি সিনেমা ফ্লপ হওয়ার পর তিনি যখন সিনেমা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন তখনই ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবির প্রস্তাব আসে তার হাতে।
চাকরি করার সঙ্গে সঙ্গেই কলকাতার নাট্যগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে অরুণ কুমার নাটক করতে শুরু করেন। এভাবেই পরিচালক নীতিন বোসের নজরে পড়ে যান তিনি। ১৯৪৮ সালের ‘দৃষ্টিদান’ ছিল তাঁর প্রথম ছবি। উল্লেখ্য, তখনও পর্যন্ত তিনি কিন্তু নিজের নাম অরুণ কুমারই লিখতেন। তবে পরপর বেশ কয়েকটি সিনেমা ফ্লপ হওয়ার পর তিনি যখন সিনেমা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন তখনই ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবির প্রস্তাব আসে তার হাতে।
ভানু বন্দোপাধ্যায়, জহর রায় অভিনীত এই ছবিই উত্তম কুমার এবং সুচিত্রা সেনের জুটির প্রথম ছবি ছিল। এই ছবির পর থেকেই বাঙালি চিনতে শুরু করে উত্তম কুমারকে। তবে এই নাম পরিবর্তনের পেছনে গভীর এক ভাবনা কাজ করেছিল উত্তম কুমারের মনে। তিনি তার আত্মজীবনী ‘হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি মোর’তে লিখেছেন অরুণ কুমার নামের অর্থ সূর্যের পুত্র। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামের অর্থও তাই।
ভানু বন্দোপাধ্যায়, জহর রায় অভিনীত এই ছবিই উত্তম কুমার এবং সুচিত্রা সেনের জুটির প্রথম ছবি ছিল। এই ছবির পর থেকেই বাঙালি চিনতে শুরু করে উত্তম কুমারকে। তবে এই নাম পরিবর্তনের পেছনে গভীর এক ভাবনা কাজ করেছিল উত্তম কুমারের মনে। তিনি তার আত্মজীবনী ‘হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি মোর’তে লিখেছেন অরুণ কুমার নামের অর্থ সূর্যের পুত্র। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামের অর্থও তাই।
উত্তম কুমারের কথায়, “সূর্যের মত সাহিত্য জগতে বিরাজ করছেন রবীন্দ্রনাথ। এই নাম নেওয়া তাকেই মানায়। কিন্তু আমি? আমি তো সামান্য মানুষ। আমার যোগ্যতা নেই এই নাম নেওয়ার। তাই আমি আমার নাম বদলে রাখলাম উত্তম কুমার। অর্থাৎ উত্তম মানুষের পুত্র।” উল্লেখ্য, উত্তম নামটা কিন্তু ছোটবেলাতে তার মাতামহ রেখেছিলেন। উত্তম কুমারের নজরে তাঁর বাবা-মা হলেন শ্রেষ্ঠ মানুষ। তাই তিনি উত্তম কুমার হিসেবেই পরিচিতি পেতে চেয়েছিলেন।
