Tag Archives: Panchla

Howrah News: হেঁটে ‌যাওয়ার অবস্থা নেই গাড়ি ‌যাবে কী করে! পাঁচলা থেকে গঙ্গাধরপুরে জেরবার এলাকাবাসী

হাওড়া: পথ চলতে কালঘাম ছুটছে মানুষের! পিচ্ছিল রাস্তায় জল কাদায় পিছলে পরে হাত-পা ভাঙছে এতেই প্রয়োজনে বাড়ির বাইর হতে ভয় পাচ্ছে মানুষ। বর্ষা নামতে মানুষ ভ্যাপসা গরম থেকে স্বস্তি মিলেছে। তবে বৃষ্টি শুরু হতেই নতুন করে সমস্যা খাড়া হয়েছে মানুষের। এবার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বর্ষার শুরু থেকেই নাজেহাল জল জমা সমস্যায় একই সঙ্গে বেহাল রাস্তা। এই সমস্যা আবারও পাঁচলার দেউলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ দুর্ভোগের শিকার। একই সঙ্গে গঙ্গাধরপুর জুজারসাহার গ্রাম পঞ্চায়েত সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সমস্যায় ভুক্তভুগী মানুষ।

আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণ রক্ষায় সচেতন হচ্ছে গ্রামের মানুষ! বিষধর ধরা পড়লেই ডাক পরছে পরিবেশকর্মীর

এই সমস্যা আরও জটিল আকার নিয়েছ ঘর ঘর পানীয় জলের পাইপ লাইন বসানোর পর। গ্রামের প্রধান রাস্তা থেকে ওলি গলিতে রাস্তা বিপজ্জনক রূপ নিয়েছে। গত কয়েক মাসএই সমস্যায় জর্জরিত গ্রামের মানুষ। বেশ কিছু রাস্তা মানুষের পথ চলার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একাংশের মানুষের অভিযোগ চরম গাফিলতি জেরেই মানুষ দুর্ভোগের শিকার। দেউলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দেউলপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্র লাগোয়া কংক্রিটের রাস্তা ভেঙে দারুন সমস্যায় স্থানীয় এবং পথ চলতি মানুষ। জল জমার সমস্যা কুলডাঙা বাজার এবং গঙ্গাধরপুর লাইব্রেরী থেকে কালিতলা পর্যন্ত রাস্তা বৃষ্টি নামলেই সমস্যায় পড়েন পথ চলতি মানুষ।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
মানুষের অভিযোগ দীর্ঘদিন এলাকায় নিকাশি সমস্যা ছিলই। এবার সমস্যা আরও জটিল হয়েছে।সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সরকারি পাইপ লাইন বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হলেই এই সমস্যার দ্রুত সমাধান মিলবে। এদিকে দুর্ভোগ মুক্তির আশায় দিন গুনছে মানুষ।

রাকেশ মাইতি

Howrah News: ভাঙা নয়, সদ্য তৈরি নতুন রাস্তা নিয়ে চিন্তিত স্থানীয় মানুষ!

হাওড়া: ভাঙা নয়, নতুন রাস্তা নিয়ে চিন্তিত স্থানীয় মানুষ! খাত-খন্দ ভাঙা রাস্তা, এই সমস্যা বর্তমানে খুব সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন সমস্যা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যাচ্ছে। রাস্তা মেরামতি ও নতুন রাস্তার দাবিতে মানুষকে সরব হতে দেখা যায়। তবে পাঁচলার দেউলপুরে বেনজির ঘটনা। নতুন রাস্তা পাওয়ার পর মানুষকে পথে নামতে হল। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, দীর্ঘদিন রাস্তার সমস্যা ছিল। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রায় দেড় বছর আগে রাস্তার কাজ শুরু হয়। পথ চলতি এবং স্থানীয় মানুষ রাস্তার কাজ শুরু দেখে দারুন খুশি হয়েছিল। দেখা গেল রাস্তা কাজ সম্পূর্ণ হবার পর থেকেই শুরু হয়েছে রাস্তার রিপিয়ারিং। উঠে যাচ্ছে পিচের প্রলেপ। তাতেই ক্ষুব্ধ পথ চলতি এবং স্থানীয় মানুষ।

আরও পড়ুন:  ভিন রাজ্যেও বাড়ছে চাহিদা, জোগান দিতে হিমশিম! হাওড়ায় তৈরি হালদারদের পতাকার কদর তুঙ্গে

