Tag Archives: Padmashri

Padma Awards: এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রোপণ ৫ হাজারের বেশি গাছ! পদ্মশ্রীতে ভূষিত ‘গাছদাদু’ দুখু মাঝি

শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়া : একটি গাছ একটি প্রাণ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে গাছের অবদান অপরিসীম। হাইরাইজ বিল্ডিং-এর ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে গাছ। প্রতিনিয়ত গাছ বাঁচানোর জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে। এমনকী অনেক সরকারি বেসরকারি অনুষ্ঠানেও গাছ লাগানোর বার্তা দেওয়া হয়। অনেকেই তাতে অনুপ্রাণিত হয় অনেকেই আবার এড়িয়ে যান। ‌ কিন্তু পুরুলিয়ার ভূমিপুত্র দুখু মাঝি দীর্ঘ প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর ধরে নিজ উদ্যোগে পাঁচ হাজারেরও বেশি গাছ লাগিয়েছেন পুরুলিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে।

পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডি থানার সিন্দরি গ্রামের দুখু মাঝি, যিনি ‘গাছ দাদু’ নামেই এলাকায় বেশি পরিচিত। আর এই গাছ লাগানোর জন্যই এ বছর পদ্মশ্রী পুরস্কার পেলেন তিনি। ‌ ইতিপূর্বেই তার পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়ার খবর চাউর হয়েছিল সর্বত্র। তাকে ঘিরে রীতিমতো খুশির জোয়ার বয়ে গিয়েছিল গোটা জঙ্গলমহলে। অবশেষে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে পুরস্কার পেলেন দুখু মাঝি। সোমবার দিল্লিতে এই পুরস্কার পান তিনি। তাঁর এই প্রাপ্তিতে আবেগে আপ্লুত হয়ে গিয়েছে গোটা সিন্দরি গ্রাম।

আরও পড়ুন : ১৮ বছর ধরে লালনপালনের পর দত্তককন্যার বিয়ে দিলেন তৃতীয় লিঙ্গের এক মা, কুর্নিশ সকলের

দরিদ্র পরিবারের সন্তান দুখু। সংসারে রয়েছে তাঁর অভাব অনটন। চাষবাস করে কোনও রকমে দিন কাটে তার। লেখাপড়াও সেভাবে জানেন না তিনি। কিন্তু একবার এক সাহেবের কাছে তিনি শুনেছিলেন গাছ লাগানোর কথা। গাছ না লাগালে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে সে কথাও শুনেছিলেন তিনি। ‌ আর সেই কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে একের পর এক গাছ লাগিয়েছেন অযোধ্যা পাহাড়-সহ বিভিন্ন জায়গায়।

শুধু গাছ লাগানো নয়, সেই গাছের পরিচর্যাও করেন তিনি। পাশাপাশি মানুষকে বোঝান গাছ লাগানোর উপকারিতা কতটা। আর এই গাছ লাগানোর জন্যই পুরুলিয়ার ‘গাছ দাদু’ বিশ্বের দরবারে সুনাম অর্জন করেছেন। পদ্মশ্রী দুখু মাঝি আজ গোটা বঙ্গবাসীর গর্ব।

Padma Awards 2024: আশৈশব বৃক্ষরোপণই নেশা! অযোধ্যা পাহাড়তলির প্রত্যন্ত গ্রামের গাছদাদু দুখু মাঝির শ্রীহীন ঘরে এল পদ্ম পুরস্কার

শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়া : পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়ে আনন্দে আপ্লুত দুখু মাঝি। তিনি যে কখনও এত বড় সম্মান পেতে পারেন তা তিনি কল্পনাও করেননি। তিনি চান তাঁর মৃত্যুর পরও যেন মানুষ আরও বেশি গাছ লাগায়।দুখু মাঝির এই সফল্যে খুশি তাঁর স্ত্রী ফুনকি মাঝি। দুখু মাঝির সমস্ত কাজে  সক্রিয় থাকেন তিনিও। সাহায্য করেন গাছ লাগানোর কাজেও। স্বামীর এই সাফল্যে গর্বিত তাঁর স্ত্রী।

দুখু মাঝিকে দেখে গাছ লাগানোর অনুপ্রেরণা পান তার এলাকার মানুষও। দুখু মাঝির এই পদ্মশ্রী পাওয়ায় গর্বিত এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরাও যেন আবেগ ধরে রাখতে পারছেন না দুখু মাঝির এই সাফল্যে। পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি ব্লকের অযোধ্যা পাহাড়তলির সিন্দরি গ্রামের বাসিন্দা দুখু মাঝি। মাত্র ১২ বছর বয়স থেকে গ্রামে , গ্রামে বৃক্ষরোপণ শুরু করেন তিনি। বর্তমানে তার বয়স প্রায় ৭৮ বছর। গোটা জীবন ধরে তিনি বৃক্ষরোপণের কাজ করেছেন।

আরও পড়ুন : ফুচকার গাড়ি টেনে নিয়ে যাচ্ছে Mahindra Thar! বিটেক পাশ করেও স্বেচ্ছায় ফুচকা বিক্রির সিদ্ধান্ত এই তরুণীর