উত্তম কুমারের কথায়, “সূর্যের মত সাহিত্য জগতে বিরাজ করছেন রবীন্দ্রনাথ। এই নাম নেওয়া তাকেই মানায়। কিন্তু আমি? আমি তো সামান্য মানুষ। আমার যোগ্যতা নেই এই নাম নেওয়ার। তাই আমি আমার নাম বদলে রাখলাম উত্তম কুমার। অর্থাৎ উত্তম মানুষের পুত্র।” উল্লেখ্য, উত্তম নামটা কিন্তু ছোটবেলাতে তার মাতামহ রেখেছিলেন। উত্তম কুমারের নজরে তাঁর বাবা-মা হলেন শ্রেষ্ঠ মানুষ। তাই তিনি উত্তম কুমার হিসেবেই পরিচিতি পেতে চেয়েছিলেন।

Uttam Kumar: অভিনয়ের আগে উত্তম কুমারের পেশা কী ছিল জানেন? অবাক কাণ্ড! সেই সূত্রেই খোঁজ পেলেন গৌরী দেবীর

১৯৫৩ সালের কথা, মুক্তি পেল নির্মল দের ছবি 'সাড়ে ৭৪'। মুক্তির পর কমেডি ছবিটি নিয়ে সবার কী উল্লাস। ছবিতে নামি সব তারকা_ কে নেই! চারদিকে কথা হচ্ছিল, ছবিটির মাধ্যমে কী এক নতুন জুটি এসেছে পর্দায়। বয়স্করা মজেছিলেন তুলসী চক্রবর্তী আর মলিনা দেবীতে। তাদের দাবি, হিরো-হিরোইন তো তুলসী-মলিনা। নতুন জুটি তো সাইড রোলে! ছবিটি বক্স অফিস কাঁপিয়ে দিল ৷ টানা আট সপ্তাহ চলল এই ছবি ৷ শুরুর গল্পটা ঠিক উল্টো।
১৯৫৩ সালের কথা, মুক্তি পেল নির্মল দের ছবি ‘সাড়ে ৭৪’। মুক্তির পর কমেডি ছবিটি নিয়ে সবার কী উল্লাস। ছবিতে নামি সব তারকা_ কে নেই! চারদিকে কথা হচ্ছিল, ছবিটির মাধ্যমে কী এক নতুন জুটি এসেছে পর্দায়। বয়স্করা মজেছিলেন তুলসী চক্রবর্তী আর মলিনা দেবীতে। তাদের দাবি, হিরো-হিরোইন তো তুলসী-মলিনা। নতুন জুটি তো সাইড রোলে! ছবিটি বক্স অফিস কাঁপিয়ে দিল ৷ টানা আট সপ্তাহ চলল এই ছবি ৷ শুরুর গল্পটা ঠিক উল্টো।
১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতায় তার জন্ম। পরিবারের দেওয়া নাম ছিল অরুণ কুমার। বাবা সাতকড়ি চট্টোপাধ্যায় আর মা চপলা দেবী গৃহিণী। অভাব-অনটনের সংসার; কোনওমতে দিন কেটে যায়। গিরিশ মুখোপাধ্যায় রোডের একটিমাত্র ঘরে তাঁরা থাকেন ৷ ভরসা বাড়িটি নিজের। বাবার সামান্য বেতনে সংসার চলছে না। উপায় না দেখে উপার্জনে নেমে পড়লেন বাড়ির বড় ছেলে অরুণ।
১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতায় তার জন্ম। পরিবারের দেওয়া নাম ছিল অরুণ কুমার। বাবা সাতকড়ি চট্টোপাধ্যায় আর মা চপলা দেবী গৃহিণী। অভাব-অনটনের সংসার; কোনওমতে দিন কেটে যায়। গিরিশ মুখোপাধ্যায় রোডের একটিমাত্র ঘরে তাঁরা থাকেন ৷ ভরসা বাড়িটি নিজের। বাবার সামান্য বেতনে সংসার চলছে না। উপায় না দেখে উপার্জনে নেমে পড়লেন বাড়ির বড় ছেলে অরুণ।
