মালবাজার: আজও নিরঞ্জন ঘাটে মানুষ খোঁজ মাণিককে। মালবাজারে হড়পা বানে প্রাণ বাঁচিয়ে আজও হিরো সেই মানিক। অনেকে ভেসে গেলেও, তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে রক্ষা করেন মানিক। তেসিমলা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার এই যুবকও মাল নদীর ধারে প্রতিমা বিসর্জন দেখতে গিয়েছিলেন। হঠাৎই হড়পা বানে চোখের সামনে মানুষগুলোকে ভেসে যেতে দেখে আর আশেপাশের কিছু তাকিয়ে দেখেননি তিনি। সোজা ঝাঁপ মারেন জলের স্রোতে।
মহম্মদ মানিক জানান, প্রতিমা বিসর্জন দেখার জন্য বন্ধুদের সঙ্গে মালবাজারে গিয়েছিলেন। সেই সময় আচমকাই হড়পা বান আসে। অনেকে ভেসে যাচ্ছেন দেখে নিজের মোবাইল ফোনটা এক বন্ধুর হাতে দিয়ে নদীতে লাফিয়ে পড়েন। প্রায় ১০ জনকে উদ্ধার করেন তিনি। উদ্ধার করতে গিয়ে তাঁর পায়ের আঙুলও কেটে যায়। এরপরই দমকল কর্মীরা তাকে মাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়েও দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজও মানিক ভাইরাল।
আরও পড়ুন- ৩ দিন পরই ঘুরবে ভাগ্যের চাকা…! শুক্রের বিরাট চালে ‘গোল্ডেন টাইম’ শুরু ৬ রাশির, লটারি লাগলেই ‘মালামাল’, পাবে কুবেরের ধন
ডুয়ার্সের মালবাজার শহরের পাশাপাশি আশেপাশের বিভিন্ন চা বাগান এলাকা থেকে পুজো উদ্যোক্তারা তাদের প্রতিমা নিয়ে বিসর্জন দিতে আসেন এই মাল নদীতে। আর সেই বিসর্জন দেখতে ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৬-৮ হাজার মানুষ সেবারও এসেছিলেন বিসর্জন ঘাটে। হঠাৎই হড়পা বান আসে সে নদীতে। এরপরই জলের তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায় মানুষগুলোকে।
আরও পড়ুন- ৫০ বছর পর মহাঅষ্টমীতে অতি বিরল মহাসংযোগ…! ৪ রাশিকে দু-হাত ভরিয়ে দেবেন মা দুর্গা, কাঁপবে গোটা ত্রিভুবন, কাটবে ফাঁড়া, সোনার মতো চমকাবে ভাগ্য
বহু মানুষের খোঁজ মিলছিল না। অনেকে আবার গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। মৃত্যুকে চোখের এতটা সামনে থেকে চাক্ষুষ করে কেউ কেউ আবার ভীত, কুঁকড়ে গিয়েছিলেন ভয়ে। তাদের উদ্ধার করেছিলেন মানিক। মুখ্যমন্ত্রী তাকে মঞ্চে ডেকে সম্মান দিয়েছিল। বীরের সম্মান পাওয়া সেই মাণিক অবশ্য বলছে মানুষের যা কাজ করা উচিত তাই করেছি।