লখনউ: চাকরিজীবনের শেষ লগ্নে এসে পরকীয়ার মাশুল দিলেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিএসপি কৃপাশঙ্কর কনৌজিয়া। তিন বছর আগে এক মহিলা কনস্টেবলের সঙ্গে হোটেলবাসের সময় ধরা পড়ে যান কৃপাশঙ্কর। সম্প্রতি ৫৯ বছর বয়সি কৃপাশঙ্করকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গোরক্ষপুরে প্রভিন্সিয়াল আর্মড কনস্টাবুলারি বা PAC-এর ২৬ তম ব্যাটেলিয়নে যোগ দিতে। অবসরগ্রহণের ১ বছর আগে সেখানেই কনস্টেবল হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি।
বিতর্কের সূত্রপাত ২০২১-এর জুলাই মাসে। সে সময় কৃপাশঙ্কর ছিলেন উন্নাওয়ের সার্কল অফিসার। তৎকালীন পুলিশ সুপারের কাছে তিনি পারিবারিক কারণে ছুটির আবেদন করেছিলেন৷ ছুটি মঞ্জুরও হয়ে গিয়েছিল৷ কিন্তু পরে জানা যায় তিনি আদৌ বাড়িতে যাননি৷ কানপুরের কাছে একটি হোটেলে ছিলেন এক মহিলা কনস্টেবলের সঙ্গে৷ অনুসন্ধানে জানা যায় ওই কনস্টেবলের সঙ্গে কয়েক মাস ধরে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন কৃপাশঙ্কর৷
প্রসঙ্গত কৃপাশঙ্করের স্ত্রীর অভিযোগেই টনক নড়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের৷ স্ত্রীর অভিযোগ ছিল বাড়িতে যানি কৃপাশঙ্কর৷ এমনকি, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না৷ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর শুরু হয় তল্লাশি৷
তল্লাশি ও তদন্তে দেখা যায় ব্যক্তিগত এবং কর্মসূত্রে পদাধিকার বলে পাওয়া কৃপাশঙ্করের দু’টি মোবাইল ফোনই বন্ধ হয়ে আছে৷ তাতে হাল ছাড়েননি অনুসন্ধানকারীরা৷ নাম্বার দু’টি ট্র্যাক করে দেখা যায় কানপুরের একটি হোটেলের কাছে শেষ বারের মতো সক্রিয় ছিল৷ প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয় তৎকালীন কৃপাশঙ্করকে অপরহরণ করা হয়েছে৷ সেই মতো সশস্ত্র পুলিশবাহিনী ওই হোটেলে অভিযান চালায়৷ সে সময়ই মহিলা কনস্টেবলের সঙ্গে সময় কাটানোকালীন অবস্থায় ধরা পড়েন কৃপাশঙ্কর৷
তিন বছর পর কৃতকর্মের ‘শাস্তি’ পেলেন কৃপাশঙ্কর৷ কর্মজীবনের শেষবেলায় পদাবনতি হয়ে অবসরের কিছু মাস আগে ডিএসপি থেকে হলেন কনস্টেবল৷ যদিও তাঁর প্রতি করা এই পদক্ষেপ কতটা যুক্তিযুক্ত, সেটা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন৷ দেখা দিয়েছে বিতর্ক৷