Tag Archives: Old Temple

Hanuman Temple: আশেপাশের সবকিছু আগুনে পুড়ে গেলেও এই শতাব্দী প্রাচীন হনুমান মন্দির সম্পূর্ণ অক্ষত আছে

নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৮৮৫ সালে তৈরি হয়েছিল গুয়াহাটি শহরের সঙ্কটমোচন হনুমান মন্দির। শুরুর দিকে খুব কমজনই এই মন্দিরটির কথা জানতেন। প্রথমে বাঁশ দিয়ে সেটা একটা অতি গড়পড়তা মন্দির হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল। বেশ জরাজীর্ণ অবস্থা ছিল। ফলে খুব বেশি ভক্ত সেখানে আসত না। কিন্তু আজ ১৩৯ বছর পর এসে সেই হনুমান মন্দিরের ভোল বেমালুম বদলে গিয়েছে।

রাম বরণ শাহ নামে এক ব্যক্তি হনুমান মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। একে সবাই সঙ্কটমোচন হনুমান মন্দির বলে। ২০০৭ সালে মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। তারপর গত দেড় দশকেরও বেশি সময় জুড়ে এখানে ক্রমাগত ভক্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তার আগে অবশ্য পরিস্থিতিটা অনেকটাই অন্যরকম ছিল। বর্তমানে প্রতিষ্ঠাতার পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম এই মন্দিরের দেখভাল করে।

আর‌ও পড়ুন: দক্ষিণে পাখির চোখ মথুরাপুর, প্রচার কৌশলে বিরাট বদল বিজেপির

মন্দিরটি শহরের উজান বাজারে গুয়াহাটি পুরনিগম অফিসের কাছে অবস্থিত। গত বছরের তুলনায় এবার ভক্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। মূলত মঙ্গল ও শনিবার ভক্তদের ভিড় এখানে উপচে পড়ে। এই মন্দিরের পুরোহিত জানান, একবার উজানবাজারে আগুন লেগেছিল। সব দোকান পুড়ে গেলেও মন্দিরটি অক্ষত ছিল। তারপর থেকেই এই মন্দিরের প্রতি ভক্তদের বিশ্বাস ও আস্থা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে।

Maha Shivratri 2024: খননকাজে বেরিয়ে পড়ে এই প্রাচীন মন্দির, ঘুরে আসুন শিবরাত্রির পুণ্যতিথিতে

কৌশিক অধিকারী, মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাচীন শিবলিঙ্গ মন্দির হিসাবেই পরিচিত সাগরদিঘীর চন্দনবাটি শিবলিঙ্গ মন্দির। সামনেই শিবরাত্রি। তার আগে সেজে উঠছে এই মন্দির। পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ মন্দির হিসাবেই পরিচিত।

ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ জেলার ভাগীরথী নদীর পশ্চিম পাড়ের ভূখণ্ড অনেক প্রাচীন, যা রাঢ় অঞ্চল নামে পরিচিত এবং পূর্ব পাড়ের ভূখণ্ড, বাগরি অঞ্চল নামে পরিচিত যা তুলনায় অনেক নবীন। অতীতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নৃপতির বিজিত রাজ্যের রাজধানী হবার সুবাদে অসংখ্য স্থাপত্য গড়ে উঠেছিল এই জেলায়। সেই সকল অতি প্রাচীন স্থাপত্য অধিক সমৃদ্ধ করেছে এই রাঢ় অঞ্চলকে।

মৌর্য, গুপ্ত, সেন, পাল ইত্যাদি রাজাদের রাজত্বকালে নির্মিত বিভিন্ন স্থাপত্য আজ কালের গর্ভে। আবার ক্ষীণ হলেও কিছু স্থাপত্য আজও অতীত গৌরবের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদীঘির কাছে চন্দনবাটিতে অবস্থিত চন্দনবাটি শিব মন্দির আজও সেই গর্বিত অতীত অধ্যায়ের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মন্দিরটি তুলনায় নবীন হলেও অধিষ্ঠিত শিবলিঙ্গটি অনেক প্রাচীন। সম্ভবত পাল আমলের। পাল ও সেন আমলে চন্দনবাটি শিব মন্দির সংলগ্ন এই অঞ্চলটি মৃত্যুঞ্জয়পুর নামে পরিচিত ছিল।

আরও পড়ুন : সঙ্গীকে ঠকান না, পরকীয়া করেন না! বিয়ে বা প্রেমের জন্য নিরাপদ ৫ রাশি

কিন্তু কালের বিবর্তনে এই প্রাচীন ইতিহাস মাটির নীচে চাপা পড়ে যায়। বিষয়টি সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে আসে বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে। বাংলা ১৩৩৪ সাল নাগাদ প্রাচীন এই মৃত্যুঞ্জয়পুর, জিয়াগঞ্জের নেহালিয়া রাজবংশের উত্তর পুরুষ সুরেন্দ্র নারায়ণ সিংহের জমিদারির অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেই সময় এই জেলার প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক পুরাসম্পদ সংগ্রহে সুরেন্দ্র নারায়ণ সিংহ অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। সেই সূত্রে রায়বাহাদুর সুরেন্দ্র নারায়ণ সিংহ, তাঁর বন্ধু আজিমগঞ্জ নিবাসী জমিদার নির্মল কুমার সিংহ নওলক্ষাকে চন্দনবাটি সংলগ্ন এই অঞ্চলে খননের কাজ করবার অনুরোধ করেন ।

জমিদার নির্মল কুমার সিংহ নওলক্ষা সশরীরে সেই খননকার্য পরিচালনা করেন। এই খননের ফলে নব কলেবরে উদ্ভাসিত হয় এক প্রাচীন ইতিহাস। তাই শিবরাত্রিতে এই মন্দিরে ভক্তদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। পুণ্যতিথির আগে সেজে উঠছে মন্দির চত্বর।