Tag Archives: New Income Tax Rule

Income Tax Filing: আইটিআর ফাইল করার সময় সিএ ভুল করলে কার উপর বর্তাবে সেই দায়? আর কাকেই বা জরিমানা গুনতে হবে? স্পষ্ট করে দিল সরকার

নিজের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিএ)-কে নিয়ে বেশ আনন্দিতই মুম্বইয়ের বহুজাতিক সংস্থার কর্মী আদর্শ কুমার। আর কেনই বা সন্তুষ্ট হবেন না তিনি? কারণ তাঁর সিএ তাঁকে ৫০ হাজার টাকার রিফান্ড পাইয়ে দিয়েছেন। যখন আদর্শ এই ঘটনার কথা নিজের বন্ধুকে জানান, তখন সেই বন্ধুও অনুরোধ করেন যে, আদর্শের সিএ-ই যেন তাঁর ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করেন। আসলে এই কাজে আদর্শের সিএ সমস্ত ডিডাকশনের সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে টিডিএস ডিডাকশন সত্ত্বেও তাঁকে ৫০ হাজার টাকা রিফান্ডও পাইয়ে দিয়েছেন।

আদর্শ যখন এই কথা নিজের বন্ধুকে জানান, তখন তিনি কিছু কর বিশেষজ্ঞের সঙ্গে এই বিষয়ে কথাও বলেন। তখন তিনি জানতে পারেন যে, আদর্শের সিএ আসলে ডিডাকশনের ভুলভাল তথ্য দিয়ে নিজের কর সাশ্রয় করছিলেন। রিফান্ড হিসেবে পাওয়া অর্থের ১৫ শতাংশ নিয়েছেন আদর্শের সিএ। এটা শুধু আদর্শের সঙ্গেই নয়, বহু করদাতার সঙ্গেই ঘটেছে। যদি নিজে কমিশন লাভ করার জন্য কারও সিএ ভুলভাল তথ্য দিয়ে আইটিআর ফর্ম পূরণ করেন, তাহলে এর জন্য দায়টা কার উপর বর্তাবে?

আরও পড়ুন-১০ লাখ টাকা পার্সোনাল লোন নিচ্ছেন? ৩, ৫ ও ৭ বছর মেয়াদে কত EMI দিতে হবে দেখে নিন

২০১৮ সালে আয়কর দফতর একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল। ওই দফতরের তরফে বলা হয়েছিল যে, অনলাইনে আইটিআর ফাইলিংয়ের জন্য কোনও নথিপত্র লাগবে না। স্পষ্টতই করদাতা অবশ্যই যা দাবি করুন না কেন, তার নথিপত্র অবশ্যই রাখবেন। আইটিআর সঠিক ভাবে এবং সময়ে পূরণ করা কিন্তু করদাতারই প্রধান দায়িত্ব। এই পরিস্থিতিতে যদি কোনও সিএ ভুল করেন, তাহলে কিন্তু সেই দায় বর্তাবে করদাতার উপরেই।
একজন করদাতা হিসেবে আইটিআর ফর্মে যাতে ভুল তথ্য না লেখা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে সঠিক তথ্য গোপন করাও চলবে না। আইটিআর ফাইলিং করার পরে করদাতাকে আরও একবার নিজে পর্যবেক্ষণ করে নিতে হবে। কোনও ভুল তথ্য দেখলে সময়সীমা না পেরিয়ে গেলে রিভাইসড আইটিআর ফাইল করতে হবে। এতে আইটিআর বাতিল হবে না। পেনাল্টি-সহ লেট ফি-ও দেওয়া থেকে বেঁচে যাবেন করদাতা।

আইটিআর ফাইল করার সময় ভুল তথ্য দিয়ে রিফান্ড নিলে এই ধরনের করদাতাদের উপর কিন্তু আয়কর দফতর শাস্তিস্বরূপ জরিমানা চাপাতে পারে। পেনাল্টি এবং সুদ-সহ সেই রিফান্ডের অর্থ পুনরুদ্ধার করা হবে। যদি কর ফাঁকি ২৫ লক্ষ টাকার বেশি হয়, তাহলে সরকার ১০০ থেকে ৩০০ শতাংশ জরিমানাও ধার্য করতে পারে। এমন জটিল ক্ষেত্রে করদাতার জেল পর্যন্ত হতে পারে।