এই বয়সেও তাঁর কাজ থামেনি। কিন্তু তিনি এই কাজ করে যাচ্ছেন একেবারে নিঃশব্দে। এতগুলো বছরে কয়েক হাজারেরও বেশি গাছ লাগিয়েছেন। শুধু বৃক্ষরোপণই নয় , নিজের হাতে সেই গাছের পরিচর্যাও করেন তিনি। পুরুলিয়া জেলার মানুষদের কাছে তাই তিনি ‘গাছ দাদু’ নামে পরিচিত। এই বয়সেও বৃক্ষরোপণই যেন তাঁর নেশা।

তাঁর এই কর্মকাণ্ডের জন্য একাধিক পুরস্কার ও সম্মান পেয়েছেন তিনি। পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন এ বার তাঁকে জেলার ইলেকশন আইকন করেছেন। সব সময়ই মানুষকে আরও বেশি করে গাছ লাগানোর বার্তা দেন দুখু মাঝি। পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়ে জেলার নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখলেন পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামের দুখু মাঝি। তাঁর এই সাফল্যে খুশি গোটা জেলার মানুষ।

Swami Sivananda : ১২৫ বছর বয়সে ভূষিত পদ্মশ্রীতে, ১৮৯৬-তে সিলেটে জন্মগ্রহণকারী যোগী স্বামী শিবানন্দর দীর্ঘ জীবনের রহস্য কী?

নয়াদিল্লি: সাদা রঙের সাধারণ কুর্তা এবং ধুতি৷ পা নিরাবরণ৷ আটপৌরে এই বেশেই পদ্মশ্রী সম্মান গ্রহণ করলেন ১২৫ বছর বয়সি যোগী স্বামী শিবানন্দ (Swami Sivananda)৷ সবথেকে বেশি বয়সে তিনিই ভূষিত হলেন পদ্মশ্রীতে৷ তাঁর জন্ম ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে সাবেক পূর্ববঙ্গের, আজকের বাংলাদেশের সিলেটে৷ দীর্ঘ জীবন তিনি উৎসর্গ করেছেন যোগাভ্যাসচর্চায়৷ আজও, প্রতিদিন রাত তিনটের সময় তাঁর ঘুম ভাঙে৷ তার পর সারা দিন কাটে নিরলস পরিশ্রমে৷

মাত্র ৬ বছর বয়সে বাবা মাকে হারান তিনি৷ দিনের পর দিন আহার বলতে ছিল শুধু ভাতের ফ্যান৷ তার পর এক সময় আশ্রয় পান নবদ্বীপে ওঙ্কারানন্দ গোস্বামীর আশ্রমে৷ সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁর জীবনের নতুন অধ্যায়৷ নবজন্ম লাভের পর আর পা রাখেননি পুরনো পথে৷

সাধারণ জীবনযাপনে বিশ্বাসী এই যোগীর আার বলতে তেলহীন সামান্য খাবার৷ পিছিয়ে থাকা অনগ্রসরদের সাহায্য করা, তাঁদের পাশে দাঁড়ানোই তাঁর জীবনের ব্রত৷ একাধিকবার তিনি বলেছেন তাঁর সুস্থ দীর্ঘ জীবনের রহস্য হল যোগাভ্যাস, কঠোর নিয়মানুবর্তিতা এবং ব্রহ্মচর্য৷ তারুণ্যেই ব্রহ্মচর্য পালনের প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তিনি৷ তাঁর কথায়, ‘‘এই বিশ্বই আমার ঘর৷ বিশ্ববাসী আমার বাবা মা৷ তাঁদের ভালবাসা এবং সেবা করাই আমার জীবনের পরম ধর্ম৷’’

আরও পড়ুন : ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র কীভাবে নামকরণ করা হয়েছিল? এর অর্থ কী?

আরও পড়ুন : জানুয়ারিতে যে কিশোর কিশোরীরা ওমিক্রন আক্রান্ত হয়, তারা এখন কোভিড টিকা নিতে পারবে? জানুন চিকিৎসকের মত

তাঁর আশ্রমিক জীবনের প্রথম দিন থেকেই যোগচর্চা করছেন স্বামী শিবানন্দ৷ গত অর্ধশতক ধরে পুরীতে তিনি সেবা করছেন কুষ্ঠরোগীদের৷ একাধিক সম্মানে তিনি সম্মানিত হয়েছেন৷ তার মধ্যে অন্যতম ২০১৯ সালে পাওয়া সম্মান ‘যোগ রত্ন সম্মান’৷

আরও পড়ুন : দোলে রং খেলে ত্বক চরম ক্ষতিগ্রস্ত? পার্লারে না গিয়ে ত্বক সারিয়ে তুলুন এই ঘরোয়া উপকরণগুলিতে

সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হল-এ স্বামী শিবানন্দই ছিলেন সকলের মনোযোগের ভরকেন্দ্র৷ নেটদুনিয়াতেও তাঁকে নিয়ে আলোচনার শীর্ষে৷