পাঁচলার গঙ্গাধরপুর থেকে দেউলপুর হয়ে জালালসী প্রায় ৪-৫ কিমি পথ। রাস্তায় পিচ হবার দিনকয়েক কাটতে না কাটতেই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে টোটো অটোর চাকার সঙ্গেই উঠে যাচ্ছে পিচ। একটু বৃষ্টি হতেই পিচের রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছে মাটি। এমনকি হাতের আঙুল দিয়ে মোচড় দিলে রাস্তার পিচের প্রলেপ উঠে আসছে হাতে। এই রাস্তার টিকবে কদিন? স্থানীয় মানুষের অভিযোগ রাস্তায় গুণগতমান একেবারে নিম্ন। হাফ ইঞ্চির কম পাতলা প্রলেপ যে কারণে নতুন রাস্তায় ক্ষত সৃষ্টি হচ্ছে। চালকদের কথায়, সপ্তাহ দুয়েক হল রাস্তার পিচের কাজ শেষ হয়েছে। এখনও রাস্তার কাজ চলছে। এর মধ্যেই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পিচের প্রলেপ উঠতে শুরু করেছে। যদিও নতুন রাস্তার রিপিয়ার করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই রাস্তা কদিন টিকবে। তাই নিয়েই প্রশ্নচিহ্ন মানুষের মনে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রাকেশ মাইতি

Howrah News: একাধারে সাধু ও ডাক্তার! প্রায় তিন দশক ধরে গ্রামের মানুষের ভরসায় তিনি

হাওড়া: প্রায় তিন দশক ধরে গ্রামের মানুষের ভরসায় এক সাধু! শরীরে যে কোনও সমস্যা হলেই সাধুর শরণাপন্ন হয়ে, সাধুর কাছে ছুটে আছে গ্রামের মানুষ।পাঁচলা ব্লকের গঙ্গাধরপুর গোণ্ডলপাড়া গ্রাম সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের জ্বর-জ্বালা মানেই সাধু ডাক্তার। যেকোনও প্রাথমিক শরীরের সমস্যায় গ্রামের শিশু-বৃদ্ধ মানুষের ঠিকানা সাধু ডাক্তার। যত দিন গড়াচ্ছে সাধু ডাক্তারের প্রতি মানুষের আস্থা বেড়ে চলেছে। প্রায় তিন দশক আগে মানুষের জন্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে অল্প খরচ চিকিৎসা শুরু করেন গ্রামীণ চিকিৎসক বরুণ দাস।

আরও পড়ুন:   গরমের ছুটি শেষ হতে না হতেই পুজোর ছুটির প্ল্যানিং শুরু, রেলের বিশেষ ব্যবস্থা যাত্রীদের জন্য

শৈশব থেকে নিজের পরিবার থেকে আলাদা হয়ে ঈশ্বরের সেবায় নিজেকে নিয়জিত করে গ্রাম ছেড়ে ছিলেন। পরে গ্রামীণ চিকিৎসক হয়ে গ্রামে ফেরা। ঈশ্বর সেবার পাশাপাশি গ্রামে ফিরে হতদরিদ্র মানুষের জন্য চিকিৎসা পরিষেবা শুরু করেন। নিজের গ্রাম থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরত্বে গঙ্গাধরপুর গ্রামে এসে মাত্র ১০ টাকা খরচেই ওষুধ সহ চিকিৎসা পরিষেবা শুরু করেছিলেন। সে সময়ে ২৩-২৪ বছর বয়সী যুবক গ্রামের গুটি কয়েক মানুষের ভরসা হতে পেরেছিল। কিন্তু বর্তমানে কয়েকটা গ্রাম মিলিয়ে হাজারও মানুষের ভরসা সাধু ডাক্তার। একটু সমস্যাতেই গ্রামের মানুষ ছুটে আসে সাধু ডাক্তারের চিকিৎসা কেন্দ্রে।

আরও পড়ুন: বাজারে টন টন ইলিশ! জামাইষষ্ঠী শুধু না, এবছর জলের দরে পাবেন ইলিশ! দিঘায় শুধুই ইলিশ

এই ব্যয়বহুল সময়েও মাত্র ৩০-৪০ টাকা তে চিকিৎসা পরিষেবা সহ ওষুধ। হতদরিদ্র মানুষের প্রতি ডাক্তারের আন্তরিকতা এতটাই যে, ডাক্তারের চেম্বার এলেই অর্ধেক রোগ সেরে যায় মানুষের। এ প্রসঙ্গে গ্রামীন চিকিৎসক ডাঃ বরুণ দাস জানান, গ্রামের অধিকাংশ মানুষ দিন এনে দিন খাওয়া পরিবার থেকে আসেন। বহু পরিবারে প্রতিদিনের খাবার জোগাড় করা কঠিন তাদের কাছে। খরচ করে পাশকরা ডাক্তারি পরিষেবা নেওয়ার সামর্থ্য নেই। তিনি আরও বলেন, এমন বেশ কিছু মানুষ আছে যারা ৩০-৪০ টাকা দিতে পারেন না, আবার কয়েকজন মানুষ আসেন, যা খরচ তার থেকে বেশি দেন। এভাবেই দিন চলে যায়, মানুষকে সুস্থ করে আনন্দের মধ্য দিয়ে। আগামী দিনে মানুষের জন্য আরও কিছু করার ইচ্ছে রয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রাকেশ মাইতি

