বাঙালি তথা ভারতীয় মাত্রেই নিমের ঔষধি গুণ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। সাধে কী আর বলে, নিমের হাওয়া যমদূতকে দূরে রাখে!
নিমগাছকে আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়, কারণ এর ফল, ফুল, কাণ্ড সবকিছুই ব্যবহার করা হয়। পাতা থেকে ওষুধ, ডাল থেকে দাঁতন, ফুল থেকে মধু- নিমের কত না গুণ!
এই গাছটিকে তাই আয়ুর্বেদের ভান্ডারও বলা হয়, কারণ এতে অনেক ধরনের ওষধি গুণ পাওয়া যায়, যা শরীরকে সুস্থ রাখে।
যদিও নিম গাছের ফলের সম্পর্কে মানুষের ধারণা কম। এই ফলটি বর্ষাকালের দিকে পাওয়া যায়, নিম গাছে মাত্র কয়েক মাসই এই ফল পাওয়া যায়। লোকমুখে এর পরিচিতি নিম্বোলিয়া নামে।
এই ফলটি বর্ষার কয়েক মাস পরেই নিম গাছে দেখা যায়, যা স্বাদে কিছুটা মিষ্টি ও তিক্ত। কিন্তু এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. চন্দ্রপ্রকাশ দীক্ষিতের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি লোকাল 18-কে বলেন, আয়ুর্বেদে নিম গাছের একটি বিশেষ পরিচয় রয়েছে, যা শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসা করে।
কিন্তু এই নিম গাছের ফল, যাকে নিম্বোলিয়া বলে, তা স্বাদে তেতো ও সামান্য মিষ্টি, এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাবলী পাওয়া যায় এই ফলটিতে, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
এই ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এবং এই ফলটি ত্বকের সংক্রমণও সারায়। তাই আমাদের অবশ্যই এই ফলটি পাতে রাখা উচিত।