পড়াশোনার পাশাপাশি গানের শিক্ষকতা শুরু করলেন। সবচেয়ে লোভনীয় প্রস্তাব পেলেন অল্প দিনেই। গান শেখাতে হবে গাঙ্গুলী বাড়ির মেয়ে গৌরী দেবীকে। বেতনও বেশ ভালো, মাসে ৭৫ টাকা। আগেই চেনাজানা হলেও শিক্ষকতা করতে গিয়ে কাছে এলেন উত্তম-গৌরী। ১৯৫০ সালের ১ জুন অরুণের ঘরে এলেন গৌরী দেবী।
পড়াশোনার পাশাপাশি গানের শিক্ষকতা শুরু করলেন। সবচেয়ে লোভনীয় প্রস্তাব পেলেন অল্প দিনেই। গান শেখাতে হবে গাঙ্গুলী বাড়ির মেয়ে গৌরী দেবীকে। বেতনও বেশ ভালো, মাসে ৭৫ টাকা। আগেই চেনাজানা হলেও শিক্ষকতা করতে গিয়ে কাছে এলেন উত্তম-গৌরী। ১৯৫০ সালের ১ জুন অরুণের ঘরে এলেন গৌরী দেবী।
পাঁচ সিকিতে এক্সট্রার রোল: ছোটবেলা থেকেই অরুণ প্রচন্ড থিয়েটার অনুরাগী; ছিলেন যাত্রার ভক্ত। রুপোলি পর্দায় অভিনয়ের ঝোঁকটা ক্রমেই বেড়ে চলল। ১৯৪৭ সালে হিন্দি চলচ্চিত্র 'মায়াডোর'-এ অভিনয়ের সুযোগ মিলল ৷ তবে এক্সট্রার রোল। মাত্র পাঁচ সিকিতে দৈনিক ভিত্তিতে ওই ছবিতে অভিনয় করলেন অরুণ।
পাঁচ সিকিতে এক্সট্রার রোল: ছোটবেলা থেকেই অরুণ প্রচন্ড থিয়েটার অনুরাগী; ছিলেন যাত্রার ভক্ত। রুপোলি পর্দায় অভিনয়ের ঝোঁকটা ক্রমেই বেড়ে চলল। ১৯৪৭ সালে হিন্দি চলচ্চিত্র ‘মায়াডোর’-এ অভিনয়ের সুযোগ মিলল ৷ তবে এক্সট্রার রোল। মাত্র পাঁচ সিকিতে দৈনিক ভিত্তিতে ওই ছবিতে অভিনয় করলেন অরুণ।
কিন্তু 'মায়াডোর' মুক্তি পেল না। '৪৮ সালে পেলেন আরেকটি সুযোগ, 'দৃষ্টিদান' ছবিতে নায়ক অসিতবরণের অল্প বয়সের চরিত্রে। কিন্তু দর্শকমনে তেমন দাগ কাটতে পারলেন না অরুণ। পরের ছবি 'কামনা'। ১৯৪৯ সালে মুক্তি পেল ছবিটি, কিন্তু সেটিও সুপার ফ্লপ। পরের দুই ছবি 'মর্যাদা' ও 'ওরে যাত্রী'ও চলল না।
কিন্তু ‘মায়াডোর’ মুক্তি পেল না। ‘৪৮ সালে পেলেন আরেকটি সুযোগ, ‘দৃষ্টিদান’ ছবিতে নায়ক অসিতবরণের অল্প বয়সের চরিত্রে। কিন্তু দর্শকমনে তেমন দাগ কাটতে পারলেন না অরুণ। পরের ছবি ‘কামনা’। ১৯৪৯ সালে মুক্তি পেল ছবিটি, কিন্তু সেটিও সুপার ফ্লপ। পরের দুই ছবি ‘মর্যাদা’ ও ‘ওরে যাত্রী’ও চলল না।
'ফ্লপ মাস্টার জেনারেল': ছবি ফ্লপ হচ্ছে, তারপরও দমে যাননি অরুণ। হাতে ছিল তখনও 'সহযাত্রী' ও 'নষ্টনীড়' ছবি। মন-প্রাণ দিয়ে অভিনয় করলেন। ফল আগের তিনটির মতোই। ছবি ফ্লপ করছে কিন্তু সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন ৷ বিষয়টি ভালভাবে নিল না অনেকেই। আড়ালে-আবডালে তাঁকে ডাকা শুরু হল 'ফ্লপ মাস্টার জেনারেল' বা 'এফএমজি' বলে। নামটা রটে গেলে সিনেমাপাড়ায়। খবরের পাতায় এফএমজি ঘিরে খবরও ছাপা হল।