Howrah News: এমন রঙের প্রাণী সম্ভবত পশ্চিমবঙ্গে প্রথম! ধবধবে দুধ সাদা রঙের ভাম বিড়াল উদ্ধার

হাওড়া: সম্ভবত পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম দেখা মিলল সাদা ভাম বিড়াল। বিরল সাদা ভাম বা অ্যালবিনো সাদা ভাম উদ্ধার পাঁচলা গোলাবাড়ি থেকে। এমন প্রাণী হয়ত অনেকেই চোখে দেখেনি।এই বিরল প্রাণীটি উদ্ধার হয় একটি গৃহস্থ বাড়ি থেকে। উদ্ধার হওয়ার পর থেকে প্রাণীটি দেখতে হুলুস্থূল কান্ড। উদ্ধার পর প্রাণীটিকে তুলে দেওয়া হয় বন দফতরের হাতে। পাঁচলা গোলাবাড়ি এলাকা থেকে প্রাণীটি উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই এমন অচেনা প্রাণী দেখতে রীতিমতো মানুষ ভিড় জমায়, যদিও পরিবেশ কর্মীদের কথায় জানা যায়। পরানের স্বাভাবিক যে রং সেই রং না হয়ে অ্যালবিনো যা ধবধবে সাদা। এটি খুব স্বাভাবিক বিষয় হলেও খুব অল্পমাত্রায় দেখা যায়। সাধারণ ভাম বা খটাস প্রকৃতির প্রাণীদের গায়ের রঙ কালচে হয়। কিন্তু তা না হয়ে, একবারে ধবধবে সাদা কালোর ভাম।

আরও পড়ুন:  প্রতি মাসে ২৫-৩০ হাজার রোজগার, মহিলাদের আয়ের পথ দেখাচ্ছে এই পেশা, আপনিও শুরু করুন এই কাজ

গত প্রায় এক বছর আগে এমনই একটি ঘটনা হাওড়া জেলায় দেখা গিয়েছিল। বিষধর কালাজ সাপ কালো শরীরে হালকা সাদা ডোরা কাটা দাগ। কিন্তু দুধের মত ধবধবে সাদা কা সাপ দেখা গিয়েছিল। এই অ্যালভিনো বাচ্চারা মায়ের গর্ভথেকে জন্ম নেয় একই রকম আর পাঁচটা বাচ্চার মত, শুধু মাত্র তফাৎ এদের গায়ের রঙের। এই ঘটনা খুব স্বাভাবিক। এই একই ঘটনা পাঁচলার গোলাবাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া তিনটি সাধারণ কালচে ভাম সাবকের সঙ্গে উদ্ধার একটি (Albino Indian plum civet) বা সাদা ভাম। জানা যায় পাঁচলা গোলাবাড়ির একটি গৃহস্থ বাড়ির কার্নিশে গত দেড় মাস আগে একটি ভাম চারটি বাচ্চা দেয়। বাসা থেকে বাচ্চা গুলি পড়ে যাওয়ায় পরিবেশ কর্মীরা উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন: অল্পতেই দাঁত দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে রক্ত? মারাত্মক ক্ষতি করছেন কিন্তু, ৫টি টিপসে সুস্থ হবে মাড়ি, দাঁত থাকতে মর্ম বুঝুন

প্রাণী গুলিকে উদ্ধার করতে ঘটনা চলে পৌঁছায় পরিবেশকর্মী চিত্রক প্রামাণিক, শুভঙ্কর কোলে সহ হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চের বেশ কয়েকজন সদস্য গিয়ে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর বন দফতরের হাতে তুলে দেয় পরিবেশকর্মীরা। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকারী চিত্রক প্রামানিক বলেন, ভাম বিরল নয়। কিন্তু অ্যালবিনো ভাম দেখা যায় না। অ্যালবিনিশম্ একটি জেনেটিক মিউটেশন। প্রানী জগতে অ্যালবিনিশিম্ বা পিগমেন্টেশন্ এর অভাবে দেহের ত্বকের রঙ ফ্যাকাশে বা সাদা হয়ে যায়। লিউশিজিম্ এর জন্য চোখের রঙ কালো থাকলেও অ্যালবিনো প্রানীর চোখের রঙ লাল হয়। ২০২১ সালে উড়িষ্যার সাতকোশিয়া টাইগার রিজার্ভে অ্যালবিনো ভাম দেখা গিয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে সম্ভবত এই প্রথম।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রাকেশ মাইতি