লাইফস্টাইল Hypersomnia Disease: ৮-১০ ঘণ্টা ঘুমোনোর পরও সারাদিন ক্লান্ত, ঝিমোচ্ছেন! সাবধান, আপনি এই রোগে আক্রান্ত নন তো? Gallery September 17, 2024 Bangla Digital Desk সুস্থ থাকতে প্রতিটি মানুষকেই রাতে অন্তত ৭-৯ ঘন্টা ভালো করে ঘুমোনো উচিত। তবে আমাদের চারপাশে এমন অনেকে আছেন, যারা রাতে ৮-১০ ঘন্টা ঘুমোনোর পরও সারাদিন ঝিমোতে থাকে। এটা ভালো ব্যাপার নয়৷ আপনি হয়তো হাইপাসোমরনিয়া রোগে আক্রান্ত! ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের রিপোর্ট অনুযায়ী, অতিরিক্ত ঘুমকে হাইপারসোমনোলেন্সও বলা হয়। যারা দীর্ঘ সময় ধরে পর্যাপ্ত ঘুমোতে পারেন না তাদের জন্য ক্লান্তি এবং তার কারণে ঘুম পাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। তবে এমন অনেকে আছেন যারা ভালো ঘুমের পরও ক্লান্তই থেকে যান। এটাকেই হাইপারসোমনিয়া বলা হয়, বাংলায় ঘুমের ব্যাধি৷ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে হাইপারসোমনিয়া বা নিদ্রা রোগ বেশি দেখা যায়। হাইপারসোমনিয়া বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৫% মহিলাকে প্রভাবিত করে। সাধারণত, ১৭ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যেই এর প্রভাব বেশি দেখা যায়। হাইপারসোমনিয়া হওয়ার সঠিক কারণ কী? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই রোগের কারণ জানা যায় না। গবেষকরা এই রোগের জন্য হাইপোক্রেটিন ওরেক্সিন, ডোপামিন, হিস্টামিন, সেরোটোনিন এবং গামা-অ্যামিনোবুটারিক অ্যাসিড সহ মস্তিষ্ক এবং সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইডে নিউরোট্রান্সমিটারের প্রভাবকে দায়ি করেছেন৷ হাইপারসোমনিয়ার কারণ জেনেটিকও হতে পারে৷ তাই সাবধানে থাকুন৷ বারবার বেশি করে ঘুম পেলেই ডাক্তারের কাছে যান৷ হাইপারসোমনিয়ার চিকিৎসা কি? অনেক ধরনের ঘুম পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ ধরা পড়ে। মনে রাখবেন এই রোগ কর্মক্ষেত্রে এবং সামাজিক ক্ষেত্রে আপনার কাজ করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করবে। শুধু তাই নয়, আপনার জীবনে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় এই নিদ্রা রোগ৷ প্রথমেই আসবে রোজকার জীবনযাত্রায় বদল নিয়ে আসা৷ হাইপারসোমনিয়া রোগীদের অবশ্যই ঘুম বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে নিজেদের সমস্যার কথা বলতে হবে। রোগের কারণ বুঝে তারপর বিশেষজ্ঞরা ওষুধ দেবেন। তবে কিছু বিষয় আপনার হাতেও রয়েছে৷ ঘুমের পরিবেশ ভালো করতে হবে৷ আরামদায়ক বিছানায় ঘুম ভালো হয়৷ খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে কফি পান কমাতে পারলে ভালো৷ মদ্যপান থেকে নিজেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখুন৷ এবং অবশ্যই ঘরে ব্যায়াম করুন৷
লাইফস্টাইল Sleeping Habits: রাতে দেরিতে ঘুমিয়ে সকালে দেরিতে ওঠার অভ্যাস? শরীরে কী হচ্ছে জানেন? জানুন আসল সত্যি Gallery June 7, 2024 Bangla Digital Desk বর্তমান জেনারশানের বেশির ভাগ মানুষের ঘুমের ধরন একই রকম। রাতে দেরিতে ঘুমানো আর সকালে দেরিতে ওঠা। কিন্তু এই বিঘ্নিত ঘুমের ধরণ স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। রাতে দেরি করে ঘুমানোর অভ্যাস এবং তারপর সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস শরীরে অনেক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা অনেক রোগের সৃষ্টি করতে পারে। কারণ ঘুম এবং স্বাস্থ্যের মধ্যে খুব গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাই ঘুমের ক্ষতি হলে স্বাস্থ্যের ওপরও এর প্রভাব দেখা যায়। কেন সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয় জেনে নিন স্থূলতাযারা সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন তাঁদের মধ্যে স্থূলতার সমস্যা প্রায়ই বেশি দেখা যায়, কারণ সকালে দেরি করে ঘুম থেকে উঠলে তাঁদের শারীরিক পরিশ্রম কমে যায়। যার কারণে ওজন বৃদ্ধি এবং স্থূলতার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মেটাবলিজেমকে প্রভাবিত হয়খারাপ ঘুমের প্যাটার্ন মেটাবলিজেমকে ধীর করে দেয়, যার ফলে ওজন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য বিপাকীয় সমস্যা হতে পারে। এ কারণে অন্যান্য হরমোনজনিত সমস্যার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। মানসিক স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাবসকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার ফলে দিনের শুরুতে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ দেখা দিতে পারে এবং সারাদিন তরতাজা অনুভব করবেন না। দেরিতে ঘুমানো এবং ঘুম থেকে ওঠার কারণে সময়ের অভাবে দৈনন্দিন কাজে সমস্যা হতে পারে, যা মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। মেজাজ পরিবর্তনঘুমের অভাব এবং অনিয়মিত ঘুমের ধরণ উভয়ই মেজাজের পরিবর্তন এবং বিরক্তির কারণ হতে পারে। দেরি করে ঘুমানোর অভ্যাস ঘুমের মান খারাপ করে, যা অনিদ্রার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। ইমিউন সিস্টেমকে প্রভাবিত করেঅনিয়মিত ঘুম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়, যা সংক্রমণ ও রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। হৃদরোগের ঝুঁকিনিয়মিত ঘুমানোর অভ্যাস এবং দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।