‘ফ্লপ মাস্টার জেনারেল’: ছবি ফ্লপ হচ্ছে, তারপরও দমে যাননি অরুণ। হাতে ছিল তখনও ‘সহযাত্রী’ ও ‘নষ্টনীড়’ ছবি। মন-প্রাণ দিয়ে অভিনয় করলেন। ফল আগের তিনটির মতোই। ছবি ফ্লপ করছে কিন্তু সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন ৷ বিষয়টি ভালভাবে নিল না অনেকেই। আড়ালে-আবডালে তাঁকে ডাকা শুরু হল ‘ফ্লপ মাস্টার জেনারেল’ বা ‘এফএমজি’ বলে। নামটা রটে গেলে সিনেমাপাড়ায়। খবরের পাতায় এফএমজি ঘিরে খবরও ছাপা হল।
অরুণ থেকে অরূপ, পরে উত্তম: অসফলতার ধারাবাহিকতা চলছিল। এর মধ্যে সরোজ মুখোপাধ্যায়ের 'মর্যাদা' ছবিতে নায়ক হলেন। তবে পরিচালকের সঙ্গে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নাম পাল্টে হলেন অরূপ কুমার। তাতেও কাজ হল না। ‘সহযাত্রী’ ছবিতে অভিনয় করছিলেন বিখ্যাত অভিনেতা পাহাড়ি সান্যালের সঙ্গে। শুটিংয়ের ফাঁকে আড্ডায় পাহাড়ি সান্যাল হঠাৎ বলে বসলেন-'তুমি অরুণ নও হে, তুমি যে উত্তম, উত্তম কুমার।' তার পরামর্শে নাম পাল্টে হয়ে গেলেন উত্তম কুমার। নাম বদলের প্রথম ছবি সহযাত্রীতেও সাফল্য ধরা দিল না। ১৯৫১ সালে 'সঞ্জীবনী'ও ফ্লপ হল। 'বসু পরিবার' ছবিতে নায়কের ভূমিকায় নয়, ছিলেন পার্শ্বচরিত্রে। ছবিটি বেশ ভাল চলল, অভিনয়ের জন্য প্রথম প্রশংসিত হলেন উত্তম।
অরুণ থেকে অরূপ, পরে উত্তম: অসফলতার ধারাবাহিকতা চলছিল। এর মধ্যে সরোজ মুখোপাধ্যায়ের ‘মর্যাদা’ ছবিতে নায়ক হলেন। তবে পরিচালকের সঙ্গে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নাম পাল্টে হলেন অরূপ কুমার। তাতেও কাজ হল না। ‘সহযাত্রী’ ছবিতে অভিনয় করছিলেন বিখ্যাত অভিনেতা পাহাড়ি সান্যালের সঙ্গে। শুটিংয়ের ফাঁকে আড্ডায় পাহাড়ি সান্যাল হঠাৎ বলে বসলেন-‘তুমি অরুণ নও হে, তুমি যে উত্তম, উত্তম কুমার।’ তার পরামর্শে নাম পাল্টে হয়ে গেলেন উত্তম কুমার। নাম বদলের প্রথম ছবি সহযাত্রীতেও সাফল্য ধরা দিল না। ১৯৫১ সালে ‘সঞ্জীবনী’ও ফ্লপ হল। ‘বসু পরিবার’ ছবিতে নায়কের ভূমিকায় নয়, ছিলেন পার্শ্বচরিত্রে। ছবিটি বেশ ভাল চলল, অভিনয়ের জন্য প্রথম প্রশংসিত হলেন উত্তম।
এক বছরেই ১৪ ছবি: 'সাড়ে ৭৪'-এর জোয়ারের ঢেউ গিয়ে পড়ল পরের বছর। ১৯৫৪ সালে মুক্তি পেল উত্তম অভিনীত ১৪টি ছবি, তার মধ্যে সাতটিই সুচিত্রার সঙ্গে জুটি বেঁধে। 'দৃষ্টিদান' দিয়ে শুরু করে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ৩৩ বছরে বাংলা-হিন্দি মিলিয়ে প্রায় আড়াইশ' ছবিতে অভিনয় করেছেন উত্তম। প্রথম ছবিতে মায়া মুখোপাধ্যায়, সর্বশেষ 'ওগো বধূ সুন্দরী'তে মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়-সহ সর্বমোট ৪৬ জন তার নায়িকা হয়েছেন।
এক বছরেই ১৪ ছবি: ‘সাড়ে ৭৪’-এর জোয়ারের ঢেউ গিয়ে পড়ল পরের বছর। ১৯৫৪ সালে মুক্তি পেল উত্তম অভিনীত ১৪টি ছবি, তার মধ্যে সাতটিই সুচিত্রার সঙ্গে জুটি বেঁধে। ‘দৃষ্টিদান’ দিয়ে শুরু করে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ৩৩ বছরে বাংলা-হিন্দি মিলিয়ে প্রায় আড়াইশ’ ছবিতে অভিনয় করেছেন উত্তম। প্রথম ছবিতে মায়া মুখোপাধ্যায়, সর্বশেষ ‘ওগো বধূ সুন্দরী’তে মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়-সহ সর্বমোট ৪৬ জন তার নায়িকা হয়েছেন।
কিংবদন্তি জুটি ও রহস্য: ১৯৫৪ সালে 'ওরা থাকে ওধারে' ছবি দিয়ে উত্তম-সুচিত্রা জুটি পাকাপাকিভাবে দর্শক হৃদয়ে স্থান করে নেয়। তিপান্নর যাত্রা পঁচাত্তরে গিয়ে 'প্রিয় বান্ধবী' দিয়ে শেষ হয়। ২২ বছরে মুক্তি পেয়েছে উত্তম-সুচিত্রা জুটির সর্বমোট ৩১টি ছবি। কিন্তু রূপালি পর্দার বাইরে কেমন ছিল তাদের সম্পর্ক? পেশাগত, নাকি বন্ধুত্বের? নাকি আরও কিছু? এসব প্রশ্নের শুরু হয়েছে অনেক আগেই, শেষ হয়নি কখনও! সুচিত্রা সেনের জীবনের শেষ ছবি হতে পারত উত্তমের সঙ্গে; এমনকি উত্তমেরও। কী যে ঘটেছিল, ১৯৬২ সালের পর তারা একসঙ্গে ছবি করা কমিয়ে দেন। সুচিত্রা কেনই বা সিনেমা জগৎ ছেড়ে চলে গেলেন লোকচক্ষুর অন্তরালে, তাও এক চিরকালীন রহস্য। গৌরী দেবীকে ছেড়ে ১৯৬৩ সাল থেকে ১৯৮০ সালে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি সুপ্রিয়া দেবীর সঙ্গে ছিলেন।

কিংবদন্তি জুটি ও রহস্য: ১৯৫৪ সালে ‘ওরা থাকে ওধারে’ ছবি দিয়ে উত্তম-সুচিত্রা জুটি পাকাপাকিভাবে দর্শক হৃদয়ে স্থান করে নেয়। তিপান্নর যাত্রা পঁচাত্তরে গিয়ে ‘প্রিয় বান্ধবী’ দিয়ে শেষ হয়। ২২ বছরে মুক্তি পেয়েছে উত্তম-সুচিত্রা জুটির সর্বমোট ৩১টি ছবি। কিন্তু রূপালি পর্দার বাইরে কেমন ছিল তাদের সম্পর্ক? পেশাগত, নাকি বন্ধুত্বের? নাকি আরও কিছু? এসব প্রশ্নের শুরু হয়েছে অনেক আগেই, শেষ হয়নি কখনও! সুচিত্রা সেনের জীবনের শেষ ছবি হতে পারত উত্তমের সঙ্গে; এমনকি উত্তমেরও। কী যে ঘটেছিল, ১৯৬২ সালের পর তারা একসঙ্গে ছবি করা কমিয়ে দেন। সুচিত্রা কেনই বা সিনেমা জগৎ ছেড়ে চলে গেলেন লোকচক্ষুর অন্তরালে, তাও এক চিরকালীন রহস্য। গৌরী দেবীকে ছেড়ে ১৯৬৩ সাল থেকে ১৯৮০ সালে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি সুপ্রিয়া দেবীর সঙ্গে ছিলেন।